ফিরেই যাও

এই যে ছেলে, শোনো,
তোমাকে বলি কী, তুমি বরং ফিরেই যাও!
কেননা তুমি যে গতিকের প্রেমিকা খুঁজতে এসেছ,
তেমন আমি নই গো, ছেলে!


তাই তুমি বরং ফিরেই যাও, বুঝলে?
আমি এই শতাব্দীতে জন্মেও একথা বলছি দেখে
মনে মনে খুব অবাক হয়েছ, তাই না?
এজন্যেই তো আমি তোমার প্রেমিকা নই,
আর তুমিও নও আমার প্রেমিক!


আমি এই শতাব্দীতে জন্মেছি ঠিকই,
তবে মানসিকভাবে…ওই…তোমার ভাষায় কী যেন বলে…
হ্যাঁ, বেশ ব্যাকডেটেড কোনও এক শতাব্দীতেই জন্ম আমার!


আরে, এই যে তোমার সারাভাবনাতেই সাহিত্যের এত বাড়াবাড়ি,
তা, ও বাড়াবাড়ি কি শুধুই লেখার পাতায়?
না কি জীবনের পাতাটিতেও কিছু আনাগোনা হয় তার?
হয় না তো?
দেখলে…তুমি কেমন মানুষ!


ছেলে, তোমার তো দেখছি…
ওই সাহিত্য আর নিজের জীবন দুই ভিন্ন দিকে!
আমার ওরকম একেবারেই নয় গো, বাপু!
সাহিত্য আর জীবন আমার দুইটি মুখে হবে কী করে,
আমার তো জীবনপথেই সব সাহিত্য!


হ্যাঁ, এসব তুমি বুঝতে ঠিকই…
যদি জন্মাতে ওই ব্যাকডেটেড একটা শতাব্দীতে!
ওখানে শুধুই ভালোবাসা খোঁজা হয় গো,
গতিকের প্রেম…সে কখনওই নয়!


তাই বলি কী, ছেলে,
তুমি এবেলা বরং ফিরেই যাও!
আমি যে তোমার ওই গতিকের প্রেমিকাই নই!
তা, খুব যে আমায় প্রেমিকা বানাতেই চাও...
তা কাজলকালো দুইটি চোখের আর এলোচুলে বেলিফুলের
দায় কি দাবি, যা-কিছু আছে, বোঝো তো ওসব?
ছেলে, বোঝো কি সত্যিই কিছু?


বোঝো কিছু...শুচিস্মিতার হাসির আর কৃষ্ণকলি সখীর?
আচ্ছা, অল্প কথাতেই নাহয় বলি! কিছু বোঝো কি আদৌ
অগোছালো শাড়ির আঁচল আর হাতভর্তি রেশমিচুড়ি?
বোঝো না তার কিছুই তুমি! ঠিক তো, ছেলে?


তা এসব না বুঝলে, আমায় কী করে বুঝবেটা, শুনি?
আমি তো আগেই বলেছি…
আমি যে তোমার ঠিক গতিকের প্রেমিকাটি নই!
তাই বলছি, শোনো, লক্ষ্মী ছেলে,
তুমি নাহয় এইবেলাতে ঘরে ফিরে যাও!