প্রণয়পূর্ব কিছু কৈফিয়ত

 
আমি আর কখনও তোমাকে খুব বুঝিয়ে এবং
গুছিয়ে কিছু লিখব না। আমি যা-ই লিখি,
তুমি তার এত দায়সারা জবাব দাও কেন?
আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে না?
না কি আমি যা লিখি, তা ভালো লাগে না?


তোমাকে কিছু লেখার পর উত্তরের অপেক্ষায়
মোবাইলের দিকে ঠায় তাকিয়ে থাকতে আর পারব না।
সারাদিন ছোটাছুটি করেছি, খুব ক্লান্ত। বাসায় ফিরছি, মা অপেক্ষমাণ।
তুমি কয়টায় ঘুমাও, আমার জানা নেই।


কেন জানি ভীষণ মনে হচ্ছে,
এত রাত্রে আমি তোমাকে লিখব, এটা ঠিক হবে না।
ভালো থেকো খুব। শুভ রাত আড়াইটা…


‘শুভ সকাল’ লিখছি না, কেননা এই সময়টাকে
সকাল বলা যায় না, শুভ কি অশুভ, তা-ও বুঝতে পারছি না; অবশ্য, আমার সকাল হলোই একটু আগে।


আচ্ছা, তুমি কি আমাকে অবিশ্বাস কর? উত্তরটা দিয়ো।
আমি নিজে সহজ হতে ও কাউকে সহজ হতে দেখতে ভালোবাসি।
সেই ইচ্ছে থেকে, কিছু সহজ কথা তোমাকে বলা প্রয়োজন।


আমি আরও একবার নিজের কথা তোমাকে বলছি। শোনো।
আমি মানুষ পরিচয়েই জানি নিজেকে।
আমাকে বিশ্বাস করার কিংবা অবিশ্বাস করার কিছুই নেই,
বিশ্বাস ব্যাপারটাই অদৃশ্য কিছু একটা।
এটা মনে ধারণ করার কিংবা না করার ব্যাপার মাত্র।
আর অবিশ্বাসই যদি কর, তবে তো তা নিয়ে আর কিছু বলার থাকে না।


পরিচয় দেবার মতো আমার সত্যিই তেমন কিছুই নেই,
বয়সে আমি তোমার চেয়ে কিছু ছোট হব মাত্র।
কিছু বড়ো হলেই-বা কী এসে যেত?


আমি নিজের অর্থে- ও নিজের শর্তেচলা একজন মানুষ।
এইটুকুই তো! আর হ্যাঁ, কোনও দিন যদি দেখা হয়, তবে
আমার একটা ছোট্ট পরিচয় আছে, সেদিন তোমাকে তা দেবো।


তুমি হয়তো ভাবছ, সবাই-ই তো নিজেকে মানুষই ভাবে!
এইটুকু পরিচয়ে কাউকে আপন ভাবা যায় না, তুমি করে বলা যায় না।
নিজেকে লুকিয়ে রাখব কি রাখব না, কার কাছে রাখব, কার কাছে রাখব না,
এ সবই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।…আমি জানি, তোমার এইসব ভাববার কথা।


একটা ব্যাপার কী, জানো? তুমি খুব সম্ভবত
আমার সাথে ঠিক পরিচিত হতে চাইছ না।
আমাকে ফোনে কথা বলতে দাও না, দেখা করতে চাইলেও বারণ করে দাও।
এর বাইরে সামান্য এই মেসেঞ্জারে আমাকে কতটুকুই-বা জানবে, বলো?


আমি কখনও, আমার পরিচয় কী, সেটা নিজের কাছেই জানতে চাইনি,
আর কোনও দিন কাউকে বলতেও হয়নি, আমার পরিচয় কী।
কিংবা এমনও হতে পারে, ইচ্ছেয় বা অনিচ্ছেয়, ওটা বলাই হয়নি কাউকে।


কাল রাত অনেকটা সময় ভেবেছি, আমার কী এমন পরিচয়,
যা আমি তোমাকে দিতে পারি? হঠাৎ, অনেক বছর পর
নিজের পরিচয় কাউকে বলব, এইটুকুর জন্য
নিজেকে প্রস্তুত করতে সময় লেগেছে। তবে এখন
তোমার জানার কিংবা আমার জানাবার সময়টা হচ্ছে না।
আমি বেরিয়ে যাচ্ছি কাজে, আর তুমিও অফিসে।
ফিরব হয়তো সন্ধ্যায়। তুমি সুস্থ থেকো।