নতুন পথের বাঁশি

 
আজ তোমার সাথে অনেকক্ষণ কথা হলো।
এই প্রথম একটু বেশি সময় ধরে তোমাকে শুনেছি।


তোমাকে শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, আমি তোমার ভেতর হেঁটে যাচ্ছি…
অন্যের ব্যথাকে বোঝা, অন্যের শ্রমের ঘামকে জানা---
এই তোমাকে আমি নতুন জেনেছি।
তোমার মানবিক চিন্তাচেতনা আমার বুকজুড়ে শেকড়ের শক্তি জুগিয়েছে।


তুমি তো জানো, পৃথিবীটা ঝুলে আছে কাটা-শরীরের মতো!
চারদিকে পতনের আশঙ্কা। সব সময়ই!
অন্ধকারে জোছনার আলোটুকুও আজ নীলবেদনার মতো!


অথচ তুমি আমার আত্মাহীন চোখে
সাহসের মন হয়ে ভরে উঠেছ,
আমার বেদনাবোধ তোমার সহনশীল মায়ায় এসে থেমেছে।


আজ থেকে আমার তালাবদ্ধ জীবনের একমাত্র আনন্দ তোমাকেই মানছি।
খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে আমার মন তোমার মনের সাথে মিশতে চাইছে।


তোমাকে আমার, ভূমধ্যসাগরে স্বচ্ছ নীলজলের মতো,
নির্মল মনে হয়েছে আজ।
তোমার মনভুলোনো হাসিটাকে,
বিশ্বাস আর নির্ভর করা যায়, এমন মনে হয়েছে।


তোমার কণ্ঠস্বর আমাকে ভীষণভাবে টেনেছে,
তোমার কিছু বাক্য আমার মনকে ডুবিয়েছে গভীর ভাবনায়।
তুমি মানবিক মানুষ জেনে খুশিতে আজ আমার আকাশ ছুঁতে ইচ্ছে করছে।


আচ্ছা, তুমি কি জানো,
গভীর ভালোবাসাকে সমাজের চারপাশ ছাপিয়ে যায়?
না কি সমাজের চারপাশ গভীর ভালোবাসাকে ছাপিয়ে যায়?
---কোনটি হয়?


না কি আমরা সবাই এই দুইয়ের মধ্যেই সব সময় আটকা পড়ে থাকি?
সমাজ যা-ই বলুক, আজ
তোমাকে ভালোবেসে আমার পুরো পৃথিবীটাকে ভালো লাগছে,
পুরো পৃথিবীটাকেই ভালোবাসতে খুব ইচ্ছে করছে।