বোঝাপড়ায় আত্মলিপি

তারকাঁটাটা এবেলা বরং সরিয়েই রাখো,
ওটা যে আমার জন্য নয় গো!
আমি তোমার শান্তসৌম্য অবয়বে ভুলে, ভদ্রতার খাতিরে
সত্যকে বলি দেবার আদর্শ সেই মেয়েটিই যে নই!


চোরাবালির মোহনায় আটকে-পড়া কোনও জলচর হতে আমি ভয় পাই না।
তাই আমায় আটকে দেবার বৃথা চেষ্টা করে অহেতুকই সময় নষ্ট আর কোরো না।
করো যদি, ভুল করবে।
জেনে বুঝে অসময়ে আফসোস করবার রাস্তা তৈরি আর কোরো না।


জেনে রেখো, ঠিক পরের দিনই তোমার ভুল যা হবে, ক্ষমা আমি তা আর কখনও করবই তো না।
আমি যে তোমার সে মহৎ মেয়ে নই কিছুতেই!


ভেবেছিলে কী?
নিয়তির উছিলায় আমায় ভাসিয়ে দেবে?
ভুলে যেয়ো না, আমি ভেসে-আসা কোনও পদ্মাসনা নই ভুলেও।
আমি যুগান্তরের ভরসাতেই দাঁড়িয়েছি ঠায়, ভেসে যাব না কোনও ক্ষণহেলায়।
ডুবব বলে আমি জন্মাই-ই তো নি!
তাই বলছি ভালোভাবেই, তুমি যাও এখুনিই…ফিরে যাও!


আমায় নিয়তি-সমুদ্রে ভাসিয়ে দেবার দুঃসাহসটুকু আর কোরো না।
নিয়তিকে আমি ভয় পাই না তো!
বারে বারে ঠেকে শিখেছি আমি যারই কাছে,
তারই সমুদ্রে আমায় আর কী ভাসাবে!


তোমাদের প্রেমিক প্রেমিক শরীর নিয়ে
তোমরা আমার চোখের কাজল ছুঁয়ো না ভুলেও!
আমি তোমার কালো হরিণচোখের জ্যোতি তো নই।
আমায় বরং তোমার চোখের বালিই ভাবো, ওতে আখেরে সুবিধে তোমারই!


আমার চোখের কাজল ছোঁও যদি, ভস্ম হয়েই যাবে নিকষ কালিমায়!
তারচে পারো যদি,
বাঁচো নাহয় নিজের মতো করেই!


যদি তা না করো,
আমার বাঁচবার অধিকারটুকু ছিনিয়ে নেবার ঘোর অপরাধে,
আমি তোমায় বাঁচিয়ে আর রাখবই না!
জেনো, আমি এক দস্যি মেয়ে বাদে আর কিছু নই!
অবশ্য তোমার কাছে, এ যে অভিনব কোনও ব্যাপারই তো নয়!