ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা (৮৩তি অংশ)

ভাবনা: পাঁচশো পঁচাত্তর

……………………………………………………

24 May 2014

Height of irritating:

:Please just stop it!! I’m too busy even to be irritated!! Just go to Hell!!

:Am I irritating you?

:You’re just a pest! Please leave me alone!!

:What have I done? Why are you so rude??

:I’m too irritated to reply!! Go hang yourself!!

:Are you meeting me or not?

:

:Please reply. You can say just YES or NO.

:

:Should I buy 2 Cineplex tickets? Am I still irritating you??

:

:Hey! What do you mean by ‘irritating’?

1. Am I irritating?

2. Is the situation irritating?

Please let me know. You can also reply in short writing just 1 or 2. It’s important for me to know. Please reply. I’m waiting for your response.

:

:Why are you always so silent? Am I irritating?? (God bless her.)

27 May 2014

বৃষ্টি! বৃষ্টি!! ভূনা খিচুড়ির সাথে ইলিশ মাছ ভাজা আর আচার মেশানো বিফ ভূনা খাইতে মঞ্চায়।

28 May 2014

সকালসকাল একটা মন ভালো-ক’রে-দেয়া খবর। এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জার্সি বাংলাদেশে তৈরী। রানা প্লাজা আর তাজরিন গার্মেন্টস ট্র্যাজেডিতে নিহত পোশাক শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জার্সির নিচে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির ফুটবল সংস্থা। আমরা খেলছি না, তবে একটা টপ ফেভারিট দলকে খেলায় সহযোগিতা ক’রছি। এও বা কম কীসে? ব্রাজিলকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। ব্রাজিল টিমের জন্যে শুভকামনা।

30 May 2014

এতোটা আস্থা, পরম নির্ভরতা আজকাল কেউ আর রাখতে পারে না বোধ হয়। কেনো? দু’টো কারণ থাকতে পারে।

এক। অতোটা সমর্পণ কোনো মেয়ে এখন আর ক’রতে চায় না হয়তো।

দুই। অতোটা সমর্পণ করা যায় এমন মানুষ এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না হয়তো।

গানটা শুনলে এরকম ক’রে কাউকে ঠাঁই ইচ্ছে হয় খুউব।

সুখে আমায় রাখবে কেন

রাখো তোমার কোলে;

যাক-না গো সুখ জ্বলে।

যাক-না পায়ের তলার মাটি,

তুমি তখন ধরবে আঁটি,

তুলে নিয়ে দুলাবে ওই

বাহু-দোলার দোলে।

যেখানে ঘর বাঁধব আমি

আসে আসুক বান–

তুমি যদি ভাসাও মোরে

চাই নে পরিত্রাণ।

হার মেনেছি, মিটেছে ভয়,

তোমার জয় তো আমারি জয়,

ধরা দেব, তোমায় আমি

ধরব যে তাই হলে।

31 May 2014

হায়! এমন বৃষ্টির দিনেও অফিসে থাকতে হয়! মনে পড়ছে, যখন চাকরি ছিলো না, তখন টিএসসি-র আশেপাশে রিকশার হুড ফেলে দিয়ে কতোদিন বৃষ্টিতে ভিজেছি। ছাতা বন্ধ করে হাতপা ছুঁড়েছুঁড়ে কদম ফুল হাতে নিয়ে ডিসি হিলের পাশ দিয়ে বৃষ্টিতে হাঁটা। ইসস!! এখন কতো কতো ইচ্ছেঘুড়িকে চাকরির কাছে বেচে দিয়ে ফাইলে মুখ গুঁজে এখনো চাকরি হয়নি যাদের, তাদের ঈর্ষা করতে করতে অফিসের করিডোরে, যেখান থেকে হাত বাড়ালেই বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখা যায়, নানান ছুতোয় গিয়ে গিয়ে চোখ, ঠোঁট, আঙুল ভিজিয়ে আসি। জীবিকার কাছে জীবনের আকুতি জলের ঝরোঝরো শব্দে কোথায় যেনো মিলিয়ে যায়।

: হাবিব, এখানে ভাল কেক কোথায় পাওয়া যায়? ৪ পিস কেক নিয়ে আসেন।

: স্যার, এখানে বাকেরের কেক ভালো। ওখান থেকে আনি?

: কীসের কেক? বাকের কী আবার? না না, ভালো দোকান থেকে নিয়ে আসেন।

: স্যার, ওই দোকান থেকেই তো সবসময় আনি।

: দোকানটা কোথায়?

: স্যার, আমাদের অফিস থেকে নেমে হাতের ডানের দোকানটা।

: ও আচ্ছা! হাসি চেপে বললাম, যান, নিয়ে আসেন।

আহা! এক লহমায় মিস্টার বেকার (Mr. Baker) হয়ে গেলো বাকের। কী ভানুমতি! কী ইন্দ্রজাল!

অফিসও কখনো কখনো একেবারে খালি হাতে ফেরায় না।

2 June 2014

মুভি দেইখ্যা হাউমাউ কইরা কানতে মঞ্চায়।

মুভি সাজেস্ট করেন।

12Years A Slave

50 First Dates

A Boy With Stripe Pyjama

A Moment To Remember

A Walk To Remember

Aila

Apocalypto

Baghban

Ballad Of A Soldier

Barsat Ki Mousam

Bicycle Thieves

Blind Date

Blood Diamond

Braveheart

Captain Philips

Cinderalla Man

Daisy

Dead Poets Society

Defiance

Eternal Sunshine Of The Spotless Mind

Forrest Gump

Gladiator

Grave Of The Fireflies

Guzarish

Hachi: A Dog’s Tale

Hearty Paws

Hotel Rwanda

I Am Sam

Invictus

It’s A Wonderful Life

Kramer Vs Kramer

Leon, The Professional

Life Is Beautiful

Love Phobia

Miracle In Cell No 7

Mr. Vengeance

My Father

My Father And My Son

My Sassy Girl

Notebook

O Hear Me

One Flew Over The Cuckoo’s Nest

Rain Man

Rang De Basanti

Ratatouille

Remember The Titans

Roman Holiday

Saving Private Ryan

Scent Of A Woman

Schindler’s List

Seducing Mr. Perfect

Seven Pounds

Shawshank Redemption

Sophie’s Choice

Stepmom

Sweet November

Tare Jameen Par

Tears Of Sun

Terminal

The Boy In The Striped Pajamas

The Bucket List

The Canyon

The Classic

The Green Mile

The Hunt

The Impossible

The Last Supper

The Notebook

The Old Man And The Sea

The Pianist

The Pursuit Of Happyness

The Return

The Shawshank Redemption

The Stoning Of Suraya M.

To Kill A Mockingbird

Veer Zara

Vivah

War Horse

Warrior

We Are Family

Wedding Dress

When In Rome

আবার তোরা মানুষ হ

ছুটির ঘণ্টা

জাতিস্মর

জীবন থেকে নেয়া

দিপু নাম্বার টু

নন্দিত নরকে

বাবা কেন চাকর

বোঝে না সে বোঝে না

ভাত দে

মরণের পরে

মেঘে ঢাকা তারা

স্বামী কেন আসামী

ভাবনা: পাঁচশো ছিয়াত্তর

……………………………………………………

5 June 2014

: দোস্তো, সুশান্ত আসলেই একটা মাল। চুয়েটে থাকতে আমরা কেউ ভাবসিলাম, ও কী জিনিস!!

(এরকম আরো নানাবিধ তৈলাক্ত বাকবিস্তার চলিতে লাগিলো। The sweet punishment of success is that people will overrate you and you will feel delightedly embarrassed. আমি বিদগ্ধজনের ন্যায় ‘কী দরকার ছিলো এইসবের!’ জাতীয় ভাব লইয়া কাঁচুমাচু হইয়া সুখশ্রবণরত হইয়া রহিলাম।)

: Ahh!! Come on dudes! Who cares সুশান্ত এই, সুশান্ত সেই?!! সুশান্ত বাল, সুশান্ত ছাল?!! What I do care only is, he has a dick! If he hadn’t, I’d screw him…..ahhhh sorry!!………her!!! সুশান্ত, মাইন্ড খাইস না দোস্ত, you’re handsome, na?

Ahh!! Come on dudes! Who cares সুশান্ত এই, সুশান্ত সেই?!! সুশান্ত বাল, সুশান্ত ছাল?!! What I do care only is, he has a dick! If he hadn’t, I’d screw him…..aahhhhh sorry!!………her!!!………………. জাস্ট অস্থির একটা ডায়লগ!! বেশি অস্থির!! Friends must be like this!!

ইদানীং পরিচিত জনের সংখ্যা যতই বাড়ছে, বন্ধুর সংখ্যা ততই কমছে৷ ব্যাপারটা ব্যস্ততা, স্বার্থ-সচেতনতা, নাকি স্রেফ স্বার্থপরতা, সেটা ঠিক বুঝছি না৷ সাথে বেড়েছে মেকি আন্তরিকতার যন্ত্রণা, যন্ত্রণা দিচ্ছি, যন্ত্রণা নিচ্ছি৷ অদ্ভুত সব মিথষ্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে৷ বন্ধুরা পরিচিত হয়ে যাচ্ছে, পরিচিতরা বন্ধু হচ্ছে না৷ ভিড়ের মধ্যে নিঃসঙ্গ থাকা একই সাথে সুখের এবং কষ্টের৷এরই মাঝে, এইরকমভাবে পুরোনো বন্ধুরা পুরোনো চেহারাতেই থেকে গেলে বেঁচে থাকাটা খুউব আনন্দের মনে হয়।

যা না বললেই নয়……….

“সেই সত্য যা রচিবে তুমি,

ঘটে যা তা সব সত্য নহে। কবি, তব মনোভূমি

রামের জনমস্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো।”

8 June 2014

৫ দিন চট্টগ্রামে থাকবো।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেট আর ভ্যাট কমিশনারেটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের ক্লাস।

রোববার আর সোমবার অফিসের কাজ।

সোমবার কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমীতে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের ক্লাস।

ঘরে ফিরছি। ঘরে ফেরা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। ভাবতে ভালো লাগে, এমনিএমনি হাসতে ভালো লাগে, কেউ কষ্ট দিলেও ক্ষমা করে দিতে ভালো লাগে, বইয়ের ঘ্রাণ নিতে ভালো লাগে, ঘরে-চিলেকোঠায় হাঁটতে ভালো লাগে, সবকিছুতেই ভালো লাগাতে ভালো লাগে।

এমনকি একাএকা থাকতেও ভালো লাগে। যে এসেছিলো, চলে গেছে; আবারও ফিরিয়ে এনেছিলাম চলে যাওয়াটা সহজ করে দিতে; তাকেও ঘিরে থাকা স্মৃতিগুলো তাড়া করে ফিরলেও তাড়িয়ে দেয়া যায়। আমি ভগবানকে এমনিতেই কম বিরক্ত করি; ঘরে থাকলে একদমই করি না; উনিও শান্তিতে থাকেন।

কষ্ট একটাই; ঘরে ফিরলে খুব কাছ থেকে দেখি, বাবা-মা কেমন যেন সত্যিসত্যি বুড়ো হয়ে যাচ্ছে। আমাকে বড়ো করতে করতে ওরা বুড়িয়ে গেলো। যখন আমি অসহায় ছিলাম, তখন ওরা পাশে থেকেছে। যখন ওরা অসহায় হয়ে যাচ্ছে, তখন আমি পাশে থাকতে পারছি না। আমার সবটুকু স্বার্থপর অর্জন এই বোধটার কাছে অর্থহীন মনে হতে থাকে। ছোটো ভাই পাশে থেকে বাবা-মা’র যে সেবাটা দিচ্ছে, সেটা করার সৌভাগ্যটা আমার হচ্ছে না। চাকরিকে মনে হতে থাকে নির্মম আইরনিক দানব; কেড়ে নেয়, অথচ কেড়ে-নেয় বলেই জীবনে কিছু যে আছে কেড়ে নেয়ার মতো, সেটা বোঝা যায়।

বয়স বাড়ছে, বাড়ুক। কিন্তু সাথে বাড়ছে কেনো হতাশা? রঙবেরঙের হতাশা। এইসব কিছু উটকো ভাবনাও মাথায় এসে ভিড় করে।

ঘর কী?

যেখানে প্রিয় মানুষগুলো থাকে আমার ফেরার প্রতীক্ষায়। যেখানে আমার মা থাকে, বাবা থাকে, ছোটো ভাই থাকে, আমার বইগুলো থাকে। যেখানে ফিরলে, মায়ের সাথে না-বলা জমিয়ে-রাখা গল্পগুলো ফুরোনোর আগেই ছুটি ফুরোয়; যেখানে গেলে যে কাজগুলো করবো বলে ভেবে রাখি, সেগুলো করতে মনেই থাকে না। মন্দাক্রান্তা সেনের কবিতাতে ঘর যতোটা ঘর হয়ে উঠেছে, ততোটা আর কোথাও দেখি না। শেয়ার করলাম।

ঘর বলতে ছায়ায় ঘেরা বাড়ি

দুয়োর খুলে উঠোনে পা পেড়ে

ঘর বলতে ফিরব তাড়াতাড়ি

ঘর বলতে তোমায় মনে পড়ে

ঘর বলতে মাঠের পরে মাঠ

আলের ধারে রোদ মেলেছে পা

দিঘির কোলে ভাঙা শানের ঘাট

ভাত রেঁধেছি, নাইতে যাবে না?

ঘর বলতে সন্ধে নেমে এলে

পিদিম জ্বেলে বসব পাশাপাশি

নিঝুম পাড়া, আটটা বেজে গেলে

দূরের থেকে শুনব রেলের বাঁশি

ঘর বলতে সমস্ত রাত ধরে

ঘুমের চেয়েও নিবিড় ভালোবাসা

ঘর বলতে তোমার দু’চোখ ভরে

স্বপ্নগুলো কুড়িয়ে নিয়ে আসা

ঘর বলতে এসব খুঁটিনাটি

ঘর বলতে আকাশ থেকে ভূমি

একদিকে পথ, বিষম হাঁটাহাঁটি

পথের শেষে, ঘর বলতে- তুমি।

11June 2014

আর্জেন্টিনার সাপোর্টার চাই, অ্যান্টি-ব্রাজিল সাপোর্টার নয়।

ব্রাজিলের সাপোর্টার চাই, অ্যান্টি-আর্জেন্টিনা সাপোর্টার নয়।

আমি ‘আপাতত’ ব্রাজিলের সাপোর্টার।

পাব্লিকের উন্মাদনা দেইখ্যা আমার পাগল হওনের যোগাড়। আজকে দেখলাম, আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মিছিলের সামনে ২জন ব্রাজিল সাপোর্টার ‘ভুয়া ভুয়া’ চিত্‍কার করাতে কয়েকজন ধরে ওদের ধোলাই দিলো। ব্যাপক বিনোদন পাইলাম! অতিবিনোদনে মেজাজ অতিফুরফুরে। হেহে……

এখন যা-ই দেখছি, তা-ই ভালো লাগছে। বাসায় ফিরছি। মনে হচ্ছে, পৃথিবীর সবচে’ সুন্দর কথা: বাসায় ফেরা।

12June 2014

বাতিঘরে যাচ্ছি, অনেকক্ষণ থাকবো। বন্ধুরা কেউ আছেন ওদিকটায়?

13June 2014

সিঁথির সিঁদুর অক্ষয় হোক।……. এ-ই তো বলে, না?কিন্তু কোনো কোনো মেমসাহেবকে দেখলে রাজশেখর বসুর মতো ক’রে ব’লতে ইচ্ছে হয়, ঠোঁটের সিঁদুর অক্ষয় হোক। পেন্নাম, পরশুরাম! (স্বয়ং মুজতবা আলী এই লাইনটার প্রশংসা ক’রে গেছেন।)

16June 2014

: বন্ধু, আজো ঘুম ভেঙে এতো সুন্দর একটা সকাল একা দেখতে হয়। সমস্ত শরীরমন জুড়ে-থাকা বৃষ্টিভেজা আড়মোড়া আজো ভাঙে স্রেফ উষ্ণ কফির ধোঁয়ায়। প্রেয়সীর ছোঁয়া না থাকলে ঠাণ্ডাটাও বড়ো বেশিই ঠাণ্ডা! বুঝলে বন্ধু, বয়সের অনর্থক অহেতুক অযাচিত অবৈধ বিস্তার।

: একা কেনো? আন্টি তো অনেক ভোরে ওঠেন! আর বর্ষার ঠাণ্ডায় চনমনে হয়ে উঠতে কিন্তু গ্রীন টি বেটার। গুরু, এটা তুই-ই তো শিখিয়েছিলি! আরো চাঙ্গা হতে চাইলে হাল্কা জগিংটগিংও তো করে নিতে পারিস। (এরপর পৈশাচিক হাসি)

কী নির্মম রসিকতা!

বন্ধুর কাছ থেকে শুধু বন্ধুত্বই আশা করো, ঘটকালি নয়। ওরা নানাকাজে ফোন করে করুক! একটু হেল্প করলে কী হয়? উদ্রিক্ত ক্রোধের অনাবশ্যক আকস্মিক বিস্তার হইলে দূরে গিয়া স্প্রাইট দিয়া ভিজাইয়া চিবাইয়া চিবাইয়া হাসিমুখে ক্রোধবিস্ফারিত চক্ষু নাচাইতে নাচাইতে শক্ত কিছুর উপরে অঙুলিবিক্ষেপণরত হইয়া দেহ দুলাইতে দুলাইতে মনের অপরিমিত সুখে মুড়ি খাইবে। মুড়ি খাইবার পূর্বে স্প্রাইট দিয়া ভিজিইয়া লইতে ভুলেও ভুলিয়া যাইও না; অবশ্যই নিঃশব্দে খাইবে, সুখে আছে যারা, সুখে থাক তারা, পুত্রদায়গ্রস্ত পিতার পুত্রের মুড়িভক্ষণের দূরগামী শব্দ শ্রবণে কাহারো সুখের বিন্দুমাত্রও ব্যাঘাত না ঘটুক।

তোমাদের সংসারে চাহিয়া বন্ধু আর আমি ভাবিবো না।

যন্ত্রণা দিয়া সারা দিনমান কারো সুখঘুম ভাঙিবো না।

ভাবনা: পাঁচশো সাতাত্তর

……………………………………………………

17June 2014

আগেই বলেছিলাম, জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, বাংলাদেশের জয় — এই ৪ ঈশ্বরের হাতে।

So, no credit goes to India, all credit goes to God.

https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t8e/1.5/18/1f913.png

তবে আজকের খেলা দেখে মনে হইসে, Sometimes even God Himself proposes, Bangladesh disposes. আমাগো দামাল গুল্ডেন পোলাগুলান কয়, যাহ্! কী আছে আর জেবনে! জিতুমই না। পারলে জিতা! B-) শালারা সব ‘আসল বিলাই’!

আজকের খেলা দেখে মনে হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কবিতাটি কার লেখা? এই জাতীয় প্রশ্নেও ফেল করা আর আজকের এমন জেতা খেলায় হেরে যাওয়া, একই কথা। এরকম পুতুপুতু কথা এতো চরম ফালতু একটা হারের পর শুনতে ভালো লাগে না। সরি।

20June 2014

If you cannot help a person to do something, you have no right to demoralize him/her saying that he/she cannot do it. কিন্তু, এটাই অনেকেই করেন। আবার অনেকেই আছেন যারা নিজে যা পাননি, ধরেই নেন বাকিরাও সেটা পাবেন না; উনাদের পরামর্শগুলো শুনলে লেজকাটা শেয়ালের গল্প মনে পড়ে যায়। বাচ্চা খেতে চায় না, এটা কোনো কথা না, যুগে যুগে বাচ্চারা খেতে চায়নি, এই পৃথিবীতে কোনোকালেই কোনো রাক্ষস বাচ্চার জন্ম হয়নি, তবুও তো মা-বাবা কতো বুদ্ধি বের করে বাচ্চাকে খাওয়ান; বাচ্চাকে কীভাবে খাওয়ানো যায়, সেটা তো জানতে হবে।

20June 2014

BCS: Our Goal [Largest Job group of Bangladesh] নামক গ্রুপ থেকে হুবহু শেয়ার করলাম। বন্ধুরা আগ্রহী হলে আমরা এই ধরনের হেল্প করতে রাজি; ঢাকায় কিংবা ঢাকার বাইরেও। আমরা এই ধরনের ঘরের-খেয়ে-বনের-মোষ-তাড়ানো টাইপের কাজে বিশেষ উৎসাহী।

“ক্যারিয়ার আড্ডা/ ফ্রি সেমিনার প্রসঙ্গে”

এই গ্রুপে ২ দিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। একজন মানুষ সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় বড়ো হয়ে ওঠার কাহিনী। যারা পড়েননি, তাদের পড়ে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, কিছুটা হলেও অনুপ্রাণিত হবেন। অনেকেই সেই অসামান্য মনোবলসম্পন্ন মানুষটির পরিচয় জানতে চেয়েছেন; কমেন্ট থ্রেডে, ইনবক্সে, এমনকি ফোনেও। আমি কমেন্টে এর একটা ডিসক্লেইমারও লিখেছি; অনেকেই হয়তো খেয়াল করেননি। মাসফি কমেন্টে লিখেছে, ওই ছেলেটাকে তো আমরা হেল্প করতে পারি; ওকে নিয়ে যেন আমি ওর অফিসে যাই। আমি ভাবলাম, শুধু ও কেনো, ওর মতো অনেকেই আছেন, যারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারার কারণে নিজেকে হারিয়ে ফেলছেন। আপনারা যারা আমাদের সাথে মাঝে মাঝে যোগাযোগ করেন, তারা জানেন, এই ধরনের হেল্প আমরা প্রায়ই করে থাকি; স্রেফ দায়িত্ববোধ থেকেই। মাসফি তো কয়েকবার সেমিনারের আয়োজন করেছিলো, আমারও আসার কথা ছিলো, কিন্তু ওই সময়টাতে আমার পোস্টিং ছিলো চট্টগ্রামে; তাই সময়সুযোগ হয়ে ওঠেনি আসার। আমি নিজেও আমার নিজের ভার্সিটির আমন্ত্রণে একটা ক্যারিয়ার আড্ডায় অতিথি বক্তা (CUET’এ আমি অতিথি নাকি?? আমার ভার্সিটি, আমার ঘর; ডাকলেও যাবো, না ডাকলেও যাবো; আমার ছোটো ভাই ভালোকিছু করলে সেটাও তো আমারই অর্জন। কিন্তু, আমন্ত্রণপত্রে ওরকম কিছু ছিলো।) হিসেবে গিয়েছিলাম। সামনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও এরকম একটা আড্ডায় যাওয়ার কথা আছে। সত্যিই ভালো লাগে, যখন ভাবি, একজন মানুষ যার একটা সময়ে অনার্স কমপ্লিট করার কোনো ইচ্ছেই ছিলো না, 2.74 সিজিপিএ নিয়ে কোনরকমে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা কারোর কথায় কেউকেউ নিজের জীবনে কিছুটা হলেও ছন্দ খুঁজে নিচ্ছে। স্রেফ স্বপ্ন আর পরিশ্রমের উপর ভর করে আমার আজকের অবস্থানে আসা। বিসিএস কিংবা আইবিএ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনেক ভুলভাল ধারণা নিয়ে স্টুডেন্টরা প্রিপারেশন নেয়। ওরা শোনে, এই পরীক্ষাগুলো অনেক অনেক কঠিন। কিন্তু আমি বলি, যারা এই কঠিনেরে ভালোবেসে এই কঠিনের দেখা পাওয়ার আশায় পথ চলছেন, তাদের জন্যে ওসব কঠিন, এটা জানার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, কীভাবে এই জার্নিটা ভালোভাবে শেষ করা যায়। তাই, আমি মনে করি, If you cannot help a person to do something, you have no right to demoralize him/her saying that he/she cannot do it. কিন্তু, এটাই অনেকেই করেন। আবার অনেকেই আছেন যারা নিজে যা পাননি, ধরেই নেন বাকিরাও সেটা পাবেন না; উনাদের পরামর্শগুলো শুনলে লেজকাটা শেয়ালের গল্প মনে পড়ে যায়। বাচ্চা খেতে চায় না, এটা কোনো কথা না, যুগে যুগে বাচ্চারা খেতে চায়নি, এই পৃথিবীতে কোনোকালেই কোনো রাক্ষস বাচ্চার জন্ম হয়নি, সামনেও হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই, তবুও তো মা-বাবা কতো বুদ্ধি বের করে বাচ্চাকে খাওয়ান; বাচ্চাকে কীভাবে খাওয়ানো যায়, সেটা তো জানতে হবে। আর যে চাকরিটার সুখ ভোগ করবেন, পরের ৩০ বছর, সেই চাকরিটার জন্যে ৩ মাসও ঠিকভাবে পরিশ্রম করবেন না, এটা তো ঠিক না। আর ভালো জিনিস সংখ্যায় কমই হয়। ইদানীং অনেক ভালো রেজাল্ট-করা ক্যান্ডিডেট বিসিএস পরীক্ষা দিচ্ছেন; এটা আমাদের আর আমাদের দেশের জন্যে অনেক খুশির কথা। আইবিএ বুয়েট ডিএমসি চুয়েট ঢাবি সহ আরো অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠানের একেবারে প্রথম সারির স্টুডেন্টরাও আসছেন। যেকোনো সাফল্যই প্রিপেয়ার্ডনেস আর কনফিডেন্সের সাম টোটাল। Only your results are rewarded, not your efforts. একটু ভেবে দেখুন, আপনি যে সময়ে পড়াশোনা না করে কিংবা কম করে লাইফটাকে এঞ্জয় করেছেন, তখন যারা এঞ্জয় করেননি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারাই ওই প্রথম সারির স্টুডেন্টরা। আপনি যদি ওই সাম টোটালটাকে টেকনিক আর পরিশ্রম দিয়ে ইকুয়াল করে ফেলতে পারেন; তবে আপনার আর ওদের মধ্যে কিন্তু তফাৎ থাকবে না। এই জাতীয় কম্পিটিটিভ এক্সামের ক্ষেত্রে, কী কী পড়বেন, সেটা ঠিক করার চাইতে বেশি জরুরি হলো, কী কী বাদ দিয়ে পড়বেন, সেটা ঠিক করা। এটাই চ্যালেঞ্জ! বেশিরভাগ কোচিং সেন্টারগুলোতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বেশি পড়ায়; বাণিজ্যিক স্বার্থেই। বিসিএস পরীক্ষার স্বচ্ছতা এবং জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এর কৃতিত্ব কিছুটা হলেও ড. সা’দত হুসাইন স্যারের।

আমরা যারা একটা সময়ে একেবারে হারিয়ে যাওয়া মানুষ ছিলাম, যাদের সবাই অথর্ব বলেই জানতো, যারা জীবনে কিছু করতে পারবে এরকম কিছু ভাবতে সাহসও পেতো না একসময়ে, যারা পুরনো ব্যর্থতার কথাগুলো এখন স্বাচ্ছন্দ্যে বলার মতো সময়টাকে এনেছে পুরোপুরি নিজের চেষ্টায়, এরকম কিছু মানুষ মিলে ঠিক করেছি, যাদের স্বপ্নযাত্রা এখনো শেষ হয়ে যায়নি, তাদের জন্যে মাঝেমধ্যে কাজের ফাঁকে কিছু সেমিনারে কিংবা আড্ডায় কথা বলবো। আমরা মানে, আমি, মাসফি, রিমেল ভাই, আভিজিত (৩৩ তম বিসিএস’এ অ্যাডমিনে ফার্স্ট), ইমতিয়াজ ভাই (আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আমাদের ব্যাচে আইবিএ’র ফার্স্ট বয় ছিলো, এখন আইবিএ’র টিচার)। আমরা আন্দালিব (৩০ তম বিসিএস’এ ফরেনে ফার্স্ট), রিদওয়ান (৩৩ তম বিসিএস’এ কম্বাইন্ড মেরিট লিস্টে ফার্স্ট) সহ আরো কয়েকজনকেও এই কার্যক্রমে থাকতে অনুরোধ করবো।

দু’একটা কথা বলে নিই।

# আমরা কেউই কোনোভাবেই কারো কাছ থেকেই কোনো ধরনের আর্থিক সুবিধা নেবো না; মানে সেমিনারগুলো হবে পুরোপুরি ফ্রি।

# জীবনানন্দের মতো করে বলি, পৃথিবীতে নেই কোনো বিশুদ্ধ চাকরি। আমার কাছে এখনো মনে হয়, আমার একটা চাকরি আছে, এটাই বেশি। চাকরিকে আমার কখনোই ভালো লাগার জিনিস মনে হয়নি। আবার নিজেকে এখনো এতটাই যোগ্য কিংবা সাহসী মনে হয়নি যে চাকরিটা ছেড়ে দেব। বেলা বোস নেই, সান্ত্বনা একটাই, চাকরিটা তো তবু আছে। তাই আমরা সেমিনারগুলোকে শুধু বিসিএস’এ সীমাবদ্ধ না রেখে অন্য চাকরি কিংবা আইবিএ সহ আরো কিছু ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও বলবো। আমদের উদ্দেশ্য একটাই, কেউ ভুল তথ্য জেনে প্রিপারেশন না নিক।

# আমরা কেউই কখনোই কোনো বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টার খুলবো না। যদি, কখনো কোথাও ক্লাস নিই, সেটা হবে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে। স্রেফ দায়িত্ববোধ থেকেই স্বেচ্ছায় আমরা এটা করতে চাইছি। আমি, মাসফি আর রিমেল ভাই কিন্তু নিয়মিতই আপনাদের বিভিন্নভাবে হেল্প করার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে আপনাদের মধ্যে দু’একজন ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক কিছু কথা বলেন, তখন খুব কষ্ট লাগে। এই ধরনের কথা বলার আগে একটু ভেবে নেবেন, আমরা কেউই কিন্তু আপনাকে হেল্প করতে বাধ্য নই।

# সবচেয়ে বড়ো কথা, এই সেমিনারগুলো আয়োজন করা সংক্রান্ত সব ধরনের ইনিশিয়েটিভ নিতে হবে আপনাদের। তবে আমরা বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে হেল্প করতে পারি। সেমিনার হলের ভাড়া সবাই চাঁদা তুলে সংগ্রহ করবেন।

এই পোস্টে আমি সবার পক্ষ থেকে আমাদের ভাবনাটুকু জানালাম। আপনাদের আগ্রহ থাকলে আমরা কোনো ধরনের আর্থিক প্রণোদনা ছাড়া আপনাদের মাঝেমধ্যে হেল্প করতে রাজি আছি। তবে, উদ্যোগ নিতে হবে আপনাদেরকেই, আমি আবার বলছি। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। যেকোনো মতামত, জিজ্ঞাসা কমেন্ট থ্রেডে লিখুন (মাসফি সব প্রশ্নের উত্তর দিবে )। ধন্যবাদ।

ভাবনা: পাঁচশো আটাত্তর

……………………………………………………

29June 2014

Brazil played……. good.

Chile played…….. better.

Referee played……… best.

জিতে গেলে সবই ভাল দেখায়।

Friends, losers might say whatever they wish, winners never mind.

29June 2014

হলের/হোস্টেলের টিভি রুমে খেলা দেখার অভিজ্ঞতাঃ

# গোলবারের কাছে বল নিয়ে গেলে পোলাপান যে পরিমাণ চিল্লানো শুরু করে, প্লেয়াররা এমনিতেই নার্ভাস হইয়া গোল মিস করে।

# হোস্টেলের চেয়ারগুলা বেশি মজবুত। জোরে চাপড় দিলেও ভাঙে না।

# ২-১ টা বেআক্কেল মনের সুখে সিগারেট ধরায়।

# ২-১ জন কাবিল কাবিলটাইপ ‘মুখরা পুরুষ’ চরম বিরক্তির উদ্রেক করে। (আইবিএ এমবিএ ৪৫ ব্যাচে একজন বিশিষ্ট ‘মুখরা পুরুষ’ আছেন। উনি কে? বন্ধুদের জন্যে এটা ক্যুইজ।)

# টিমের জন্যে শহীদ হওয়া টাইপের অতি উৎসাহীদের আশেপাশে বসলে, ওদের হাত-পা ছোঁড়াছুঁড়িতে ২-১ টা কিলঘুষি শুধু কপালেই না, মুখে, শরীরেও জুটতে পারে।

# একই গোল কিপারকে কেউ কেউ মিষ্টি খাওয়ায়, কেউ কেউ লাত্থি মারে।

# পোলাপানদের মাঠে নামিয়ে দিলে ওরা কয়েক ডজন গোল দিতে পারতো বলে মনে হয়।

# ফ্যানের নিচে বসার জন্যে কেউ কেউ সিট কাড়াকাড়ি করে।

# কেউ কেউ অন্য কারোর মতামত পছন্দ না হলে, প্রিয় দলের জন্যে প্রয়োজনে চোখ রাঙিয়ে ঝাড়ি মারে।

# প্লেয়ারদের যে যার মতো করে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে।

# রেফারির সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে পোলাপান মিনিটে মিনিটে রেফারিকে শ্যুট করে।

আরো কী কী যেনো হয়। আর মাথায় আসছে না।

বন্ধুরা, আপনারাও অ্যাড করেন।

29June 2014

And, Brazil wins!!Only your results are rewarded, not your efforts.

PS, well played, Chile!

30June 2014

আমার দিদিমা। সীমন্তিকা পাল। উনার স্মৃতিশক্তি আর বই পড়ার অভ্যেস ছিলো মুগ্ধ করার মতো। উনার বাংলায় দখল ছিলো অসামান্য। (আমাদের পরিবারে আরো অনেকের মতোই) আমার সুশান্ত নামটা দিদিমার রাখা।

দিদার চুলে কখনোই পাক ধরেনি। কেনো ধরেনি, এটা আমার কাছে আজো বিস্ময়!

30 June 2014

আমার দাদু। অবিনাশ চন্দ্র পাল। বাংলার অধ্যাপক, স্যার আশুতোষ কলেজে পড়াতেন। আবৃত্তিকার। শৌখিন অভিনেতাও ছিলেন, মঞ্চনাটকে অভিনয় করতেন। লেখালেখি করতেন। উনার ব্যক্তিত্ব, রুচিবোধ আর শৌখিনতা ছিলো খেয়াল করার মতো।

30June 2014

আমার ঠাকুরদা। শচীন্দ্র মোহন পাল। চট্টগ্রাম জজ কোর্টে আইনজীবী সহকারী ছিলেন। ভোজনরসিক ছিলেন; খেতে ও খাওয়াতে ভালোবাসতেন। আয় ও ব্যয় দুই-ই ছিলো দেদার। পরোপকারী সহজসরল মানুষ ছিলেন।

আমার ঠাকুরমা। অমৃত বালা পাল।

30June 2014

আমার বাসার দেয়াল থেকে………

আমার বাবা-মা। বিয়ের কিছুদিন পর তোলা ছবি। মোবাইল ক্যামেরায় এই ছবিটা সরাসরি ফ্রেম থেকে তুলে যেভাবে এসেছে সেভাবেই আপলোড করেছি।

বাবাঃ সঞ্জীব কান্ত পাল। পেশায় আইনজীবী।

মাঃ মমতা পাল। একসময় কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়াতেন, এখন গৃহিনী।

1 July 2014

Not that I support Brazil because they play better than Argentina; I support Brazil for its name as it’s sexy……. You get a sexy feeling followed by zeal. What else do you need? Go Switzerland, Go!!

You get a sexy feeling followed by zeal. What else do you need?

2 July 2014

চরম বিনুদুন। টিনা আফারে পাড়ার দুষ্টু পুলাপানগুলান সারাডা মাঠে এইরাম কইরা ঘুরাইতেসে ক্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যা……??

2 July 2014

Argentina just saves millions of heart-attacks!! Thank you, Dudes!!

2 July 2014

মেয়েরা যাকে পছন্দ করে, যদি কোনোভাবে জানতে পারে, সেই ছেলেটা অন্যকোনো মেয়েকে কোনো একসময়ে পছন্দ করতো, কিংবা এখন করে, তাহলে জিজ্ঞেস করতেই থাকে করতেই থাকে, ওই মেয়েটা এরকম করতো কিনা, ওরকম করতো কিনা, যা সে করে কিংবা করে না কিংবা করতে পারে না; ওই মেয়েটার কথা সে কী ভাবছে, সেই ছেলে ওর কথা আদৌ ভাবুক আর নাই বা ভাবুক, মেয়েটার কী কী ওর চেয়ে সুন্দর কিংবা অসুন্দর; এইরকম আরো অনেককিছু। এইসব প্রশ্নের উত্তরে ছেলেটা যতই না বলুক, যতই এড়িয়ে যাক, ওতে কোনো কাজই হয় না; বরং এভাবে করে মেয়েটা নিজের অজান্তেই ছেলেটাকে আরো বেশি করে যেনো ওই মেয়েটার কথা মনে করিয়ে দেয়, এমনকি সে যদি ওর কথা ভুলেও যায়, তবুও! মেয়েদের এই সহজাত কৌতূহলগুলোই যেন মেয়েদের মেয়ে করে রাখে আর ওদের ভালো না বেসে কিছুতেই পারা যায় না। ভালোবাসায় তো ন্যাগিং থাকবেই, যদিও এই ন্যাগিং ছেলেদের মধ্যে ততোটা প্রকট নয়। তবে একেবারে সবকিছু দিয়ে নিজের মতো করে ভালোবাসার ক্ষেত্রে ছেলেরা কি পিছিয়ে? এটা কি ঔদাসীন্য? নাকি, নির্লিপ্ততা? নাকি, নিঃস্পৃহতা? নাকি, অশরীরী প্ল্যাটোনিক ভালোবাসার প্রতি সহজাত পুরুষসুলভ অনাগ্রহ?

একটা ব্যাপার খেয়াল ক’রলাম। এটা প্রায় ক্ষেত্রেই ঘটে। মেয়েরা যখন ছেলেদেরকে ভালোবাসে তখন ওদের ভালো ও মন্দ দু’টোকে মিলিয়েই ভালোবাসে। এখানে ভালোবাসাটাই মুখ্য, মন্দটা গৌণ। ছেলেরা যখন মেয়েদেরকে ভালোবাসে তখন ওদের ভালোটাকেই ভালোবাসে। এখানে ভালোটাই মুখ্য, ভালোবাসাটা গৌণ।তাই, মেয়েদের ভালোবাসায় ভালোবাসার মানুষটা যতটা বড়ো হ’য়ে ওঠে, ছেলেদের ভালোবাসায় ততটা বোধহয় ওঠে না। মনস্তত্ত্বের বিবর্তনমূলক পরম্পরা থেকে ভালোবাসার এই উভয় রূপেরই ব্যাখ্যা মেলে। সে গল্প আরেক দিন…….

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ইহা কোনো ঐশীবাণী নহে, ইহা নিছকই একখানা ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাস। জুকারবার্গ সাহেবের হোয়াটস্ অন ইওর মাইন্ড প্রশ্নের সরল স্বীকারোক্তি মাত্র।

মিথ্যে কথা। অনেক মেয়েকে দেখেছি, মন থেকে ভালবাসতে পারে না কখনোই। বাবা বকলে প্রেমিককে ছেড়ে চলে যায় কোনো কারণ ছাড়াই। এমন নয় যে, বাবা ভালবাসার ব্যাপারটা জানতো না, তবুও………….

ভালোবাসার মজা তো এখানেই; ন্যাগিংয়ে।

3 July 2014

আমার ৩য় ক্যারিয়ার আড্ডাটা হবে সিলেটের বন্ধুদের সাথে আগামী ১২ তারিখ। ১মটা হয়েছিলো চুয়েটে, ২য়টা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৫ তারিখ। আড্ডার সাতসতেরো নিয়ে পরে বলবো। আপাতত আড্ডার ইভেন্ট পেজ থেকে আমার এই লেখাটা আমার ওয়ালে শেয়ার করলাম। ছোটো ভাই শরীফ লেখাটা কিছু অংশ বাদ দিয়ে Seminar on Journey to BCS at SUST, Sylhet. পেজটাতে শেয়ার করেছে।

ভাবনা: পাঁচশো উনআশি

……………………………………………………

3 July 2014

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ক্যারিয়ার ক্লাব আগামী ৫ জুলাই শনিবার সকাল ৯.৪৫টা থেকে একটা ক্যারিয়ার আড্ডার আয়োজন করেছে। ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে আমাকে প্রধান আলোচক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমার সাথে থাকছে Ridwan Islam (৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১ম, বিসিএস পররাষ্ট্রে ১ম) আর অভিজিত বসাক (৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় ৫ম, বিসিএস প্রশাসনে ১ম)।

সম্প্রতি আমি এই উদ্যোগ নিয়েছি। কিছুদিন আগে এই ধরনের ক্যারিয়ার আড্ডা/ মোটিভেশনাল সেমিনারের ব্যাপারে আমার উৎসাহের কথা আমি ফেসবুকে বন্ধুদের সবার সাথে শেয়ার করেছিলাম। এরপর আমার সাথে যোগাযোগ করে আমার এক ছোটো ভাই এস. আহমেদ (সাব্বির) স্যারদের সাথে কথা বলে নিজের ডিপার্টমেন্টের জন্যে এই ক্যারিয়ার আড্ডা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিলো এবং সফল হয়েছে। সাব্বিরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই আড্ডাটা খুব বড়ো পরিসরে নয়, তাই শুধু ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্টদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে।

আমার প্রথম ক্যারিয়ার আড্ডাটা হয়েছিলো আমার নিজের ভার্সিটি চুয়েটে। পরের আড্ডাটা হবে ১২ তারিখ শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে। আড্ডাটা সিলেটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্টদের জন্যে উন্মুক্ত থাকবে। আড্ডাটা আয়োজনের পেছনে উদ্যোগ নিয়েছিলো আমার আরেক ছোটো ভাই শরীফ। শরীফকে ধন্যবাদ। এরপর আমার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা আছে। ভালো কিছু করতে গেলে সবসময় যে কাউকে পাশে পাওয়া যায় না, সেটা ঠিক নয়। যাদের ক্যারিয়ার এখনো শুরু হয়নি, তাদের পাশে আমি সবসময়ই ছিলাম, আছি, থাকবো। দেখা যাক।

5 July 2014

অনেকেই আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার আড্ডাতে কী কী বলেছি, সেটা আমার ইনবক্সে জানতে চেয়েছেন। তাদের জন্যে আমার আজকের প্রেজেন্টেশনটা খুব সংক্ষিপ্ত আকারে শেয়ার করলাম। আরো অনেক অনেক কথাই বলেছি। সব মিলিয়ে খুব চমৎকার একটা দিন কাটলো আজ। সাথে ছিলো Ridwan (৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১ম, বিসিএস পররাষ্ট্রে ১ম), অভিজিৎ (৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় ৫ম, বিসিএস প্রশাসনে ১ম) আর অডিট ক্যাডারের ২৫ ব্যাচের খাদেমুল বাশার ভাই। মজার ব্যাপার হল, ওদের চিন্তাভাবনা আর পড়াশোনার স্টাইল আর আমার নিজের স্টাইলে আমি অনেক মিল পেয়েছি। বিসিএস পরীক্ষা প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ওদের অনেকগুলো টেকনিক আর আমার টেকনিকে অনেক মিল ছিলো (যারা আজকে ছিলেন, তারা হয়তো খেয়াল করেছেন ব্যাপারটা)। তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের জাবেদ স্যার, সাইফুল স্যার, রোকন স্যার, মেজবাহ স্যার আজকের আড্ডার ব্যাপারে অনেকবেশি আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যদিও কথা ছিলো, ওই ডিপার্টমেন্টের বাইরের স্টুডেন্টরা আড্ডায় থাকবে না, তবুও শেষ পর্যন্ত অনেকেই এসেছে। সবার আগ্রহ দেখে আমি সত্যিই অভিভূত!! সাব্বিরকে (এস. আহমেদ) আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকে ওর জন্মদিন ছিলো, এর মাঝেও ও আজকের আয়োজনটা সফল করার পেছনে অনেক সময় দিয়েছে।

একজন নোবডির গল্প

এখানে যারা আছেন, তারা কি সত্যিই পিছিয়ে আছেন? আমার শুরু যেভাবে।

ফিরে দেখা। নোবডি হয়ে থাকার গল্প। সবচেয়ে বাজে রেজাল্ট করা ছেলেটার গল্প; যাকে নিয়ে কেউ কখনো স্বপ্ন দেখেনি। অপমানের দিনগুলো, কান্নার রাতগুলো। ‘কিছু করা’ বলতে কী বোঝায়? বিষের পেয়ালার হার ও অতঃপর। স্রেফ বেঁচে থাকলেও অনেককিছু হয়৷

বারবার জীবনের মোড় বদলানো। সিদ্ধান্তহীনতার গল্প। Never it’s too late to realize it’s already getting late.

অন্য কারোর জীবনে না বাঁচা, জীবনের সাথে কম্প্রোমাইজ না করা একজন সুখী অসফল অ্যাক্সিডেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারের গল্প, একজন হতাশাগ্রস্ত ব্যবসায়ীর গল্প। Happy to be derailed! Thank you God, you didn’t listen to my prayers!

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২টি কাজঃ কী করবো সেটা ঠিক করা। কাজটা সত্যিই শুরু করা। The easiest way to start anything is just to start it.

সাফল্যের জন্যে আত্মবিশ্বাস জরুরী, নাকি আত্মবিশ্বাসের জন্যে সাফল্য জরুরী? আমাকে দিয়ে হবে না, আর পারছি না, I quit!

It always seems impossible until it’s done. The difficulty level of most of the competitive exams is overrated. — Why? সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় যারা প্রথম হয় ওরা মানুষ তো?

If you are not thinking about your dream, you are not thinking at all.

You can never deserve success, you have to always earn it. Fact is, your success is what you think you earn, your failure is what others think you deserve.

বিল গেটসের কাছে চাল-ডালের ব্যবসার আইডিয়া চেয়ে কী লাভ?

People have a natural talent of undermining your attempts to which they are not familiar with or don’t feel comfortable about. There are some people who can never appreciate. So, it’s foolish to judge yourself by what they say. Kind words are healthier than a bowl of chicken soup.

Don’t be serious, be sincere. সবাই তো আর সবকিছু পারে না৷ এটা মেনে নিন।

Don’t work hard only, work smartly too.

ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় ভালো হওয়া। Sometimes it’s your bad luck! People want to see you as they want, not as you want to see yourself.

Stop overthinking. If you’re going through hell, keep going. Que sera sera — যা হবার তা হবেই।

To become successful you’ve to start young. It’s even more important to fail young if you really want to fail in any of your attempts. To fail successfully is an art.

Life didn’t come to us with a user-manual. So, it’s our right to use and to abuse it!

Deciding what you really want matters. It took me almost two decades to decide what I really wanted. When I’d decided finally, it took me only a few months to get what I really wanted.

Success. It’s not the opposite of failure as popularly believed; it’s just living without sighs. It’s just dancing in the manner you want and making people think you dance well even if you don’t. It’s making your style others’ favourite brand even if it’s foolish. It’s sometimes making people laugh listening to your even worst jokes. It’s making others hear you even when you don’t speak. It’s taking the opportunity to tell others that meeting your previous millionth failure was essential, anyway. It’s making your failures worth-mentioning by you or by others.

Only your results are rewarded, not your efforts. This is the way the world accepts or rejects you.

বিসিএস আর আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার কথকতা

১০ম থেকে ৩৪তম বিসিএস, পিএসসি’র নন-ক্যাডার প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো (সম্ভব হলে অন্ততঃ ২৫০-৩০০ সেট) এবং আইবিএ’র বিবিএ+এমবিএ, বিআইবিএম’এর এমবিএম, ডিইউ’র ইএমবিএ, প্রাইভেট ভার্সিটির এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার বিগত সব বছরের প্রশ্ন ভালোভাবে বুঝে সলভ্ ক’রে ফেলুন৷ প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা নিন৷ এটা প্রস্তুতি শুরু করার প্রথম ধাপ৷ কী কী পড়তে হবে সেটা জানার চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল, কী কী বাদ দিয়ে পড়তে হবে সেটা জানা। Read the mind of the question setter, not the mind of the guidebook writer. ৪ ঘণ্টা না বুঝে study করার চাইতে ১ ঘণ্টা questions study করা ভালো। তাহলে ৪ ঘণ্টার পড়া ২ ঘণ্টায় পড়া সম্ভব। Apply the POE.

জিম্যাট থেকে ক্রিটিক্যাল রিজনিং, জিআরই থেকে ভার্বাল পার্ট, পাজলস্, জিম্যাট+স্যাট থেকে ম্যাথস্, আইইএলটিএস থেকে কম্প্রিহেনশন, টোফেল থেকে এরর ফাইন্ডিং, ভোকাবুলারির জন্য নরম্যান লুইসের বই, জিআরই+জিম্যাট ওয়ার্ড লিস্ট, রিডারস্ ডাইজেস্ট, ডেইলি স্টার পড়ুন৷ বাজারের গাইড বইগুলো কিনে ফেলুন৷ সাবটাইটেলসহ ইংলিশ মুভি দেখতে পারেন৷ সিএনএন, বিবিসি, আল-জাজিরা’র নিউজ শুনতে পারেন৷ অনলাইনে নিয়মিত জিআরই+জিম্যাট’এর প্রশ্ন সলভ্ ক’রতে পারেন৷ (সবগুলো নয়, যেগুলো পরীক্ষায় আসে, সেগুলো৷)

যে প্রশ্নগুলো একটু কঠিন মনে হয়, সেগুলো একাধিকবার পড়ুন৷ একটা ফ্যাক্ট শেয়ার করি৷ কিছু কঠিন প্রশ্ন থাকে যেগুলো বার বার পড়লেও মনে থাকে না৷ সেগুলো মনে রাখার চেষ্টা বাদ দিন৷ কারণ এই ধরনের একটি প্রশ্ন আরো কয়েকটি সহজ প্রশ্নকে মাথা থেকে বের করে দেয়৷

কম্পিটিটিভ এক্জামগুলোতে ভালো করার ক্ষেত্রে প্রিপারেশনের চাইতে প্রিপেয়ার্ডনেসটা বেশি কাজে লাগে৷ I’m the best, এই ভাবটা এক্জাম হলে ধ’রে রাখুন৷ এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে!

একটা কথা খুব সত্য৷ অ্যাকাডেমিক্যালি কেউ ভালো স্টুডেন্ট হওয়া মানেই কিন্তু তার ক্যারিয়ার ভালো হবে, এমন নাও হ’তে পারে৷ শেষ হাসিটা হাসার চেষ্টা করুন৷ মাঝের কিছুটা সময় না হয় কাটুক কান্নায়, অবহেলায়, তাচ্ছিল্যে৷

বিসিএস পরীক্ষায় ভালো করা মূলতঃ চারটি বিষয়ের উপর অনেকংশে নির্ভর করে৷ ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও বাংলা৷ এই চারটি বিষয় বেশি জোর দিয়ে পড়ুন৷ কোন কোন সেগমেন্ট-এ ক্যান্ডিডেট’রা সাধারণতঃ কম মার্কস্ পায় কিন্তু বেশি মার্কস্ তোলা সম্ভব, সেগুলো নির্ধারণ করুন এবং নিজেকে ওই সেগমেন্ট’গুলোতে ভালোভাবে প্রস্তুত করে কম্পিটিশনে আসার চেষ্টা করুন৷ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, টীকা, শর্ট নোটস্, সারাংশ, সারমর্ম, ভাবসম্প্রসারণ, অনুবাদ, ব্যাকরণ ইত্যাদি ভালোভাবে পড়ুন৷ বিসিএস এবং আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার ডিফিকাল্টি লেভেল আমার কাছে কিছুটা overrated বলেই মনে হয়েছে৷ এগুলো কম্পিটিটিভ এক্জাম, এটা যতটা সত্য, রিয়েল কম্পিটিশনে আসার মতো ক্যান্ডিডেট খুব বেশি সাধারণতঃ থাকেনা, এটা আরো বেশি সত্য৷

সবকিছু পড়ার সহজাত লোভ সামলান৷ শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে বিসিএস কিংবা আইবিএ ভর্তি পরীক্ষা দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয়৷ যেকোনো কম্পিটিটিভ এক্জামে ভালো করার জন্য আপনি কী কী পড়বেন, সেটা ঠিক করার চাইতে অনেক বেশি জরুরি হ’লো, আপনি কী কী বাদ দিয়ে পড়বেন, সেটা বুঝতে পারা৷ একটি অপ্রয়োজনীয় topic একবার পড়ার চেয়ে প্রয়োজনীয় topic গুলো বার বার পড়ুন৷

বিসিএস পরীক্ষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি — এই বিষয়গুলোতে প্রয়োজনীয় চিহ্নিত চিত্র ও ম্যাপ আঁকুন৷ যথাস্থানে বিভিন্ন ডাটা, টেবিল, চার্ট, রেফারেন্স দিন৷

বিসিএস’এর জন্য নিয়মিত পেপার পড়ুন৷ সম্ভব হলে অন্তত ৫-৬ টা৷ অনলাইনে পড়তে পারেন৷ এই সময়টাতে পুরো পেপার না পড়ে শুধু যে অংশগুলো পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়, সেগুলোই পড়ুন৷ গাইড বই পড়ুন৷ সম্ভব হলে, অন্তত ৩-৪ সেট৷ তবে খেয়াল রাখবেন গাইডে অনেক ভুল থাকে৷ এটা স্বাভাবিক৷ তাই পড়ার সময় সংশোধন করে নিতে হবে৷

বিভিন্ন রেফারেন্স, টেক্সট ও প্রামাণ্য বই অবশ্যই পড়তে হবে৷ বিসিএস পরীক্ষায় অনেক প্রশ্নই কমন পড়েনা৷ এসব বই পড়া থাকলে উত্তর করাটা সহজ হয়৷ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় বিভিন্ন লেখকের রচনা, পত্রিকার কলাম ও সম্পাদকীয়, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা, বিভিন্ন রেফারেন্স থেকে উদ্ধৃতি দিলে মার্কস বাড়বে৷ এই অংশগুলো লিখতে নীল কালি ব্যবহার ক’রলে সহজে পরীক্ষকের চোখে পড়বে৷

নোট করে পড়ার বিশেষ কোনো প্রয়োজন নেই৷ এতটা সময় পাবেন না৷ বরং কোন প্রশ্নটা কোন সোর্স থেকে পড়ছেন, সেটা লিখে রাখুন৷ রিভিশন দেয়ার সময় কাজে লাগবে৷ বাংলাদেশের সংবিধানের ব্যাখ্যা, বিভিন্ন সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, কিছু আন্তর্জাতিক পত্রিকা ইত্যাদি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখুন৷ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে রাখুন৷ প্রয়োজনমত পরীক্ষার খাতায় রেফারেন্স উল্লেখ করে উপস্থাপন করুন৷

লেখা সুন্দর হলে ভালো, না হলেও সমস্যা নেই৷ পরীক্ষায় অনেক বেশি দ্রুত লিখতে হয়৷ তাই প্রতি ৩-৫ মিনিটে ১ পৃষ্ঠা লেখার প্র্যাকটিস্ করুন৷ খেয়াল রাখবেন, যাতে লেখা পড়া যায়৷ সুন্দর উপস্থাপনা মার্কস বাড়ায়৷

কোনভাবেই কোনো প্রশ্ন ছেড়ে আসবেন না৷ উত্তর জানা না থাকলে ধারণা থেকে অন্তত কিছু না কিছু লিখে আসুন৷ আপনি প্রশ্ন ছেড়ে আসছেন, এটা কোন সমস্যা না৷ সমস্যা হল, কেউ না কেউ সেটা উত্তর ক’রছে৷ নিজের সাজেশনস্ নিজেই তৈরী করুন৷ কারো সাজেশনস্ ফলো করবেন না৷ এই প্রশ্নটা আসবেই আসবে — এ জাতীয় কোচিং সেন্টারসুলভ মিথ্যে আশ্বাসে কান দেবেন না৷

মাঝে মাঝে বিভিন্ন টপিক নিয়ে ননস্টপ লেখার প্র্যাক্টিস করুন৷ বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার অভ্যাস বাড়ান৷ এতে আপনার লেখা মানসম্মত হবে৷ কোনো উত্তরই মুখস্থ করার দরকার নেই৷ বরং বারবার পড়ুন, বিভিন্ন সোর্স থেকে৷ ধারণা থেকে লেখার অভ্যাস গ’ড়ে তুলুন৷

বিসিএস পরীক্ষায় কোন ভাষায় উত্তর লিখবো? ইংরেজিতে? নাকি, বাংলায়? এ প্রশ্ন অনেকেরই৷ আমি বাংলায় লিখেছি, combined merit list-এ প্রথম হ’য়েছি৷ এ ভাষায় ‘আসি’ বলে স্বচ্ছন্দে চলে যাওয়া যায়… কী আশ্চর্য রহস্য! তাই না? তবে, আপনি ইংরেজিতেও লিখতে পারেন৷ এক্ষেত্রে সাবলীলতা ও প্রাঞ্জলতাই মুখ্য৷

অনেকেই বলবে, আমার তো অমুক অমুক প্রশ্ন পড়া শেষ! ব্যাপারটাকে সহজভাবে নিন৷ আপনার আগে কেউ কাজ শেষ করলেই যে শেষ হাসিটা উনিই হাসবেন—এমন তো কোন কথা নেই৷ মাঝে মাঝে পড়তে ইচ্ছে করবে না, আমারও করত না৷ সারাক্ষণ পড়তে ইচ্ছে করাটা মানসিক সুস্থতার লক্ষণ না৷ Why so serious? তাই, ব্রেক নিন, পড়াকে ছুটি দিন৷ মাঝেমধ্যেই৷ দু’দিন পড়া হ’লো না বলে মন খারাপ করে আরো দু’দিন নষ্ট করার তো কোন মানে হয়না৷ অনুশোচনা করার সময় কোথায়?

ভাইভা’র সময় আই কনট্যাক্ট রাখুন৷ অন্য দিকে তাকিয়ে কথা বলা কোনো কাজের কথা না৷

নার্ভাসনেস থাকবে না, এটা হয় না৷ থাকবেই৷ ওটা কাটানোর কিছুটা দায়িত্ব সিচ্যুয়েশনের উপরে ছেড়ে দিন৷ Sometimes nervousness works for you.

পজিটিভ অ্যাটিচিউড, মেন্টাল ম্যাচিউরিটি, রেডি উইট, থট ক্ল্যারিটি, ডিসেন্ট অ্যাপিয়ারেন্স, এটিকেট, কমনসেন্স, কুল টেম্পেরামেন্ট, ইংলিশ ফ্লুয়েন্সি, সিচ্যুয়েশন হ্যান্ডলিং ক্যাপাবিলিটি, অ্যানালাইটিক্যাল স্কিল এই ব্যাপারগুলো ভাইভা বোর্ডে দেখা হয়৷

আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয় কিংবা আপনাকে আপনার মতো থাকতে দেয় না, এমন কিছু শুনবেন না, ক’রবেন না৷

মাঝে মাঝে স্মার্টনেস না দেখানোই স্মার্টনেস৷ আপনাকে দেখার প্রথম ২০ সেকেন্ডের মধ্যে যে ফার্স্ট ইম্প্রেশন তৈরী হয়, সেটার উপর আপনার ভাইভার প্যাটার্ন অনেকটাই নির্ভর করে৷

যাঁরা বোঝেন না, তাঁরাই বলেন বেশি৷ বাড়িয়েও বলেন৷ তাঁদের পরামর্শ এড়িয়ে চলুন৷ ভুল বোঝার চেয়ে না বোঝা ভালো৷

আপনি কী বলছেন তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি সেটা কীভাবে বলছেন এবং কী লুকাচ্ছেন, কীভাবে লুকাচ্ছেন৷ Hiding is an art. ইউফেমিজম্ শিখুন৷

ইংরেজিতে কনভারসেশন প্র্যাক্টিস করুন৷ তবে এমন করো সাথে নয়, যে শুধু ভুলই ধরিয়ে দেয়৷

সিভিল সার্ভিস, আপনার সাবজেক্ট, ক্যাডারের ফার্স্ট আর সেকেন্ড চয়েস সম্পর্কে ফেয়ার আইডিয়া রাখুন৷ তবে, এক্সপেরিয়েন্স বলে, ভাইভাতে ভালো করার অন্ততঃ একশো’ টেকনিক আছে যেগুলোর একটাও কাজ করে না৷ যা সঞ্চয় করবেন, তার চেয়ে বেশি কাজে লাগবে যা সঞ্চয়ে আছে৷

কী জানেন না, সেটা নিয়ে অত ভাববেন না৷ হয়তো আপনাকে ওটা জিজ্ঞেসই করা হবে না৷ আর যদি জিজ্ঞেস ক’রেই ফেলে, আর আপনি উত্তর দিতে পারলেন না, তাতে কী হ’য়েছে? প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য ভাইভাতে বেশি মার্কস্ বরাদ্দ থাকলে অনেক Parrot-type’এর লোকজন চাকরি পেতো৷

নিজেকে উৎসাহী শ্রোতা হিসেবে দেখান৷ ভাইভা বোর্ডে বেশি সময় রাখলেই বেশি মার্কস পাবেন, এই ধারণাটা বোধ হয় ভুল৷ বিসিএস ভাইভা বোর্ডে আমি ছিলাম ৪-৫ মিনিট৷ কম সময় থাকা মানে যে খুব ভালো, তাও নয়৷ আইবিএ ভাইভা বোর্ডে আমি ছিলাম ১৮-২০ মিনিট৷

চেহারায় একটা ডাউন-টু-আর্থ ভাব ফুটিয়ে তুলুন, যাতে আপনাকে বকা দিতেই কষ্ট লাগে৷ এটা সত্যিই কাজে দেয়৷

মাথায় রাখুন, শতভাগ শিখেছি ভেবে তার ষাটভাগ ভুলে গিয়ে বাকী চল্লিশভাগকে ঠিকমতো কাজে লাগানোই আর্ট৷

আড্ডা শেষ হোক গল্পে……..

প্রথম গল্প:

একটা কাক গাছের উঁচু ডালে কোন কাজ না করে অলসভাবে বসে ছিল৷ ঠিক সে সময়ে ওই পথ দিয়ে এক খরগোশ যাচ্ছিলো৷ খরগোশ কাককে জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা ভাই, আমিও কি তোমার মতো কোন কাজ না করে এই গাছের নীচে বসে থাকতে পারি?” কাক বলল, “নিশ্চয়ই পারো!” খরগোশ তা-ই করল৷

কিছুক্ষণ পর সেই পথ দিয়ে এক শেয়াল যাচ্ছিল৷ শেয়াল খরগোশটাকে বসে থাকতে দেখে খপ্ করে ধরে খেয়ে ফেলল৷

এই গল্পের lesson কি? lesson হলো, যখন আপনি এতটা উঁচু আসনে বসে আছেন যে, কেউ আপনাকে ছুঁতে পারবে না, তখন আপনি হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারেন৷ তবে, এর আগে পরিশ্রম করে আপনাকে সেই আসনে বসার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে৷ ভাবুন, আপনারা এখন কোন আসনটাতে বসে আছেন৷

দ্বিতীয় গল্প:

শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে একটা ছোট্ট পাখি সাইবেরিয়া ছেড়ে যাচ্ছিল৷ হঠাৎ পাখিটা জমে গিয়ে বরফের টুকরোর মতন টপ্ করে মাটিতে পড়ে গেল৷ বেশ কিছু সময় পড়ে সেই পথ দিয়ে একটা গরু হেঁটে যাওয়ার সময় পাখিটার উপর মলত্যাগ করল৷ কিছুক্ষণ পর গোবরের উষ্ণতায় পাখির গায়ের সমস্ত বরফ ঝরে গেল৷ পাখিটা তখন খুশীতে গান গাইতে শুরু করল৷ কাছেই একটা বেড়াল বসেছিল৷ গান শুনে বেড়ালটা গোবর থেকে পাখিটাকে বের করে খেয়ে ফেলল৷

এই গল্পের lesson গুলো কি কি?

প্রথম lesson হলো, Not everyone who drops shit on you is your enemy. এর মানে হল, যারা আমাদের উপরে ময়লা ছিটিয়ে দেয় অর্থাৎ আমাদের বকা-ঝকা করেন, তাদের সবাই কিন্তু আমাদের শত্রু নন; অনেকেই আমাদের ভালো চান৷ এই দলে আছেন, আমাদের বাবা-মা, সিনিয়ররা, স্যাররা৷

দ্বিতীয় lesson হলো, Not everyone who gets you out of shit is your friend. এর মানে হল, অনেকেই আছেন যাঁরা আমাদের বিপদ থেকে মুক্ত করার কথা বলে হাত বাড়িয়ে দিয়ে আরো বড় বিপদে ফেলে দেন৷ এই দলে আছেন, আমাদের আশে-পাশের সেইসব মহাপণ্ডিত ব্যক্তিরা, যাঁরা বলেন, “বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে আর কি হবে? তার চেয়ে অন্য কিছু কর৷” অথবা বলেন, “তোমাকে দিয়ে বিসিএস হবেনা৷”আমি মনে করি, If you cannot help a person to do something, you have no right to demoralize him/her saying that he/she cannot do it.

আমার মনে হয়, তৃতীয় lesson টাই সবচেয়ে important. সেটি হলো, When you are in the shit, always keep your mouth shut!! এর মানে হল, যখন আপনি বিপদে আছেন, তখন সবসময় আপনার মুখ বন্ধ রাখবেন৷ Success talks the loudest. Success can buy silence. আপনার সাফল্য সবার মুখ বন্ধ করে দিতে পারে৷ তাই নিজের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিন, অন্যদের প্রতি নয়৷

ক্যারিয়ার নিয়ে আমার কিছু ফেসবুক নোট পড়ে দেখতে পারেন।

নোটগুলো হলোঃ

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্যেঃ স্বপ্নছোঁয়ার গল্প। আগামীকালকের যুক্তি তক্কো আর গপ্পো

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্যেঃ স্বাগত হে স্বপ্ন

বিসিএস ভাইভা পরীক্ষার জন্যেঃ স্বপ্নঘরের ওয়েটিং রুমে

বিসিএস + আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার জন্যেঃ OTHERS THINK, THEREFORE I AM

সবশেষে ছিলো প্রশ্নোত্তর পর্ব।

ভাবনা: পাঁচশো আশি

……………………………………………………

7 July 2014

গত ৫ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার আড্ডায় বলা কথাগুলোর অডিও ক্লিপ; ছোটো ভাই সাব্বিরের সৌজন্যে পাওয়া।নিজের ভয়েস শুনে দু’টো ব্যাপার খেয়াল করলাম।

এক। আমি ঠিকভাবে পরিশীলিত উচ্চারণে কথা বলতে পারিনা। আমার উচ্চারণ আঞ্চলিকতা দোষে দুষ্ট।

দুই। স্পষ্টভাবে শুনতে চাইলে একটু কষ্ট পাবেন৷ এই কষ্টটুকু পাওয়ার জন্যে আপনার কষ্ট করে কানে-খাটো হওয়ার কোনো দরকার নেই৷ মাঝে মাঝে মাইক্রোফোন এবং ঠোঁট চুম্বকের সমমেরুর মতো কাজ করে৷

কথা বলার জন্যে কোনো অ্যাওয়ার্ডের ব্যবস্থা ছিলো না (যদিও স্যাররা আমাদের ফুল দিয়ে বরণ, থুক্কু বিদায় দিয়েছিলেন), এতে আমার কোনো দুঃখই নাই, বরং পাব্লিক বুফে ডিনারের স্টাইলে যে বুফে মাইর দ্যায় নাই, এতেই আমি ব্যাপক খুশি!!

8 July 2014

আমার পরের আড্ডাটা হবে ১২ তারিখ শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে। আড্ডাটা সিলেটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্টদের জন্যে উন্মুক্ত থাকবে। আড্ডাটা আয়োজনের উদ্যোগ নেয়ার জন্যে Sharif কে ধন্যবাদ।আমি ঠিক করেছি, আড্ডায় আমি বিসিএস পরীক্ষা আর আইবিএ ভর্তি পরীক্ষা ২টা বিষয় নিয়েই বলবো।

বন্ধুদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আড্ডায়।

8 July 2014

যখন কেউ অন্য কারোর লেখা কপি-পেস্ট করে নিজের ওয়ালে কার্টেসি উল্লেখ না করেই শেয়ার করে এমনভাবে যেনো সে এটা নিজেই লিখেছে এবং অন্যেরা ওকে প্রশংসা করে কমেন্টে কিছু লিখলে তাদের কমেন্টে লাইক দেয়, তাদেরকে থ্যাংক্সও দেয়, তখন মনে হয়, সে ধরেই নিয়েছে অন্য সবাই এতোটাই আহাম্মক হয়ে গেছে যে ওরা ধরে নিচ্ছে ও হঠাত্‍ করেই কীভাবে যেনো কোনো এক আশ্চর্য ঐশী যাদুবলে ভালো লিখতে শিখে গেছে। তুমি নপুংসক, ঠিক আছে; অন্যের সন্তানকে আদর করে অপত্যসুখ পাচ্ছো, বেশ ভালো কথা; কিন্তু তাই বলে সঙ্গমের ক্রেডিটটাও নিয়ে নেবে, বস্? সঙ্গমে অক্ষম পুরুষের মুখে সঙ্গমসুখবর্ণনা! হোয়াট অ্যা হাইট অব হিপোক্রিসি! নপুংসক মোঘল সম্রাটের হারেমরমণীদের আর্তনাদ আমাদের যতটা ব্যথিত করে, তার চাইতেও অনেকবেশি ঘৃণা ধিক্কার জন্মে দেয় সেই বিকারগ্রস্ত সম্রাটের প্রতি। নপুংসক হলেই কি পৌরুষ হারিয়ে বসতে হবে? কারো বউ নিয়ে ফস্টিনস্টি করলে ওর যতটা মাথা খারাপ হয়, কারোর লেখা কার্টেসি ছাড়া কপি-পেস্ট করলেও ওর ততটাই মাথা খারাপ হয়। কেউ ৬ মিনিটে যা লিখলো, তুমি তা ৬ মাস সাধনা করলেও লিখতে পারতে কিনা সন্দেহ, আর সেই তুমিই কিনা মাত্র ৬ সেকেন্ডে সেটা কপি-পেস্ট করে নিজের বলে চালিয়ে দিলে! মেধার সাথে সাথে লজ্জাশরমকেও গুডবাই দিয়ে দিলে, বস্? হাসছো, না? হাসো, হাসতে থাকো। জীবনে তো এক লাইনও লিখতে পারো নাই, লিখতে পারলে বুঝতে, নিজের লেখা অন্য কেউ বেহায়ার মতো চুরি করলে মেজাজ কতটা খারাপ হয়। একটা লেখা লিখতে খুব কষ্ট হয়, বস্; খুউব। অসহনীয় প্রসববেদনায় ভূমিষ্ঠ সন্তানকে যখন অন্য কেউ চুরি করে নিয়ে যায়, তখন মায়ের মনের অবস্থাটা একটু বোঝার চেষ্টা করুন!

9 July 2014

ইয়েস, ব্রাজিল ট্রুলি ডিজার্ভ দিস ফাইভ (অর ইভেন মোর)। শালারা এই ডিফেন্স নিয়া বিশ্বকাপ খেলতে আসছে! পুরাই ফাউল!!

9 July 2014

It seems like Hitler is back!!

Germany turn the field into a Concentration Camp!! They’re playing not with the football but with the Brazilian amateurs!!

9 July 2014

Cool Guys, Cool!! Let’s look into the sexy side of the coin!! We still have a hope for a Brazil-Argentina match!!

9 July 2014

Bra slips!! You see, it still entertains, anyway!! Such a cool team, huh?

9 July 2014

’Main Khelega’ অ্যাটিচিউডের গল্প৷ হারিয়ে না যাওয়ার গল্প৷ আমার লাইফে শেখা সেরা অ্যাটিচিউড৷ হ্যাটস্ অফ শচীন!! বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সময় আমি এই গল্পটা মাথায় রাখতাম।

December 1989, Sialkot, Pakistan. It was fourth test match between India and Pakistan. And it happens to be fourth test of Sachin Tendulkar’s career.

Making debut at Sixteen, Sachin was seen as a precocious talent. However, several young stars had sparkled briefly in India’s cricketing sky and almost suddenly faded away as fast as they appeared.

The series was tied 0-0after three tests. Despite conceding lead of 65 runs in first innings, Pakistan hit back through blistering spells from Wasim Akram and Waqar Yonus reducing India to 38 for 4wickets. Experienced pros like Shrikanth, Manjrekar, Shastri and Azarauddin were back to pavilion. In walked Sachin, to join Sidhu.

Waqar bowled a nasty bouncer that went smack on Sachin’s nose. The poor sixteen year old was badly hit and his nose was bleeding so profusely that every one watching the match started feeling bad about this brutality.

As Indian team physiotherapist rushed to offer first-aid and Pakistan gathered to check out the bloody sight, where Sachin was shaken and was still bleeding. As the physio tried to stop the bleeding Sidhu suggested Sachin that he should retire hurt and come out later. That would give him some time to get his nose fixed. Even physio suggested him to get back to pavilion.

‘Main Khelega’ said Sachin, I will play!

A star was born. Those two words verbalized the fierce determination of a young man who was not going to quit.

Sachin could have gone into the relative comfort of the dressing room but he didn’t. The heat was on, India was in trouble. The pace attack had its tail up, the blood was staining his gloves, his shirt, his face, his spirit. But the kid would have none of it, Main Khelega, that’s it.

Sachin went on to score 57runs and shared in a match-saving 101 run partnership with Sidhu. With two words- main khelega- talent transformed in to genius in Sialkot.

It’s always like that, what separates champions from mere mortals is not just talent, its attitude. Its mental strength, its willingness to fight when chips are down, its Main Khelega spirit. The spirit which keeps team’s need ahead of one’s own interest.

There are many times in our lives when the pressure mounts and we feel like throwing in the towel and calling it quits. That is just the time when we need to raise our hands and be counted. Time to say Main khelega…

Some years down, long after the little master blaster has retired, when we tell our grandchildren about the batting legend, we should remember to tell them and teach them, those two magical words that defined the spirit of the champion and which translates talent in to performance.

Time to say, Main Khelega…

…………..Almost similar determination was shown by Kapil Dev. Gavaskar was captain and India needed some 50 odd runs to win the match in the last 4th innings of test match. Top order batting had collapsed…… and it was probably 7 down or so. Kapil’s turn came and he was having high viral temperature lying in bed. So Gavaskar asked the next player to go for batting……… but suddenly Kapil appeared from nowhere and ran to the batting crease……… Gavaskar kept shouting,”O o o Kapil…come back…come back. But Kapil didn’t look back and started his hurricane shots……. to achieve the target unbeaten in style.

That was the arrival of a revolution in Indian cricket. The maestro who brought the first world cup to India in 1983…… defeating mighty West Indies who had never lost till then in the world cup…… and were considered invincible.

That also started changing the cricket format…….. transforming from test match to one-day……… 1983onwards.

……….. Great to hear that!! Thanks a lot for sharing!!! Legends are born, not made!!!

ভাবনা: পাঁচশো একাশি

……………………………………………………

10July 2014

উপবনে (অ)শোভন চেয়ারে চেপে সিলেটে যাচ্ছি; সাথে রিমেল ভাই। (আমি বলদা বাসে না আইসা ট্রেনে আসতাসি। ভূতে কিলাইলেও মাইনষ্যে এই ভুল করে না। আমারে মহিলা ভূত, আই মিন পেত্নী কিলাইসে ফর শিউর!)

এই শনিবার সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সকাল ১০:৪৫টা থেকে ক্যারিয়ার আড্ডায় থাকবো। আড্ডায় আমি বিসিএস পরীক্ষা আর আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশলের খুঁটিনাটি নিয়ে বলবো। অন্যান্য বিষয়ও থাকবে। মোটিভেশনাল ক্যারিয়ার সেমিনারটি সবার জন্য উন্মুক্ত। বন্ধুদের সবাইকে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমার সাথে থাকবেন ২৮তম বিসিএস প্রশাসনের রিমেল ভাই, ৩৩তম বিসিএস প্রশাসনের ১ম স্থান অধিকারী অভিজিত। আমার কভার ফটোতে ইভেন্টের লিঙ্ক দেয়া আছে।

বিশ্ববিদ্যালয় রেস্টহাউজে থাকবো। কালকে সারাদিন ফ্রি আছি। সিলেটের বন্ধুদের সাথে কালকে চা হয়ে যেতে পারে। বন্ধুরা সাস্ট ক্যাম্পাসে চলে আসুন। দেখা হবে, কথা হবে।

10July 2014

……. now on a journey through — the soul of night, the soft melody of instrumentals, rhythmic kissing of wheels, the scent of breeze, the sweet sleep of Nature, the sound of silence, the joy of being close to madness, the essence of the world I create all around…. And, I slowly go insane. Life’s good!

Hello Sylhet!

12July 2014

চাঁদের গা বেয়ে টিপ টিপ বৃষ্টি। যে বৃষ্টিটা ভিজিয়ে দেয় না, অথচ ভিজিয়ে দেয় না তাই শরীরমনে শিহরণ জাগায়, আমাদের আজকের বৃষ্টিটা ওরকম; সাথে আড্ডায় গান, গানে আড্ডা। ওদের গান, আমাদের চিত্‍কার। রাতের সাস্টের নৈঃশব্দ্য চিরে আমাদের অ্যাকাউস্টিক আড্ডা গিটারের যাদুতে। সবকিছু এলোমেলো করে দেয়া আজকের নির্ঘুম রাতের শেষে কালকের ক্যারিয়ার সেমিনারে ঘুমিয়ে পড়বো, আপাতত এই প্ল্যান।

Life is too good to sleep right now!

16July 2014

16July 2014

কেউ দাওয়াত দেয়নি, সতেরোটা রোজা কাটলো……… অবশেষে আজ মেঘনা আন্টি ইফতার বানিয়ে খাওয়ালেন। আন্টির রান্না এমনিতেই চমৎকার; তার উপরে আজকের এতো অসাধারণ হালিম আর কাস্টার্ড খাওয়ার জন্যে হলেও রোজার সময় রোজরোজ আন্টির কাছে আবদার করে ইফতার চেয়ে খাওয়া যায়। কাস্টার্ড খেয়ে Tarik ভাই তো বলেই ফেললেন, এটা ডেজার্ট না, এটা মোজার্ট! আন্টি, ধন্যবাদ দিবো না, কারণ আমি শিওর, ধন্যবাদ দিলে আপনি আমার ওজন আরো ১০ কেজি বাড়িয়ে দেবেন। আমি আবার কেউ দাওয়াত দিলে ‘না’ বলতে পারি না। এমনিতেই ভুঁড়ি আর বয়স, দুইটাই বিনা নোটিসে বাড়ে! Mosharraf আঙ্কেল এই বয়সেও উনার পুত্রকন্যার চাইতেও অনেক স্মার্ট! আঙ্কেলআন্টির আতিথেয়তায় বরাবরের মতোই আমি মুগ্ধ! আঙ্কেল বললেন, উনি আমার লেখা নিয়মিত পড়েন, উনার ভালো লাগাটা এমন চমৎকারভাবে বললেন, এই অধম আমার পর্যন্ত মনে হল, আরো লিখি। আবারও বুঝলাম, অন্যের প্রশংসা করতে হলে বড় মন লাগে, তাই আগে নিজেকে বড় হতে হয়। Mashroof, তুই আঙ্কেলআন্টির ছিটেফোঁটা পাইলেও তো হইতো। Unlike parents, unlike son! শালা, খালি তোর লাইগাই মাইনষ্যে অহনো ডারউইন চাচ্চুরে গাইল্লায়। বিবর্তনবাদ খালি তোর কেইসে ফেইল মারসে! শিম্পাঞ্জি কোনহানকার!! তাত্তারি মানুষ হ! আজকে অনেক ড্যাম কুল পোলাপানের সাথে পরিচিত হইলাম। মাসফি, তোর মতন জ্ঞানী বলদার লগে এরা মেশে!! ক্যামনে কী??

বাই দ্য ওয়ে, Mohona, তুমি এতো পচা ছবি কীভাবে তুলো? একটু শিখায়ে দিবা, প্লিজ?……. আমিও তুলবো।

(কিডিং অ্যাপার্ট, দোস্তো, পোলাপানরে দয়া কইরা ট্যাগাইয়া দে। আমি নাম ভুলতে ব্যাপক ওস্তাদ! অলরেডি অনেকের নাম ইফতারের লগে হজম কইরা ফালাইসি।)

24July 2014

Height of stupidity: Adding your boss to your friendlist.

•Height of helplessness: Not being able to remove them.

25July 2014

28 July 2014

আমার ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারের ৩৩৯৪ বইয়ের মধ্যে এটিই সবচেয়ে পুরোনো। বইটির বয়স ৯১ বছর।বইটির নাম Old Testament Studies, লেখক William R Newell, প্রকাশকাল ১৯২৩।(কিশোর বয়সে ভারতসেবা আশ্রমের লাইব্রেরি থেকে চুরি করেছিলাম।)