পথের বিকল্পহীনতা

ভালোবাসার নাটক করা যায়, এটা জানি।
কিন্তু পাগলের মতো ভালোবেসেও,
ভালো না বাসার নাটকটা করে কী করে? যায় কি আদৌ?


যে আমার খেয়ালে বেখেয়াল, যে আমার পুরোটা জুড়েই,
যে আমার প্রশ্ন, যে আমার উত্তর,
তাকেই আমি কোথায় লুকাই?


যে আমার প্রতিটি কষ্টের মধ্যেই লেপটে আছে,
যে আমার অশ্রুর প্রতিটি বিন্দু হয়ে ঝরে,
যে আমার প্রতিটি রক্তকণার সাথেই হয় বাহিত,
তাকেই আমি দূরে সরাই কেমন করে?


যে আমার সমস্ত দৃষ্টির সীমান্তে বাঁচে,
যে আমার হৃৎপিণ্ডের প্রতিটি স্পন্দনেই,
যে আমার অভ্যন্তরের সবটা জুড়ে,
তাকেই আমি ফেলব ছুড়ে কোন সে পথে?


যে আমার বেঁচে-থাকাটুকু,
যে আমার ভালোথাকার সব ব্যাকরণ,
যে আমার পূর্ণতারই জ্যান্ত দলিল,
তাকেই আমি অন্য কোথাও রেখে বাঁচব কীভাবে?


যে আমার ছেলেমানুষি ভুল,
যে আমার বিবেকপ্রসূত ঠিক,
যে আমার অস্তিত্বের প্রকট চিহ্ন,
যে আমার বিশ্বাসের নির্ভার ঘর,
তাকেই আমি কোন দুঃসাহসে আমার থেকে আলাদা করব?


আমি কী করে বোঝাই…কতটা অসহায় হয়ে বেঁচে আছি আজ!