বৃষ্টিবিলাস

বৃষ্টি দেখতে ভীষণ ভালো লাগে।
অনুভব করতে আরও বেশি ভালো লাগে।
আর বৃষ্টিতে আমার সেই ‘তাহার’ সাথে কাকভেজা হয়ে
বাড়ির ছাদটায় দাঁড়িয়ে কিছু সময় কাটাতে, ছবি তুলতে দারুণ লাগে।


তখন দুজনে মিলে একসাথে বৃষ্টিকে ছুঁয়ে দিতে ভীষণ ভালো লাগে।
আমার ভালোবাসার ওই একটুখানি বৃষ্টিবিলাস,
সে যদি পাশে থাকে তো…হয়েই যায়!


ছবি তুলতে আমি বরারবরই ভালোবাসি।
আর যদি তা হয় বৃষ্টিতে, সেই মানুষটাকে সঙ্গে নিয়ে,
তাহলে তো আর কোনও কথাই নেই!


ছবি তুলবার সময়, নান্দনিকতার নানান অজুহাতে,
আমার মানুষটার হাত দিয়ে ভেজা চুল কপাল থেকে সরিয়ে দেওয়া,
ভেজা শাড়িটা ঠিক করিয়ে নেওয়া,
কপালের টিপটাকে জায়গামতো বসিয়ে রাখা,
চোখের কাজলটা ঠিক করার বাহানায় তার হাতের আদুরে স্পর্শ বার বার পাওয়া,
তাকে ঠেলে পাঠিয়ে কদমফুল ছিঁড়িয়ে এনে চুলে গুঁজে দিতে বলা,
আর এসব বাহানায় ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আমার একান্ত নিজের মানুষটাকে
আরও একটু কাছে আসতে বলা! আহা আহা! আমার উঠোনে তখন যেন একটুকরো স্বর্গ নামে!


জীবনের মানে এইসবই তো!
আমার একটুখানি বৃষ্টিবিলাস ‘তাহার’ সাথে।
ঠান্ডা লাগবে, এই অজুহাতে আমার প্রতি তার শাসন আর দুশ্চিন্তার
মেলবন্ধনটা দেখতে আমার ভালোই লাগে!
আর যদি কোনও এক বাহানায় সে ভালোবেসে নিজের হাতে
ধোঁয়া-ওঠা চা বানিয়ে নিয়েই আসে, আর
তার কাজকর্ম বাদ দিয়ে আমার সাথে বসে চায়ের কাপে প্রেমটা জুড়ে দেয় বারান্দাতে,
সাথে রাখে প্রিয় বৃষ্টিটাকে,
তাহলে আর কথাই তো নেই!


ওসব আমার ভীষণ ভালো লাগে, যাকে কিনা বলে,...আহা, প্রেম একেবারে জমে ক্ষীর!
এই তো আমার ভালোবাসার বৃষ্টিবিলাস ‘তাহার’ সাথে!
বৃষ্টি আমায় বরাবরই ডোবায় শিহরনে!
আমি আরও ভালোবাসি যখন কাজে নাক-ডোবানো আমার আনরোমান্টিক মানুষটাও,
বৃষ্টি দেখলে আমায় ভাবে, একটা ফোন করে…টেক্সট পাঠিয়ে বলে,
ভীষণ মিস করছি!
তখন আমি এই বৃষ্টিটাকে আরও খুব করে চাই।
এই তো আমার দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার বৃষ্টিবিলাস ‘তাহার’ সাথে!
তাকে ভালোবাসি, ভালোবাসি তারই সাথে সাধের এই বৃষ্টিবিলাস!