ফেরার বাধ্যতা

প্রতিরাতেই একটা-কিছু বুকের মধ্যে খচখচ করে,
আমাকে জ্বালায়, পোড়ায়, অশান্ত করে রাখে,
তবু মুখ ফুটে কিছুই বলতে দেয় না।




আমি যে কাঁচামিঠে ছড়া লিখে দুঃখ ভুলে থাকার চেষ্টা করি,
সেই ছড়াই কিনা হয়ে যায় এক-একটা প্রবন্ধের সমান দীর্ঘ!




আমি বোঝাতে চাই,
আমার হাসিতে কিংবা সাজসজ্জায় ভুলো না,
কী লুকোতে চাইছি, তা-ও একটু বোঝার চেষ্টা করো।




তুমি হয়তো সব বুঝেও না বোঝার ভান করো, তাই না?
তোমার এই পাগলিটা বোকা হলেও এটুকু তো বোঝেই!




মাঝেমধ্যে মনে হয়, বেড়াল হয়ে জন্মাতাম যদি!
কিংবা তোমার হাতের ওই দামি ঘড়িটা হয়ে...!




বেড়ালদের অন্তত কথা বলার বিড়ম্বনাটুকু থাকে না! আর তোমার কাছে ওই রিস্টওয়াচের জন্য যতটুকু গুরুত্ব বরাদ্দ, তার সিকিভাগও আমার জন্য নেই।
অতখানি যত্ন করে অবহেলা করতে শিখলে কোথায়?




আজকাল কোথায় পালিয়ে থাকো?
আচ্ছা, পালাতে জানলেই কি পালিয়ে যেতে হয়?




সব শিক্ষাই কি কাজে লাগাতে হয়?
কখনও বেঁধে রাখিনি বলেই কি বেছে বেছে এই অভাগিনীর কাছেই তোমার ফিরে আসতে হয় না?




আসতে হয়, জানি।
কাউকে যখন আর ভরসা করা যায় না, তখন কি আমার কথা মনে পড়ে না?
মনে পড়ে, জানি।




একজন পলাতকা আর একজন বিবাগী মানুষের মধ্যে বিরাট একটা তফাত আছে।




তুমি খুব খুব চেষ্টা করেই যাচ্ছ আমাকে ভুলে যেতে, তাই না?
কিন্তু আমাকে ভুলে যাওয়া তো কোনও সহজ কাজ হতে পারে না!