ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা (৩৬শ অংশ)

ভাবনা: দুইশো ছেচল্লিশ।

……………………………………..

মহাভারতের উদ্যোগপর্বের ৪০তম অধ্যায়ের দ্বিতীয় শ্লোকে বিদুর বলছেন,

মহান্তমপ্যর্থমধর্ময়ুক্তং

যঃ মন্ত্যজত্যনপাকৃষ্ট এব।

সুখং সুদুঃখান্যবমুচ্য শেতে

জীর্ণাং ৎবচং সর্প ইবাবমুচ্য॥

ভাবার্থ: অন্যায় দ্বারা অর্জিত কোনও দামি বস্তু কিংবা অতি আকর্ষণীয় পাপময় কোনও কাজ বা ধারণা যদি কেউ স্বেচ্ছায় দূরে সরিয়ে রাখে, তবে সে দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে শান্তিতে বাঁচতে পারে। সাপ যেমনি করে তার খোলস ত্যাগ করে ভারমুক্ত হয়, ঠিক তেমনি সেও তার সম্ভাব্য শত্রুদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে পারে।

তৃতীয় শ্লোকে বিদুরকে বলতে দেখি,

অনৃতে চ সমুৎকর্পো রাজগামি চ পৈশুনম্।

গুরোশ্চালীকনির্বন্ধঃ সমানি ব্রহ্মহত্যযা॥

ভাবার্থ: শিক্ষক, গুরু, শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি কিংবা যাঁরা মানে ও জ্ঞানে বড়, তাদের সাথে প্রতারণা করে, মিথ্যা বলে, আসল উদ্দেশ্য আড়াল করে যদি কেউ জিতেও যায়, তবু সে জয় ক্ষণিকের এবং পরিণামে তা অনন্ত দুর্ভোগ ডেকে আনে। (আমার বাবা আমাদের প্রায়ই বলতেন, যদি কখনও এমন হয়, মানী ও জ্ঞানী ব্যক্তি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, আর তুমি তাঁকে চেয়ার ছেড়ে না দিয়ে বসে আছ, তবে নিশ্চিত থেকো, সেদিন থেকে তোমার অধঃপতনের শুরু। বাবার কথাটি সবসময়ই উপলব্ধি ও পালন করার চেষ্টা করেছি। বড়দের সামনে মাথা নত করতে না জানলে নিজে বড় হওয়া অসম্ভব! গুণী লোকের গুণের কদর ও আদর না করলে সে গুণের চর্চা কিংবা আবাদ করা যায় না। যা কিছু অসামান্য, তা কিছুর প্রতি আনুগত্য ও অন্ধত্ব জীবন ও পৃথিবীকে দেখতে শেখায়। বড় মানুষের বড়ত্বকে সম্মান করতে হয়—নিজে বড় হওয়ার প্রয়োজনে। আর যে বড়কে ঠকায়, সে নিঃসন্দেহে ছোটলোক; এবং অমন জয়ের মধ্য দিয়ে সে ক্রমেই আরও ছোটলোক আর মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যায়। এই ব্যাপারটি ঘটে অবচেতনভাবে—কী হচ্ছে, ঠিক টের পাওয়া যায় না। ফলে ক্ষণিক জয়ের আনন্দে সে সুখ অনুভব করলেও তাকে অসীম দুঃখ ও অপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে জীবন কাটাতে হয়—এটাই তার প্রাপ্য। সবসময়ই, পুণ্যের দীর্ঘশ্বাস পাপের পরিতৃপ্তির চাইতে প্রবল।)

চতুর্থ শ্লোকে বিদুর ধৃতরাষ্ট্রকে বলছেন,

অসূয়ৈকপদং মৃত্যুরতিবাদঃ শ্রিয়ো বধঃ।

অশুশ্রূষা ৎবরা শ্লাঘা বিদ্যায়াঃ শত্রবস্ত্রঃ॥

ভাবার্থ: যারা করতে পারে, তারা অহেতুক ঈর্ষায় পুড়ে মরে না। অতি ঈর্ষা, আত্মিক মৃত্যু এবং অস্মিতা (বা আত্মশ্লাঘা) সমৃদ্ধিকে ধ্বংস করে দেয়। জ্ঞানার্জনের পথে প্রধান বাধা ৩টি—গুরুর প্রতি শ্রদ্ধার ঘাটতি, শেখার জন্য ধৈর্যের অভাব, অহেতুক আত্মতৃপ্তিদায়ক অহমিকা।

পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্লোকে বিদুর শিক্ষার্থীদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে বলছেন,

আলস্যং মদমোহৌ চ চাপলং গোষ্ঠিরেব চ।

স্তব্ধতা চাভিমানিৎবং তথা ত্যাগিৎবমেব চ॥

এতে বৈ সপ্ত দোষাঃ স্যুঃ সদা বিদ্যার্থিনাং মতাঃ।

সুখার্থিনঃ কুতো বিদ্যা নাস্তি বিদ্যার্থিনঃ সুখং।

সুখার্থী বা ত্যজেদ্বিদ্যাং বিদ্যার্থী বা ত্যজেৎসুখম্॥

ভাবার্থ: নিছক ইন্দ্রিয়সুখ লাভ করার জন্য যখন যা করতে ইচ্ছে করে, তা-ই করে ফেললে জ্ঞানার্জন কীভাবে হবে? অতি সুখে পড়াশোনা এগোয় না, বেশি আরামে সাধনা হয় না, কষ্ট ভোগ না করে কোনও লক্ষ্যেই পৌঁছানো যায় না। বিদ্যাসাধনার সময় আয়েস করা ভুলে থাকতে হয়, আর আয়েস করার সময় বিদ্যাসাধনার কথা ভুলে যেতে হয়—এই দুই কখনও একসাথে চলে না। ৭টি মারাত্মক ভুল একজন বিদ্যার্থীর বিদ্যালাভের পথে বাধার সৃষ্টি করে: আলস্য, অমনোযোগ, বুদ্ধিবৃত্তিক সিদ্ধান্তহীনতা, অস্থিরতা, আড্ডা মেরে আর ঘোরাঘুরি করে সময় নষ্ট করা, ঔদ্ধত্য, এবং লোভ।

ভাবনা: দুইশো সাতচল্লিশ।

……………………………………..

ভুল মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া কখনওই ঠিক নয়। আমি এ জীবনে এ কাজটি করার জন্য অনেক মূল্য দিয়েছি। ভুল মানুষের কাছে ক্ষমা চাইলে যে প্রত্যুত্তর আসে, তাতে কেবল নিজের অপরাধবোধই তীব্র হয়, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার কিংবা নিজেকে সংশোধন করার কোনও রাস্তা বের হয় না। যা কিছু প্রায়শ্চিত্ত, তা কেবল নিজেকেই করতে হয়। ভুল মানুষের কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি আপনার আত্মশক্তিকে ক্ষীণ করে দেবেন, অপরাধ যতটা হয়েছে, অপরাধের মাত্রা আপনার কাছে তার চাইতে অনেকবেশি বলে মনে হবে, এবং এতে প্রায়শ্চিত্ত করার কাজটি শুরু করতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। অনেকসময় ভুল মানুষের সাথে কথাবলা নিজের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতাও সৃষ্টি করে দিতে পারে। আত্মহত্যা, করে ফেলাটাই কেবল আত্মহত্যা নয়…..আমি আত্মহত্যা করতে চাই—এটা মন থেকে বিশ্বাস করাটাও একরকম আত্মহত্যা…….ভুল কারও সাথে যোগাযোগ তাই আত্মহত্যার নামান্তর।

জীবন সংসারের অনেককিছু বুঝতে পারলেই, আমাদের চারপাশের আপনজনেরা মনে করেন, যতই ঝড়ঝাপটা আসুক, ও সবই সইতে পারবে……ও অনেক বুঝে……অমন অবুঝের মতো কাজ, ও করতেই পারে না……

কিন্তু বাস্তবতা, অন্য কথা বলে……..

সবচাইতে বেশি ঝড় সামলে চলতেপারা মানুষগুলোই ঝড়ের কবলে সবচাইতে বেশি পড়ে। ঈশ্বর নাকি মানুষকে বিপদে ফেলে পরীক্ষা নেন। তবে কেন ওরা সারাজীবনই পরীক্ষা দিয়ে যায়?

প্রিয়, তোমার জন্য আমার ভেতরে থাকা সকল অনুভূতির জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত। তোমাকে যে কতটা শুদ্ধ অনুভবে যত্ন করে রাখি, তা যদি একটু হলেও বুঝতে তবে মুখে যা আসে, তা-ই বলে ফেলতে পারতে না! সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে, এই একটা কথাই শুধু তুমি আমাকে বলেছ…..বিরক্ত কোরো নাতো! এই একটা লেখাই, শুধু আমার জন্য লিখেছ…….বাহ্‌, ভালোবাসার কত উত্তম পুরস্কার!

ভালোবাসা মিথ্যে—এটা মেনেনেয়াটা আমার কাছে ভীষণ কষ্টের। তার চেয়ে আমিই নাহয় মিথ্যে হয়ে যাই……সেও ভাল।

পড়ে হাসছেন আর ভাবছেন, যে ছিলই না, তার আবার যাওয়া হয় কীকরে?

আমি বুঝতে পেরেছি। আমায় ক্ষমা করবেন।

যেকোনও সম্পর্কে, হঠাৎ উত্থান, আবার হঠাৎ পতন, আমার ভীষণ বিরক্ত লাগে। আমি দেখেছি, বহু মানুষ, এইমাত্রই যার জন্য আবেগে মহাসমুদ্র দিতে চাইছে পাড়ি, আবার আবেগ শেষে, সেই একই মানুষের জীবন বাঁচাতেও, দিতে চায় না মুখে একফোঁটাও পানি! কোনও বিশেষ যৌক্তিক কারণ ছাড়া এমন আচরণ……এহেন ভালোবাসাকে আমি ঘৃণাজ্ঞান করি।

আমার অভিজ্ঞতা বলে, যারা সুখী, তাদের সবাইই সাধারণ মানুষ। অসাধারণরা কখনও সুখী হন না। আমি কখনওই কোনও অসাধারণ মানুষকে ব্যক্তিগত জীবনে সুখী হতে কিংবা অন্য কাউকে সুখী করতে দেখিনি। তবে অসাধারণ মানুষরা অন্যদের মুগ্ধ করে দিতে পারেন। তাই মুগ্ধ হতে চাইলে অসাধারণ মানুষের কাছে যান। আর সুখ দেখতে কিংবা সুখী হতে সাধারণ মানুষের কাছে যান। সাধারণ মানুষের কাছে গেলে ভালোবাসার মূল্য বোঝা যায় আর অসাধারণ কারও কাছে গেলে মূল্য দিতে হয়। মজার ব্যাপার হল, বেশিরভাগ অসাধারণ মানুষের সান্নিধ্যও খুব একটা সুখকর কিছু নয়। ওদের দূর থেকেই ভাল দেখায়।

অসাধারণ মানুষের বেশিরভাগ কাজ বা ভাবনার ধরন আপনি বুঝতেই পারবেন না, নিজের মত করে নিজের অভিজ্ঞতার মেলানোর চেষ্টা করবেন, এবং মনেমনে অসুখী হয়ে উঠবেন। মাথায় রাখবেন, আপনার অভিজ্ঞতা আর বিশ্বাসের সাথে একজন অসাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা আর বিশ্বাস কোনওভাবেই মিলবে না। এটাই স্বাভাবিক।

অন্য দিকে, সাধারণ মানুষের বেশিরভাগ কাজ বা ভাবনার ধরন আপনার নিজের সাথে মিলে যায়, ফলে সুখী হওয়ার কিছু উপাদান, যা আপনার মধ্যে নেই, উনার মধ্যে আছে, সেগুলি গ্রহণ করে আপনি খুব সহজেই সুখী হয়ে উঠতে পারেন। সাধারণ কাউকে দেখলে যতটা কাছের-কাছের মনে হয়, অসাধারণ কাউকে দেখলেই ততটাই দূরের-দূরের মনে হয়। এটাই স্বাভাবিক। প্রায় সব সাধারণ মানুষই মোটামুটি একই নিয়মে সুখী হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে, অসাধারণ মানুষের সুখলাভের ধরন সবসময়ই অনন্য।

তবে হ্যাঁ, আপনি নিজেও অসাধারণ হলে, ভিন্ন কথা। আপনাকে দেখে লোকে যতই বলুক না কেন, “আপনি অসাধারণ একজন মানুষ!” সত্যিকারের অসাধারণ কেউ হয়ে যাওয়াটা সহজ নয়। অসম্ভব কঠিন এই কাজটি। অনেক ত্যাগ, ধৈর্য আর শ্রমের বিনিময়ে তেমন কিছু হওয়া যায়।

দুনিয়ার সব মানুষের জন্যই একই পরিমাণ সময় নির্দিষ্ট, অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা। এটা যদি প্রমাণিত সত্য না হত, আমি কোনওদিনই কোনওভাবেই বিশ্বাস করতাম না যে সবার সময়ই এক। পৃথিবীর সব গ্রেট মানুষ, যারা এতএত সব অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন, সত্যিই তাদের দিনও ২৪ ঘণ্টাই ছিল! অসম্ভব……! আমি তো ভাবতেই পারি না……ক্যাম্নে কী!? শুধু ওদের কাজগুলি নিয়ে ভাবতে গেলেও তো আমার দিনে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগবে! এই অকর্মণ্য জীবনটা নিয়েও যখন সময়ের সাথে দৌড়ে পারি না, তখন ইচ্ছে করে, সময়কে একটা মানুষ বানিয়ে ‘সময়মানুষ’-এর চুল সর্বউত্তরস্থিত নরওয়ের হ্যামারফাস্ট-এ একটা খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে, ‘সময়মানুষ’-এর পা রশি দিয়ে বেঁধে, রশিহাতে সর্বদক্ষিণস্থিত চিলির পুওট উইলিয়াম-এর দিকে রওনা দিই! পৃথিবীর দুই প্রান্তের টানাটানিতে তবুও সময় যদি একটু লম্বা হয় আরকি!

চা খেতে মোটেও ইচ্ছে করছে না, কিন্তু চা-টা এতই মজা হয়েছে যে সবটাই খেয়ে নিয়েছি…….

খুব চা খেতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু চা-এর স্বাদটা পুরাই বেস্বাদ হয়েছে, তবুও, খুব বেশি খেতে ইচ্ছে করছে বলে সবটাই খেয়ে নিলাম……

হয় তো এমন, তাই না? জীবনের অনেক কিছুর সাথেই ব্যাপারটা মিলে যায় কিন্তু! সময়টাকে এমনি করে চায়ের মতন ব্যবহার করলে ২৪ কেন, ২৪০ ঘণ্টায় দিন হলেও কোনও কাজ হবে না! যে কাজটি করার কোনও প্রয়োজন নেই, সেটি জীবন থেকে বাদ দেয়া আর যে কাজটি করা প্রয়োজন, সেটি সবচাইতে ভালভাবে করতে পারা—এ দুই সামর্থ্যের জোরেই জীবন সম্মানের সাথে টিকে থাকে।

“উফফ……সকাল থেকে এই পর্যন্ত তোমার কাছে থেকে কত কিছু যে শিখলাম!”

“কিছু শিখলি মানে!? সকাল থেকে এখন পর্যন্ত তো তোর সাথে আমার তেমন কোনও কথাই হয়নি!”

“তোমার কোনও কথাই বলতে হয় না, এমনিতেই অনেক কিছু শেখা হয়ে যায়! প্রত্যেকেরই উচিৎ, অন্তত এক মাস হলেও তোমার সাথে সময় কাটানো, এমনকি তুমি যদি একটা কথাও না বলো, তবুও…….”

হা হা হা হা হা……কত উদ্ভট চিন্তাভাবনা মাথায় খেলে! কাউকে ভালোবাসলে, সেই মানুষটার ব্যাপারে মানুষের যে কী আকাশপাতাল ভাবনা হয়! আমি তো তা জানি…….তাই আর কথা বাড়ালাম না, শুধু নীরবে হাসলাম। নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় মানুষ তার প্রিয় অস্তিত্বকে ঘিরে মনের অবাধ রঙে নিজেকে যত ইচ্ছে, যেমন ইচ্ছে, সাজাক না, ক্ষতি কী! বাস্তবে না হোক, অন্তত কল্পনায় হলেও ভাল থাকুক, আনন্দে বাঁচুক সে। সে হয়তো এ পৃথিবীর কিছুই জানে না, একেবারেই অথর্ব একটা অস্তিত্বকে টেনেহিঁচড়ে সামনের দিকে হেঁটে চলেছে সে, তাকে এ পৃথিবীর কোনও কাজেই কোনওদিনই লাগবে না হয়তোবা, তবু………তবু সে যে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে জানে, ওইটুকু সুখ তো তার প্রাপ্য!

ভাবনা: দুইশো আটচল্লিশ।

……………………………………..

এক।

পুত্র রথীন্দ্রনাথ পুত্রবধূ প্রতিমা-র পালিতা কন্যা নন্দিনী, যাকে কবি ডাকতেন পুপে নামে, অতি শিশুকালে খলখল করে কী কী যেন বলত, যেমন আধো বোলে সব শিশুই বলে আরকি, তখন একদিন রবীন্দ্রনাথ সে অবোধ ভাষণের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে শিশুপৌত্রীর দিকে অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে লিখে ফেললেন……অনেক কথা যাও যে ব’লে কোনো কথা না বলি। তোমার ভাষা বোঝার আশা দিয়েছি জলাঞ্জলি॥ (আহা, এই গানটাকে আমরা কতভাবেই না কাজে লাগাই, নিজেদের মতো করে। মহানদের মুহূর্তের সৃষ্টিও শত বৎসরের উপহার হয়ে সাধারণ মানুষের কাছে থেকে যায়।)

গানটি অনাদিকুমার দস্তিদারের খাতায় পাওয়া যায়। গান রচনার সময় কবির বয়স ৬৪।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জায়গায় আমি হলে কী করতাম? পৌত্রীর দিকে তাকিয়ে বিরক্তির সুরে বলতাম, এই বান্দরের বাচ্চা! চুপ! একদম চুপ! খবর্দার কানবি না! কানলে তুলে এক আছাড় মারব!

যার দৌড় যতটা, সে ততটা দৌড়েই নিজেকে সেয়ানা মনে করে। কারও-কারও দৌড়ের কোনো সীমা নেই। তারা পথচলার আনন্দ আমৃত্যুই পেতে থাকে।

এখানেই একজন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে একজন সাধারণ লোকের পার্থক্য। রবীন্দ্রনাথের ওই গান আমাদের মতন একশো লোকের সারাজীবনের চাইতে দামি। গ্রেটদের মুহূর্তের আয়ু এই পৃথিবীকে যা দিতে পারে, আমাদের শতবর্ষের আয়ু তার কণামাত্রও দিতে পারে না। আমরা, বেশিরভাগ মানুষই, আমাদের জীবদ্দশায় কিছু কার্বনডাইঅক্সাইডের অহেতুক বৃদ্ধি ছাড়া এ পৃথিবীকে আর কিছুই দিতে পারি না।

দুই।

আপনি কী বলতে চাইছেন, সেটা কোনও ব্যাপার না। আমি যা শুনতে চাইছি, তা আপনি বলছেন কি না, সেটাই ব্যাপার। আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার থাকতে পারে, তবে সেগুলি কেবল আপনার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, আমার কাছে সেসবের এক পয়সারও দাম নেই। আপনি জীবনে অনেক হাতিঘোড়া মেরেছেন, আমার কাছে সেসব গল্প করেকরে আপনি আমাকে বিরক্ত করেই যাচ্ছেন, আপনি বুঝতেই পারছেন না, আপনার ওইসব হাতিঘোড়ার দাম কিন্তু আমার কাছে একটা মশার দামের সমানও না। আপনি হার্ভার্ডফেরত পণ্ডিত হতে পারেন, আপনার পাণ্ডিত্য অন্যদের সামনে জাহির করার সময় যদি তা কাউকে আকৃষ্ট না করে, তবে সে অগাধ পাণ্ডিত্য শ্রোতাদের হাই তোলা বন্ধ করতে পারবে না। আমরা বিরক্তিকর লোকের কথা শুনি সৌজন্যের খাতিরে কিংবা নেহায়েত বাধ্য হয়ে। আপনার অনুভূতি বা জ্ঞানের মূল্য অন্য কারও কাছে থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। তাই কাউকে কথা বলাতে চাইলে, তার কাছ থেকে সময় আদায় করতে চাইলে, এমনভাবে কাজটা করতে হবে, যাতে উনি আপনাকে সময় দিতে আগ্রহবোধ করেন। সময় আদায় করতে জানাটা বিশাল একটা আর্ট। বেশিরভাগ লোকই এই সহজ ব্যাপারটা বুঝতে পারেন না বলে অন্যের সামনে নিজেকে বিরক্তিকর হিসেবে উপস্থাপন করেন।

তিন।

দুইটা ভাবনা ইজ অন মাই মাইন্ড:

বিয়ে এবং প্রেম—দুটোই একইসাথে ফালতু এবং ভাল জিনিস। করলে ভাল, না করলে আরও ভাল।

পৃথিবীর তাবৎ সুন্দরী বিসিএস-বিসিএস করতে-করতে বিরক্তিকর হয়ে যাচ্ছে। সুন্দরীরা আঁতেল কিংবা বিরক্তিকর হলে নানী-নানী লাগে।

(ছুটিতে চট্টগ্রাম যাচ্ছি। সিট্রাকে। অথৈ মেঘনার বুকে বুকের হাহাকার স্ট্যাটাসে উঠে এলে আঁই কিচ্চি?)

চৌধুরী সাহেব! দেইখেন, একদিন আমিও আপনার মতো চৌধুরী সাহেব হবো। সেইদিন আমি আমার মেয়েকে যে-ই বিয়ে করতে চাইবে, তার সাথেই বিয়ে দিয়ে দিব। হেহেহেহে……

কিছুকিছু মেয়ে অপেক্ষাকৃত ভাল অবস্থানের কাউকে অনেকটা হুট করে বিয়ে করে ফেলে কোনও কারণ ছাড়াই পুরনো প্রেমিককে ছেড়ে।

কিছুকিছু ছেলে অপেক্ষাকৃত ভাল অবস্থানের কাউকে অনেকটা হুট করে বিয়ে করে ফেলে কোনও কারণ ছাড়াই পুরনো প্রেমিকাকে ছেড়ে।

ওরা শেষ মুহূর্তে বলে, “ক্ষমা কোরো, আমি পারলাম না তোমাকে গ্রহণ করতে……।”

ওরা যা বলে না ইচ্ছে করে………কারণ, আমি ভালোবাসা অতোটা বুঝি না, যতোটা ব্যবসা বুঝি!

শালার ফিউচারের কারবারির দল! স্ট্যাটাস বোঝো, হৃদয় বোঝো না! ইচ্ছা করে ধইরা, এক দাঁতে থাপ্পড় সব ফালায়ে দিই! আমি তো কিছুই পেলাম না, অন্তত ডেন্টিস্ট কিছু পাক……

চার।

ফালিফালি করে কাটা রৌদ্র আজকের সকালটাকে ভিজিয়ে দিলো যেন!

হৃদয়৷ বৃষ্টিতে পোড়ে, রৌদ্রে ভেজে৷ আজও!

কখনো রেখো না ওর বার্থডের খোঁজ,

গিফটের পয়সা যাবে বেঁচে বছররোজ!

আহা! এ পৃথিবীতে আর কিছু হোক না হোক, গিফট্ দিতে হলেও কারও জন্মদিন লাগে!

প্রেমিকার বিয়ে খেতে দাওয়াত লাগে না। আর দাওয়াত দিলে অবশ্যই সবার আগেই দাওয়াতে হাজির হতে হয়। এতে পরবর্তীতে কোনওদিন প্রেমিকার স্বামীর হাতে উত্তমমধ্যম খাওয়ার আশংকা থাকলে তাকে দূর থেকে দেখে আগেভাগে দৌড়ে পালানো সহজ হয়।

যত্তসব!

ভালোবেসেছিলাম।

তাই এত ঘৃণা!

দুটোই অকৃত্রিম!!

সব প্রেমেই হয় না বিয়ে। হায়!

সব বিয়েতেই হয় না প্রেম। হায় হায়!!

পাঁচ।

ব্যক্তি সুশান্ত।

স্ট্যাটাসলেখক সুশান্ত।

চাকুরে সুশান্ত।

প্রেমিক সুশান্ত।

ক্যারিয়ার আড্ডার সুশান্ত।

পাঠক সুশান্ত।

বিসিএস-এ প্রথম সুশান্ত।

…………. ইত্যাদি ইত্যাদি।

এর সবক’টিই সম্পূর্ণই ভিন্নভিন্ন সত্তা। এর যেকোনওটিতে অবস্থান করার সময়ে অন্য একটিতে আমার অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করলে কিংবা করার বিন্দুমাত্রও চেষ্টা করলে আপনি চরমভাবে নিরাশ হবেন। এই নিরাশার পুরো দায় আপনার। খুব ভাল হয়, যদি আপনি যেখানে আছেন, অনুগ্রহ করে সেখানেই থাকেন। আপনার সীমা এবং আমার সীমাবদ্ধতা বুঝে চললে আপনার, আমার, সকলের জন্যই মঙ্গল। আমাকে জাজ করার অধিকার কিংবা অনুমতি কোনওটাই আপনার নেই জেনে আমার ওয়ালে আসবেন। অন্যথায় অনুগ্রহ করে দূরে থাকবেন। My wall, my rules. আপনি যেমন আপনার ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য নিয়ে চলেন, তেমনি আমিও। আপনার কৃতকর্মের জন্য আপনি আপনার ঈশ্বরের কাছে জবাব দেবেন, আমার কাছে নয়। আমার কৃতকর্মের জন্য আমি আমার ঈশ্বরের কাছে জবাব দেবো, আপনার কাছে নয়। আমরা কেউই কারও ঈশ্বর নই। আপনার কাছে আপনার সবচাইতে বাজে ভাবনাটি যেমন আমার সবচাইতে ভাল ভাবনাটির চাইতে দামি, আমার বেলাতেও ঠিক তেমন। আমি অযাচিত মাস্টারি করি না এবং অযাচিত মাস্টারি সহ্য করি না। Your life, your rules. My life, my rules.—It’s the only rule I follow.

If you can take me as I’m, come close.

If you can’t take me as I’m, don’t come close.

Some people seem good from distance. Approached near, they don’t seem good anymore. I’m one of them. Trust me, I’m not lying. (বিনয়ের কথা মনে পড়ে………তবুও কেন যে আজো, হায় হাসি, হায় দেবদারু,/ মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়!)

I’m what I’m. I can’t be as you expect me to be. I’m not sorry for being just what I feel like being. Accept me as I’m, or stay away. No explanations, no queries, no interrogations.

I can’t change myself for you. You like me? Well, continue liking me from distance. If you come close, you’ll be disappointed. Better, stay away. I’ll tell you directly what I like, what I don’t like, how I’m, how I’m not. Whatever I tell shows the original me, even if it’s a despicable me, I don’t care. I’m happy with being despicable if you really think I’m like that. I’m never responsible for what you assume about me. I’m responsible only for what I show about myself. Don’t assume, just do ask me directly. I’m not responsible for your bloody assumption. I love and respect brave people. Be brave, be original. I can hardly afford time to maintain two, let alone more faces. What you see without thinking twice is my original face. If you don’t like the face you see at first sight, never even think of expecting another face from me. A mask looks good only in festivals, not in life. I hate masks in life. If you expect my mask, stay away as I don’t have any. If you expect my face, come close as I’ve that one. Strong people have face, weak people have mask. It’s your choice whom to give space in your life.

ভাবনা: দুইশো উনপঞ্চাশ।

……………………………………..

এক।

(কিছু বিস্রস্ত ভাবনাকে এক করে রাখলাম)

আহা! এই চকলেট না থাকলে নিঃসঙ্গতায় মরেই যেতাম! নিঃসঙ্গ মানুষের সবচাইতে প্রিয় বন্ধুদের একজন হল চকলেট। স্নিকার্স খাই, Invisible Cities পড়ি। Chocolate is a good boy!!

Better to be defeated when we deserve to be defeated than to win when we don’t deserve to win. চুরি করে জেতার চাইতে বাঘের মতন লড়ে হারাও ভাল।

5 minutes of silence for those who judge people by their academic background……Do the graduates from Harvard University have bigger dicks or even heads? Disgusting!!

ছেলেরা ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে যে কখন সত্যিসত্যি ভালোবেসে ফেলে তারা তা নিজেও জানে না। মেয়েরা সত্যিকার ভালোবাসতে বাসতে যে কখন অভিনয় শুরু করে তারা তা নিজেও জানে না।

~সমরেশ মজুমদার

গুরু, হ্যাটস্ অফ! ওপরের কথাটা কীভাবে জেনে গেলেন বস! ঘরের কথা পরে জানলো ক্যামনে? ইসস্! রাইটাররা সব জেনে যায়! লেখা পড়লে মনে হয়, আয়নায় নিজেকে নগ্ন দেখছি! নিজের সামনে নিজেকে নগ্ন দেখতে কী যে অস্বস্তি লাগে!

দুই।

An imaginary message from Zuckerberg:

Dear Users,

Before wasting your limited time on rethinking & overthinking about people who attack you personally on Facebook, you can kindly try two of our features created by my team only for you: Unfriend & Block. NEVER wait to block! It’s fun to get rid of unwanted people. Try it! You’ll also do them a great favour by making them completely free of you. Don’t wait longer to see hostile people turn friendly if you really don’t need to wait. Who are you to teach them the great art of friendship? Everyone is smart enough in their own style. Learn who are important, who are not. How to detect a wrong person for you? OK, a simple tip for you. The person whose company makes you feel low is never the right person to stay with. People who care for you are the people whom you really need to care for. Even do fuck a Harvard graduate, if they fuck you. Your life, your choices, your returns. As you can’t be a Jesus Christ, be whoever the hell you’re. Just be fucking original!

In our childhood we learnt how to kick a football. When we grow up, we must learn how to kick out unnecessary people. This essential life skill separates boys from men, girls from ladies—kids from grown-ups.

You never need all people around in your life. The fewer people, the less mess, the more peace. Don’t give your precious time to people who really don’t deserve it. The fewer people you can manage to share your time with, the more you can manage to share your time with yourself. You’ve to find out the people who are just harmfully jealous of you. People who are always there for you only when they’ve anything bad to say about you are the people you better decide not keep close to yourself. Not always you’re just bad enough to hear only the bad remarks about yourself. People who can never appreciate have no right to make you learn the things a schoolboy learns. Some people can never appreciate. Never expect anything good to pass through you staying close to them. Say them, “Now, it’s enough! Goodbye, my friend. I don’t want to keep you waiting until the next time you get tired looking for another chance to make another bad remark about me.” Never let anyone tell bad things about you who never tells good things about you. No one on earth can be good forever. No one on earth can be bad forever either. Who only depreciates, never appreciates, can NEVER be your well-wisher.

It’s never too late to start feeling good about yourself. Take charge of your own happiness.

Happy Facebooking!!

Best wishes

Mark Zuckerberg

Disclaimer. Zuckerberg has never such fucking time to waste for writing such a fucking BIG message for the fucking people like us.

তিন।

দ্য শর্টেস্ট লাভস্টোরি:

যাকে দিনের পর দিন একতরফাই ভালোবেসে এসেছি, যার প্রোফাইলে সারাদিনই পড়ে থাকি, যার তুচ্ছতম পোস্টটিও কয়েকবার ব্যবচ্ছেদ করে নানান অর্থ বের করে ফেলি, যাকে নিয়ে লিখে যাই পাতার পর পাতা, সারাক্ষণই যাকে নিয়ে ভাবি; অথচ কোনওদিনই সেসব বলার সাহস হয়নি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়ে, সে একদিন হঠাৎ নক করে ‘ভালোবাসি’ বলে আর কখনোই কোনও যোগাযোগই রাখেনি, কিংবা রাখতে দেয়নি।

এমন মিস্টিরিয়াস লাভস্টোরি কারকার জীবনে আছে? হাত তোলেন।

ভাবনা: দুইশো পঞ্চাশ।

……………………………………..

স্ত্রীরত্ন উবাচ:

এক। “পুরুষমানুষ এমনই! খায়াদায়া দৌড় মারে!”

(একদিন বাসায় ইলিশমাছ ভাজা হচ্ছিল। মাছ কড়াইয়ে ভাজি হওয়ার পরপরই যদি দুয়েক পিস গলাধঃকরণ করতে না পারি, তবে বেঁচে থেকে কী লাভ? তো, আমি গিয়ে উনাকে ইনিয়েবিনিয়ে বললাম, মাছভাজি খাবো। “এখন না, পরে ভাত খাওয়ার সময়।” উনার সাফ জবাব। এরপর পটায়েটটায়ে একটা বড় সাইজের ইলিশভাজি খেয়ে নিয়েই উনার সাথে আর বৃথা বাক্যবিনিময় না করে, আবার চিন্ময় গুহের ‘ঘুমের দরজা ঠেলে’ পড়তে চলে গেলাম। যাওয়ার মুহূর্তে ওই অমৃতবাণীখানি শুনতে হল।)

দুই। “থাক থাক, থামো, আর বোঝাতে হবে না। স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে যাওয়া মানে যে দ্বিতীয় বিবাহ করা নয়, সেটা আমিও জানি।”

(মেয়েদেরকে খ্যাপানোর ক্ষেত্রে আমার প্রতিভা কিংবদন্তী লেভেলের। আহেম, আহেম! কথায়কথায় ওকে খ্যাপানোর জন্য বলছিলাম, ইয়োরোপে চলে যাবো। আর ভাল লাগে না। তুমি এখানে থাক, আমি ওখান থেকে কয়েকবছর ঘুরে আসি। অবশ্য, স্কলারশিপ নিয়ে মূলত উচ্চশিক্ষার জন্যই বাইরে যাবো।…….এইটুকু বলামাত্রই আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে ওই ফোঁসটা করে উঠলেন ম্যাম!)

তিন।……..এটা বলা যাবে না। সেন্সরড্!

জীবন থেকে নেয়া:

১। মেয়েরা একেবারেই কোনও কারণ ছাড়া, কিংবা হাওয়া থেকে কারণ আবিষ্কার করে নিজের মতো করে কথার অর্থ ধরে নিয়ে ঝগড়া করার অসীম প্রতিভাসম্পন্ন হয়। যেমনি “খেলার ময়দানে ব্রাহ্মণ শুদ্রের প্রভেদ নেই”, ঠিক তেমনি ঝগড়া করার ময়দানে মোটামুটি সকল মেয়েই টুকটাক পারঙ্গম। ঝগড়া করার ক্ষেত্রে মেয়েরা অক্লান্ত এবং আন্তরিক।

২। মেয়েজাতি এবং বউজাতি সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইটি মনুষ্যপ্রজাতি।

৩। (এটা বললে মা বাসায় ঢুকতে দিবে না। অতএব, বাদ।)

৪। আপনি যতই ভুলস্বীকার করে ক্ষমা চান না কেন, কোনও মেয়ে যদি ঠিক করে ফেলে যে কোনও একটি ব্যাপার নিয়ে আপনার সাথে ঝামেলা করবে, ও সেটা নিয়ে ঝামেলা করতেই থাকবে, করতেই থাকবে। মেয়েলি ঝামেলা করার জন্য যুক্তি নয়, ইচ্ছেশক্তিই যথেষ্ট।

৫। মেয়েরা আপনার প্রায় সকল ছোটোখাটো ভুলই মনে রাখতে সক্ষম। পুরুষমানুষ মাত্রই ভুল করে, আর মেয়েমানুষ মাত্রই তা মনে রাখে। পরবর্তীতে সেটাকে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে, নিশ্চিত থাকতে পারেন।

৬। ভুল বোঝার ক্ষেত্রে মেয়েরা এক না, কয়েক ধাপ এগিয়ে। ভুল বোঝাটা অভ্যাসের মতো একটা ব্যাপার। নিয়মিত চর্চায় এটা বৃদ্ধি পায়।

৭। স্ত্রীরত্নের প্রায় সকল প্রকার রাগের মোচন অত্যুত্তম রাগমোচনে অনেকখানিই সম্ভব।

আজ এইটুকুই থাক! অন্য লেখায় ছিলাম, ফিরে যাচ্ছি।

পুনশ্চ। আমার বউকে বলে সব দেবেন? হুহ্! আমাকে ভয় দেখাবেন না, চৌধুরী সাহেব!! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, হাওয়ায় উড়িয়েছি লুঙ্গি, ফ্যানে কীসের ভয়? ……… আমিও তা-ই বিশ্বাস করি।

কেমন আছি? আহা, কেন অহেতুকই এই ভদ্রতাটা করেন, বলুনতো? আমি যেমনই থাকি না কেন, ওতে তো নিশ্চয়ই আপনার কিছুই এসে যায় না। জিজ্ঞেস করার জন্যই লোকে ওই প্রশ্নটির চাইতে বেশি কোনও প্রশ্ন করে বলে জানা নেই। তবু কী অবলীলায় আমরা মিথ্যে বলি, নিয়মরক্ষার নিয়মে চলি! জীবনে একটা মিথ্যা থেকে মুক্তির কোনও পথ নেই……“ভাল আছি!” এই মিথ্যাটার গ্রহণযোগ্যতা যেকোনও সত্যের চাইতেও বেশি। কোনওভাবে অন্যকে দিয়ে এটা বলিয়ে নিতে পারলেই যেন সবাই বেঁচে যায়! এ পৃথিবী নচিকেতার ‘এই বেশ ভাল আছি’র পৃথিবী। বড্ড মেকি, তবু এ-ই চলছে!

শৌর্য: জানো, সৃজিতাকে আমার খুব ভাল লাগে।

আমি: কেন রে মামা?

শৌর্য: ও আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসে, তাই।

শৌর্য আমার ভাগ্নে, কিছুদিন হলো, স্কুলে যাচ্ছে। ওর ক্লাসেই পড়ে সৃজিতা। ভাবতে খুব অস্বস্তি হচ্ছে, এই আমি ২৮ বছর বয়স পর্যন্ত কখনো কোনও মেয়ের সাথে সহজভাবে কথাই বলতে পারিনি। মাথা নিচু করে এমনভাবে কথা বলতাম, যেন সে মেয়ে আমার ভাসুর! কোচিং-এর বাইরে আমার ছাত্রীদের সালাম নিতে গেলেও লজ্জায় লাল হতাম। আর এইটুকুন পিচ্চিও কত সহজেই বিব্রত না হয়ে স্মার্টলি পছন্দের কথাটি বলে দিতে পারে। কত বোকাসোকা বিরক্তিকর একটা জীবন কাটিয়েছি!

অফ টপিক: কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নৌ……. আচ্ছা, ক্যাপ্টেনস্ ওয়ার্ল্ডে কি শুধুই ঐরাবত আকৃতির মেয়েদের প্রবেশাধিকার? ট্রাস্ট মি, আই অ্যাম নট কিডিং, আই অ্যাম সিরিয়াসলি আস্কিং!

ভাবনা: দুইশো একান্ন।

……………………………………..

ভাবনা ১।

No gifts, please. নিমন্ত্রণপত্রে এরকম লেখা থাকা সত্ত্বেও বিয়ের অনুষ্ঠানের কোনও একদিকে উপহার গ্রহণের আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে, এমন বিয়েতে আমি অনেকবার গেছি। কার্ডে লিখে দেয়ার মানেটা কী ছিল আসলে? ডেমনস্ট্রেশন অব অ্যারিস্টোক্রেসি? উপহারগ্রহণের টেবিল সাজানোটা কী ছিল তাহলে? ডেমনস্ট্রেশন অব হিপোক্রিসি? যারা সঙ্গত কারণেই উপহার ছাড়া আসেন, তারা অহেতুকই বিব্রত হন। নাকি, ওই কথা লিখে উপহার সাথে করে নিয়ে আসার কথাটাই মনে করিয়ে দেয়া হয়?

“আমি রাতে কিছুই খাবো না, দুপুরের খাবারটা খেয়েছি বিকেলে, তার উপর খাওয়াও অনেকবেশি হয়ে গেছে।” বলেটলেও মায়ের ‘অনুরোধে’ শুধু একটা ইলিশ মাছভাজি খাওয়ার জন্য খাওয়ার টেবিলে বসে অতি-ক্ষুধার্ত আমার ছোটভাইয়ের তুলনায় প্রায় দেড় গুণ খাবার খেয়ে ফেলেছি, এমনটা অনেকদিনই হয়। এর মজাটা মেদেমেদে টের পাই।

উপহার কিংবা খাদ্য চোখের সামনে এসে পড়লে, কিংবা চোখের সামনে এসে পড়বে, এমন সম্ভাবনা থাকলে, সেটা থেকে নিজেকে নিবৃত্ত করাটা বেশিরভাগ লোকের পক্ষেই সহজ নয়। কিন্তু গ্রহণ করবো না বলেও গ্রহণের আয়োজন নিজেকে অন্যের চোখে হাসির পাত্র করে দেয়। খাওয়ার ক্ষেত্রে নাহয় সেটা পেটের উপর দিয়ে যায়, কিন্তু উপহারের ক্ষেত্রে সেটা সরাসরি সম্মানের উপর দিয়ে যায়।

ভাবনা ২।

বড়লোক হওয়ার চাইতে বড়লোকের ছেলে কিংবা বড়লোকের বউ হওয়া অধিক আরামের ব্যাপার। কারণ, ওদের ভাবও বেশি, চিন্তাও কম। বড়লোকি দেখানো কিংবা ভোগ করাটা তো সহজ। ওতে কৃতিত্ব নেই, বড়োজোর ভাগ্য আছে। অবশ্য, বেশিরভাগ বড়লোকের ছেলে কিংবা বউ যথার্থ শিক্ষা এবং বিনয়ের অভাবে ভাগ্যকে কৃতিত্ব বলে বিশ্বাস করেই জীবন কাটিয়ে দেন। ভাগ্য আর কৃতিত্বের মধ্যকার পার্থক্য যে যত ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে, সে তত সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারে।

ভাবনা ৩।

একটা বিনীত অনুরোধ:

বিয়ে করছেন না কেন, দাদা?

এবার আমরা বৌদিকে দেখতে চাই। আর কত?

মাকে আর কত কষ্ট দেবেন? এবার কিছু একটা করুন।

আপনি কি আর বিয়ে করবেনই না?

বয়স হয়ে যাচ্ছে, পরে আর মেয়ে পাবেন না।

আপনি এখনও সিঙ্গেল কেন? আপনার গার্লফ্রেন্ড নেই কেন?

একাএকা সেলফি দিয়ে কী লাভ?

এ বয়সেও একা আছেন কীভাবে?

এবার জনসেবা বাদ দিয়ে নিজের সেবা করুন।

এত বাছাবাছি না করে একটা বিয়ে করে ফেলেন।

ফেসবুকেই জীবন চলবে? কিছু একটা করেন এইবার!

ঘরে বউ আসুক; দেখব, এসব বই-মুভি-মিউজিক নিয়ে থাকেন কীভাবে!

………………………………………..

ব্লা ব্লা ব্লা …………!!!!

যথেষ্ট হয়েছে! এবার থামেন! আমার ব্যাপারে আপনাকে বিরক্ত করেছি কখনও? আমি বিয়ে করি না করি, আপনার *** কী? জানেনই তো বিয়ে করতে পারছি না। এসব ফালতু কথা বলতে পারেন, আর এ ব্যাপারে একটু হেল্প করতে পারেন না? যদি বলেন, আমি মেয়ে পাবো কোত্থেকে? তবে আমি বলব, আমাকে আমার মতো থাকতে দিন। আপনিও আপনার মতো থাকুন। পৃথিবীতে সবারই যে বয়ফ্রেন্ড/ গার্লফ্রেন্ড থাকতেই হবে, এটা কোথায়, কোন আইনে বলা আছে? হ্যাঁ ভাই, আমাকে কেউ বিয়ে করতে চাইছে না, কিংবা যারা করতে চাইছে, তাদেরকে আমি করতে চাইছি না। আমিও ভাল আছি, ওরাও ভাল আছে। আপনার কোনও সমস্যা? হেল্প করতে না পারলে বাঁকা কথা বলতে আসেন কেন? যে গরু দুধ দেয় না, সে গরুর লাথি সহ্য করবো কেন?

প্রিয় ভাইয়েরা/ বোনেরা, এইসব প্যাঁচাল শুনতে অতি বিরক্ত লাগে। আমি এবং আমার বয়সি আমার বন্ধুরা যে খুব সাধ করে বিয়ে করছে না, তা কিন্তু নয়। ঠিকমত মেয়ে পেলে আপনি পণ্ডিতি করার কোনও সুযোগই পেতেন না। পারলে একটু হেল্প করেন, না পারলে জ্ঞান দিতে আসবেন না দয়া করে। নিজের মেশিনে তেল ঢালুন। আপনার আশেপাশের পরিচিত অনেকেই তো আছেন। দিন না একটু কারও কারও খোঁজ! সত্যি বলছি, খুব উপকার হয়। দিতে না পারলে দূরে থাকুন। টিপ্পনী কাটতে আসবেন না!

এ ধরনের লোকরা হেল্প তো করতে পারে না, উল্টো মেজাজ খারাপ করে দিতে ওস্তাদ। যাকে আপনি হেল্প করতে পারবেন না, তাকে জ্ঞান দিতে আসেন কোন আক্কেলে? ফালতু বেহায়া ফাউল পাবলিক!

এ পোস্ট দেখে অনেকেই বলবেন, বিয়ের বিজ্ঞাপন করছি। হ্যাঁ ভাই, বিয়ের বিজ্ঞাপনই তো! আমার বিয়ের বিজ্ঞাপন আমি আমার ওয়ালে করছি। আপনার কী?

এই রাতে……… যাকে জাগিয়ে রাখার কেউ নাই, তার ঘুম আছে। যার ঘুম নাই, তার ফেসবুক আছে। আর যার ফেসবুক আছে, তার আসলেই কেউ নাই।

কে নিশীথে হায় ইনবক্স খুঁড়ে মাস্টারি করতে ভালবাসে! গ্যাবন অ্যাত্ত অ্যাকা ক্যারে!

(কোনও এক রাতে ওপরের প্রলাপমালা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়েছিলাম। অনেকদিন পর ওইসব স্বগতোক্তি পড়ে মজা পেলাম। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে করল বলে ভাবনাদেয়ালে রেখে দিলাম।)

একটা ফাও……যদি একটুখানি ভালোবাসা দাও, তবে, প্রমিজ করছি, খুশিতে, সবকটা দাঁতই দিয়ে দেবো।

(যারা ইশটিটাশের মানে বোঝেন নাই, তারা ধলেধলে মিচিলেমিচিলে ডিন্টিস্টের চিম্বারে ইশপেরাইটমুড়ি সমভিব্যাহারে যানগা।)

ভাবনা: দুইশো বায়ান্ন।

……………………………………..

(অল্পকথার ডায়রি)

১। শরীরকে পবিত্র নয়, পরিচ্ছন্ন রাখুন। শরীরে কোনও পাপ থাকে না, শরীরে থাকে মূলত ময়লা। মেডিক্যাল সায়েন্স তো তা-ই বলে। পাপ অপবিত্রতার হিসেব থাকে মনে, শরীরে নয়। গায়ে গঙ্গাজল নয়, পরিষ্কার পোশাকই কাম্য।

জনস্বার্থে: ডেটবয় (ডেটল+লাইফবয়)

২। বেশিরভাগ হাতিদীর্ঘ বপুর মেয়েদের নাতিদীর্ঘ স্বর। যত ছোট পেট নয়, তত ছোট গলা!

৩। কতটা কষ্ট হয় কান্না গিলে ফেলতে, সেটা, যে কাঁদায়, সে কি জানে?

৪। পৃথিবীতে সবচাইতে মজার বিয়ের দাওয়াত হল, প্রেমিকার বিয়ের দাওয়াত। অতএব, দাওয়াত পান না পান, প্রেমিকার বিয়েতে নিজ দায়িত্বে হাজির হোন এবং ব্যুফে স্টাইলে অন্নধ্বংস করে পিশাচীয় আনন্দ উপভোগ করে আসুন। আপনি তো জানেনই, ও বেয়াক্কেল, হয়তো দাওয়াত দিতেই ভুলে গেছে, কিন্তু আপনার তো আক্কেল আছে। প্রেমিকা এতো শখ বিয়ে করছে, ওই উল্লুকটাকে একবার নিজ চোখে দেখবেন না? ওই শিম্পাঞ্জির ছবি তুলে এনে তা এনলার্‌জ করে প্রিন্ট করে বক্সিং প্র্যাকটিস করার বালির বস্তার গায়ে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেয়ার বুদ্ধিটা কেমন, দাদাভাই?

৫। একটা ফ্রি বুদ্ধি দিই………..

যখন সুন্দরীরা আপনাকে ভাইয়া, ভাইয়া, কিংবা দাদা, দাদা বলে অস্থির আর বিরক্ত করে ফেলবে, তখন আপনিও ওদেরকে বেশিবেশি আপু, আপু, কিংবা দিদি, দিদি বলে ডাকাডাকি করে রিপ্লাই দেয়া শুরু করতে পারেন। ফুফু/খালামণি টাইপ ডাকও কাজে দেয়। It works!

৬। প্রতিপক্ষকে আধা ইঞ্চিও ছাড় দিলে ওরা ঠিকই এক ফুটের সুযোগ নিয়ে নেয়। (৮৫-৯০)% প্রেমে ব্রেকাপ হয়ই—কমন ব্যাপার। তার মধ্যে, ৬০%ই হয় ইমোশনের অভাবে নয়, ম্যাচুরিটির অভাবে। শুধু আবেগ দিয়ে হয় না, তার সাথে কিছু বুদ্ধিমত্তা লাগে। এই জিনিসটাকে বলে, আবেগজাত বুদ্ধিমত্তা (emotional intelligence বা quotient)। বর্তমান সময়ে, মানুষের সিদ্ধান্তগ্রহণের দক্ষতা মাপা হয় আইকিউ নয়, ইকিউ দিয়ে। যার ইকিউ যত ভাল, সে তত এগিয়ে। আপনি গুগলে খুঁজে এ নিয়ে জেনে নিতে পারেন, সময় করতে পারলে আমি ইকিউ নিয়ে সহজ করে লিখব। আজকের ম্যাচের কথাই ধরুন। আমাদের আইকিউ ছিল, ভাল খেলছিলাম, সবকিছুই ঠিক ছিল। তাও হারলাম। কেন? আবেগে? না, তাও নয়। খেলায় আবেগ থাকবেই। আমাদের কিছু তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ভুল ছিল। এর জন্য পুরোপুরি দায়ী ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের অভাব। আমরা এখনো পর্যন্ত যতগুলো নিশ্চিত-জেতাম্যাচে হেরেছি, তার ৬০%ই ওই ব্রেকাপের ব্যাপারটির মতো। দক্ষতা, চেষ্টা, সততা, আন্তরিকতা, অভিজ্ঞতা—সবই ছিল, শুধু ছিল না ম্যাচুরিটি বা ইকিউ।

সামনের দিনগুলো আমাদের হবে—এই স্বপ্নে বাঁচি।

টাইগারস্! তবুও, ভালোবাসি।

ফুটনোট। Emotional Intelligence / Emotional Quotient = EI / EQ

Emotion works only when maturity accompanies.

৭। তুমি ভেবেছিলে, খেলা—আরও আছে, এটা শেষ হলেই আরেকটা শুরু।

আমি ভেবেছিলাম, জীবন—একটাই আছে, এটা শেষ হলেই সব শেষ।

এই ভাবনার দূরত্বের কারণেই, আজ তুমি আবারও খেলছ, আর আমি আছি মরে। সবাই তো আর, বারবার শুরু করতে পারে না।

৮। সুন্দরী রাধে আওয়ে বনী………পুরোপুরিই, এক ধরনের ঘোরের মধ্যে নিয়ে যায়—সেখান থেকে বের হয়ে আসতে, আর ইচ্ছে করে না।

বৃষ্টি হচ্ছে না—জানি।

কিন্তু, এ গানটা যে সেই কখন থেকে মনের মধ্যে বৃষ্টি ঝরিয়েই যাচ্ছে—তার কী হবে?

ব্রজবুলি ভাষায় লেখা অপূর্ব একটি গান! সম্ভব হলে, সৌম্যজিতের কণ্ঠে গানটা একবার শুনে দেখবেন। সত্যিই, মুগ্ধ হয়ে যাবেন। আমি এ নিয়ে টানা ৯বার শুনলাম, ১০ম বার চলছে। ইউটিউবে ওটা নেই, জয়তীর কণ্ঠেরটা শুনতে পারেন ইউটিউবে।

ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীতে এই গানটি আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গানটি লিখেছিলেন বৈষ্ণব কবি গোবিন্দদাসের নিচের কবিতাটির অনুকরণে:

কুঞ্চিত কেশিনি নিরুপম-বেশিনি

রস-আবেশিনি ভঙ্গিনি রে|

অধর সুরঙ্গিনি অঙ্গ তরঙ্গিনি

সঙ্গিনি নব নব রঙ্গিনি রে||

সুন্দরী রাধে আওয়ে বনী

ব্রজরমণীগণ-মুকুট-মণি রে|

কুঞ্জর-গামিনি মোতিম-দামিনি

দামিনী-চমক নেহারিণি রে|

অভরণ-ধারিণি নব-অভিসারিণি

শ্যামর-হৃদয় বিহারিণি রে||

নব-অনুরাগিণি অখিল-সোহাগিনি

পঞ্চম রাগিণি মোহিনি রে|

রাস-বিলাসিনি হাস-বিকাশিনি

গোবিন্দদাস-চিত শোহিনি রে||

৯। প্রেম কর তার সাথে, যে তোমার ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার দেখেই তোমার প্রেমে পড়ে।

Because, it’s a 100% lust lust lust lust lust………

বিয়ে কর তাকেই, যে তোমার জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি দেখেও তোমাকে বিয়ে করতে রাজি থাকে।

Because, it’s a 100% love love love love love………… (গানটার সাথে সেই নাচ নাচতে মঞ্চায়!)

(Dear serious people, trust me, I’m not kidding. সো, সকল জ্ঞান আর যুক্তি নিয়ে আমাকে পচানোর আর আক্রমণ করার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জয় আপনাদের হবেই হবে।)

১০। ব্যর্থতার হতাশার চাইতে সাফল্যের হতাশা অনেকবেশি তীব্র।

খুব সফল কাউকেই খুব ভাল থাকতে আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি। সফলতা মানুষকে ক্রমেই অসহায় করে দেয়। সফলদের দাঁত হাসে, ঠোঁট হাসে, চোখ হাসে না। ওই মিডিয়াহাসি যে কতটা কষ্টমাখা, সে খোঁজ কেউ কোনওদিনই জানবে না। তবু, যা সত্য, তা তো সত্যই। সাফল্য নামের ওই দম আটকানো সংস্কারের মধ্যে পড়ে এক ধরনের যন্ত্রণা শেষ অবধি ভোগ করে যাওয়াই নিয়তি হয়ে ওঠে। এ অনেক বড় ট্র্যাজেডি।

১১। বড়লোক আর বড়লোকের কুকুর—দুই প্রজাতির প্রাণীই, ননস্টপ চেঁচায়—প্রায়ই, অকারণেই।

যখন বড়লোকের ছেলেমেয়েদের বাসায় গিয়ে পড়াতাম আর বেশি বেতন পেতাম, সেই সময়ের অভিজ্ঞতা……হঠাৎ মনে এল।