ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা (৫৪ৎ অংশ)

ভাবনা: তিনশো বাহাত্তর
……………………………………………

October 12, 2012

বোধন আবৃত্তি স্কুলের সাথে চমৎকার একটা সন্ধ্যা কাটালাম। আজ স্কুলটার ১৯তম জন্মদিন। আড্ডা, আবৃত্তি আর গানে পুরনো মুখগুলির সাথে বেশ ছিলাম আজকে! ওখানে আমি আবৃত্তি শিখেছি, একসময় ওদের ব্যানারে অনেক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেছি। খুবই সুন্দর ছিল সেই দিনগুলি! তাই আজকে অনুভূতি বলতে গিয়ে কিছুটা নস্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম। ফিরেদেখার ব্যাপারটা আনন্দের! (তবে সব ‘ফিরেদেখা’ নয়।)….. সুন্দরে বেশিক্ষণ থাকা যায় না, তাই বুঝি সে সুন্দর।

October 13, 2012

সুশান্ত, গাছের সবচে’ পাকা ফলটা কিন্তু কাকেই খায়৷ এত লাফালাফি-বাছাবাছি করিস না৷
(আমার এক বন্ধুর পরামর্শ)

October 15, 2012

There are some people who can never appreciate. So, it’s foolish to judge yourself by what they say.
Kind words are healthier than chicken soup.

October 18, 2012

Sometimes it’s good not to think what you say. Often, it’s better not to say what you think.

October 23, 2012

চলে যাওয়া সবসময়ই কাঁদায়৷ এই ছবির দেশ, কবিতার দেশ ছেড়ে তিনি না-ফেরার দেশে চলে গেছেন৷ যে চোখে ছিলো সুদূর ঝর্ণার জলের স্বপ্ন, সে চোখ কী এক আশ্চর্য অনির্বাণ আগুনের শিখা ছড়িয়ে দিয়ে নিভে গেছে৷ যে হাতে ছিলো শিকলে-বাঁধা-না-থাকার দৃপ্ত শপথ, সে হাত আর কিছুই লিখবে না কোনোদিন৷ এ এমন এক মৃত্যু, মৃত্যুও যাকে সমীহ করে৷
বিদায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়৷ এই রাত্রির রঁদেভুতে আমরা জেগে আছি এবং থাকবো, তোমার সমস্ত উপহার সাথে নিয়ে৷

October 25, 2012

Dear facebook ladies,
Please stop adding ‘Angel’, ‘Fairy’, ‘Divine’ etc before or after your facebook names. Our ideas about those words is getting changed in a wrong way.
Thanks & Regards
October 29, 2012

চুপচাপ অভিমানী শহর।

October 31, 2012

মেঘ ছুঁয়ে দেখবো। তাই যাচ্ছি পাহাড়ের দেশে। ইসসস্!!

October 31, 2012

পাহাড়ের আড়ালে মেঘ, নাকি মেঘের আড়ালে পাহাড়, বোঝা কঠিন। ওদের এই লুকোচুরি খেলার ফল হলো পাহাড়ের সবুজের মাঝে রৌদ্র-ছায়ার রঙের তুলির সুনিপুণ বিন্যাস। কালো? গাঢ় নীল? নাকি ধূসর? আহা! ছবির মতো সুন্দর? নাহ্! ছবি কি এত সুন্দর হয়? পৃথিবীর কোন শিল্পী এতটা মহান? অপার্থিব!

October 31, 2012

নীলগিরিতে। মেঘের সমান্তরালে। স্নিগ্ধ ছায়ায়। ছায়াটা পাহাড়ের।

October 31, 2012

….. into the wild…. listening to the music of silence… through the road running like a snake….. imbibing moonlight trapped on the leaves & grass…… dancing darkness, enigmatic trees….. hills around whispering like wisemen of ancient time….. Ah! The Colourful Night! The Wild Blend!

November 1, 2012

পাহাড়ি স্যুপ। পাহাড়ি আপ্যায়ন। পাহাড়ি হাওয়া। সেই হাওয়ায় দূর থেকে ভেসে আসা মিষ্টি এক পাহাড়ি সুর। বাঁশির কী অপূর্ব সুনিপুণ ব্যবহার! স্তব্ধ সন্ধ্যার সাথে আমার কথোপকথন। সুন্দরে অবগাহন। পত্রী বাবু, আমাদের এই আলাপচারিতার গল্প আপনি লিখবেন না? লিখুন না, প্লিজ!

November 2, 2012

প্রতিটি জন্মদিনই আমাকে ভিন্ন ভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়।
০২-১১-২০১১। ৩০তম বিসিএস পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলো। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হলাম। কত্তো বড়ো বার্থডে গিফ্ট! ঈশ্বরের দেয়া উপহার।
০২-১১-২০১২। বগা লেক। ২০০০ ফুট উঁচুতে। রুমা থেকে যেতে হয় ফোর হুইলারে চেপে। এবড়োথেবড়ো পাহাড়ি পথ। স্রেফ নিজের দু’পায়ে ভর দিয়ে সব উচ্চতায় ওঠা যায় না। এখানেও তা-ই। লেকের পাহাড়ে উঠতে হয় ৩ পায়ে। ২ পা আর লাঠি। পাহাড় ঘেঁষে মেঘের সারি। লেকের ৩ দিকে পাহাড়। রীতিমতো নেশা ধরিয়ে দেয়! পাশেই বম পাড়া। সহজ মানুষ ওরা। আন্তরিক পরিবেশে জন্মদিন উদযাপন। অল্পতে যে সুখ, তার রেশ কাটতে সময় লাগে। আমার এখনো কাটেনি।
ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। ‘অকৃতী অধম জেনেও তো তুমি কম ক’রে কিছু দাওনি, যা দিয়েছো তারই অযোগ্য ভেবে কেড়েও তো কিছু নাওনি।’

November 3, 2012

ফিরে এলাম। কোলাহলে।
নীলাচল। আজ দেখলাম, ঠিক পাশ দিয়ে মেঘের উড়ে যাওয়া। মেঘের ছোঁয়া! আহ্! ঋত্বিক ঘটক এখানে বেড়াতে এলে আমরা নির্ঘাত আর একটা ফিল্ম পেয়ে যেতাম—মেঘে ঢাকা পাহাড়। (আক্ষরিক অর্থেই মেঘে ঢাকা পাহাড়।)
সুন্দরের কাছে গেলে বোঝা যায়, আমি কতটা অসুন্দর। শিখরস্পর্শী অহমিকাগুলো অসহায়ভাবে ভেঙে পড়ে। উপলব্ধি হয়, আয়না কতটা মিথ্যে বলে। বান্দরবানে গিয়ে এটা বুঝলাম। বুঝলাম, অসম্ভব স্মার্ট কারো সাথে নিজের গার্লফ্রেন্ডকে পরিচয় করিয়ে দিলে কী অবস্থা হয়

November 8, 2012

ঢাকায় যাচ্ছি৷ না, ভুল হলো৷ ঢাকায় যেতে হচ্ছে৷ সবাইকে যেতে হয়৷ তাই যায়৷ থাকতে হয়৷ তাই থাকে৷ It’s one of the most expensive slums on this planet! শেষের কথাটা আমার নয়৷ আমাদের IBA-র এক স্যারের৷

November 11, 2012

জর্মন ভাষায় একটি গান আছে:
প্যারিসের মেয়েগুলো কী মিষ্টি!
যখন তারা কানের কাছে গুনগুনিয়ে বলে,
‘মসিয়ে, আমি তোমারি৷’
সবাই হেসে তাকায়, সবাই কথা বলবার সময়
‘তুমি’ বলে ডাকে৷
আর কানে কানে বলে, ‘তোমায় ছেড়ে
আর কারো কাছে যাবো না৷’
কিন্তু হায়, শুধু তোমাকেই না, আরো
পাঁচজনকে তারা ঐরকম কথাই বলে৷
ইংরেজীতে বলে, ‘কেরিং কোল টু নিউ ক্যাসল্’, হিন্দীতে বলে, ‘বরেলীমে বাঁস যে জানা’ (বেরলীতে নাকি প্রচুর বাঁশ জন্মে), রাশানে বলে, ‘তুলা শহরে সামোভার নিয়ে যাওয়া’ (সেখানে নাকি পৃথিবীর বেশীর ভাগ সামোভার তৈরী হয়), গুজরাতীতে বলে, ‘ভরা কলসী নিয়ে নদীতে যাওয়া’ এবং ফরাসিতে বলে, ‘প্যারিসে আপন স্ত্রী সঙ্গে নিয়ে যাওয়া৷’
— সৈয়দ মুজতবা আলী, ‘পঞ্চতন্ত্র’
(প্যারিসে যাইতে মুঞ্চায়!! পোলাপাইন পিএইচডি করতে ক্যান যে আমেরিকায় দৌড়ায়!!…….

November 15, 2012

এ জার্নি বাই ট্রেন৷ ডেস্টিনেশন্ ঢাকা৷ জার্নির উদ্দেশ্য অতীব মহৎ এবং বিরক্তিকর৷ উদ্দেশ্য ক্লাস করা, এক্জাম দেয়া৷ তাই ছোটবেলায় মুখস্থ করা ‘এ জার্নি বাই ট্রেন’ টাইপের সুখকর জার্নি নয় এটি৷ খুব কাছের মানুষগুলো যেখানে থাকে, সেটাই তো ঘর৷ সেই অর্থে অনেকের মতোই ঢাকা আমার ঘর নয়; জাস্ট এ সেকেন্ড হোম৷ অথচ আইরনিটা দেখুন৷ উইকএন্ডে সবাই যখন ঢাকা ছাড়ে, ঘরে ফেরে, তখন আমি ঘর ছাড়ছি, ঢাকায় যাচ্ছি৷ দিনের ক্লান্তি শেষে কিছু পাখি নীড়ে ফেরে; কিছু পাখি নীড় ছেড়ে যায় ক্লান্তির পালাবদলের হাত ধ’রে, ধূসরিত সুখের উদ্দেশে৷ এই তো জীবন!

November 18, 2012

Sometimes you have to be two different people.

November 18, 2012

Instead of saying anything bad, keep silent. Instead of arguing badly, unfriend him/her. Be nice or be away.

November 20, 2012

Walk only with people better than you. If you cannot find any, walk alone.
~ Buddha
I’ve always tried to follow this teaching, but often life is not so easy as to avoid the not-better, (if not worse,) ones.

November 21, 2012

Chance only favours the prepared mind.
~ Louis Pasteur
Yes, not always miracles happen miraculously!

November 23, 2012

এইতো সেদিন ঘুরে এলাম বান্দরবান। আমার আরণ্যক হওয়ার দীক্ষা ওখানেই। ৩ দিনের ছুটি। আবার যাচ্ছি মেঘের রাজ্যে। এবার খাগড়াছড়ি। ওখানটায় পাহাড়ের সাথে আকাশের মিতালি। স্নিগ্ধ ঝর্ণার সাথে বহতা নদীর শতাব্দীপ্রাচীন সঙ্গম। আমিও ওদের বন্ধু হবো। ছুটিটা ভালই কাটবে।

অরণ্যের স্বাদ। নারীর প্রেম কি এর চাইতেও মোহনীয়? এতটাই ভোলায় সে? ওতে কি এতটা নেশা আছে? কী জানি!

ভাবনা: তিনশো তিয়াত্তর

…………………………………………..

November 25, 2012

Not to die is more important than to take adventures. It really feels great to cheat death! This is the lesson from my Khagrachari tour. I’m coming back with a feeling of horror (much more breathtaking than any god-damn horror movie), aesthetic beauty (of Nature, of ethnic people, of culture), magical blend of wise hills, rocks, rhythmic fountains, soothing flora, fauna, musical waters, mysterious cave….. And, most obviously…. Acute pain over my whole body! Every learning has its payment in its own way.

November 27, 2012

চুয়েট, আইবিএ, বিসিএস৷ তিনটি ভিন্ন স্বাদের এপিসোড৷ এখনো পর্যন্ত ফার্স্ট এপিসোডটাই দীর্ঘতম৷ তাই চুয়েটে যাবো, এটা ভাবতেই ভালো লাগে, আশ্চর্য এক শিহরণ জাগে৷ তার উপরে কনভোকেশন৷ ২৯ নভেম্বর৷ বন্ধুদের সাথে, স্যারদের সাথে, সিনিয়রদের সাথে, জুনিয়রদের সাথে দেখা হবে, ননস্টপ আড্ডা হবে৷ ভার্সিটির ক্যাম্পাসে বসে ধুমসে আড্ডা—এর কাছে দুনিয়ার অন্য যেকোন আড্ডাই শিশুতোষ৷ আমি দলছুট গৃহত্যাগী মানুষ৷ ভার্সিটির নাম রাখতে পারিনি, মানটাই শুধু রেখেছি৷ যেটুকু সম্মান পাই, তাও এই ভার্সিটির জোরেই৷ (‘ইঞ্জিনিয়ার’ তকমাটা একেবারে খারাপ না!) চার বছর কাটিয়েছি ওখানে৷ (ইয়ে মানে, আমি একটু বেশীই কাটিয়েছি৷ কেন? থাক্, সেকথা পরে হবে৷) ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাওয়া’ টাইপের একটা পুলক অনুভব করছি! প্রতীক্ষায় আছি সেই মাহেন্দ্রক্ষণের৷

November 28, 2012

চুয়েটে যাচ্ছি কনভোকেশনের গাউন নিতে৷ সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকবো৷ পুরোনো পরিচিত মুখগুলোর সাথে দেখা হবে৷ বন্ধুদের মধ্যে কে কে যাচ্ছেন আজকে? আড্ডা হবে জমিয়ে!

November 28, 2012

ভার্সিটির ক্যাম্পাসে অনেকদিন পর ঘুরতে গেলে বয়স অনেকখানিই কমে যায়৷ হাত-পা ছুড়ে হাঁটতে ইচ্ছে করে, সুন্দরীদের দিকে আড়চোখে তাকাতে ইচ্ছে করে, খিদে পাক, না পাক, একটু পরপর খেতে ইচ্ছে করে, গলা ফাটিয়ে গাইতে ইচ্ছে করে৷ মনে হয়, ঋত্বিক-শাহরুখ তো আমার কাছে নস্যি! ‘ফার্স্ট ইয়ার, ড্যাম কেয়ার’ টাইপ একটা ভাব কাজ করে৷ চুয়েট ক্যাম্পাসে আজকে ছিলাম কয়েক ঘণ্টা মাত্র৷ কালকে তো সারাদিনই থাকবো৷ কালো রঙের গাউন-পরা এলামনাইদের পেঙ্গুইনের মতো দেখাবে৷ ভার্সিটির বিভিন্ন ব্যাচের মধ্যে যে বন্ডেজ, তা সত্যিই উপভোগ করার মতো

November 29, 2012

সরকারী ল্যান্ড ক্রুজারে চেপে সার্টিফিকেট আনতে কনভোকেশনে যাচ্ছি।….. ভাল লাগছে।….. feeling proud to be a civil servant…… feeling proud to be an alumnus of CUET.

November 29, 2012

….. enjoying a wonderful cultural evening at CUET performed by the CUETians….. Dancing like a mad!… It’s so gorgeous!… the show that only eyes can capture. A better camera? Sorry!…. the music that only ears can receive. A better recorder? Sorry!…. the rhythm that only soul can imbibe. A better option? Sorry!….. The show is too good! CUET people rock!!….. proud to be a CUETian!…. love you CUET!

November 30, 2012

রোমন্থন কিংবা ফিরে দেখার ব্যাপারটা এমন যে, ন্স্টালজিয়া থাকবেই৷ সূর্যের শেষ মিষ্টি রোদ্দুরে ভিজে-যাওয়া দেবদারু পাতার মতো নিরভিমান স্পষ্টতা আর এলামনাইদের বন্ধনের রেশটুকু ধরে রাখাতেই সমাবর্তনের সার্থকতা৷ প্রত্যহের মুহূর্তের চিত্ররেখার আভাসে প্রিয় চুয়েটের সাথে নতুন আর পুরোনো মুখগুলোর বহুমাত্রিক সমীকরণের তৃষ্ণা মিটিয়েছে গতকালকের মিলনমেলা৷ সবকিছুকেই যুক্তির সীমারেখা মেনে চলতেই হবে —- ব্যাপারটা অযৌক্তিক৷ ভালোবাসা যুক্তিতে চলেনা, কিছু কিছু সম্পর্ক যুক্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে টিকে থাকে৷ শুধু এই ভালো-লাগার অনুভূতি নিয়েই বেঁচে থাকা যায় কয়েক শতাব্দী! কী আছে আর জীবনে? এক জীবনে মানুষ আর কতটুকুই বা পায়? গতকালকে জুনিয়রদের চোখে দেখেছি স্বপ্ন নির্মাণের প্রত্যয়; তাকে স্পর্শকের স্পর্ধায় ছুঁয়ে ফেলার দৃপ্ত শপথ৷ স্যারদের নিঃস্বার্থ আন্তরিকতা আর স্টুডেন্টদের নিরলস প্রচেষ্টা — এই দু’য়ের অপূর্ব ছান্দিক ব্যঞ্জনায় চুয়েট দিনে দিনে হয়ে উঠছে অনন্য৷ প্রিয় চুয়েট, ভালো থেকো৷ আমরা পাশে আছি, থাকবো৷ সবসময়৷

November 30, 2012

যে সুন্দরকে যায় না ধরা, যে সুন্দর দেয় না ধরা, মন কেন তার পেছনেই ছোটে? ভুলগুলোই কেন বেশী আনন্দের?
Dear God, it’s not fair!

December 1, 2012

বিয়ের জন্যে পাত্রী খোঁজা? নাকি, নিজের বিয়ের জন্যে অন্যের গার্লফ্রেন্ড/ এক্স-গার্লফ্রেন্ড খোঁজা? খড়ের গাদায় সুই খোঁজা কি এর চেয়েও কঠিন?

December 2, 2012

Anamul Haque! Hats off boss!!

December 2, 2012

Bangladesh win by 160 runs.
Please don’t reread. You’ve read it right! Yes, that’s it!!
Sorry West Indies. We couldn’t be a better host.
We love you, tigers! Hats off!!

December 5, 2012

(স্ত্রী চালাকি করে স্বামীর জন্যে ৭টা একই রঙের অন্তর্বাস কিনে আনল৷)
স্বামী: পাগল নাকি? একই রঙের আনলে কেন? মানুষ ভাববে, আমি অন্তর্বাস পাল্টাই না৷
স্ত্রী: (রেগে গিয়ে গম্ভীর স্বরে) কোন মানুষ??
(স্বামী বেচারা পুরাই চুপ৷ উত্তর দেয়ার কিছু খুঁজে পেল না৷)
আমি ফেসবুকের What’s on your mind? প্রশ্নের সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছি মাত্র৷ এই কৌতুকের নিহিতার্থের জন্য আমি ছাড়া বাকী সবাই দায়ী৷….

December 6, 2012

বিবাহিতদের মনের অবস্থা: ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি৷
অবিবাহিতদের মনের অবস্থা: ধর্ মা, হেসে মরি৷
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: স্ট্যাটাসটা সর্বজনীন নাও হতে পারে।

December 8, 2012

When we have hundreds of reasons around to cry, you have given us one BIG reason to dance. Thank you, TIGERS!! You roar, the world hears!! We love you.
Victory revisits!! Deserved & Earned!! Sweet December.

December 9, 2012

Well, blockade blocks your way, at the same time it shows another way. Today’s blockade on Dhaka-Chittagong route made me stay at Comilla for 7 hours. Who cares? I roamed the town and visited some places…. a short surprise tour!…… You can never know where life takes you.

December 10, 2012

হেরেছি৷ তবুও জয় করেছি পুরোনো বাজে পারফরমেন্সকে, মানসিক জড়তাকে৷ এটা-ই বা কম কীসে? খুউব ভালো খেলেছে ওরা৷ চেষ্টার ত্রুটি ছিলোনা এতটুকুও৷ বাংলাদেশের আগের স্টেরিওটিপিক্যাল চেহারাটা পুরোপুরি বদলে গেছে৷ আমি খুশী, অনেক খুশী৷ আমার মায়ের চেহারা দেখতে অতটা ভালো না৷ তাই বলে কি আমি অন্য এক স্মার্ট মহিলাকে ‘মা’ ডাকতে পারি? কখনোই না! প্রিয় বাংলাদেশ, এগিয়ে যাও৷ আমরা পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো৷ সবসময়।

December 11, 2012

CGPA 3.94 out of 4.00 scale!! কী অমানুষিক অমানবিক ভয়ঙ্কর সুন্দর রেজাল্ট!! ভাই, তুই কি মানুষ? CUET এ তো বোধ হয় এটাই এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ CGPA. হ্যাটস্ অফ্!! Honours এ আমার যে CGPA, সেটা দেখে তুই আমার ছোট ভাই, কে এটা বিশ্বাস করবে? (‘আদু ভাই’ টাইপের রেজাল্ট আমার৷) ভাবতেই শিহরিত হচ্ছি! আমি অভিভূত, গর্বিত৷ BIG Congratulations to my dear younger brother Banaful Paul Sagar!! আরো অনেক সুন্দর মুহূর্তের শুভকামনা রইলো৷

December 12, 2012

পণ্ডিত রবি শংকর৷ সেতারের জাদুকর৷ বাঙালির মোজার্ট৷ বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু৷ ভালো-লাগা এবং ভালো-না-লাগা অনেক মুহূর্ত কাটিয়েছি তাঁর নিবিড় সান্নিধ্যে৷ পশ্চিমাদের তিনি শিখিয়েছিলেন, “Eat, drink and be merry” এর বাইরেও জীবন আছে, দিয়েছিলেন জগতের আনন্দযজ্ঞে সুরের নিমন্ত্রণ৷ আমার শিখরস্পর্শী অনর্থক অহমিকাগুলো তাঁর বিশালত্বে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় প্রতিনিয়তই৷ বিশ্ব সঙ্গীতের এই দেবপিতা আজ চলে গেছেন না-ফেরার দেশে৷ সঙ্গীতে তাঁর অনন্য অমূল্য উপহার কিংবদন্তীতুল্য শ্রেষ্ঠত্বে বেঁচে থাকবে চিরকাল৷

ভাবনা: তিনশো চুয়াত্তর

…………………………………………..

December 13, 2012

লোকে নাকি কবিতা লেখে প্রেমে পড়লে৷ আর আমি লিখতাম প্রেমে পড়ার জন্যে৷ তাই বোধ হয় আমার আর কবি হ’য়ে ওঠা হয়নি৷
কবির মৃত্যু? নাকি, প্রেমিকের?

December 15, 2012

বুদ্ধিমানেরা তর্ক করেন, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যান৷
(কথাটা সংগৃহীত৷ আমার খুব খুব ভাললাগা কথাগুলোর একটি৷)

December 16, 2012

ছেলেরা লক্ষীছাড়া থাকে বিয়ের আগ পর্যন্ত; আর মেয়েরা লক্ষী থাকে বিয়ের আগ পর্যন্ত৷ এই বৈপরীত্যই তাদের কাছে টেনে আনে৷ হঠাৎ করেই মনে হলো কথাটা৷ কথাটাটা কি সত্য? আচ্ছা, বিয়ের পরের গল্পটা কীরকম?

December 16, 2012

১৬ই ডিসেম্বর৷ বিজয়৷ কথা দু’টোয় যতটা মাদকতা আছে, ততটা সহজবোধ্যতা নেই৷ স্বাধীনতার সুখকে শুধুই সুখস্মৃতি ক’রে রাখলে বর্তমান অস্তিত্বের রেশটুকু কাটতে বেশী সময় লাগে না৷ অতীত এই সাক্ষ্যই দেয়৷ শুধু নারীর অবয়বেই মোহাবিষ্ট যে পুরুষ, সে নারীর হৃদয়ের খোঁজ কতটুকুই বা রাখে? প্রেমের অভিনয়ের ঔদাসীন্য তো ভালোবাসার কাছে হার মানতে বাধ্য৷ “বাংলাদেশ, তোমায় ভালোবাসি” বলে গলা ফাটিয়ে গা বাঁচানো যায়, কিছু হুজুগে বাঙালির হাততালিও জোটে৷ যখন শরীরের সব রক্ত ফুরিয়ে যাবে, তখন ঝরে যাওয়া রক্তের জন্যে আক্ষেপ ক’রেই বা কী লাভ? যে ক্ষত শুকোয় না, বরং বেড়েই চলে, সেটা বাড়তে দিলে তো পুরো দেহের মৃত্যুতেই তার পরিসমাপ্তি ঘটবে৷ তাই এই ক্ষতকে আর বাড়তে দেয়া যাবে না, আমরা দেবো না৷ এই রক্তশপথের প্রবল দ্রোহেই আমরা গ্লানিমুক্ত হবো৷ স্বাগত হে ’৭১!

December 17, 2012

ভালোবাসি৷ শুনেই ধাক্কা খেলাম৷ বলে কী মেয়ে! ভাবলাম৷ ফেসবুকে ওর ছবি দেখলাম৷ এরপর আবার ভাবলাম৷ নাহ্! ওকে ভালোবাসাই যায়, তবে শুধুই আপন বোন হিসেবে৷ ছোট বোন৷ বড়ই মধুর সম্পর্ক৷ কিছুই করার নাই! কিন্তু আমার নতুন বোনটি আমাকে ভাই হিসেবে মানতে নারাজ৷ প্রয়োজনে আমাকে খুন করে ফেলবে৷ কী যন্ত্রণা! পাগলী বোন আমার! তোর কাছে মাফ চাই৷ সাথে দোয়াও চাই৷
হে ধরণী! দ্বিধা হও৷ আমি গাছে উঠি!!

December 19, 2012

If someone makes harsh or humiliating comments about any of your weak points or apparent weak points, don’t be upset. Just consider 2 things:
1. Maybe he/she has more weak points than you’ve but fortunately has not met any person rude enough to behave in that way.
2. Not everyone can tolerate better qualities of better persons. Maybe you’ve met such a person.
Get rid of that person. You don’t need everyone in your life. Just show what more you can do. Success is the sweetest revenge.

December 19, 2012

ঠিক কীভাবে বেঁচে থাকলে কখনোই আর মনে হবে না — অন্য কোনো জীবন এর চেয়েও অন্যরকম ছিল হয়তো?
ঠিক কীভাবে নিঃশ্বাস নিতে হয় খুব চমৎকার আফসোসহীন একটা সন্ধ্যে কাটাবার জন্যে?
……………………………………
আমি যদ্দূর সম্ভব উল্টে-পাল্টে দেখেছি — বিবিধ অতীত, কোনোটাই ঠিক সেভাবে পছন্দ হয় না৷……. আশ্চর্য হই, দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার পর আমার সর্বসাকুল্যে পাঁচ-ছ’দিনের মতো স্মৃতি আছে শুধু৷
ঠিক কীভাবে তোমার চোখের দিকে তাকালে আমার স্বগতঃ উচ্চারণ বলবে না কখনো – তোমার সাথে দেখা হ’য়ে যাওয়াটা জীবনের এক দুর্দান্ত ভুল ছিলো৷……… ঠিক কীভাবে বেঁচে থাকলে মানবজীবন অর্থপূর্ণ হ’য়ে ওঠে মানুষের কাছে, বলো…….
(যারা লিখলে খুউব ভালো হতো, কিন্তু লেখেন না, তাদেরই একজন জিফরান খালেদ৷ উপরের কথাগুলো তার কাছ থেকেই ধার করা৷ ধার করতেও যে এত সুখ, আমার অহংকারী মন মাঝে মাঝেই তা অসহায়ভাবে মেনে নেয়৷)

December 20, 2012

প্রেয়সীর উপর আমার অভিমান হয়েছে৷ রাগ করে উঠে পড়লাম৷ কিন্তু এই ভেবে ওর বাড়ি থেকে বেরিয়েছি যে, এইবার ও ডেকে আমাকে থামিয়ে দেবে, মিষ্টি কথায় আমার অভিমান ভেঙে দেবে৷ ভেবেছিলাম, হাওয়ায় আমার কাপড় উড়ছিল, সেই কাপড়ের কোণ ধরে আমাকে বসিয়ে দেবে ও৷ এমন ধীর পদক্ষেপে হাঁটছিলাম যে, ও ডাক দিলেই শুনে আমি ফিরে আসতে পারতাম৷ কিন্তু ও এমনই নিষ্ঠুর প্রিয়া, যে আমাকে একবারও ডাকল না, আটকাল না, কাপড় ধরে টেনে বসালো না৷ আশাহত আমি ধীরে ধীরে এগিয়েই চললাম৷ আর আজ ওর থেকে এত দূর চলে এসেছি যে আমরা দু’জন চিরকালের মতো আলাদাই হয়ে গেলাম৷ ও ডাকল না, আমার ফেরা হল না, আমাদের সম্পর্কের ইতি হয়ে গেল!
—কায়েফী আজমী

আহা, কত মধুর করে বলা ঝরঝরে অনুভূতি!

December 22, 2012

Unfortunately, most of the lovely girls you have to like are the girls you don’t/can’t like to have. But why? Because, ironically beauty stays where you think it shouldn’t. Any other reasons?

December 23, 2012

আমি ওকে এত বেশি ভালোবেসে ফেলেছি বলে আমাকে তোমরা পাপী, অপরাধী ভাবছ৷ একবার ওকে জিজ্ঞেস করে দেখো, হে নারী! তুমি এত রূপসী, এত সুন্দরী, এত লাবণ্যময়ী কেন হয়েছ? একঅঙ্গে এত রূপ–এটা কি অপরাধ নয়? অপরাধ শুধু সে রূপের পূজারির? রূপের নয়?
~ মীর তকী মীর

মীর, জমে একেবারে ক্ষীর!

December 27, 2012

সপ্তাহশেষের ছুটি কাটাতে সিলেট যাচ্ছি আজকে রাতে৷ থাকবো কাল এবং পরশু৷ কালকে Fakrul ভাইয়ের স্বাধীনতা স্বেচ্ছা-সমর্পণ দিবস৷ ভাইয়ার চোখ দিয়ে দেখবো, পরাধীন হওয়ার আনন্দটুকু৷ (আহা কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে!) সাথে নিজেকে হারাবো সেই নৈসর্গে যেখানে স্তব্ধতা আর নৈঃশব্দের শতাব্দীপ্রাচীন যুগলবন্দী ভোলায়, ভাবায়৷ যাযাবরত্ব মানুষের সবচেয়ে আদিম অকৃত্রিম নেশা৷ সত্যিই তা-ই!

December 29, 2012

…… off to Sreemangal, the tea capital of the country—surrounded by lush tea estates, lemon groves, pineapple gradens—all forming a green carpet on the picturesque sloping hills….. road running faster than my car….. travelling with the magical voice of Kishor-Lata-Sanu-Alka imbibing through my heart from my car!…… just can’t wait to be lost in the oasis of tranquility!

December 31, 2012

ধনীরা বই কেনে, বুদ্ধিমানরা বই পড়ে, বোকারা বই পড়তে দেয়৷ অভিজ্ঞতা বলে, শেষ অংশটা শেষ হয় সম্প্রদান কারকে৷ আমি অবশ্য আরো এক কাঠি বেশী সরেস৷ স্রেফ বই পড়ার অভিনয়েই আমার দিন কাটে৷ ২০১২ তে আমার ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারটি কলেবরে বেড়েছে যতখানি, পড়ার ব্যাপারে আমার ঔদাসীন্য বেড়েছে ততোধিক৷ গান শুনেছি কম, মুভি দেখেছি আরো কম৷ ঘুরে-বেড়ানো এ দুই কম’য়ের তৃষ্ণা মিটিয়েছে৷ প্রাপ্তির রোমন্থন আর অপ্রাপ্তির হিসেব — এ দুইয়ের মিথস্ক্রিয়ায় ভাবনাগুলো ঘুরপাক খায়৷ এই বছর নিজেকে সময় দিয়েছি অনেকখানি৷ আমি এই আমাকে নিয়ে বেশ ছিলাম৷ ভালো-লাগার কাছে ভালো-না-লাগা মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রায়ই৷ আমার বছর শুরু হয় বই কিনে, কাটে বই দেখে, শেষ হয় কেনা-বইগুলো পড়ার (ব্যর্থ) প্রত্যয় পরের বছরের কাঁধে চাপিয়ে৷ পয়সা দিয়ে ভালো-লাগা কিনি, আফসোস দিয়ে বেচি৷ আর এই দু’য়ের মাঝে প’ড়ে আমার বছরগুলি চুরি হ’য়ে যায়৷ এক পাড়ে ভালোবাসা, অন্য পাড়ে মন্দবাসা৷ মাঝখানে ব্রীজ৷ ব্রীজ পেরুনো হয়না কখনোই৷ তবুও সেই ব্রীজে হাঁটতে হাঁটতে নিচের বহতা নদীর দিকে তাকিয়ে বলি, এই বেশ ভালো আছি! স্বাগত হে ২০১৩!

December 31, 2012

এবারের থার্টি ফার্স্ট celebrate করবো পাহাড়ে। পাহাড়ি বন্ধুদের সাথে৷ আড্ডা, বার-বি-কিউ, গান৷ হৈ-হুল্লোড়৷ সন্ধ্যায় যাচ্ছি ওখানে৷ আপনার প্ল্যান?

January 11

Sweetest is the sleep at the night before the exam. All movies are good movies in that evening. Weakest is the promise to wake up early in the morning on the exam day.

January 12

We often fail to differentiate between people who like our facebook pictures and people who like us. Not all who like our pictures like us. Liking pictures has become just a facebook courtesy. How we look through the lens of the eyes counts, not through the lens of a camera.

January 16

অন্যদের মতামত থাকতেই পারে; সে হিসেবে প্রতিবছরই আমার পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত জমা হয়। আমি আমার জন্য প্রয়োজনীয় মতামত, যা আমাকে উৎসাহ দেয়, তাকেই শুধু গুরুত্ব দিই। অনেক সমালোচক টিভির সামনে বসে মতামত দিতে পছন্দ করেন। ওই সমালোচকেরা জানেন না, খেলার মাঠে আমার মনে কী কাজ করছিল, আমার শরীরের কী অবস্থা ছিল। এ জন্যই আমি তাঁদের থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি।
~ শচীন টেন্ডুলকার
(কথাটা খুব খুব ভালো লাগলো৷ সবাই পায় না, কেউ কেউ পায়৷ বাকীরা ২টা কাজে ব্যস্ত থাকে৷ তর্ক করা৷ হেয় করা৷ বুদ্ধিমানরা যুক্তি দেখায়, তর্ক করে; জ্ঞানীরা এগিয়ে যায়৷)

ভাবনা: তিনশো পঁচাত্তর

…………………………………………..

January 21

যে কখনোই কোন ব্যাপারে সম্মানিত হয়নি, সেই ব্যাপারে সে তোমাকে অসম্মানিত করার চেষ্টা করবে না, এমনটা আশা করাটাই বোকামি৷ ক্লাসে যে ফার্স্ট হয়না (হতে পারেনা), ফার্স্ট বয়/গার্ল-কে সে যতটা সমীহ করে, ঠিক ততটাই ঈর্ষা করে৷ প্রাপ্তিতে যার অনধিকার, ঈর্ষাতে তার পূর্ণ অধিকার৷ এই অধিকার ঈশ্বরপ্রদত্ত৷ তাঁর সকারণ কিংবা অকারণ পক্ষপাতিত্বের প্রতি নীরব ক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমেই শান্তিময় সহাবস্থানের দিকে সভ্যতা এগিয়ে যায়৷ সাথে আমরাও৷

January 25

…… enjoying a sunny winter morning at Baromasia Tea Estate, Fatickchari on a picnic from Bodhon Abritti School…… Life full of life!….. being lost to be discovered!

February 4

The tragedy about beautiful girls with brain: Either beauty spoils their brain or brain spoils their beauty… Some exceptions exist, however. But the irony is, they’re engaged or married!

February 12

বেআক্কেল ও বিরক্তিকর বন্ধু সরল ও আন্তরিক হলেও তার সাথে চলা কঠিন ও বিব্রতকর। এমনকি বেআক্কেলের innocence-এর জন্যেও আপনাকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে। বেআক্কেলের সাথে চলার চাইতে একলা চলা অনেক ভালো।

February 13

ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, কাল Valentine’s Day…… হুরররে!!
বেল পাকলে কাকের কী?…… Stupid কোথাকার!!
(ভালোবাসা দিবসের স্বগতোক্তি)

February 14

ইপিজেড থেকে দলে দলে পোষাক-কন্যারা বের হচ্ছে। কারো কারো হাতে, খোঁপায় গোলাপ, গ্ল্যাডিওলা, রজনীগন্ধা। চিরক্লান্ত চোখগুলো থেকে যেনো আলো ঠিকরে পড়ছে। সুন্দর খুশি খুশি মুখ। অপূর্ব! আচ্ছা, ভালোবাসা কি মানুষকে সুন্দর করে দেয়? ছেলেদের অনেকেরই হাতে সুদৃশ্য ভ্যালেন্টাইনস্ কার্ড।
ভালো কথা, আমার হাতও খালি নেই। আজকের পেপারটা আছে। প্রথম আলো।

February 24

গতকালকে সাড়ে তিন ঘণ্টার ঝড়ো-অভিযানে একুশে বইমেলায় কেনা বইগুলো:
1. অজগর — হরিপদ দত্ত
2. অন্বিষ্ট জীবন — আবু জাফর
3. অন্য নিরীক্ষা — শামসুদ্দিন চৌধুরী
4. অবিশ্বাস্য এক হীরক কোহিনুর — ইরাদজ আমিনী
5. আবু ইসহাকের উপন্যাস-সমগ্র
6. আর এক দৃষ্টিকোণ — রশীদ করীম
7. আলাপচারিতা — রাজু আলাউদ্দিন
8. ওয়ারিশ — শওকত আলী
9. কথা পরম্পরা — শাহাদুজ্জামান
10. কথাসাহিত্যে সাম্য — হরিপদ দত্ত
11. ক্রাচের কর্নেল — শাহাদুজ্জামান
12. কাজী আবদুল ওদুদের পত্রাবলী
13. কালসমুদ্রে আলোর যাত্রী — আবুল মোমেন
14. জাতিস্মরের জন্মজন্মান্তর — হরিপদ দত্ত
15. টুকরো ভাবনা — শাহাদুজ্জামান
16. দুই শিল্পীর টুকরো চিঠি — আহমেদ খালেদ
17. দ্য ক্রুসেডস্: দ্য ফ্লেইম অভ ইসলাম — হ্যারল্ড ল্যাম্ব
18. দেয়াল — হুমায়ূন আহমেদ (‘অন্যপ্রকাশ’ স্টলের সামনে গিয়ে একজন মহান মৃতের স্বচ্ছন্দ্-বিস্ময়কর শাসনে জীবিতদের অসহায় অবস্থা দেখে অভিভূত হয়েছি! কিছু কিছু মৃত ঈর্ষার ঊর্দ্ধে নন৷)
19. নন্দনতত্ত্ব — ইউরি বোরেভ
20. নিরাপদ তন্দ্রা — মাহমুদুল হক
21. প্রতিদিন একটি রুমাল — মাহমুদুল হক
22. পাউল সেলানের কবিতা
23. পাতালপুরী — মাহমুদুল হক
24. ফ্রানৎস কাফকা গল্প-সমগ্র
25. ফোকলোর — ড আনোয়ারুল করীম সম্পাদিত
26. বক্তৃতা সংগ্রহ (২ খণ্ড) — আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
27. বচন ও প্রবচন — মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
28. বাংলাদেশের উপন্যাসে জীবনচেতনা — ফরিদা সুলতানা
29. বাঙলার মুখ আমি দেখিয়াছি — শঙ্কর সেনগুপ্ত
30. বায়োস্কোপ, চলচ্চিত্র প্রভৃতি — শাহাদুজ্জামান
31. বিদায় গুলসারি — চিঙ্গিজ আইৎমাতভ্
32. বিশ্বনবী — গোলাম মোস্তফা
33. বিস্রস্ত জর্নাল — আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
34. ভালোবাসার সাম্পান — আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
35. মান্টোর শ্রেষ্ঠ গল্প
36. মির্জা গালিব — গুলজার
37. মোহাজের — হরিপদ দত্ত
38. রমণীয় রচনা (২ খণ্ড) — আবদুশ শাকুর সম্পাদিত
39. রশীদ করীমের প্রবন্ধ-সমগ্র
40. লোকসংস্কার ও বিবিধ প্রসঙ্গ — মোমেন চৌধুরী
41. সক্রেটিসের আগে — আহমেদ খালেদ
বই কিনি বেছে, পড়ি আরো বেছে৷ উৎসাহ পর্যাপ্ত, আলস্য অপরিমিত৷ কোনো এক সময়ে পুরোটা পড়বো, এই ঠুনকো শপথে বই ছুঁয়ে, একটু-আধটু উল্টে, গন্ধ শুঁকে আমার দিন কাটে৷ (মোটামোটা বই দেখলে ক্লান্ত লাগে৷ খুব ইচ্ছে করে, মাঝখানের একশো পাতা ছিঁড়ে একটু হাল্কা ক’রে নিই৷)
বন্ধুরা, উপরের লিস্টে নেই, কিন্তু থাকলে ভালো হতো, এরকম আরো দু’-একটা বই রিকমেন্ড করুন প্লিজ৷ (বইমেলায় বেছে বেছে বই কেনার জন্যে সাড়ে তিন ঘণ্টা খুব কম সময়৷)

February 28

একটা সময়ে অনার্স কমপ্লিট করার কোন ইচ্ছেই ছিলো না আমার। কেনো অনার্স কমপ্লিট করবো, এর স্বপক্ষে কেনো যুক্তিই ছিলো না আমার সামনে। মনে আছে, লাস্ট সেমিস্টারের ফাইনাল প্রজেক্ট ঝুলিয়ে রেখেছি বহুদিন। ইচ্ছে করেই। আমার প্রজেক্ট সুপারভাইজার সাকী কাউসার স্যার ছিলেন অত্যন্ত কঠিন হৃদয়ের খুঁতখুঁতে মানুষ। উনি আমাকে পাত্তাই দিতেন না, আমিও উনাকে পাত্তা দিতাম না। উনি আমাকে ঘোরাতেন যতটা, আমি উনাকে ঘোরাতাম তার চেয়েও বেশি। আমি আমাকে নিয়ে আমার মতো বেশ ছিলাম। ঘুমানোর সময়টাতে সময় নষ্ট না করে জেগে থাকার সময়টাতে স্বপ্ন দেখতাম। হ্যাঁ, আমি এরকমই। কিচ্ছু করার নাই!
জীবন আমাদের কোথায় নিয়ে যায়, আমরা কখনো জানতেই পারি না।

March 1

মোত্‍সার্টের আর্থিক দুর্গতি দেখে ইতালির সম্রাট জোসেফ অনুকম্পাপরবশ হয়ে এক সময় মন্তব্য করেন, “তুমি কেনো বড়লোকের মেয়ে বিয়ে করো নি?” আত্মপ্রত্যয়ী মহান সুরস্রষ্টা জবাব দেন, “মহামান্য, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যে নারীকে আমি ভালোবাসি, আমার প্রতিভাবলে তাকে প্রতিপালন করতে সমর্থ হবো।” হ্যাঁ, তিনি পেরেছিলেন। স্ত্রীকে স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পারেন নি, কিন্তু সুখ দিয়েছেন, শান্তি দিয়েছেন। সুরস্রষ্টা বাখের ক্ষেত্রেও তা-ই। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদগুলো পয়সা দিয়ে কেনা যায় না।

March 8

বেড়াতে যাচ্ছি। একা না, সে সাথে যাচ্ছে। সপ্তাহ শেষ! যত সহজে হ’য়ে যায় বলা, তত সহজে ক্লান্তি কাটে না। শরীর একটু ঘুমুতে চায়। শরীরই চায় শুধু। মন চায় না। মনের ক্ষমতা আর অক্ষমতা দুই-ই অসীম। মন আমায় বোঝে। মনকে বোঝে সে। বোঝেই না শুধু, বোঝায়ও। বোঝে, বোঝায়। আর বুঝি আমি। সে, আমি, মন। এই নিয়ে আমাদের ত্রিভুজ সংসার। অনেক পুরোনো। তাই বিশ্বস্ত। আমার বোধের সমান বয়স এই সংসারের। অবশ্য আমার বোধ আমার বয়সের চেয়ে বয়সে ছোটো। আহা কী স্বাধীন আমি! এ-ই কি সেই স্বাধীনতা, যা মানুষকে পরাধীনতার শেকলের দিকে টানে? যার তাড়নায় লোকে পরাধীন হতে এতো ভালোবাসে?
কক্সবাজারে যাচ্ছি। শান্তি নয়, স্বস্তির খোঁজে। অনেক উঁচুতে উঠে গেছি—এই ভুল ভেবে, কতটা নিচে নেমে যাচ্ছি, এই প্রাত্যাহিক ঠাসবুনোট বোধোদয়ের অস্বস্তি থেকে মুক্তির সহজ মোহে।

March 9

ছেলেটা যেখানটায় বসে আছে, তার ডান দিকে সমুদ্র, বাম দিকে পাহাড়। কফির মগ হাতে। উদ্ধত পাহাড়কে পেছনে ফেলে রেখে সাগরের বিশালতায় একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে হারিয়ে গেছে সে। পৃথিবীর ভেতরে অন্য এক পৃথিবীতে। মারমেইড ক্যাফের ক্র্যাব আর লবস্টার-এর স্পাইসি ফ্লেভার পর্যন্ত তাকে বিচলিত করতে পারছে না এতটুকুও। সবকিছু ভুলে গিয়ে বেশ আছে সে। নিজের সাথে একান্তে নিভৃত আলাপচারিতা। দূর থেকে ভেসে আসা সাগরের এলোমেলো হাওয়ায় স্তব্ধতার অনুবাদে ব্যস্ত সে। নৈঃশব্দ্যের আজ ছুটি।
নিজেকে নিজের মতো ক’রে সময় দিচ্ছে সে। সে আমি।

March 11

চাকরি বড়ো অদ্ভুত জিনিস৷ এখানে যখন কারো উপকার করতে পারবেন, তখন সে আপনার প্রশংসা করবে তার স্ত্রী-পুত্র-কন্যা-আত্মীয়-স্বজনের কাছে৷ আর না পারলে আপনার সম্পর্কে উল্টা-পাল্টা কথা বোঝাবে আপনার বসকে৷ এখানে ঠিক কাজের জন্য ভবিষ্যতের রিওয়ার্ড হয়তো পাবেন আল্লাহর কাছ থেকে৷ আর ভুল করলে তার জন্যে নগদে পানিশমেন্ট পাবেন বসের কাছ থেকে৷

ভাবনা: তিনশো ছিয়াত্তর

…………………………………………..

March 16

একটা মেয়ে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে যে কথা সে ভাবছে, সেই কথাটাকে। কথাটায় সত্যতা থাক বা না থাক, তা একবার ভেবে ফেললে আর নিস্তার নেই। সেটা সত্য হয়ে ওর ভেতর থেকে ওর সামনে চলে আসবে। এক চুলও সরানো যাবে না ওকে। মেয়েরা সত্যিই বড্ডো বেশি ছেলেমানুষ। ওদের হারিয়ে দেয়ার অন্ততঃ একশো’ টেকনিক আছে, যার একটাও কাজ করে না। তাই ওদের জিতিয়ে দেয়াটাই আর্ট। এর শান্তিপূর্ণ চর্চাই পৌরুষ।
বিবাহিত, প্রায়-বিবাহিত এবং অর্ধ-বিবাহিত বন্ধুরা কী বলেন এ ব্যাপারে?

March 21

শুকরের সাথে লড়তে যাবেন না। ও চাইবেই আপনি ওর পর্যায়ে নেমে যান, আপনার গায়ে নোংরা লাগুক। ওর কিন্তু হারানোর কিছু নেই। আপনার গায়ে নোংরা লাগলেই ওর লাভ। আপনি নীচে নামলে ও জাতে ওঠে। কারণ এতে আপনি হয়ে যান ওর সমপর্যায়ের, সমগোত্রের। তাই হয় ওকে দূরে সরান, অথবা আপনি নিজেই নিরাপদ দূরত্বে সরে যান। (ফেসবুকের আনফ্রেন্ড/ব্লক বাটনটা মাঝে মাঝে খুব কাজে দেয়। আই জাস্ট লাইক ইট সামটাইমস্!)
উপরের কথাগুলোর কাছাকাছি কিছু কথা পড়েছিলাম বোধ হয় শিব খেরার বইতে। সবসময় মানতে পারি না এই শক্ত শক্ত কথাগুলো। তবুও মাঝে মাঝে মনে হয়, দুষ্ট শুয়োরের চেয়ে শূন্য খোঁয়ার অনেক ভালো।

March 30

কালকে ‘প্রথম আলো’ বিসিএস ভাইভা নিয়ে আমার একটা লেখা ছাপবে। ‘স্বপ্ন নিয়ে’ পাতায়। এই পাতায় লেখার মজা হচ্ছে, স্বপ্ন নিয়ে লেখা যায়। আগেও দু’বার লিখেছি। ভালোই লাগে। সবাইকে বলা যায়, স্বপ্ন দেখা দোষের কিছু না। তবে স্বপ্ন দেখার পর খোয়াবনামা টাইপ কোনোকিছু পড়া যাবে না। এতে স্বপ্নের শক্তি আয়ু দুই-ই কমে যায়। স্বপ্নের মাথামুণ্ডু থাকতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। স্বপ্নকে স্বপ্নের মতো থাকতে দাও। স্বপ্ন সত্যি হ’লেই তো হ’লো।
সমস্যাটা হলো অন্য জায়গায়। প্রতিবারই আমার স্বপ্নদেখানোর স্টাইলে সম্পাদকীয় ব্যবচ্ছেদ চলে। বিসিএস-এ ফার্স্ট হওয়া ছেলে গম্ভীর মুখে সিরিয়াস সিরিয়াস টাইপ কথাবার্তা বলবে। সে হোয়াই-সো-সিরিয়াস টাইপ উপদেশ দেবে না। নিষেধ আছে। কঠিন কথা কঠিন ক’রেই বলবে, সহজ ক’রে নয়। তার হাতে বেত থাকবে, গোলাপ নয়। এইসব টিপিক্যাল ফার্স্ট বয়দের দেখলেই তো গা-জ্বালা করে। নিজের কথা নিজের মতো ক’রে বলতে না পারার যন্ত্রণা অনেক। লেখা সন্তানের মতো। নিজের সন্তান খোঁড়া হলেও দেখতে ভালো লাগে।
কলমের নির্মম খোঁচায় বেচারার কী হাল হয়েছে, সেটা দেখতে আমিও অপেক্ষায় আছি। আপনাদেরও পড়ে দেখার আমন্ত্রণ রইলো।

April 5

‘নৌকাডুবি’ পড়া হয় নি আগে। আজ দেখলাম। না দেখেই বেশ ছিলাম। হেমকে খুঁজছি সেই কবে থেকেই। জেগে জেগে, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে। বেঁচে আছি ওর সাথে থাকবো ব’লে। হেম-মার্গারিট-শবনম-বনলতা’য় মিশে যাই। মাঝে মাঝে তব দেখা পাই। স্বপ্নকন্যারা থাকে সেলুলয়েডের ফিতেয়। বইয়ের পাতায়। অথবা অন্যের ঘরে। (হায়! বেশিরভাগ সময়েই, ভুল ঘরে।) দেশে-বিদেশে কাটছিলো এই ক’দিন। সুনীল-হুমায়ুন-অন্নদাশঙ্কর-মুজতবা’র কাঁধে চেপে পায়ের তলায় সর্ষে নিয়ে কী সুখেই না ছিলাম! এরই মাঝে সর্বনাশা রবীন্দ্রনাথ। ব্যাটা বুড়ো, তুমি সব জানো, বেশি বোঝো! ইস্! তোমার মতো ক’রে ওদের ভোলাতে পারতাম! তোমার ঘরে বসত না ক’রে ওরা আমাদের ঘরে আসে না। (আসলেও নেবো না।) তোমার ফার্স্টহ্যান্ড গার্লফ্রেন্ড, আমাদের সেকেন্ডহ্যান্ড প্রেমিকা। হায়! এ-ও কি আর মেলে? হে বিধাতা! তোমারও যাতে অনধিকার, তাতে কবিরে কেনো দিলে মিছে অধিকার?

April 6

যখন আমি প্রেমিক হই, আমার প্রথম অনুভূতি, আমি সামান্য নই। নিজ সম্পর্কে খুব দক্ষতার সাথে অবিরাম মিথ্যে বলতে থাকি, জ্ঞান থাকুক কিংবা নাই থাকুক, বিশ্বাসযোগ্য ক’রে তা ফলাতে চেষ্টা করি, হাস্যকরভাবে নিজের স্মার্টনেস জাহির করি। কাক হ’য়েও ময়ূরের মতো নাচি। নিজের কাছে সবাই তো ঋত্বিক রোশন। প্রেমিকাই বা বাদ যাবে কেনো? হোক না সে অন্যের প্রেমিকা। স্রেফ প্রেম-ই তো, ভালোবাসা তো আর নয়। মেয়েদের ২টা স্বভাব মজ্জাগত। কনফিউসড্ হওয়া। ইমপ্রেসড্ হওয়া। ওরা হয়-ই। মাঝে মাঝে কারণে, প্রায়ই অকারণে।

April 6

স্বর্গে বিদ্যাসাগর মশাইয়ের কোলে বসে আছে মেরিলিন মনরো, দু’জনে গলা জড়জড়ি। পাশ দিয়ে যেতে যেতে তা দেখে লজ্জায় চোখ ফিরিয়ে নিলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। বিদ্যাসাগর তাঁকে ডেকে বললেন, এই লজ্জা পাচ্ছিস কেনো, এদিকে আয়। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আমতা আমতা ক’রে, বিবসনা মেরিলিন মনরো’র দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললেন, গুরুদেব, আপনি দেশের জন্য কত কী করেছেন, কত কৃচ্ছ্রসাধনা, সেই পুণ্যফলে আপনার এরকম একটি সুন্দরী নারী তো এখানে প্রাপ্য হতেই পারে! বিদ্যাসাগর মশাই দু’আঙুলে হরপ্রসাদের পেটে চিমটি কেটে বললেন, ওরে, তুই আজও মূর্খ র’য়ে গেলি? বুঝলি না, এটা কী আমার পুণ্যফল, না এই মেয়েটার পাপের শাস্তি!

April 9

এই যে অজ্ঞাতসারে গভীর কোনও দোষ ক’রে ফেলার অনুভূতি, এটা প্রায়ই ফিরে ফিরে আসে। এক এক সময় সেই অপরাধবোধ এমনই তীব্র হয় যে তারপরেই মনে হয়, বেঁচে আছি কেনো? টুপ ক’রে ম’রে গেলেই তো সব ল্যাঠা চুকে যায়। সেই মৃত্যুচিন্তা বড় মোহময়, যেন এক অনন্ত রহস্যের হাতছানি। রাস্তায় রাস্তায় পাগলের মতন ঘুরছি আর মনে হচ্ছে, এই পৃথিবী থেকে নিঃশব্দে হারিয়ে যাওয়াই তো সবচেয়ে ভালো। এইটাই একমাত্র সিদ্ধান্ত, যা আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এই হারিয়ে যাওয়া মানে কি আত্মহত্যা?
– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পড়ে অভিভূত হ’য়ে গেলাম। আচ্ছা এই ভাবনা কি সবারই হয়? পৃথিবীর সব মানুষই কি কম-বেশি একই রকমই ভাবে? আমি তো এই ভাবনা নিয়ে কাটিয়েছি কত অন্ধকার দিন। মৃত্যুচিন্তা চমত্‍কার! এই মৃত্যুই আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলো একদিন। পথ না হারিয়ে পথ খুঁজে পেয়েছে কে কোনদিন

April 10

বিড়ি হচ্ছে অভিমানী প্রেমিকার মতন, তাকে ঘন ঘন চুম্বন দিতে হয়, চুমু দিতে দেরি হ’লেই সে মুখ কালো ক’রে ফেলে।
– শক্তি চট্টোপাধ্যায়
তুলনাহীন গা-বাঁচানো তুলনা। ব্যাটা, তুমি বিড়িকে চুমু খাওয়ার সময় আমাকেও সেই চুমু খেতে বাধ্য করো ব’লে যতটা বিরক্ত হই, ঠিক একইভাবে তোমার প্রেমিকাকে চুমু খাওয়ার সময় আমাকেও সেই চুমু খেতে বাধ্য করলে ততটা বিরক্ত হতাম নাকি? অভিমানীর অভিমান ভাঙাতে ওইটুকু স্যাক্রিফাইস তো সেক্ষেত্রেও আমি করতামই হয়তো, তাই না?

April 12

এত্তো এত্তো ক্রাশেস্ আর কনফেশনস্ দেইখ্যা মাথা আউলাইয়া গ্যাসে! আরেকবার চুয়েটে পড়তে মুঞ্চায়!

April 14

শুভ নববর্ষ ১৪২0।
পুরোনো বছরে আমার যত ভুল, আমাদের যত ভুল বোঝাবুঝি অথবা ঠিক বোঝাবুঝি (যখন ভুলগুলি আমারই ছিলো, ওরকমই থাকে প্রায়ই) সব কিছুকে ভুলে গিয়ে প্লিজ আরো একটা বছর একটু কষ্ট ক’রে আমার সাথে থাকুন।
তবে কথা দিতে পারছি না যে এই বছরে আর কোনো ভুল করবো না। ভুল না করলে বাঁচবো কীভাবে! ভয় কী, সামনের বছরটা তো থাকলোই। আর ফেসবুক তো আছেই! আবারো ক্ষমা চেয়ে নেবো। ব্যাপার না!
April 20

একে তো মেয়ে, তার উপরে ডাক্তার। ভাবের ঠ্যালায় বাঁচা দায়! ডাক্তার মেয়ে বিয়ে ক’রলে লাইফ কেরোসিন ক’রে ছেড়ে দিবে। ডাক্তারে ডাক্তারে বিয়ে হওয়াই বেটার।
কথাটা কতটুকু ঠিক?

April 24

অল্প বয়সে সাফল্য জুটে গেছে ব’লে আমি বেঁচে গেছি। তার মানে বাদবাকি জীবনে সত্যি সত্যি আমি যা ক’রতে চাই, তা-ই ক’রতে পারি। শুধু সাফল্যের জন্য গোটা জীবন বরবাদ হ’য়ে যাওয়াটা সাংঘাতিক।- জন লেনন
দারুণ লাগলো কথাটা। উনি যা, তা-ই ছিলেন শেষ অবধি। অন্যকিছু হ’য়ে যাননি। এটাই বোধ হয় প্রতিভা। স্রেফ জেনে যাওয়া, আমি কী। আমি তা-ই থেকে যাবো এবং সবচে’ ভালোভাবে থেকে যাবো, ততটাই যাতে ক’রে অন্যরা আমার কাছ থেকে কী চাইছে সেটা যদি অন্যরকম হয় আমার চেয়ে, ওটা ভেবে কখনো যেনো আফসোস না হয়। ওরাও যেনো বোঝে, ওরা ভুল বুঝেছিলো। সবার জন্যে তো আর সবকিছু না।

May 1

পৃথিবীতে তিন ধরণের সৌভাগ্যবান পুরুষ আছে।
ধনীর দুলাল
ধনী
ধনীর একমাত্র জামাতা

May 4

What is a good job?
The job that gives you (most importantly) 2 things:
~ Money & Status you need
~ Time to enjoy that money & status in your own way
Most of the jobs lack the 2nd part. We lose our present happy moments hoping for future happier moments staying unhappy (seemingly) forever.

May 7

ব্যাংকার আর কাস্টমস্ অফিসারের মধ্যে মিল কোথায়? কাজের প্যাটার্নের আইরনিতে।
পরের সুন্দরী বৌ/ প্রেমিকা’কে স্রেফ পাহারা দিয়ে আর দেখে’ই খুশি থাকতে হয়।

ভাবনা: তিনশো সাতাত্তর

…………………………………………..

May 17

Among our batchmates, probably I was the first person who took the risk to explore the avenue of traditional business. But not always it’s easy to walk on the path less travelled. Educated entrepreneurs must have the guts to walk away from the apparently secured well-paid jobs and stay on that out-track at least as long as success shows its first sign. Things are not that easy. Now I’m a derailed engineer. I started with my coaching centre, later entered the stock market taking some calculated risk (God bless the investors including me! Your friend says, money is nothing? Ok fine, tell him to invest in the share market.) My succession of such attempts ended in establishing my own gift business branding by the name DOVANA. I owned 2 shops and I’d always dreamt of being a business magnet extending my domain over some other sister concerns as well till the date my dream transformed meeting newer impulses. (Lucky I’m as I did never have to regret for my new impulses.) Yes, I was planning to kill my brainchild. To become successful you’ve to start young. It’s even more important to fail young if you really want to fail in any of your attempts. To fail successfully is an art. Now I feel, sometimes failures are good and life-saving. I always found myself in a position that I hardly seemed very comfortable with. When I saw my friends already having crossed a long way, I felt just helpless. Gradually they were becoming the top professionals in their respective sectors. If you’re not accustomed to being considered ‘Nobody’ by others since your childhood, it’s difficult to see yourself ‘Nobody’ even for a short time. I strongly felt only walking or running at least to catch them was not enough, I must take a flying leap! I was struggling to win, but fighting with small people was constantly giving me a hollow inferior feeling. I was out there alone on my own island, and I felt like I was disengaged……. Even if you win by fighting with small people it gives you a feeling that you’re the kind of them, just a mediocre talent. Success in business is an extremely selfish game. Maybe, you’re thinking, ‘Huh! I’m already much selfish,’ but to have won more than others you would have needed to be more selfish than you really are……… I always talked to my engineer batchmates (I belong to ’02 batch) and used to insist we better start a software business. I found only a few really serious in words, fewer in action. The easiest way to start anything is just to start it. Everyone around me wanted to start a journey of a thousand miles; no one was willing to put even the first step. I know it’s true not always taking risks is easy especially when you’ve been brought up in a surrounding full of millions of NO’s. How easy it is to say NO to an attempt! Not always life sounds so easy as to stay indifferent to all the opportunity costs and be connected with your dream when it belongs to elsewhere contrary to common expectation. You start feeling that maybe you’re going to be a just nobody for whom just nothing is waiting. It’s horrible to be just a NOBODY to others. All the time you’re thinking, planning, hoping about your dream and at the same time wondering what would happen if you find yourself in the wrong place when it’s too late. (One thing I can tell you: Never it’s too late to realize it’s already getting late.) Life didn’t come to us with a user-manual. So, it’s our right to use and to abuse it! I can tell you for sure that playing with life is a wonderful game, but you must carefully make it sure that it remains wonderful at the end of the day. Winners stand alone only because only a few can really win. Living unremembered, unrecognized can give you the worst feeling, I can say. Not always life is so smooth as to stay complacent with, ‘I think, therefore I’m’ principle, life makes you feel the urge to start believing, Identity is more important than existence. Others think, therefore, I am. Now I believe, deciding what you really want matters. It took me almost 2 decades to decide what I really want. When I’d decided finally, it took me only a few months to get what I really want. Whatever you do, job or business or anything else, you must work not only hard but also smartly to become successful enough to smile and not to be embarrassed seeing others smile at your previous ‘sweet failures’. Failures are never meant to be sweet. It’s your success that makes them sweet. Sometimes your best role model is only YOU in a better state you could be. Not always success is being anyone else you dream of being, rather being a new YOU better than previous YOU or not degrading your better YOU if you already are. Hardly, things not worth-challenging are worth-getting. Success is all about earning not deserving. The easiest way to make people admit you deserve something is only to earn it. Fact is, your success is what you think you earn, your failure is what others think you deserve….. Success. It’s just living without sighs. It’s just dancing in the manner you want and making people think you dance well even if you don’t. It’s making your style others’ favourite brand even if it’s foolish. It’s sometimes making people laugh listening to your even worst jokes. It’s making others hear you even when you don’t speak. It’s taking the opportunity to tell others that meeting your previous millionth failure was essential, anyway. It’s making your failures worth-mentioning by you or by others. It’s just what it’s, not the opposite of failure as often popularly told and wrongly believed. Throughout my life I’ve followed a simple technique. I always have the highest respect for any peak I’m trying to reach and I make the successful persons my heroes. It gives me a great drive! Really! Even a child wants to become the hero he dreams of. It’s easy to work for something when you really admire, in any job, in any business. Your business is like your child. You cannot expect your child to be a complete man overnight. Similarly, you cannot expect your business boom before you become used to the bitter reactions from the people around you. People have a natural talent of undermining your attempts to which they are not familiar with or don’t feel comfortable about. There are some people who can never appreciate. So, it’s foolish to judge yourself by what they say. Kind words are healthier than chicken soup. Have a bowl of healthy soup—-served (if you’re lucky enough) or self-served (if you want to make your own luck). Get busy living. I’ve always found this: learnt free, lost paid. So, invest before you earn. Get inspirations from people who never stop before they cross the miles to go before they sleep. Quitters are never winners. Que sera, sera—Whatever will be, will be. Things are that they’re, things will be that they’ll be. If you quit, only you quit. Some won’t quit and will reach the peak. The easiest way to finish something is to start it. Once you start, you’re surely on the way to the end. If you finish before it finishes, you must search for another way. Not always a new way is better rather sometimes it brings newer pains. If you still don’t know what to do, ask your heart. Do what you love, love what you do. Your heart strangely somehow knows better than you. Never ask a blind man to help you cross the road because he is also trying or has failed to cross it. If you can’t see ask someone who has already seen. Better to live 1 minute with a wise man than to stay 1 hundred years with an idiot. First decide, deserve and then desire. These 3 D’s can give you what you and others want from your life. Not always life is easy, but it’s still worth-living. Tough time doesn’t last long for the tough men. Be that tough. Don’t tell the world what you can do, let the world tell it for you. Your actions speak much louder than your words. Don’t challenge others, challenge yourself because at the end of the day what all you’re left with, is only yourself. It’s never too late, rather being late is good as you’ve already paid the price for mistakes that others haven’t yet. Know what to do, learn how to do it and JUST DO IT! Be that tough guy for whom time waits as he has refused to shape his life with time, by time, for time. Remember, only your results are rewarded, not your efforts. This is the way the world accepts or rejects you. Good luck!

ভাবনা: তিনশো আটাত্তর

…………………………………………..

May 9

যারা এসএসসি’তে ভালো ক’রেছো, তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।
সফলদের কাছের মানুষদের একটা ছোট্টো অনুরোধ ক’রছি। খেয়াল রাখবেন, সামনের দিনগুলোতে ওদের যা কিছু অর্জন আসবে, তা যেনো এই অর্জনকে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না করে। অল্প বয়সে সাফল্যের ধকল কিন্তু অনেকেই সামলাতে পারে না। সুনীলের কোনো এক সাক্ষাতকারে যেন পড়েছিলাম, আত্মতৃপ্তি মৃত্যুর সমান।
যারা অতটা সফল হ’তে পারোনি যতটা তোমরা আশা ক’রেছিলে, তাদের ব’লছি, কম বয়সে কম-সফল’দের তালিকায় ঢুকে যাওয়ার একটা মস্তো বড়ো আপাত সুবিধা আছে। তা হ’লো, তোমাদের সফলরা সহজ টার্গেট ভাববে। সফলদের এই ভাবনার স্বাচ্ছন্দ্যই ওদের ক্রমশ দুর্বল ক’রে দেয়। এটাকেই কাজে লাগাও। পৃথিবীতে নোবডি হ’য়ে থেকো না। যে যা-ই বলুক, এটা নিশ্চিত, নোবডি-দের জন্যে এই পৃথিবীতে শুধু নাথিং-ই বরাদ্দ থাকে।
গুড্ লাক্!

May 10

আবারও জানলাম……. বেঁচে থাকাটাই আনন্দের।
জানলাম, কেউ কেউ অমর হ’য় অন্যভাবে……. না ম’রে, স্রেফ বেঁচে থেকে।
রেশমা, তোমাকে দেখে সবাই শিখুক, মৃত্যুর সাথে ঠাট্টা করাটাই জীবন! কী আশ্চর্য রকমের সুন্দর আমাদের এই বেঁচে থাকা!
বোন, তোমায় স্যালুট।

May 11

Dear girls with beauty
Please take at least a little care of your brain (if any at all) in the same way as God is taking care of your beauty.
Dear girls with brain
Please take at least a little care of your beauty (if any at all) as God is busy taking care of your brain.
Don’t blame God. Rather look for a solution, at least for others’ comfort.
Best wishes & Regards

May 12

Thank you Maa for what you are. Thank you Maa for what you are not.
Thank you Maa for what I am. Thank you Maa for what I am not.
I am because you were & are. I am sorry as I have always taken all your favours for granted and have hardly been grateful enough to thank you. I am sorry as I am hardly careful enough to ask, “Hello Maa! How are you today?” We are pathetically preserving all our Thank You’s to say them when it is too late. Always, it is high time to say, Thank You. NOW, NOT LATER! The greatest mistake we do is, we think, we have time.
Thank you God & Nature for creating this masterpiece.
Happy Mother’s Day.

May 22

একটু আগে জেন্টস্ টয়লেট থেকে যাকে বের হতে দেখলাম, তাকে ঠিক পুরুষ মনে হলো না। কিয়্যুরিয়াস হয়ে কাছে গিয়ে আবিষ্কার ক’রলাম, ঠিক টয়লেট থেকে (হয়তো) ঠিক কাজটি সেরে বেঠিক অবয়বে ঠিক মানুষটিই বেরিয়েছেন। দীর্ঘকেশা যুবক। আহা! ওর সিল্কি সিল্কি মিষ্টি কেশ যেকোনো রমণীর বুকেও ঝড় তুলবে। ঈর্ষার।
এই এয়ারপোর্টে কাজ ক’রতে গিয়ে আমার যে মস্তো সুবিধে হয়েছে, তা হ’লো এই, পৃথিবীর তাবত্‍ চিড়িয়াখানার যাবতীয় মজা এখানে একসাথে পাওয়া হ’য়ে যায়। সাথে কিছু বোনাসও। বিনা উপলক্ষ্যে অবাক হওয়ার বোনাস। এই চিড়িয়ারা বড্ডো বেশি আনপ্রেড্কিটিবল। এখানে পোস্টিং পাওয়ার পর থেকেই চিড়িয়া হিসেবে অনেক বছর ধ’রে জমা হওয়া আত্মবিশ্বাস প্রতিদিনই কমছে। একটু একটু ক’রে। দেশে ফেরা লোকজনের অনেকেই আমাদেরকে বড্ডো বেশি আপন ভেবে ‘তুমি’ ‘তুমি’ সম্বোধন করেন। গায়ে পড়ে আপন ক’রতে চাওয়া পাবলিক খুব একটা সুবিধার হয় না সাধারণত। অপরিচিত লোক ইনফরমাল হবে প্রথম পরিচয়েই, এটা মানতে আমার বরাবরই আপত্তি। কিছু কিছু কাজে জেন্টলম্যান অ্যাটিচিউড্ কাজটিকে অনেক সহজ ক’রে দেয়। পরে দেখলাম, দে রিয়েলি ডোন্ট মিন অ্যানিথিং হোয়াইল ডুয়িং সো। আপনি থেকে তুমিতে আসার সাধারণ ব্যাপারটাতে চাটগাঁয়ের লোক উল্টোরথে চলে। খুবই আন্তরিকতার সাথে দুর্বোধ্য আঞ্চলিক টানে গালিকথা কিংবা কথাগালি’তে কথার সুরই যেনো কোথায় হারিয়ে যায়। ওরা খুব ইমোশনালও। ‘ওরা’ ‘ওরা’ বলাটা আসলে ঠিক হচ্ছে না। আমি নিজেও ওদেরই দলভুক্ত দলছুট মানুষ। (আমি খুশি, নোয়াখালি আর সিলেট-এর লোকজন দয়া ক’রে চিটাগাং এয়ারপোর্ট দিয়ে খুব একটা নামে না।) বলে, এতো রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন ক’রে কেনো চোরের মতো দেশে ঢুকতে হবে? কীসের চেকিং-ফেকিং? স্বার্থের প্রয়োজনে সবাই দেশকে রেপ ক’রতে পছন্দ করে। এবং করে। এটা অনেক রিস্ক-ফ্রি। ইমোশন মিশিয়ে কৌশলে এটা ক’রতে পারলে শাস্তি তো হয়ই না, বাড়তি পুরস্কারও জুটে যেতে পারে।
সেই এলোকেশী (থুক্কু, কেশা) ‘লাভলি ম্যান’কে পেছন থেকে দেখে যে কনফিউসড্ আকর্ষণে ছুটে গিয়েছিলাম, তাতে দোষ আমার পারফেক্ট ব্যাচেলর হৃদয়ের আর কবিদের। ছেলেদের ঘনকালো লম্বা চুল নিয়েও অন্তত দু’একটা কবিতা লেখা হোক। (জীবনানন্দ, আবার ফিরে আসো, তোমার পিলিজ লাগে। বনলতার যুগ শেষ। বনমানুষ এসে গেছে। ওদের কবিতাও চাই।) মহিলা কবিরা ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখবেন কি? কবিদের সুবিধের কথা ভেবে ‘লাভলি ম্যান’রা চুলের দৈর্ঘ্যের ব্যাপারে আর একটু উদার হতে পারেন। এখন সময় এসেছে ‘দীঘল’ শব্দটাকে জেন্ডার ইক্যুয়িটির আওতায় নিয়ে আসার। ‘হ্যান্ডসাম ওমেন’দের ড্রেসে যে দৈন্যের যে ছাপ দেখতে পাই, চুলেও সেটার ছাপ দেখি না কেনো পুরোপুরি? আর একটু ছোট ক’রে চুল রাখলেই তো আপনাদেরকে ‘লাভলি ম্যান’দের থেকে আলাদা করা যেতো সহজেই।
তীব্রভাবে ভালোবাসবার কিংবা ঘৃণা ক’রার ক্ষমতা বয়স যতোই বেড়েছে ততোই হারিয়েছি বোধ হয়। তবুও মেয়েদের আমার ভালো লাগে। সুন্দরী হ’লে তো আরও ভালো লাগে। ওদের সবকিছুই ভালো লাগে। কঠিন চোখ রাঙানোই হোক, মিষ্টি হাসিই হোক। স-বব্….. ছেলেদের যে কী দায়সারাভাবে তৈরী করা হয়েছে! ওরা আছেই মেয়েদের ঢং দেখে ‘ওয়াও! কী স্মার্ট’ এটা বলার জন্য। আমিও বলি। সামনাসামনি বলতে ইচ্ছে হয় খুউব। মঙ্গলবারের ‘প্রথম আলো’র ‘নকশা’ পাতাটা ওল্টানোর সময় আরো বেশি ইচ্ছে হয়। আমার লজ্জা-শরমের মাথাটা কোথায়, এটা খুঁজছি অনেকদিন ধ’রে। একবার খুঁজে পেলেই সত্যি সত্যি খপ্ ক’রে ধ’রে খেয়ে ফেলবো। ইশশশ্…….

May 25

অ্যালবার্ট হল৷ বিশাল জনসভা৷ সভার সভাপতি আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ৷ মানপত্র পাঠ করেন এস ওয়াজেদ আলি৷ উচ্ছ্বসিত আবেগে সংবর্ধিত ব্যক্তির সাহিত্যমানসে বন্দনায় বক্তৃতা করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু৷ যাঁকে ঘিরে এত কিছু, এই আয়োজন তাঁর বয়স মাত্র ৩০৷ তিনি নজরুল৷ এত কম বয়সে আর কারো ললাটে এই রাজটিকা জুটেছিলো কি?
রাজবন্দীর জবানবন্দী’তে নজরুল বলেছেন:
“আমার উপর অভিযোগ, আমি রাজবিদ্রোহী। তাই আমি আজ রাজকারাগারে বন্দি এবং রাজদ্বারে অভিযুক্ত।… আমি কবি,আমি অপ্রকাশ সত্যকে প্রকাশ করার জন্য, অমূর্ত সৃষ্টিকে মূর্তিদানের জন্য ভগবান কর্তৃক প্রেরিত। কবির কণ্ঠে ভগবান সাড়া দেন, আমার বাণী সত্যের প্রকাশিকা ভগবানের বাণী। সে বাণী রাজবিচারে রাজদ্রোহী হতে পারে, কিন্তু ন্যায়বিচারে সে বাণী ন্যায়দ্রোহী নয়, সত্যাদ্রোহী নয়। সত্যের প্রকাশ নিরুদ্ধ হবে না। আমার হাতের ধূমকেতু এবার ভগবানের হাতের অগ্নি-মশাল হয়ে অন্যায় অত্যাচার দগ্ধ করবে…।”
মোটামুটি বাইশ বছরের সাহিত্যজীবনে প্রথম দশ বছরেই তিনি তাঁর অধিকাংশ বিখ্যাত রচনা লিখে ফেলেন৷ এই অভাগা, ভাগ্যবিড়ম্বিত, কলহপরায়ণ, দুর্বলচিত্ত জাতির উদ্দ্যেশে এত রোমাঞ্চভরে তাঁর আগে কেউ কখনো বলেনি, “বল বীর, চির উন্নত মম শির”৷ নানা প্রতিভার রহস্যময় বাঁকে ব্যাখ্যাতীত সাহিত্যপ্রডিজি আমাদের বড়ো আদরের এই নজরুল৷
“নজরুল সেই বিরল অসামান্যদের একজন যাদের ঠিক একটা ছাপা চেহারায় চেনা যায় না৷” (-প্রেমেন্দ্র মিত্র)
এই অসাম্প্রদায়িক ‘মুক্ত জীবনানন্দ’ কবির ১১৪তম জন্মজয়ন্তীতে রবি ঠাকুরের আশীর্বাণীতেই বলি,
“কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু।
আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।”