নিঃশব্দ সূর্যের সুর

 
পাগলটা প্রতিদিন রাস্তার সাথে কথা কয়।
ধমকায় গাছ, মশা, মাছি, পাখি ও ফুল।
মানুষ দেখলে পালায় ছুটে, লজ্জায় লুকায় মুখ
আড়ালে কোথাও, চুলকায় গা নেকড়ের নখে।


কখনও নামলে দুপুর, দেখি, বসে আছে সে পাথরের মতো
টানা রৌদ্রে; পাশে শুয়ে তার…এক রুগ্ন কুকুর।
দুজনের চোখে দেখি জুড়ে আছে আকাশের নীরবতা যত…
শরীরে তাদের নিঃশব্দ সূর্যের সুর।


তাকে দেখে কখনও মনে হয় যেন সে সবই জানে এই পৃথিবীর,
মাঝেমধ্যে ছুড়ে দেয় সে আলোঝরা সব কথার ঝুড়ি,
আবার অলক্ষেই হেসে ওঠে সে হঠাৎ হঠাৎ!
লোকে ভয় পেয়ে যায়, ওকে ধরে; ধরে খুব মারে…খুব!


তবু কণ্ঠ তার হয় না উঁচু,
যারা মৃত নয়, তারা প্রতিবাদ তো করেই…
ভাবে সবাই! পাগল তবু বলে না কিছুই, শুধু মার খেয়ে যায়।
পাগল কী যেন ভেবে…নিজেকে ঘোরায়, নিজেই ঘোরে!


পাগলটা প্রতিদিন রাস্তার সাথে কথা কয়,
খুলে দেয় তার গোপনহৃদয় যত না-মানুষের কাছে।