প্রেমের এ-বাঁকে, ও-বাঁকে

তোমায় এতটা কেন যে ভালোবাসি, কে জানে!
সারাক্ষণই কেন তোমাকে মনে করতেই হবে, বলো দেখি!
আসলেই তুমি জ্বালাও বেশি!


তুমিই বলো, সবটা সময়ই কাউকে ভেবে দিন কাটানো যায় কি আদৌ?
আমার কি আর কোনও কাজ নেই, এক তোমায় ভাবা বাদে?
ওসব কে করে দেবেটা, শুনি?
তোমার তো দিব্যিই চলে অন্য সবই!
আমার কেন তুমিবিহীন চলছে না তো একটু ক্ষণও, বলতে পারো?


সত্যিই বড্ড জ্বালাও তুমি!
হায়, এমন করে কাউকে ভালো...বাসতে কি আছে?
তবে আমি কেন বাসি?
কত কাজই তো থাকে তোমার,
তা-ও আমি রোজই তোমায় কত কী বলি!


এই! তোমার মধ্যে আসলে কী যে আছে, বলো দেখি?
আমার কেন এই এতটাই তুমি’তেই নেশা?
ধুত্তোরি ছাই! বুঝি না কিছুই!


চললে এভাবে দুদিন পরেই হব রীতিমতো মানসিক রোগী!
এ যে কেমন হচ্ছি আমি দিনকে দিনই, বুঝি না তো!
তুমি আসলে করছটা কী?
জাদু তুকতাক...ওসব জানো? না কি অন্য কিছু?
আমায় কী মায়া এমন করেছ, বলো?


এ তো ভারি জ্বালা হলো!
তোমাকে ভাবি, আর কাজ নেই।
তোমাকে দেখি, আর কাজ নেই।
তোমাকে খুঁজি, আর কাজ নেই।
এমন বেকার আমি ছিলাম কবে?


প্রেমে পড়লে লাগেই কি এমন পাগল পাগল?
তা বলে কি তোমায় ছাড়া থাকতে আমার মানাই মানা?
সত্যিই তুমি জ্বালাও বেশি!
আহা, তোমায় না ভেবে একদিন আমিও বেঁচে ছিলাম!
এসব কথা ভাবলে এখন, রূপকথাও হার মেনে যায়!