বোকাকান্না

 সেকি মেয়ে! কাঁদছো?
তোমার তো চাওয়ার কিছুই ছিল না!
তাই, পাওয়ারও যে কিছু নেই!
তবে, কেন এ ক্ষরণ--অকারণ? বলো?
মেনে নাও।
চোখের জলটা--দামি তো!
দামটা বুঝবে--ফুরোলেই!
 
ভেতরের যে কষ্টটা,
বায় না গলা বাইরে--
ও, ভেতরেও ভালো না থাকুক!
সত্যিই দিয়ো না থাকতে।
দেবেই বা কেন, বলো!
দায়ই বা কীসের?
 
অদৃশ্য, কখনও-কখনও, অস্পৃশ্যও।
যারা বোঝে, তারা তো বোঝেই!
ওরা বাঁচে কী ভীষণ ভালোয়!
বাকিরা--জীবনটাকে, টানে, কেবল টানে!
কী বলো! এও জানো না! তুমি বোকা নও তো কী?
 
এ হৃদয়, যন্ত্রণাগুলো, হৃদয়ে বদলে নেয়।
শুধু বোকার দল--তোমার মতন যারা,
অদৃশ্যকে ভালোবেসে, ওভাবেই বেঁচে থেকে...
মেয়ে, যে পথ তোমার নয় কখনওই,
সেই পথের শুরু থেকে তোমার শেষ অবধি--হাঁটছ। হাঁটছ আর হাঁটছ!
সে পথে হেঁটে, আহা, কে কোথায় কোন সুখে বাঁচে--
ওতে দৃষ্টি ফেলে-ফেলে চলা, ভোলা,
তোমার কাজ নয় মেয়ে--ঠিক জেনো!
 
জানতেই পারোনি, পৃথিবী ক্ষণিকের?
কিংবা, সেই মোহটি, যা শেষ দেখে ফেলে--একেবারেই?
পাপকে স্পর্শ করলে পরে,
পাপও যে আপন করে নেয়।
পাপের আত্মীয়তার বাঁধন--বড় শক্ত।
জীবনের পাপ পাপের জীবন বানায়।
এও জানো না? অমনই বোকা?
 
কেন কাঁদো এতো? কোন আশায়? কীসের মোহে?
কে কাঁদায় বেশি--
যা দেখা যায়? না, যা দেখা দেয়?
তোমার হৃদয় কাঁদে, দৃষ্টি কাঁদে,
সমস্তটা কাঁদে। হাসবে কবে, তবে?
জানতে মেয়ে--
তুমি কাঁদলে তবে,
হেরে যায় বিবেক? বোধও! চেতনাও তো হারে! তাই না, বলো?
হায়! কত আঁধারের প্রিয়, আর যাদের প্রিয় ওই আঁধার,
বিকৃত স্বরে আর সুরে খিলখিল করে!
তবু, তুমি বাসো ভালো?
বলো, বলো?
 
ভালোবাসো? সত্যিই?...কই, নাতো!
তবে, কেন কাঁদো?
কষ্ট দিতে? শাস্তি পেতে?
আর বাসোই যদি,
কাঁদো। কেঁদোই!