ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা (৩৭শ অংশ)

ভাবনা: দুইশো তিপান্ন।

……………………………………..

এক।

আমি এবং আমার বন্ধুরা, যখন ছোট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তখন বড়বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে-পড়া স্টুডেন্টদের বড়বড় কথা শুনে ভাবতাম, সত্যিই ওরা অনেক বড়। জীবনে, আমরা পিছিয়ে থাকব, ওরাই এগিয়ে যাবে।

এখন আমরা আর ওরকম করে ভাবি না।

কারণ, এখন আমরা ওদের নিশ্চিত বর্তমান আর সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ, দুটোই একসাথে দেখতে পাই।

এখন আমরা বুঝি, স্টুডেন্টলাইফে যে যতটা বড়বড় কথা বলে, ভবিষ্যতের কাছ থেকে সে গুনেগুনে ততটা চড় খায়।—কখনও-কখনও, ততোধিক। ভাবতে বড় আরাম লাগে।

স্টুডেন্টলাইফে যে যতো মুখ বন্ধ রাখতে পারবে, স্টুডেন্টলাইফ শেষ হলে সে ততো ভাল করতে পারবে।—এখনও পর্যন্ত, এই নিয়মের ব্যত্যয় হতে দেখিনি। বিনয়ের অভাব মেধাকে নষ্ট করে।

তবে, অতি মেধাবী কিছুকিছু মানুষ আছেন, যারা দুর্বিনীত হলেও কোনওকিছুই তাদের আটকাতে পারে না—ওরা এগিয়ে যায়ই। ওদের কথা আলাদা। ওরা কোনও গ্রামারের মধ্যে পড়ে না।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা শুধু ভার্সিটি ঠিক করে দেয়ার জন্য, কোনওভাবেই জীবন ঠিক করে দেয়ার জন্য নয়।—এ সত্যটা যে যতো দেরিতে বুঝবে, সে ততো অহেতুক আত্মতুষ্টি বা আত্মগ্লানিতে ভুগবে, এবং ক্রমেই ধ্বংসের দিকে যেতে থাকবে।

বিশ্বাস হলো না? ঠিক আছে, ওরকম কাউকে নীরবে দেখে যান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হওয়ার ৫ বছরের মধ্যে, ও ওর ক্ষমতার অনুপাতে কতদূর যেতে পারল, একটু খেয়াল করে দেখুন। এরপর নিজেই বুঝে যাবেন।

দুই।

মৃত্যু কী সহজ!

মৃত্যু কখনও-কখনও বেঁচেথাকাকে পর্যন্ত সহজ করে দেয়।

এই আজকের আমি যদি কালকেই ‘নেই’ হয়ে যাই, তবে আজকের এই অস্তিত্ব কি প্রকট সত্য নয়? জীবনটাকে নিয়ে কী সিরিয়াস আমরা, অথচ এই জীবন আমাদের পাত্তাই দেয় না। দূরের মানুষদের কাছে পাওয়ার আশায় কাছের মানুষদের দূরে ঠেলে দেই। রঙ বদলাই মুহূর্তেই। কে কষ্ট পেলো, সেটা নিয়ে ভাববার সময়টুকু পর্যন্ত নেই। আর কিছু দিতে পারি আর না-ই বা পারি, কষ্ট দেই। শূন্য হাতে কেউ ফিরে যায় না। সাথে নেয়, ভালোবাসা কিংবা কষ্ট। শত বছরের প্ল্যান গুছিয়ে বসে থাকি বেঁচে থাকার এই মুহূর্তকে ভুলে গিয়ে। ঠিক পরের একশো সেকেন্ড বাঁচবো কি না সে কথা কি ভেবে দেখি কখনও?

তিন।

এমন দুধের ফেনার মতো ধবধবে জ্যোৎস্নায় যে প্রেমের জন্ম হয়, সে প্রেম শেষ পর্যন্ত টেকে না।

কিছু জিনিসকে আপনি কখনও যুক্তির সাহায্যে ব্যাখ্যা করতে পারেন না, অথচ আপনার জীবনে সেসব জিনিসেরই প্রভাব সবচাইতে বেশি।

একসময়, সম্পর্কে, কান্না বুঝতে না পারলে—বুঝিয়ে দিতে ইচ্ছে করে…….সম্পর্কটা তখনও, ঠিক, সম্পর্ক হয়ে ওঠেনি।

আবার, একটাসময়, সম্পর্কে, কান্না বুঝে ফেললে—লুকিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে…….সম্পর্কটা তখন, সবচাইতে মজবুত, অথবা সবচাইতে ঠুনকো।

কোনও মানুষ যখন ভুল করে, ভুল করতেই থাকে। ভুল করা এক ধরনের অভ্যাস।

চার।

যাকে জীবন কিছুই দেয়নি, সে প্রথম যুদ্ধটা করে জীবনের বিরুদ্ধে। এবং হেরে যায়।

দ্বিতীয় যুদ্ধটা করে তাদের বিরুদ্ধে, যাদেরকে জীবন অনেককিছুই দিয়েছে। হায়! সে আবারও হেরে যায়।

অথচ যদি সে যুদ্ধটা করত নিজের বিরুদ্ধে, তাহলে সে অবশ্যই জিতে যেত। এই রহস্যটাই লুজাররা কোনওদিনই বুঝতে পারল না। অবশ্য সে যুদ্ধটা অতিকঠিন। সবাই সেটা পারে না।

Paradise Lost-এর কাহিনীটা মনে আছে না? শয়তানদের একটা রাজ্য আছে। সে রাজ্যের রাজা সবচাইতে বড় শয়তান। সে সবাইকে শয়তান হওয়ার বুদ্ধি দেয়। তার রাজসভার নাম প্যানডেমোনিয়াম।

লুজারদেরও একটা রাজ্য আছে। সে রাজ্যের রাজা সবচাইতে বড় লুজার। সে অন্য সবাইকে লুজার হওয়ার বুদ্ধি দেয়। তার রাজসভার নাম দিলাম জেলাসেমোনিয়াম।

এই দুই রাজ্যের একটা কমন বৈশিষ্ট্য আছে। তা হল, এই দুই রাজ্যে কৌতুহলবশত ঘুরতে গেলেও স্রেফ ভিজিটর হয়ে থাকা যায় না, নিজের অবচেতনেই পার্মান্যান্ট ইনহ্যাবিট্যান্ট হয়ে যেতে হয়। অতএব, সাধু সাবধান!

পাঁচ।

ও তো শিক্ষক হইসে, বিভিন্ন জায়গায় লেকচার দিয়ে বেড়ায়, কোনও টাকাপয়সা নেয় না। ওকে বিভিন্ন জায়গায় ডাকে, ও যায়। আবার পত্রিকায় লেখালেখি করে। তাই, ওকে বইটই পড়তে হয়। ছোটবেলা থেকেই ও এরকম। কোনওসময় ড্রেস কেনার টাকা দিলে ওই টাকা দিয়ে ও বই কিনে ফেলত। এখনও প্রচুর বই কিনে, এটা দেখলে আমার ভাল লাগে। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে ৩৮ বছর ধরে প্র্যাকটিস করছি, এইজন্য আমার কাছে অনেকে ওকালতি শিখতে আসে, ওরা মনে করে, আমি অনেককিছু জানি, আসলে আমি তো তেমন কিছু জানি না, তবুও চেষ্টা করি যতটুকু পারি ওদেরকে সাহায্য করতে। আমি তো জীবনে তেমন কিছু করতে পারি নাই, শুধু চেয়েছি, আমার দুই ছেলে মানুষ হোক। ওদের জন্য আশীর্বাদ ছাড়া জীবনে কারও কাছ থেকে কখনও কিছু চেয়েছি বলে মনে পড়ে না। ওদেরকে মানুষ হতে দেখছি, এটাই আমার শান্তি। আমি ওদের জন্য শুধুই আশীর্বাদ চাই, আর কিছুই চাই না।

(আমার ছোটভাই হাসানের সাথে গল্প করার সময় বাবা অনেক কথার মধ্যে ওপরের কথাগুলি বলছিলেন, একদিন ওর কাছ থেকে এটা জানলাম কলাবাগান বাসকাউন্টারে বসে।

আমার ঋষিতুল্য বাবার কাছ থেকে ‘শিক্ষক’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। বাবা আমাকে শিক্ষক ভেবে শান্তি পান। জীবনে আর কোনও স্বীকৃতি না পেলেও আমার বিন্দুমাত্রও দুঃখ থাকবে না।)

ভাবনা: দুইশো চুয়ান্ন।

……………………………………..

এক।

Life is too short to have a sad face. You’ve got a blessing you didn’t expect to have. You’ve got a curse you didn’t deserve to have. Still, smile. Even smile with tears in your eyes. Even cry with smile in your lips. You didn’t want it to happen, still it happened. You wanted it to happen, still it didn’t happen. The world is not all about answering your prayers; it’s all about answering your needs. Maybe you can’t feel what feels wonderful. Maybe you can’t even make the least room for your wonderful feelings. Maybe you’re just forced to murder your most beautiful feelings in the most ruthless way. Still, believe, it bears a message. It teaches you how to live, why to live, what to live for, what to live with, what to live without, whom to live with, whom to live without, even when to die, no matter however you feel like living or deserve to live to the fullest. Not always living is worth-living. Still, live. Even sometimes live dying. Show the world a thousand reasons for living when it shows you a hundred excuses for dying. Maybe you cease to hear music in your dark days. Wait, wait with patience to hear music woven with your dark days. I do believe there will be sweet songs to make you remember your dark days in the loveliest way. If it still torments, just say goodbye to this moment of today. It’s always another day tomorrow. Make your heart believe that another sun will rise tomorrow. Believe me, it’s a new sun that still rises. What’s the biggest truth you can live with, live for, live by? Well, it’s: You look awesome when you smile!! Cry, cry today only to smile better tomorrow. Believe me, you surely deserve to smile better, if not the best! Don’t you know you look so bad when you don’t smile? You’re beautiful, my dear friend! You’ve no right to destroy this God-gifted beauty! Smiling is just a choice. Who told you you’re the most unlucky person on this earth? Not always your worst teardrops prove your saddest moments. Always keep in mind, too often the happiest faces mask the saddest tragedies, you can never know. Find and be close to the very few people who love you and want to see you happy. Be happy for them and make it a habit. Never wait any longer for the hostile people to turn friendly to you. Some people were sent to this earth only to make you unhappy, only to make you cry. Say them goodbye forever before it’s too late. Just get rid of them. Leaving to live is an art. Keeping people you don’t need to keep means keeping pains you don’t need to keep. It’s your life—the greatest gift you were sent with. Live it in your way before it ends! Happy living!!

দুই।

Before you comment on my posts, contact me on Facebook, request for anything, please do do do keep in your mind that I’m friendly, but NOT your friend. It’s a virtual world. Only the real world is the real world. Don’t mess up. Don’t request, don’t command. Just take what I give. Don’t show the least interest about my personal life. You’re never ever entitled to that. I’m what I’m. Accept it, or just stay away. I’m not here to please you or to tolerate your judgement. Understand your limit. I’m a friend only to my real-life friends. To others, I’m just friendly. Nothing more than that! Due to my time constraint, I apologize to say that I usually block without any argument. I don’t argue for 2 reasons: One. You don’t deserve it. Two. I don’t have that time. I believe life is not a debate competition. Only the fools spare time to win every debate. I’ve enemies, I’ve haters. I respect them all by making myself stay away as I don’t have time to convince them about my rightness. I know, I’m not right. I also know, you’re not right either. You’ve the time to judge me, but I don’t have that time to judge you. Only there lies the reason why I’m a scoundrel and you’re a saint. I love to live and also love to let you live by blocking or by not blocking. Any request for unblocking will surely embarrass me and disappoint you. Respect if you want to be respected. This is the only rule I follow.

তিন।

To be happy in your life, never marry a creative person. They’re hardly marriage materials. Rather, marry a stupid or at least, an uncreative person. One thing just as a reminder: Creative & Educated are two different things. Usually, they don’t coincide. If they do, it creates something masterpiece! And, do think twice before marrying him or her. Well, if you’re creative as well, you may consider ‘risking’ that! Two creative persons usually don’t interfere in each other’s lives.

Another observation: 90% relationships end in either break-ups or something like ‘it’s complicated’. In 80% cases of that 90%, couples can’t even imagine, they’ll break up. They keep doing everything and anything normal couples do till the breakup.

I’d always been ‘genuinely single’ till my 28. Reason? I think, therefore I’m single. To be in love, you must be dumb for the time being!! Intelligence keeps you in a lover’s block forever.

Love X, marry Y, then learn to love Y, or happen to love Z, or keep loving X. This is the rule.

(উপরের কথাগুলি আমার প্রলাপ হতে পারে। ক’দিন ধরে জ্বর তো অনেক, তাই; এইমাত্র অ্যাজিথ খেলাম। ১০২ জ্বরে প্রলাপ বকার সকল অধিকার আমার আছে। সিরিয়াসলিই বলছি, কথাগুলিকে সিরিয়াসলি নেয়ার কিসু নাই।

ভাল কথা, lover’s block বলে কিছু নেই। এই phraseটা আমার সৃষ্টি। writer’s block এর সাথে মিলিয়ে একটু আগে বানালাম।)

ভাবনা: দুইশো পঞ্চান্ন।

……………………………………..

এক।

: কী ব্যাপার? বিয়ের আগে কত কথা, কত প্রেমময় আলাপ, কত মধুর বাক্যবিনিময়! এখন সব কোথায় পালালো?

: বিবাহ হচ্ছে সকল প্রেমের সমাপ্তি।

ইদানীং দেখছি, কাঁচের চুড়ির মতো সম্পর্ক ভাঙে ……… কী কী ইস্যুতে? হিপোক্রিসি। ক্যারিয়ার। ইগো। ভুল বোঝাবুঝি। অহংকার। অবিশ্বাস। পরকীয়া। আরও কী কীসব যেন!

ভালোবাসা দিনদিন ঠুনকো হয়ে যাচ্ছে। কতো সহজে! শালারা উঠতে-বসতে ‘ভালোবাসি’ বলে; বুক তো দূরের কথা, গলাও কাঁপে না!

দেখছি, ৭-৮ বছরের পুরনো বিশ্বস্ত(!) সম্পর্ক পর্যন্ত ভেঙ্গে যাচ্ছে!! এতোগুলো বছর পর!! খুউব কষ্ট হয় দেখলে। এই শালারা নাকি ভালোও বাসতো!! কিছুতেই কোনওকিছু ‘ফর গ্রান্টেড’ নেয়া যায় না। সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার আগে সবাই তার প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে বলে, “আমার দেখা ও পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল মানুষ।” সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ছেলেটা মেয়েটার সব হিপোক্রিসি পছন্দ করে, মেয়েটা ছেলেটার সব হিপোক্রিসি পছন্দ করে। মেজাজ খারাপ হয়!! হিপোক্রিটের চাইতে স্কাউন্ড্রেলও ভালো।

সবচাইতে অবাধ্য মেয়েটিও, যে পৃথিবীর কারও কোনও কথাই শোনে না, একটা ছেলের সব কথাই শোনে। সেই ছেলেটিকে মেয়েটি ভালোবাসে।

হায়, এরপর?

দুই।

# Whenever I see my friend get married and share it on Facebook, I check his bride’s photos from her profile stealthily.

If she is pretty, I forgive her.

If she is not pretty, I forgive him.

# বিয়ে কী?

বিয়ে হচ্ছে, আপনার সকল সুখকর পাপের ফল এবং আপনি যাদেরকে প্রত্যাখান করেছেন, তাদের দীর্ঘশ্বাসের সম্মিলিত রূপ।

# জীবনে অসংখ্য প্রেমপত্র পেয়েছি……. হায়! সবক’টাই ভুল মানুষের কাছ থেকে। ভুল মানুষের কাছ থেকে সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়ার অপরাধবোধের তীব্রতা কয়েকটা মৃত্যুর সমান। সেই বেদনাই মানুষকে সবচাইতে বেশি কাঁদায়, যে বেদনাটি তার পাওয়ার কথা ছিল না।

# ছেলেরা, আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী।

মেয়েরা, আগে গুণবিচারী, পরে দর্শনধারী।

তাইতো দেখি, কিউট-কিউট পুতুলগুলি গুণী-গুণী অসুরের সাথে ঘুরে বেড়ায়।

# ঈশ্বরের ইচ্ছেয় পৃথিবীর সকল একদিন বয়সি শিশু এবং বিউটিপার্লারের বদৌলতে পৃথিবীর সকল বিয়ের আসরের কনে—দুই ধরনের প্রাণীই দেখতে একইরকমের—-সুন্দর, পবিত্র। পৃথিবীর সবচাইতে দুঃখী মেয়েটিকেও বিয়ের দিনে সুন্দর লাগে; এমনকি যে মেয়েটি তার ভালোবাসার মানুষটিকে পায়নি, তাকেও। তার মানে এই নয় যে, তার ভেতরটা ঠিক ওইসময়ে সুন্দর অবস্থায় আছে।

# আর কিছু নয়, স্রেফ এক পলকের ভালোবাসাপূর্ণ চাহনিও কোনও কারণ ছাড়াই আপনাকে অসীম অপরাধবোধে আচ্ছন্ন করে রাখতে পারে বছরের পর বছর।

অন্তত এমন একজনকে জীবনে লাগে, যার হাসিটা মনে করে ভীষণ কষ্টের সময়েও বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হয়।

# তুমি সারাজীবন আমার পাশে থাকবে। আমি যখন মরে যাবো, তখনও আমার পাশে থাকবে, আমার হাতটা ধরে রাখবে। রাখবে না?

আমি তোমার কাছে শুধু এইটুকুই চাই, আর কিছুই চাইবো না কখনও। আমার এই ইচ্ছেটা তুমি পূরণ কোরো, প্লিজ!

(সেই কখন থেকে কাঁদছি এটা পড়েপড়ে………)

# এখন আর কিছুই হয় না—-না রাগ, না অভিমান।

এইভাবে করে একদিন টুক করে মরে যাবো।

এইতো জীবন!

# মেয়েরা বড় মায়াবী হয় রে ভাই! খুব কষ্ট লাগে। ওদের একটা কথার দাম দিতেও কয়েকটা জন্ম লাগে কখনও-কখনও।

# ফ্রিতে একটা বুদ্ধি দিই, কেমন?………. ব্রেকআপের কতদিন হল? Come on! Let’s celebrate your breakup date. Yes, I really mean it!! ঈশ্বরকে অ্যাত্তোগুলা থ্যাংকস দিন এই ভেবে যে উনি আপনাকে পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই বাঁচিয়ে দিয়েছেন!

(ইয়ে মানে, আমার কাউন্সেলিং ফি’টা এক কাপ কফিতে দিলেই চলবে।)

# যে প্রেম পূর্ণতা পায়, অথচ পরিণতি পায় না, সে প্রেম মানুষকে শক্তিশালী করে।

# সত্যবাদী পুরুষ কে?

যে পুরুষ নিজের প্রেমিকা কিংবা স্ত্রী/ প্রেমিকা এবং স্ত্রী (একই মেয়ে কিংবা ভিন্ন মেয়ে) ছাড়া আর কারও সাথেই মিথ্যা বলে না।

# মেয়েরা বড়ো অদ্ভুত। ওরা ছেলেদের চিনে নেয় খুব সহজে, অথচ নিজেরা নিজেদের কখনও চিনতে পারে না। ছেলেরা বড়ো অসহায়। মেয়েদের চিনতে পারে না কখনওই, আবার নিজেরা নিজেদেরও না। মেয়েরা ওদের বলে, তুমি এমন, তুমি অমন। ওরা তা-ই বিশ্বাস করে নেয়, সেভাবেই করে। মানুষ পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট পায়, আর পুরুষমানুষ সার্টিফিকেট পেয়ে পরীক্ষা দেয়।

ভাবনা: দুইশো ছাপান্ন।

……………………………………..

এক।

One of the 5 most important lessons life has taught me:

No one on this earth really cares about your pains & sufferings. So, don’t share, NEVER. Just keep them hidden in your heart, ALWAYS. Your pains have unbelievable power. If shared, you will lose that power.

(বাকি ৪টা? ………….. আসিতেছে……………… চোখ রাখুন আমার ভাবনাদেয়ালের পর্দায়!)

দুই।

আচ্ছা, তোমার দাদু বৃন্দাবন থাকেন কেন?

দাদুর মধ্যে হঠাৎ একধরনের সংসারবৈরাগ্য দেখা দেয়। তখন থেকে তিনি ওখানে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

ওখানে কেন?

ভগবানের সান্নিধ্যলাভ করতে।

ভগবান বৃন্দাবন থাকেন, এই বুদ্ধি উনাকে কে দিল?

চুপ থাকেন আপনি! উনি উনার বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছেন। আপনার সমস্যা কী? শয়তান লোক একটা!

কুল আইডিয়া! আমারও বিয়ের পর সংসার ত্যাগ করার প্ল্যান আছে।

মানে? কোথায় যাবেন আপনি?

লাস ভেগাসে।

ওটা আবার কী?

জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার মিলনের মহাতীর্থস্থান!

সিরিয়াসলি?

হ্যাঁ, যুগেযুগে অনেক গৃহবিবাগী সন্ন্যাসীই ভেগাসবাসী হয়েছেন।

না! আপনি আমাকে ছেড়ে কোত্থাও যেতে পারবেন না! ধরে বেঁধে রাখব একদম!

কেন? তুমি কি চাও না আমিও তোমার দাদুর মতো পরমজ্ঞান লাভ করি?

না, আমি আপনাকে জীবনেও ইন্ডিয়া যেতে দেবো না। বাংলাদেশে থেকে যা ইচ্ছা, লাভ করেন গিয়ে!

(এতক্ষণে অরিন্দম বুঝিলা বিষাদে, অদূর ভবিষ্যৎ অনন্ত দুঃখময়।)

তিন।

পৃথিবীতে দুই ধরনের দুঃখী সন্তান আছে:

এক। কন্যাদায়গ্রস্ত মাতার (কোনও-কোনও ক্ষেত্রে, পিতার) কন্যা।

দুই। পুত্রদায়গ্রস্ত মাতার (কোনও-কোনও ক্ষেত্রে, পিতার) পুত্র।

এই দুই ধরনের সন্তানই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা করে; ফোনে, এবং সরাসরি।

সাধারণত, দুই ধরনের মাতাই (কোনও-কোনও ক্ষেত্রে, পিতাই) মোটামুটি যেকোনও ছেলেকেই/ মেয়েকেই জামাতা/ পুত্রবধূ হিসেবে পছন্দ করে ফেলার অসীম প্রতিভাসম্পন্ন হয়ে থাকেন। তাঁদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য: ডাক্তার হওয়া নয়, শিক্ষক হওয়া নয়, বরং বিয়ে দেয়া, যেকোনও মূল্যে। তাঁদেরও বিয়ে হয়েছিল ‘যেকোনও মূল্যে’, তাই তাঁদের কাছে ‘যেকোনও মূল্যে’ বিয়ে করাটাই জীবনের পরম ও চরম সার্থকতা। একটাসময় পরে গিয়ে পিতামাতা আর ছেলে চান না, ছেলেবউ চান; আর মেয়ে চান না, মেয়েজামাই চান। নিজেদের প্রত্যাশাপূরণের দায়ভার প্রতিনিয়তই চাপিয়ে দিতে থাকেন সন্তানদের উপরে, প্রয়োজনে প্রতিটি মুহূর্তেই ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করেন, কারণ তাঁরা পিতামাতা। বাঙালি পিতামাতার এই জাতীয় স্বার্থপরতা শতাব্দীপ্রাচীন—-ছিল, আছে, থাকবে।

চার।

আরেকজনের ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলি নিয়ে ঠিক ততটুকুই আগ্রহ দেখাবেন, যতটুকু আগ্রহ উনি আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলি নিয়ে দেখান। কারও ব্যাপারে ‘আপন ভেবে’ অনধিকার চর্চা করা ইডিয়টদের কাজ। ততটুকু জায়গাতেই থাকুন, যতটুকুতে আপনার থাকার কথা। যার সাথে আপনার উনার ড্রয়িংরুমের কার্পেটের উপর দাঁড়িয়ে গল্প করতে পারার সম্পর্কটুকুই নেই, তার বেডরুমের বিছানায় বসে খোশগল্প করতে চাওয়ার খায়েশ দেখান কোন আক্কেলে?

এটা না বোঝার অর্থ হল, আপনি একটা মাত্রাজ্ঞানহীন বিরক্তিকর বলদ কিংবা আজাইরা বেকার।

পাঁচ।

Still, sometimes you’ve to decide to live your life up to others’ expectations but for whom your life would have been simply meaningless.

Expect to kill.

Don’t expect to let live.

Now, the choice is yours.

ভাবনা: দুইশো সাতান্ন।

……………………………………..

এক।

পেন্নাম পরশুরাম!

সিঁথির সিঁদুর অক্ষয় হোক।……এ-ই তো বলে, না?

কিন্তু কোনও-কোনও মেমসাহেবকে দেখলে রাজশেখর বসুর মতো করে বলতে ইচ্ছে হয়, ঠোঁটের সিঁদুর অক্ষয় হোক।

(স্বয়ং মুজতবা আলী এই লাইনটার প্রশংসা করে গেছেন।)

দুই।

সবকিছুই নষ্টদের দখলে ছিল, আছে, থাকবে।

এদেশে বাঁচার দুটো পথ: হয় নষ্ট হও, নতুবা নষ্ট হতে বাধা দিয়ো না।

আমি দ্বিতীয় পথের। আমি সুবিধাভোগী, অতএব সুবিধাবাদী। অমর হওয়ার চাইতে বেঁচে থাকাটা অনেক বড়।

সবদেশেই, সবকালেই ভলতেয়ারই ঠিক:

It is dangerous to be right when the government is wrong.

উনি ঠিক ছিলেন, আছেন, থাকবেন।

আজ থেকে একশো বছর পরে, আমাদের পকেটে অনেক টাকা থাকবে, আমাদের দালানগুলি আকাশ ছোঁবে, কলকারখানার চাকা ঘুরবে আরও অনেক, অনেক বেশি।

কিন্তু আজ থেকে একশো বছর পরেও, আমাদের মানসিকতা বদলাবে না। আমরা অমানুষ ছিলাম, আছি, থাকব।

শিক্ষিত হওয়ার চাইতে অনেকবেশি জরুরি মানসিকতার উন্নয়ন। আমরা বাজে মানসিকতার শিক্ষিত ও মেধাবী মানুষ চাই না।

যার আপনজন হারায়, শুধু তারই হারায়। আর কারও কিছুই হারায় না, আরা কারওই তেমনকিছু এসেও যায় না।

অপরের শোকে শোকার্ত হওয়ার আয়ু বড়োজোর পরবর্তী ফেসবুক পোস্ট দেয়ার আগ পর্যন্তই।

আমরা জীবিতকে মৃত হয়ে যেতে দিই, যাতে উনার জানাজায় শরিক হয়ে উনার বিদেহী আত্মার শান্তিকামনা করতে পারি।

যারা মরেছে, তারা তো আর ফিরবে না। যারা ফিরবে না, তাদের জন্য আর কতই বা ভেবেভেবে সময় নষ্ট করা যায়! আমরা ‘গতস্য শোচনা নাস্তি’ জাতি! বাহ্, বাহ্!

এই বেশ ভাল আছি। ও ভাল নেই কেন, তার দায় আমার কীসের? ও নিজেকে ভাল রাখার কায়দাটা শিখতে পারল না কেন? আমি তো ভালই আছি!

হ্যাঁ, অন্যায়কে রুখে দিতে এদেশে আন্দোলন হয়। সেসব আন্দোলনের পুরোধা হন কিছু হিপোক্রিট, যাদের একটা নয়, দুটো নয়, অনেকগুলি মুখোশ আছে।

এদেশে হিপোক্রিটরা মরে না। মরে হয় সন্তরা, নতুবা শয়তানরা।

আর লিখতে পারছি না। নিজের উপরেই ঘেন্না লাগছে!!

আমরা কেউই নমস্য নই। আমরা সবাইই ঘৃণ্য, জঘন্য, পাপী।

তিন।

“বিচে বিকিনিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী বিপাশা………”

বিপাশা আর কী উত্তাপ ছড়াবে?

এইটাও একটা খবর!?

যে অলটাইম প্রায় নেংটুই থাকে, সে আবার বিকিনিতে কী উত্তাপ ছড়াবে?

মেজাজ খারাপ হয় এমন খবর দেখে!

পরে মনে হইসে, না, ঠিকই আছে! বিপাশার তো ফুল ন্যুড হয়েই বিচে আসার কথা, সে যে ভুলে বিকিনির মতো এমন এক আলখাল্লা পরে ফেলসে, এজন্যই এইটা নিউজ হইসে!

তাইলে, ঠিকই তো আছে!

জয়, অনলাইন নিউজ পোর্টালের জয়!

মেজাজ এখন ঠাণ্ডা!

মনের ভেতর থেকে দ্বৈত ফোঁস করে ওঠে……অই, বিপাশা বিকিনি পড়ুক, আর নেংটুই থাকুক, তোর কী?

: আজ্জব! আমি আবার কী করলাম? আমি কি বিপাশারে বোরকা কিইন্না দিসি!

চার।

একটা মানুষের ভেতরে থাকা মূল মানুষটা আসলে কখনও বদলায় না, অনেকটা, কখনওবা পুরোটাই একই রকম থাকে। জীবনের প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে, যতটা বাহ্যিক পরিবর্তন দেখা যায়, তা আসলে নির্ভর করে সে কতটা বদলে যাওয়ার অভিনয় করতে পারে, তার উপর। বিশেষ সময়ে, তার আসল রূপটা ঠিক বেরিয়ে আসে।

পাঁচ।

৫ অক্টোবর। দিনটা একই সাথে ভাললাগার এবং খারাপলাগার।

খারাপলাগাটা এজন্য যে, গত বছর এই দিনে, আমি প্রায় দেড় মাস ধরে লিখেছি, এমন একটি লেখা ভুলবশত ডিলিট হয়ে গিয়েছিল। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, খুব বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম। লিখতে ভীষণ কষ্ট হয়। এতো কষ্টের ফসল অসতর্কতায় নষ্ট হয়ে গেলে সহজে মেনে নেয়া যায় না।

ভাললাগাটা এজন্য………এই দিনেই প্রথম নিজ থেকে ফোন করে ওর সাথে অনেকক্ষণ কথা বলেছিলাম। এতে ও দারুণ খুশি হয়েছিল। কী বলেছিলাম, মনে পড়ে। হাহাহা………

ফোনটা আসলে আমি এমনিতেই করিনি। ও কখনও ওর কোনও লেখা ডিলিট হয়ে যাওয়ার কষ্টের কথা আমাকে বলেছিল। আমার লেখাটা ডিলিট হয়ে যাওয়ার পর ওর কথা আমার মনে হয়েছিল। ওকে বারবার নক করেছিলাম ফেসবুকে। ও অনলাইনে ছিল না। ফোন করে কল না যাওয়ায় ভেবেছিলাম, আমাকে ও বুঝি ব্লক করে রেখেছে! যাতে ও আমাকে কখনওই ব্লক করে না রাখে, সেজন্যই অতো সময় দিয়ে কথা বলেছিলাম! ওকে ভালোবাসি না, অথচ হারিয়ে যেতেও দিই না! হাহাহা…….

ভাবনা: দুইশো আটান্ন।

……………………………………..

খুব ছোট্ট একটা জীবন মানুষের! মানুষকে ভালোবাসারই সময় পাওয়া যায় না, ভাব দেখানোর সময় কোথায়, বলুনতো! মানুষ কেন যে অকারণে লোভ, হিংসা, অহংকার, পরশ্রীকাতরতায় মেতে থাকে! এসবের কিছুই নেই, এমন একটা মানুষ চাই! হবে?

আমার কী খবর বলব, পৃথ্বী? আমার খবর শুনতে আপনার বয়েই গেছে!

তবে, আমার যে খবরে আপনি আছেন, তা হয়তো বলতে পারি।

তবে, সব তো আবার বলতে পারি না, খুব বেশি হলে ১০% হয়তোবা বলাই যায়!

আপনার গত জন্মদিনে ফোন করে অপমানিত হয়েছিলাম। এবারও নির্লজ্জের মতো কথা বলতে চেয়েছিলাম, পারিনি; আপনি আমাকে কথা বলতেই দেননি, তাই।

‘যে’ কথা বলতে চায় না, ‘তার’ সাথে কেন কথা বলতে ইচ্ছে হবে? হওয়ার তো কথা না। তবে কেন এতটা কষ্ট হলো আমার?

আমি কখনও অহেতুকই কষ্ট পেলে নিজেকে ইচ্ছে করেই আরও কিছু কষ্টের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাই। তাই, নিজেকে আরও কষ্ট দিতে আপনার পুরো জন্মমাসটাই নিজেকে আপনার সাথে কিছুই বলতে না দিয়ে, আরও প্রচণ্ড কষ্ট দিয়ে দিলাম!

সব ভুলে, তবুও সেদিন ফোন দিলাম।

লিখে পাঠালেন, Please don’t call!

আপনি বড় সহজেই কঠিন হয়ে যেতে পারেন!

হায়, কষ্টটা, আরও……..একটা জীবন সেধেসেধে কষ্ট নিয়েই কাটল!

যিনি আমাকে এতটা অপছন্দ করেন, আমার প্রতি এতটা বিরক্তি যার, যার কাছে আমি এতটাই তুচ্ছ, নগণ্য……আমাকে ঘৃণাও হয়তো উনি করেন, এমন একটা মানুষের জন্য, মনের ভেতরেথাকা স্বচ্ছ অনুভূতিগুলো রোজ নিজেকেই তাচ্ছিল্য করে!

পৃথ্বী, কয়েকটা সেকেন্ড যদি আমার জন্য কখনও খরচ করতে ইচ্ছে হয়, একটু হিসেব কষে দেখবেন প্লিজ……

আপনার জানায়, আমার অজানায়,

যতটা তাচ্ছিল্য করেন, যতটা তুচ্ছ ভাবেন, সত্যিই ঠিক ততটা তাচ্ছিল্য, আমার প্রাপ্য কি না!

আপনার যা ইচ্ছে, আপনি নিশ্চয়ই তা করতেই পারেন! আমার কিছুই বলার নেই, পৃ…….

অন্য কিছু নয়, আমি শুধু কারণটা জানতে চেয়েছিলাম।

এবার থামি। আপনি সত্যিই কারণ বলতে থাকলে আর শেষ হবে না। তাই থেমে যাওয়াই ভাল।

চাই, খুব ভাল থাকুন।

(“আমি তোমাকে কেন ঘৃণা করব? তুমি সব নিজেনিজেই মনে কর।”

সে-ই একই কথা একদম বলবেন না বলে দিলাম! তাইলে কিন্তু একদম কামড়ে দাঁত বসাই দিব! এমন দীর্ঘস্থায়ী দাগ পড়ে যাবে……আর যাবেই না! তখন কৈফিয়ত দিতেদিতে……হুমমম্‌!)

এখন, আসল কথা বলুন………জ্বর কমেছে? অসুস্থ থাকলে তো আবার আপনার উপর ভূতুড়ে শক্তি ভর করে, ভোর পর্যন্ত ফেসবুকে বসে থাকেন! এমনটা এখনও করেন নাকি? হুহহ্‌

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তীব্র জ্বর—খুবই খারাপ ব্যাপার। ডাক্তার দেখিয়েছেন কি না জানি না। দেখান প্লিজ, পৃ……আমার তো বলে কোনও লাভ নেই, আমার কোনও কথাই তো আপনি কানে নেন না; যাদের কথা শুনবেন, তাদের কেউ, খুব করে বলুক…….দরকার হলে, মারুকও! তবু আপনি সুস্থ থাকুন।

আমি নাহয় আপনার পৃথিবীর বাইরে……আমার যা কষ্ট, তা আপনার কাছে নিতান্তই তুচ্ছ……..কিন্তু আপনার কাছের আর আপন মানুষগুলোর কষ্ট হয় তো খুব! আপনি এটা বোঝেন না? বেঁচেথাকা কি কেবলই নিজের জন্য? আপনি অসুস্থ, এটা না জানালেও ওদের কষ্ট হয়; বিশ্বাস করুণ, ওরা সবই ঠিক বুঝতে পারে। ওদের জন্য হলেও ভাল থাকতে হবে না? হুম? ওরা যে আপনাকে ভালোবাসে!

পৃ, জ্বর কি কমেছে? যদি জ্বর না কমে থাকে, আর ডাক্তারও না দেখিয়ে থাকেন, তাহলে দ্রুত ডাক্তার দেখান।

অসুস্থতার সময়, প্রিয় মানুষকে খুব করে জড়িয়ে ধরে রাখতে ইচ্ছে করে না? আমার তো খুউব করে!

তখন মনে হয় না, অনুভূতির পূর্ণতায় থাকা মানুষটা বুকের সাথে মিশে থাকলে শরীর আর মনের সব কষ্ট একছুটে পালিয়ে যাবে……

আসলেই কি যায়? না, যায় না; কিন্তু অনুভব হয়, যেন চলে গেছে! এমনটাই তো হওয়া চাই, তাই না? তীব্র জ্বরে শরীর পুড়ে ছাই হচ্ছে, হোক; অথচ আমি তা অনুভব করছি না—সে-ই তো ভাল। আবার দেখুন, শরীর অতটা খারাপ নয়, কিন্তু খারাপ অনুভব হচ্ছে প্রচণ্ড, এটাই তো সত্যিকারের ভয়ানক ব্যাপার!

ভাল কিবা মন্দ—দুইই অনুভব করার ব্যাপার—প্রকৃত ঘটনা যা-ই হোক না কেন, ভাল অনুভব করলেই সব ভাল!

আচ্ছা, আপনার তো কোনও বাধা নেই……ডাকুন না প্রিয় তাকে (“অ্যাত্তঅ্যাত্ত যে প্রিয়……কাকে ফেলে কাকে ডাকব গো!?”)

…….থার্মোমিটারে পারদের উচ্চতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, থাকুন না খুব ভাল……ডেকেই দেখুন না…….ডাকলে, সে নিশ্চয়ই আসবে!

আপনার দেখাশোনা করা নিশ্চয়ই তার কাছে পাগলের কাজ মনে হবে না!

অসুস্থতা নিয়ে অবহেলা করবেন না, পৃথ্বী। ভাল থাকুন……

ভাবনা: দুইশো উনষাট।

……………………………………..

এক।

আচ্ছা, এই ছবিটাতে আমি যদি তোমার পাশে গিয়ে দাঁড়াই, আমাকে কি খুব বেমানান লাগবে?

বেমানান লাগুক আর মানানসই-ই লাগুক, আমার বয়েই গেছে ওসব কেয়ার করতে!

আমার ইচ্ছে করছে, তোমার বাঁপাশে দাঁড়াতে, অথবা তোমার ডানহাতের মাঝখানে ওইখানে যে ফাঁকা জায়গাটা আছে, ওখানে ঢুকে যেতে! আমি যথেষ্ট স্লিম, ওইটুক জায়গায় আমার হয়ে যাবে!

নিবে নাতো, হুহ্‌! বুঝি, বুঝি!

আসল কথা বলি। আমি জানি, তুমি নিবে। সত্যিই নিবে। তুমি আমায় অবচেতন মনে অনেক আগেই ভালোবেসে ফেলেছিলে, আর এখন তো পুরোটা জুড়েই ভালোবাসো।

এমনি করে কত কিছু ভেবে নিয়ে যে ভাল থাকতে হয়! যদি একটুও তুমি তা জানতে!

দুই।

যন্ত্রণা যখন দেয় না ঘুমুতে,

সারারাত জেগে রই।

দুঃস্বপ্নরা একেএকে এসে,

বানায় নানান ইস্যু!

দ্বৈত তখন সান্ত্বনা দেয়……

শোন, ওসব স্বপ্নটপ্ন কোনও কিছু নারে,

আসছে না ঘুম,

আসছে কেবলই এলো ভাবনা,

জানিস, কেন?

মশারি সরা, খাট থেকে নাম, বাথরুমে যা……

আসলে কী জানিস, তোর ধরেছে হিস্যু!

আহা! শীতে, ঠাণ্ডা পানির ভয়ে, একটু হিস্যু চেপে থাকি, সত্যি; তাই বলে, বদের হাড্ডি দ্বৈত, ভেতরের যন্ত্রণাকে একদম হিস্যু বানিয়ে ছেড়ে দিবে! এইডা কিসু হইল? হুহহহ্!

তবে, কখনওসখনও সত্যিই……হিস্যু চেপে রাখার জন্যই ঘুম আসে না!

তিন।

আচ্ছা, আমি যে সবাইকে শুধু ‘পেটে কামড় দিব’ ‘পেটে কামড় দিব’ বলি, সত্যিই কি পেটে কামড় দেয়া যায় নাকি!

ইসস্‌ কাতুকুতু লাগবে না?

তাছাড়া পেট তো একটা সমান জায়গা, তাইলে কামড়টা দিব কীভাবে?

এজন্য ব-অ-অ-ড় একটা ভুঁড়ি দরকার! হুমমম্‌!

নাআআআআ……বড় না, ছুটুছুটু অনেকগুলা ভুঁড়ি দরকার…….ব্রেস্ট-এর মতন! তাহলেই না ভাআআআআল করে কামড় দেয়া যাবে! হিহিহিহি

চার।

যারা শুধুই কবি হতে চায়, তাদের জীবনের অন্তিমে না খেয়ে, ভিক্ষে করে, বিনা চিকিৎসায় বাঁচতে হয়, বাবা বলে সবসময়। বাবা জীবনানন্দের দারিদ্র্যের উদাহরণ দেয়। তাই বাবা বলে, প্রথমেই পড়াশোনা করতে হবে। আরও বলে, যারা কবিতাটবিতা এসব লেখে, তারা নাকি মেন্টাল! বাবা কবিতালেখাটা একদমই পছন্দ করে না! আমার খুব খুব খুব রাগ হয় বাবার উপর! তবু আমি প্রথমে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। বাবা আমাকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু বাবা আমাকে বোঝে না। বাবাকেও আমি খুব ভালোবাসি। আমিও বাবাকে বুঝি না। কাউকে ভালোবাসতে হলে ওকে বুঝতেই হবে, এমন কোনও কথা নেই। অবোধ্য কিংবা দুর্বোধ্য মানুষকেও ভালোবাসা যায়।

আমি যা হতে চাই, যা করতে চাই, প্রথমত তা বাবার জন্য, বাবা আবার আমাকে নিয়ে গর্ব করবে ভাবে আমি তা হতে চাই।

আমি কখনও কাউকে কিছু দিতে পারিনি! এটা মাথায় এলেই আমার খুব কষ্ট হয়।

আমার খুব ইচ্ছে করে, সবাইকে কতো কিছু দিব, কিন্ত কাউকে দেবার মতো কিছু আমার নেই।

আমার শুধু কষ্ট হয়। রাস্তায় বেরোলে অসহায় মানুষকে দেখে কষ্ট হয়। মনে হয়, ওরা সবাই আমার। ওদের জন্য কিছু করতে পারলে আমি খুশি হতাম। কিন্তু আমি কারও জন্য কিছু করতে পারি না, কারণ, আমি এখনও আমার নিজের জন্যই কিছু করতে পারিনি।

পার্কে গেলে ছোট্ট বাচ্চাগুলোর জন্য খুব কষ্ট হয়, যারা বলে, বাদাম খাবো!

আমি ওদের ডেকে কাছে বসালে, আমাকে আমার বন্ধুরা বকে, আমাকে পাগল বলে।

কিন্ত আমার মনে হয় ওরা আমার কে যেন! কেন আমারই শুধু কষ্ট হয়? আর কারও তো কোনও কষ্ট হয় না! আমার খুব ইচ্ছে করে, ওদের রেস্টুরেন্টে নিয়ে…….

হায়…….

আরও কত্ত কী ইচ্ছে করে!

আমি কারও জন্যই কিচ্ছু করতে পারিনি কখনও!

কবে পারব?

পাঁচ।

নাহ্! নতুন বছরের কোনও শুভেচ্ছা আমি জানাব না। ঘৃণিত কারও শুভ কামনায় ভালোবাসার মানুষের বছরটা শুরু হোক, তা আমি কখনওই চাই না!

নিজেকে কখনও চেনাইনি বলে আপনি আমাকে আর চিনলেনই না।

আমি জানি, এটা আমার সীমাবদ্ধতা—আমি আমার অনুভূতিগুলো কখনওই প্রকাশ করতে পারি না। মনের ভেতরের সবকিছুই মনের ভেতরেই থেকে যায়।

প্রিয় মানুষগুলোর প্রার্থনায়, শুভ কামনায়, ভালোবাসায়, নতুন বছরটা খুব ভাল কাটুক—সবারই……কষ্টগুলোকে সামলে নিয়েই; কারণ, কষ্ট থেকে যে কারওই মুক্তি নেই! জীবন আছে মানেই, কষ্ট আছেই!

বছরজুড়ে একটাই চাওয়া—শুধু একবার বলবেন, কেন এতটা অপছন্দ, উপেক্ষা, অবজ্ঞা আর ঘৃণা করেন আমায়?

ঘৃণা করেন বলে আমার কষ্ট নেই। এই ঘৃণাটা বারবার আমাকে স্তব্ধ করে দেয়, এটা আমাকে ভীষণ কষ্ট দেয়।

আর সবচেয়ে খারাপ লাগে এজন্য যে, একটা ঘৃণিত মানুষ হয়ে, নিরবিচ্ছিন্নভাবে আপনার সাথে থাকি, মানে, না থেকে পারি না বলে।

এত কষ্ট দেন কেন……হুঁ?

আমারে তো চিনেন নাই এখনও! একদম চাইপ্পা মাইরা ফেলব কিন্তু!