ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা (৮৬তি অংশ)

ভাবনা: পাঁচশো ছিয়ানব্বই

……………………………………………………

8 November 2014

ব্যাচেলররা কখনো বড় হয় না৷ ব্যাচেলররা শুধু বেড়ে ওঠে৷ ব্যাপারটা, ইয়ে মানে…………….. ইউ হ্যাভ টু বুঝতে হবে।

আমি তো সবার জন্যেই অপেক্ষায় আছি। ব্যাপারটা কি বোঝা গেলো?

আপনাকে মুড়ি খেয়ে বড় হয়ে ওঠার পরামর্শ দেয়া হল।

সাথে স্প্রাইট নেন।

………. ইয়ে মানে, আপ্নে কি আমারে ফেরেশতা ভাবসিলেন?

তুই কি এখনো নিজেকে ব্যাচেলর দাবী করছিস? তোর ইনবক্সে আসতে থাকা যাবতীয় ম্যাসেজসমূহের যে নমুনা তুই স্ট্যাটাস মারফত শেয়ার করেছিস, সে সমস্ত পড়িয়া নিঃসন্দেহে এটা বলাই যায় যে বহু আগেই তুই তোর কুমারত্ব হারিয়েছিস। কত রমণী যে তাহাদের স্বপ্নে তোরে চমৎকার(*) করেছে তাহা সহজেই অনুমেয়।

আমি জ্ঞানী নই, আমি টিপিক্যাল পাপী। আর তুই হচ্ছিস জ্ঞানপাপী।

আমি জ্ঞানপাপী না, আমি পাপজ্ঞানী।

8 November 2014

Chittagong

কোনো বাড়িওয়ালাই ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া দিতে চান না। অথচ মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় ঠিকই ব্যাচেলর পাত্র খোঁজেন। লজ্জাও করে না! বড়ই পরিতাপের বিষয়!

আপনি বাড়িওয়ালা হলে আপনি দিতেন?

……….. আপনি বাড়িওয়ালা?

বিয়ে একটা করেই ফেলুন!

একটা মাত্র?

বৌ আর বুয়া দুইটাই জোটানো টাফ!!

না, আজকে ব্যাচেলরবিরোধী বাড়িওয়ালা প্রতিরোধ দিবস।

সুপ্তির সুপ্ত জ্ঞান অবশেষে আর সুপ্ত রহিল না।

……….. দুনিয়াতে কারোর বৌ কি অন্যকারোর হয়?

ওর মায়ের এখনো বিয়ে হইসে কিনা খবর নাও।

যোগ্যতায় হয় না বৌ, বৌ হয়ে যোগ্য হয়।

9 November 2014

feeling এইডা কিসু হইলো!

বস রুমে ডাইক্যা ঝাড়ি মারতাসে। আর আমার মাথায় কোইত্থেইক্যা জানি বাইজ্যাই চলতাসে বাইজ্যাই চলতাসে……….. সাইয়া দিল মে আনা রে…..আ কে ফির না জানা রে…….. মুখডারে যতটুক সম্ভব দুখী দুখী ফইন্নির পুত ইশটাইলে রাখার জান কোরবান চেষ্টা করতাসি অথচ কুনু কাম হইতাসে না। খালি হাসি পাইতাসে খালি হাসি পাইতাসে! যখনই বস সিরিয়াসলি খেইপ্যা উঠতাসে, তখনই মাথায় ইশট্রাইক দিতাসে………….ছম ছমা ছম ছম………..

চাকরি করতে আইস্যা আমার শরম ফুরাইসে………….

………… শোনেন ভাই, আমার বস আমার চাইতে কম ঝাড়ি মারেন।

………… I’m funny?! Who told you??

No dear, I’m not humorous, seriously! I’m serious! I’m just humorously serious!!

আদৌ কেউ ঝাড়ি দিয়েছে কিনা, সেটাও তো ভেবে দেখতে হবে।

10November 2014

How to manage friends?

Some ask me, how do you manage your friends? The answer is simple. Managing your friends is something like managing your no-friends (if not enemies) and haters. You have passed your life without those people till date, means you can pass the rest of your life without those people. You do not need everyone in your life. Make your own choice. Only you yourself and your old good people are mandatory for your life. Everyone else is optional; yes, just OPTIONAL. No use of ruining your present happiness dreaming of being happier. Who does not make you feel good can hardly make you feel better. No one else is bigger than the old and happy YOU. I often say, My friend-list is big; well, so is my block-list. This is my own way of facebooking.

14November 2014

একটাসময়ে এমন একটাও দিন ছিল না, যেদিনটাতে অন্তত একটা হলেও মুভি দেখিনি। সেইসব দিনগুলোকে আমি এখন প্রচণ্ড ঈর্ষা করি। আমি দেখেছি, ভালো লেগেছে, এবং এখনো মনে আছে, এরকম কিছু মুভির গল্প নিয়ে এই নোটটা। পড়ে দেখুন, অনেক মুভিই হয়তো কমন পড়বে; যেগুলো পড়বে না, সেগুলোর রিভিয়্যু দেখে আপনার ‘কাপ অব টি’ হলে ওরকম দুএকটার সাথে উইকএন্ডটা কাটিয়ে দিন। হ্যাপি উইকএন্ড, ফ্রেন্ডস!!

14November 2014

Happiness is, when you hear these things about your father from your lawyer friend:

মেসোমাসিমা! Wonderful couple indeed! I let you know dost, Mr Paul, Senior was my learned opposition lawyer in some civil suits. As far as I’ve seen him, he is a man of cool blood; no hurries, no worries in submission before the court. One thing that always drew my attention about him is that he showed the same regards to the junior lawyers as he did to his seniors. He knows the art of respecting others very well. An interesting thing I feel like sharing here. I knew that he is your father but I never told him that Mr Paul, Junior is my friend. Why? Well, as I’ve seen him, he is so kind-hearted that if I told him it, so far I assume, he’d develop a soft corner about me and our battle before the court would be reduced. I’m grateful to this great personality for learning some life lessons.

My father is a lawyer. Proud to be his son! Thank you dost Anupam for sharing these things.

Every son/ daughter must be proud of his/her pa. Just by chance my pa too was a lawyer…….. and a freedom fighter during British rule. Indebted. Memories haunt…..all through your life.

…….. respect

ভাবনা: পাঁচশো সাতানব্বই

……………………………………………………

14November 2014

সুশান্ত, দারুণ! সত্যিই খুব চমৎকার একটা কাজ করছো! লোকজনকে স্বপ্ন দেখতে শেখাচ্ছ এবং সুন্দর একটা পথ বেছে নিতে ইন্সপায়ার করছো। তোমার এই চেষ্টাকে আমি মন থেকে সাধুবাদ জানাই। আমি নিজেও এটা করি অনেকদিন থেকেই। কিন্তু, যারা আমার সামনে আসে, কিংবা যাদের সাথে আমার দেখা হয়, তাদেরকেই শুধু আমি হেল্প করতে পারি। এদের সংখ্যা খুব সীমিত। আমি অতোটা লিখতে পারি না। তুমি সবার জন্যে লিখছ। তোমার ভাবনাগুলো তোমার লেখার মধ্য দিয়ে সবার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এটা অনেক বড় একটা কাজ, কারোর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করা। তুমি বিনে পয়সায় সেমিনার নিয়ে সবার স্বপ্ন বুনে দিচ্ছ। আমাদের সমাজের জন্যে এটার দরকার আছে। এটা করার ইচ্ছে হয়তো অনেকেরই আছে। কিন্তু, করছে কয়জন? সময় থাকলে, আমার সাথে দেখা কোরো। আমার সত্যিই ভালো লাগবে। আমি অনেক ব্যস্ত থাকি, তবুও সময় করে তোমার লেখাগুলো পড়ি। আমি তোমার লেখার ফ্যান হয়ে গেছি। ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।

ওই যে একটা গল্প লিখলে না? সুখী ক্লিনারের গল্প। রহিমের জীবনের গল্প। বিশ্বাস কর ভাই, অনেক ভালো লেগেছে। ভেরি গুড এক্জামপল, আই মাস্ট সে! কাজকে ভালোবাসার গল্প, সহজভাবে সবচেয়ে সুন্দর জীবনটা কাটানোর দর্শন। এটা খুব খুব সময়োপযোগী হয়েছে। ভাই, আমি জানি একটা পয়সা আয় করতে কতোটা কষ্ট করতে হয়। শিল্পপতিদের ছেলেমেয়েরা কখনোই সেটা জানতে পারবে না। আমি আমার সিনিয়র শিল্পপতি বন্ধুদের বলি, আপনার ছেলেটাকে পৃথিবীর পথটা চিনতে দিন। ওকে পঙ্গু করে রাখবেন না। আপনি যে শ্রমের বিনিময়ে আজকের আপনি, ওদেরকে সেটা বুঝতে দিন। কষ্ট লাগে তখন, যখন দেখি ওরা বেশিরভাগ সময়ই কেউ এই প্রস্তাবে রাজি হয় না। আমি ওদেরকে বলি, আয় করা কতোটা কষ্টের কাজ, এটা ওদেরকে ছেলেমেয়েকে ওরা শেখাক। ছেলেমেয়েদের সরাসরি কোম্পানির ডিরেক্টর/ মালিক বানিয়ে দিলে ওদের কখনোই এই অভিজ্ঞতা হবে না, কীভাবে লোকের সাথে ব্যবহার করতে হয়। কারণ, ওদের স্টাফরা ওদের সাথে মালিক হিসেবে যে আচরণটা করা দরকার, সেটাই করবে এবং এতে ওরা কোম্পানির আসল সমস্যাগুলো কোথায় কোথায়, সেটা প্রকৃত চিত্রটা নিজে দেখে বুঝতে পারবে না। এমনকি ওরা কোম্পানিতে একজন চাকরিজীবী হিসেবেও ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে, কিন্তু সরাসরি ডিরেক্টর/ মালিক হিসেবে কিছুতেই নয়।

Saumitra দাদার সাথে কথা হচ্ছিল। (দাদা, আপনার কথাগুলোকে বাংলায় অনুবাদ করে লিখলাম। ভুল হলে, ক্ষমা করে দেবেন।) দাদাও চুয়েট থেকে স্নাতক। আমরা ঠিক করেছি, সোশ্যাল কমিটমেন্ট থেকে এই ধরনের কাজগুলো একসাথে করে যাবো। পুরো দেশেই। ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত কমিশনার Badal Syed স্যার তো অনেক আগে থেকেই এই কাজগুলো করছেন ব্যক্তিগতভাবে কিংবা বিভিন্ন সংস্থার সাথে। আমার ক্যারিয়ার আড্ডা প্রোগ্রামের সাথে স্যারও সম্পৃক্ত হয়েছেন। আমিও স্যারের কিছু কাজের সাথে সম্পৃক্ত আছি। স্যারের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম রোটারি ক্লাবের অর্থায়নে আমার পরের ক্যারিয়ার আড্ডাটা হবে আগামি ২২ তারিখ চট্টগ্রাম থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বিকেল ৪টায়।

ফ্রেন্ডস! হ্যাপি ড্রিমিং!!

14November 2014

Marry the daughter of your boss.

You’ll get a BIG boss.

কীভাবে ভাইয়া???

আঙ্কেলের সাবঅর্ডিনেটকে বিয়ে করে ফেল। বুঝবি।

Are you going to do that???!!!

আপ্নে এতো বুদ্ধি লইয়া জেগে থাকেন ক্যাম্নে??

একটা গল্প মনে পড়ে গেল। সুমনের একটা গান আছে না, প্রথমত আমি তোমাকে চাই…….. তো, ওই গানটা বের হওয়ার পর সবাই বলাবলি করছিল, সুমন নিশ্চয়ই প্রেমে পড়েছে। গানটার তুমি ওর প্রেমিকা। এইসব শুনেটুনে সুমন বলেছিলেন, বাঙালি জাতটার মাথায় বুদ্ধি এতো কম কেন?

ব্যাপারটা হচ্ছে এই, সুমনকে একবার কোনো একটা কারণে জেলে যেতে হয়েছিল। উনি বোধ হয় ১৫ দিনের মতো জেলে ছিলেন। ওইসময়ে উনার একমাত্র সঙ্গী ছিল সিগারেট। তখন জেলে বসে সিগারেটকে ভেবেই উনি ওই গান লিখেছিলেন। ওই গানের ‘তুমি’ হল সিগারেট।

ভাবি, সুমনের ওই কথাটা এখনো কতোটা সমানভাবে প্রাসঙ্গিক!!

Girls will be girls. They will never change!! (আমি কী আর সাধে কই!!??)

You will get a BIG BOSS……but your old boss will cease to exist as your boss. Damad (s’in law) in our society is the super-guest……bigger than god.

……….. So true, Sir!!

15November 2014

Growing up is optional…… Just choose your options…… Plus make your camera your great friend……let it hide your flaws…. flawlessly! Hahahaha…. Hiding flaws flawlessly!! Good idea, huh?……. Facebook is a great place to invent already known faces. Yes, you just have read it right. INVENT. You’ve a childlike soul; if you don’t have, make it so! Let yourself remain a child forever too…. Plan to be younger in your next birthday than your last one! No wrong in taking newer looks on Facebook. I feel like falling in love with some girls in Facebook at whom I even dare not look twice! It’s cool, na? Love yourself, otherwise others won’t.

……… Thank you for what you’ve done.

you are welcome my unique friend,Sushanta Paul, There is none at your level. I respect you from the bottom of my heart.

…………..your kindness

16November 2014

মাথা নষ্ট সুন্দরীরা থাকে ফেসবুকের ওই বাহিরে, অন্যঘরে; এখানে তাহাদেরকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না।

16November 2014

O my dear! Please keep my name secretly in the temple of your soul with the care that your love for me claims.

এটা রবি ঠাকুরের একটা গানের প্রথম দু’লাইনের ইংরেজি অনুবাদ। অনুবাদটা আমার করা। বলুন তো কোন গানের?

ভালোবেসে সখি নিভৃতে যতনে…মনের মন্দিরে!

ভালোবেসে সখি নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো তোমার মনেরও মন্দির…..আমারো পরাণে যে গান বাজিছে তাহার তালটি শেখো তোমার……তা দাদা, আপনার মনে কী তাল বাজছে??

বেতাল।

ভাবনা: পাঁচশো আটানব্বই

……………………………………………………

16November 2014

বন্ধুরা, আসুন, গানগান খেলি। আপনার প্রিয় রবীন্দ্রসংগীতের প্রথম লাইনটা লিখুন। (না ভেবেটেবে যেটা এই মুহূর্তে মাথায় আসছে সেটাই)

আমি শুরু করে দিলাম……. শুধু তোমার বাণী নয় গো, হে বন্ধু, হে প্রিয়, মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো॥

সাথে আরো কিছু:

অচেনাকে ভয় কী আমার ওরে

অনেক কথা যাও যে বলে

অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত

অলি বার বার ফিরে যায়, অলি বার বার ফিরে আসে

আকাশভরা সূর্যতারা

আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে

আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু

আজ খেলা ভাঙার খেলা খেলবি আয়

আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে

আজ ধানের খেতে রৌদ্রছায়ায়

আজ নবীন মেঘের সুর লেগেছে

আজ বিজন ঘরে নিশীথরাতে

আজি ঝরোঝরো মুখর বাদরদিনে

আজি প্রণমি তোমারে চলিব নাথ

আধেক ঘুমে, নয়ন চুমে

আনন্দধারা বহিছে ভুবনে

আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে

আমরা সবাই রাজা

আমায় বাঁধবে যদি কাজের ডোরে

আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ

আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছ দান

আমার নিশীথ রাতের বাদল ধারা

আমার পরাণ যাহা চায়

আমার প্রাণের ‘পরে চলে গেল কে

আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে

আমার প্রিয়ার ছায়া আকাশে আজ ভাসে

আমার বেলা যে যায় সাঁঝবেলাতে

আমার মন মানে না দিনরজনী

আমার মনের কোণের বাইরে

আমার মল্লিকা বনে

আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার

আমার মুক্তি আলোয়আলোয় ওই আকাশে

আমার যাবার বেলায় পিছু ডাকে

আমার যেদিন ভেসে গেছে চোখের জ়লে

আমার সকল দুঃখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস

আমার সোনার বাংলা

আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে

আমারও পরাণ যাহা চায়

আমারে কে নিবি ভাই, সঁপিতে চাই

আমারে তুমি অশেষ করেছ

আমি কান পেতে রই

আমি কেবলই স্বপন, করেছি বপন

আমি চিনি গো চিনি তোমারে

আমি জেনেশুনে বিষ করেছি পান

আমি তোমার প্রেমে হবো সবার কলঙ্কভাগী

আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ

আমি রূপে তোমায় ভোলাব না, ভালোবাসায় ভোলাব

আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল, শুধাইল না কেহ

আয় তবে সহচরী

আরো আরো প্রভু আরো আরো

আলো আমার আলো ওগো

আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও

আহা আজি এ বসন্তে

এই করেছ ভালো, নিঠুর হে

একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি

একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ

এদিন আজি কোন ঘরে গো

এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না

এসো আমার ঘরে। বাহির হয়ে এসো তুমি যে আছ অন্তরে।

এসো নীপবনে, ছায়াবীথি তলে এসো

এসো শ্যামল সুন্দর

এসো হে বৈশাখ, এসো এসো

ও জোনাকী, কী সুখে ওই ডানা দুটি মেলেছ

ও যে মানে না মানা

ওই আসনতলের মাটির ‘পরে

ওই মালতীলতা দোলে

ওগো নদী আপনবেগে পাগলপারা

ওরে গৃহবাসী

ওরে ভীরু, তোমার হাতে নাই ভূবনের ভার

ওহে সুন্দর, মম গৃহে আজি

কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া

কবে তুমি আসবে বলে

কাঁদালে তুমি মোরে ভালোবাসার ঘায়ে

কাল রাতের বেলা

কৃষ্ণকলি আমি তারে বলি

কোথা হতে বাজে প্রেমবেদনা রে

কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা

কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে তুমি

ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু

খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি

খোলো খোলো দ্বার

ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে

চক্ষে আমার তৃষ্ণা, ওগো তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে

চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে

চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে

চোখের আলোয় দেখেছিলাম চোখের বাহিরে

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী

জাগরণে যায় বিভাবরী

জীবনমরণের সীমানা ছাড়ায়ে

ডাকবো না, অমন করে বাইরে থেকে ডাকবো না

তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে

তরী আমার হঠাৎ ডুবে যায়

তুমি কি কেবলই ছবি

তুমি কোন কাননের ফুল

তুমি কোন্‌ ভাঙনের পথে এলে সুপ্তরাতে

তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে

তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম

তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা তুমি আমার নিভৃত সাধনা

তোমায় গান শোনাবো

তোমায় নতুন করে পাবো বলে

তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো

তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই

তোমার খোলা হাওয়ায়

তোমার সুরের ধারা

তোমারে দেখিবার মনে চায় দেখা দাও অমায়

তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা

তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই

দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ওপারে

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না

দিবস রজনী আমি যেন কার আশায় আশায় থাকি

দুঃখ যদি না পাবে তো. দুঃখ তোমার ঘুচবে কবে

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে

না চাহিলে যারে পাওয়া যায়

নাই বা ডাকো রইব তোমার দ্বারে

নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে ফুলবনে

নিবিড় ঘন আঁধারে জ্বলিছে ধ্রুবতারা

নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায় সম্‌বৃত অম্বর হে

নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগলো

পথহারা তুমি পথিক

পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে

পুব-হাওয়াতে দেয় দোলা আজ মরি মরি

পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবি কীরে হায়

প্রমোদে ঢালিয়া দিনু মন

প্রাণ চায়, চক্ষু না চায়

প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে

ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়

ফুলেফুলে ঢলেঢলে বহে কিবা

বঁধু, কোন আলো লাগলো চোখে

বঁধু, মিছে রাগ কোরো না, কোরো না

বরিষধারার মাঝে শান্তির বারি

বল দাও মোরে বল দাও, প্রাণে দাও মোর শকতি

বাংলার মাটি বাংলার জল

বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল

বিধি, ডাগর আঁখি

বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা

বিরহ মধুর হল আজি

ভালো যদি বাসো সখি

ভালোবাসি ভালোবাসি

ভালোবেসে সখি নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো

ভেঙে মোর ঘরের চাবি

মধুর বসন্ত এসেছে

মধুর, তোমার শেষ যে না পাই

মন মোর মেঘের সঙ্গী

মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে

মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে

মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল

মাঝেমাঝে তব দেখা পাই

মায়াবন বিহারিণী হরিণী

মেঘ বলেছে যাবো যাবো

মেঘের কোলে রোদ হেসেছে

মোর বীণা ওঠে কোন সুরে বাজি

মোর ভাবনারে কী হাওয়ায় মাতালো

মোর হৃদয়ের গোপন বিজন ঘরে

যখন এসেছিলে অন্ধকারে

যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন

যতক্ষণ তুমি আমায় বসিয়ে রাখো বাহির বাটে

যদি জানতেম, আমার কীসের ব্যথা

যদি তারে নাই চিনি গো সেকি

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে

যায় দিন, শ্রাবণদিন যায়

যে ছিল আমার স্বপনচারিণী

যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙল ঝড়ে

রাত্রি এসে যেথায় মেশে

শরতে আজ কোন্‌ অতিথি এল প্রাণের দ্বারে

শুধু যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা

শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে

সকরুণ বেণু বাজায়ে কে যায়

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে

সখি, বহে গেলো বেলা

সখি, ভাবনা কাহারে বলে

সজনি সজনি রাধিকা লো

সন্ত্রাসের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান

সহে না যাতনা

সুখহীন নিশিদিন পরাধীন হয়ে

সুনীল সাগরে শ্যামল কিনারে

সেই ভাল, সেই ভাল

সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে

হায় গো, ব্যথায় কথা যায় ডুবে যায়, যায় গো

হার-মানা হার পরাব তোমার গলে

হৃদয়ের এ কূল ও কূল

হে ক্ষণিকের অতিথি এলে প্রভাতে

ভাবনা: পাঁচশো নিরানব্বই

……………………………………………………

16November 2014

আপনার দেখা সবচেয়ে কষ্টের বাংলা মুভির নাম বলুন।

আমি দুইটার নাম বলছিঃ

মেঘে ঢাকা তারা (এই মুভিটা দেখার পর বেশ কয়েকদিন প্রচণ্ড মন খারাপ ছিল। বিষণ্ণতা কী জিনিস, এটা বুঝতে, হয় ভাস্কর চক্রবর্তীর কবিতা পড়ুন নতুবা এই মুভিটা দেখুন। আমি নীরা ও নীতাকে ভালোবাসি। সুনীলের নীরা, আর মেঘে ঢাকা তারা’র নীতা। অনেকবেশিই ভালোবাসি।)

মরণের পরে (মায়ের সাথে হলে গিয়ে দেখেছিলাম। মুভিটা দেখে সেই ছোটবেলায়ও হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম। অবশ্য এর কারণ এও হতে পারে, আমার মা’র চোখ দিয়ে টপটপ জল পড়ছিল দেখে আমি কেঁদেছিলাম। কী কষ্ট কী কষ্ট!)

Shadow Of Time

The Japanese Wife

অগ্নীশ্বর

অন্তহীন

অপুর সংসার

অবশেষে

অশিক্ষিত

আগুনের পরশমণি

আনন্দঅশ্রু

আমার আছে জল

আমার বন্ধু রাশেদ

আলোর মিছিল

ইতি মৃণালিনী

এই ঘর এই সংসার

এতটুকু আশা

ওরা এগারো জন

চিত্রাঙ্গদা

চ্যাপলিন

ছুটির ঘণ্টা

জজ-ব্যারিস্টার

জন্ম থেকে জ্বলছি

জয়যাত্রা

জীবন থেকে নেয়া

টেলিভিশন

তিতাস একটি নদীর নাম

দীপু নম্বর টু

দুখাই

নন্দিত নরকে

নয়নের আলো

পথে হল দেরি

পথের পাঁচালী

প্রেমের সমাধি

বাবা কেন চাকর

বিরাজ-বৌ

বোঝে না সে বোঝে না

ভাত দে

মনপুরা

মহানায়ক

মাটির ঘর

মেঘের পরে মেঘ

রাঙা ভাবি

শঙ্খনীল কারাগার

শাস্তি

শিল্পী

শুভদা

শ্রাবণ মেঘের দিন

সত্যমিথ্যা

সত্যের মৃত্যু নেই

সবার উপরে

সাজানো বাগান

সিরাজ-উদ-দৌল্লা

হাঙর নদী গ্রেনেড

18November 2014

LEAVE to LIVE.

no set rules!

……….. Size doesn’t matter chopping wood.

Why only SHE or HE thoughts?? Think about ideas.

What should we leave person/idea?

…………. depends………………. (an MBA reply!)

Learn to Live….and, more importantly, Live to Learn!

and, Live to Love…………….

Live, Live & Live!!

and, Laugh to Live.

18November 2014

৪ মার্চ ২০১১ তারিখে দেয়া আমার একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং বন্ধুদের কমেন্টের রিপ্লাইয়ে দেয়া আমার কমেন্টগুলো হুবহু শেয়ার করলাম। আমার পুরোনো লেখাগুলো ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ পেয়ে গেলাম। অনেকদিন পর কথাগুলো পড়ছি। পড়ছি আর ভাবছি, আজকের দিনেও এইসব কথা কতোটা প্রাসঙ্গিক!

স্ট্যাটাসটাঃ

Some of my friends have asked me through inbox, “Do you still support your Bangladesh cricket team?” I’ve just answered, “YES”…. Can I ever call another beautiful woman Mother only because my own Mother is ugly?…. NO!! NEVER!!…. Better days must come, I believe!!

আমার করা রিপ্লাই কমেন্টগুলোঃ

: I’m humbly requesting all of my Bangladeshi Facebook friends not to say anything if you don’t have something nice to say about Bangladesh….. I really do mean it!!….. Please stop this nuisance!!

: আমার মা ভুল করেছে বলে মায়ের উপর আমার অভিমান হতে পারে, না হয় কিছুক্ষণ বকলামই বা মাকে! তাই বলে আমার হৃদয়ের এই রক্তক্ষরণের গভীর ব্যাঞ্জনা অন্যদের যেন এমনভাবে স্পর্শ না করে, যাতে ওরা আমাকে কিংবা আমার মাকে করুণা করে, অপমান করার দুঃসাহস পায়।

: বাংলাদেশ এখনো অনেক ছোটো। ভেবে দেখুন, আমাদের সিনিয়রমোস্ট প্লেয়ারের বয়স মাত্র ২৮! আমি মেনে নিচ্ছি, ওরা আজকে ভালো খেলতে পারেনি, অনেক ভুল করেছে, আমাদের মনে কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু, ওরা যে আমাদেরই ভাই! ওদেরকে ঘিরেই আমাদের আনন্দ, বেদনা। ভাইকে না হয় দু-চারটা চড় মারবো, এতে কোনো দোষ নেই। কিন্তু, তা কোনো অবস্থাতেই কারোর সামনে নয়, কখনোই নয়, কিছুতেই নয়!!

: একটু ভাবুন তো, এই কিছুদিন আগেই ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবলের সময় আমরা আমাদের বাসার ছাদে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা উড়িয়েছি। আরে ভাই, আমরা তো সেই কাপে খেলিইনি! অথচ, দেখুন, আমরা এই ওয়ার্ল্ড কাপ ক্রিকেটের আয়োজক দেশ। কিন্তু কই? কোনো বাংলাদেশি ফ্ল্যাগ তো কারোর বাড়ির ছাদে খুব একটা ওড়াতে দেখিনি আমি! আসলে, আমাদের এখনো অনেককিছু শেখার বাকি রয়ে গেছে।

: Let’s raise our voices together for Bangladesh, only for our Bangladesh!! Right or wrong, this is my motherland, my mother!! I owe to her for every drop of my blood!!

: ভাই, এতো হতাশ হলে তো চলবে না, আমাদের নেক্সট ম্যাচগুলো তো খেলতে হবে, তাই না? আমরা খেলবো, এটাই সত্য! ওরা হারুক, এটা আমরা যেমনি চাই না, তেমনি ওরাও কেউ কিন্তু চায় না। বন্ধু, সবই বুঝি। আমার নিজেরও বেশ মেজাজ খারাপ হয়! দেখ, এটাই তো ভালোবাসা! রাগ হবে, তবুও কখনোই ছেড়ে যাবো না। “শাসন করা তারেই সাজে সোহাগ করে যে।” যতোকিছুই বল ভাই, তবুও আমার দেশকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কিছু বললে কিছুতেই আর মেজাজ ঠিক রাখতে পারি না, মাথায় খুন চেপে যায়। ভাই, কী করবো বল! ভালোবাসি যে!

: আমরা ভালো বলি, মন্দ বলি, যা-ই বলি না কেন, মনেপ্রাণে এটা তো চাই, ওরা ভালো খেলুক! ওপরের দিকে থুতু ছিটালে নিজের গায়ে এসেই তো পড়ে, না? তার চেয়ে বরং একটু পাশে দাঁড়াই ওদের, ওরা আবার ঘুরে দাঁড়াক—-এ-ই তো চাই! সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে আমার দেশের বন্ধুদের এইসব অফেনসিভ কথাবার্তা দেখলে নিজেকে খুব অসহায় লাগে। মনে হতে থাকে পায়ের তলা থেকে একটু একটু করে মাটি সরে যাচ্ছে ক্রমশ। কী লাভ এতে? আমাদের ইমেজ সংকট এতে বরং আরো বাড়বে। আমার মায়ের চেহারা সুন্দর নয় বলে কি আমি আরেকজন সুন্দরী মহিলাকে কখনো ‘মা’ ডাকতে পারবো? এই দেশ আমার মা, ওরা আমারই ভাই। আজকের এই দুঃসময়ে ওদের পাশে আমাদের যে দাঁড়াতেই হবে, অভয় দেয়ার জন্য, সাহস যোগানোর জন্য। ওরা হারিয়ে গেলে, আমরাই যে হারিয়ে যাবো।

19November 2014

দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত আমার ক্যারিয়ার আড্ডার ধারাবাহিকতায় পরের আড্ডাটি হবে আগামী ২২ নভেম্বর শনিবার চট্টগ্রাম থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বিকেল ৪টায়। আমার সব আড্ডার মতো ওটাতেও অংশ নিতে কোনো রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না, কোনো এন্ট্রি ফি লাগবে না। সবার জন্যে উন্মুক্ত। শুধু ওইসময়ে ভেন্যুতে এলেই হবে। ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের অ্যাডিশনাল কমিশনার Badal Syed স্যারের উদ্যোগে প্রোগ্রামটা আয়োজন করেছে চিটাগাং রোটারী ক্লাব।

আড্ডায় যা যা থাকছেঃ

এক। মোটিভেশনাল টকস।

দুই। বিসিএস প্রিলিমিনারি + রিটেন + ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল।

তিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র এমবিএ রিটেন + ভাইভা ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল।

সেশনটির ডিউরেশন ৩ ঘণ্টার মতো। আড্ডার আলোচ্য বিষয় নিয়ে আপনাদের যা যা প্রশ্ন আছে সেদিন খুব সংক্ষেপে লিখে আনবেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে আমি আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

এরপরের আড্ডাটি হবে আগামী ৩০ নভেম্বর রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ফেয়ার উপলক্ষে আয়োজিত প্রোগ্রামে কিছু বলতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সেই আড্ডায় আমার সাথে থাকবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন কৃতী ছাত্র আমার বন্ধু রিমেল। আড্ডার সব তথ্য পাওয়া যাবে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইমরুলের কাছ থেকে।

শুধুমাত্র ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদের জন্য ভার্সিটির ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত আরেকটা আড্ডায় আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আড্ডাটি হবে ৬ ডিসেম্বর। আড্ডার সব তথ্য পাওয়া যাবে ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি মেম্বার আরাফাতের কাছ থেকে।

অনেকেই আমাকে প্রায়প্রায়ই অনুরোধ করেন যাতে আমি উনাদের শহরে গিয়ে ক্যারিয়ায় আড্ডায় কিছু কথা বলি। এক্ষেত্রে আমার একটু সীমাবদ্ধতা আছে। আমি তো আর এই আড্ডার আয়োজনটা করতে পারি না; সময় আর সুযোগের অভাবে। আপনারা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আড্ডার আয়োজন করে আমাকে আমন্ত্রণ জানালে আমি সময় দেবো। তবে ক্যারিয়ার আড্ডাটা হতে হবে সম্পূর্ণ অবাণিজ্যিক। ভাই, আমার জন্য আপনাদেরকে গাড়িভাড়াটাও দিতে হবে না। তাই আমি চাই, এতে অংশ নিতে যেন কারোর এক পয়সাও খরচ করতে না হয়। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি এইসব ফ্রি মোটিভেশনাল সেমিনার কেন নিই? এতে আমার কী লাভ? আমি উত্তরটা দেই বাইবেল থেকেঃ ম্যান ডাজ নট লিভ বাই ব্রেড অ্যালৌন।

ফ্রেন্ডস! হ্যাপি ড্রিমিং! (এই পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিতে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।)

ভাবনা: ছয়শো

……………………………………………………

22 November 2014

: ভাইয়া, আজকের সেমিনারে ৩টায় গেলে হবে না?

: এতো আগে গিয়ে কি ডিম পাড়বা?

: ক্যান? আপনিই তো বলেন আগে আগে যাইতে।

: অ বুঝসি। আচ্ছা, ভালো কথা, তুমি আজকে যাবা কোন দুঃখে? তুমি ওইদিন মুসলিম হলে গেসো না?

: ভাইয়া, আপনারে দেখতে মঞ্চায়।

: ক্যান? কাহিনী কী? আমারে দেখতে হবে ক্যান? আমি কি চিড়িয়াখানার বান্দর?

: চুপ থাকেন বদ লোক একটা! আপ্নের সেমিনারে যামু না!

: ভেরি গুড ডিসিশন! এতোক্ষনে লাইনে আসছ।

………….(কথোপকথন সমাপ্ত)………………

বন্ধুরা! তাহলে আজকের আড্ডায় দেখা হবে, কথা হবে। ৪টায় থিয়েটার ইনস্টিটিউটে।

সংযোজনঃ আরেকটা টেক্সট আসলো এইমাত্র।

ভাব নিয়া ফেললেন, না? শোনেন, আপনার সেমিনারে আসবো, টিকেট ছাড়া প্যান্টশার্ট-পরা বান্দর দেখা যাবে, খালি এইজন্যে। আর কিসু না। হুহ!

মাইয়া মানুষ আসলেই জাহান্নামের লাকড়ি। আবদুল্লাহ-তে পড়সিলাম বোধ হয়।

23November 2014

(কালকের ক্যারিয়ার আড্ডার সিরাম একখান ফিডব্যাক পাইলাম! শেয়ারাইলাম!!)

ভাইয়া, আপনি আমাকে চিনবেন না। আমিও আপনাকে কালকের আগ পর্যন্ত চিনতাম না। আমি হারিয়ে যাওয়া কেউ না। আমি খুব ভালো আছি। আমি আপনার ওই নোবডিও না, সামবডিও না। আমি মোটামুটি অ্যানিবডি। কোনো ব্যাপার না। এই বেশ ভালো আছি। খাই দাই ঘুমাই আর আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া করি। আমার জীবনের লক্ষ্য একটাই, সুগৃহিণী হওয়া। আমার ওসব ক্যারিয়ার ভাবনাটাবনা নাই। কালকে আমার বয়ফ্রেন্ড জোর করে ধরে আমাকে আপনার আড্ডায় নিয়ে গেছে। ও ফেসবুকে আপনার ফলোয়ার। আপনি নাকি ওর রিকোয়েস্ট অ্যাক্সেপ্ট করেন নাই। তাই ও আপনাকে একই সাথে পছন্দ করে এবং অপছন্দ করে। আমি গেলাম, দেখলাম, শুনলাম, এবং আমার জীবনের অনেক কঠিন প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেলাম। অনেকবেশি সহজ উত্তর। এই প্রশ্নগুলো হয়তো আমি কাউকে কখনোই করতে পারতাম না। আমার আরো একটা লাভ হয়েছে। আমার একটা কনফিউশন দূর হয়েছে। আমি ঠিক করে ফেলেছি, আমি আমার বয়ফ্রেন্ডকেই বিয়ে করবো। ও নিশ্চয়ই আমার ভালো চায়। নাহলে, আমাকে ওখানে ধরে নিয়ে যাবে কেন? খুব ভালোমানুষ না হলে, কোন বেকুব আপনার সাথে ওর গার্লফ্রেন্ডকে পরিচয় করিয়ে দেবে? আপনি ভালোরকমেরই রিস্কি! আমার কথায় কিছু মনে করবেন না ভাইয়া। ভালো থাকবেন।

শিপ্রা…….আর কয়টা দিন অপেক্ষা করো, ডাক্তার বলেছেন, আমার মেয়ে হবে। মেয়ের বয়স ১৮ হলেই আমি তোমার শাশুড়ি হতে পারব।

শিপ্রার মেয়ের নাম পিঁপড়া।

এই, না! বিপ্রা! বিপ্রা হচ্ছেন সৌন্দর্যের দেবী।

হে আল্লাহ! তুমি আমারে আমার শাশুড়িআম্মা আর তার দস্যুবাহিনীর হাত থেকে রক্ষা কর।

23November 2014

কালকের ক্যারিয়ার আড্ডার পর আজকে সকালে পাওয়া ‘একটু ভিন্নরকম’ একটা ফিডব্যাক আমার ওয়ালে শেয়ার করেছিলাম। আমি ঠিক করেছিলাম, আমি আমার আড্ডার ধরনটা একটু বদলে ফেলবো। মজার ব্যাপার হল, এই ফিডব্যাকটা আমার ওয়ালে শেয়ার করার পর মজার কিছু কমেন্ট এসেছে এবং ইনবক্সেও বেশ কিছু মেসেজ পেয়েছি। এরপর আমি আমার আগের ভাবনা থেকে কিছুটা হলেও সরে এসেছি। নাহ! আমি এভাবে করেই সবাইকে বাঁচতে শেখাবো। কিছু কমেন্ট আর মেসেজ শেয়ার করছি।

নিক্সন: কারোর ফিডব্যাক পড়ে নিজেকে পাল্টানোর কিছু নেই, দাদা। একজন মেয়ের যদি আপনার উপস্থাপনা কৌশল ভালো না লাগে তার দায় আপনার না, কারণ বাকি সবার ভালো লাগছে। বরং ভালো না লাগার দায়টা উনি নিজে নিলে ব্যাপারটা শোভন হত। নিজের ক্ষুদ্রতা আমরা কেন ছড়াবো? তবে লেখাটা পড়ে কেমন যেন ব্যক্তিগত দায় বলে মনে হল!!

প্রিয় লেখিকা……কিছু কিছু মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বগুলো অন্যকিছু মানুষের কাছে স্বপ্নপূরনের ধাপ। কষ্ট ফিল করার দায় নেয়ার জন্য কেউ আড্ডায় যায়নি, যায়ও না। যারা যায় তারা দ্বন্দ্বটাকে কাটানোর জন্য যায়, আপনি যদি বুঝে যান, আপনার জীবনে ঠিক এই জায়গায় মোড়টা নিলে সুশান্ত দাদার মত বিপদে পড়বেন না, তাহলে অন্যের জীবনের দ্বন্দ্বটা একটা শিক্ষা হয়ে যায়, তার জন্য যদি কেউ যায়, কেন ওরকম বলছেন কেন ভাই? আমি নিজে কখনও যাইনি আড্ডায়, সময়সুযোগ হয়নি বলে, স্রেফ সুযোগ হয়নি বলেই যাইনি। তবে বিশ্বাস করুন, আমিও সফল হতে চাই জীবনে! (আমি নিজেও কিন্তু ক্যাডার জবে আছি।)

আচ্ছা, কেন এভাবে বললেন, বোন? বেকার হওয়ার যন্ত্রনা কি আপনি জানেন? কখনও বেকার অবস্থায় ফুটপাত থেকে রুটিকলা খেয়ে বন্ধুর বাসায় বিবানী খেয়েছি বলেছেন? চাকরির ইন্টারভিউ দিতেদিতে কখনও বলতে হয়েছে…..পরের চাকরিটা অবশ্যই হবে, বাবা! আত্মীয়স্বজন এড়িয়ে চলেছেন কখনও, শুধু ‘বেকার’ ডাকটা এড়ানোর জন্য?! সুশান্তদার এত ছেলেপুলের স্বপ্ন দেখানোর দায়টা আপনি দেখলেন না? শুধু ব্যক্তিগত কষ্টের দায়টুকুই দেখলেন!!??

নিপা: শচীন টেন্ডুলকারের ‘প্লেয়িং ইট ইন মাই ওয়ে’ নামের একটা বই রিসেন্টলি পাবলিশড হয়েছে। এই বইয়ের নামটার মতো করেই আমিও বলতে চাই, “দাদা, প্লে ইট ইন ইওর ওয়ে। নো নিড টু চেঞ্জ।” আর তাছাড়া, নিজেকে নিজের মতো করে প্রকাশের স্বাধীনতা সবারই আছে। এটা কারোর ভালো না লাগলে, সে না হয় দূরে সরে যাক। বাকি সবাই তো ওটা পছন্দ করছে।

আহমেদ: মাই ডিয়ার আবেগি আপা, জাস্ট টেল আস হাউ ম্যানি ইউ হ্যাভ মোটিভেটেড, হাউ ম্যানি টাইমস দে টোল্ড ইউ দ্যাট দে উড নট গিভ আপ অনলি ফর ইওর হেল্প।

জোহরা: আপনার কষ্টগুলো, কথাগুলো তো আপনার একার নয়….আপনার কথাগুলো শুনলে আমাদের মনে হতে থাকে, এ তো আমার নিজের জীবনেরই গল্প, আমার নিজের মনের কথাগুলোইতো শুনছি….আর তাই তো আপনাকে বিচ্ছিন্ন কেউ মনে হয়না। আপনার গল্পগুলো শুনে অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে আমরা আলোর ভরসা করতে শিখি। আপনি মহান, তাইতো নিজেকে ছোটো করে হলেও নিজের জীবনের গল্পগুলো আমাদের শোনান। নিজেকে এভাবে প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ। আপনি কেন চেন্জ হবেন??!!

(এই মেসেজটা ইনবক্সে এসেছে) দাদা, আপনি কী বুঝতে পারছেন না, কেউ কেউ চায় আপনাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানিয়ে ফেলতে? আপনার ব্যক্তিগত কষ্টগুলো কি শুধুই ব্যক্তিগত? ওগুলো কি অনেকটাই নৈর্ব্যক্তিক নয়? কথাগুলো কি আশেপাশের সবাইকেই ছুঁয়ে যায় না? সবাই কি নিজেকে নিয়ে নতুন করে ভাবে না আপনার সেমিনারের পর? তবে, কেন আপনি এতোদূর এসে নিজেকে গুটিয়ে নেবেন? কোনোভাবেই না, কিছুতেই না, কখনোই না।

শেষকথা। টলস্টয় জিজ্ঞেস করেছিলেন, মানুষ কীসে বাঁচে? আমি বলি, মানুষ বাঁচে ভালোবাসায়।

ভাবনা: ছয়শো এক

……………………………………………………

24November 2014

গত ২২ নভেম্বর শনিবার চট্টগ্রাম থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চিটাগাং রোটারী ক্লাব আয়োজিত প্রায় ৪ ঘণ্টার আড্ডাটিতে যা যা ছিলঃ

এক। মোটিভেশনাল টকস

দুই। বিসিএস প্রিলিমিনারি + রিটেন + ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল

তিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল

চার। প্রশ্নোত্তর পর্ব

আড্ডাটি আয়োজনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের অ্যাডিশনাল কমিশনার Badal Syed স্যারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আড্ডাটিতে যা বলেছি তার (৩০-৪০)% প্রথম ও দ্বিতীয় লিংকে দেয়া আছে। তৃতীয় ও চতুর্থ লিংকে একটা মোটিভেশনাল লেখা আছে। অনুষ্ঠানের সবাইকে এই ৪টা লিংকের কনটেন্ট ক্লাবের সৌজন্যে সিডিতে সরবরাহ করা হয়েছিলো। পঞ্চম লিংকে সেদিনের ক্যারিয়ার আড্ডা নিয়ে আমার নিজের কিছু ভাবনা আর অংশগ্রহণকারীদের ফিডব্যাক শেয়ার করেছি। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন।

আমার পরের ক্যারিয়ার আড্ডাটি হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আগামী ৩০ নভেম্বর রবিবার দুপুর ২টায়। আমার সব আড্ডার মতো ওটাতেও অংশ নিতে কোনো এন্ট্রি ফি লাগবে না। সবার জন্যে উন্মুক্ত।

বন্ধুরা! তাহলে দেখা হবে, কথা হবে। গুড লাক!

এই পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিতে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।

24November 2014

Let them comment and also don’t remove that comment to let some others like it to know whom to welcome to your block-list and ignore-list. Send them an imaginary thank-you note for making you alert.

PS, I like to maintain a BIG friend-list and I do love to maintain a BIG block-list.

……… দুনিয়ার সবাইকে এতো কেয়ার করার টাইম নাই রে বোন। যারা কেয়ার করে, তাদেরকেই টাইম দিতে পারি না বলে আফসোসে আমার ঘুম হয় না।

……… দোস্তো, বিশ্বাস কর, লোকজনকে আমার ঈর্ষা হয় এই জন্যে যে, লোকজন ঈর্ষা করারও টাইম পায়। আর আমি শালা ভালোবাসারই টাইম পাই না। ডেসপিক্যাবল মি!!

দোস্ত, আসলে, মানে কি জানিস, মানে হচ্ছে, তুই যে ছেলেটা খুবই ভাল, সে জন্য কেউকেউ ঈর্ষা না করে পারেন না হয়তবা।

দোস্তো, ঠিক বলসস, আমি ছেলেটা আসলেই অনেএএএএএএককককক্ ভাল!! বোঝে না কেউ বোঝে না……………

24November 2014

কিছুদিন আগে একটা নোট লিখেছিলাম। ছিন্নপত্রঃ ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না। এই নোটটি স্মৃতিকথামূলক। নোটটি পড়ে আভার মনে হলো, এই নোটে আমি গ্রামের যে অনুষঙ্গগুলি তুলে ধরেছি, সেগুলির সাথে ওর নানাবাড়ির খুব মিল আছে। এরপর ও আমার নোটের সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে ওর নানাবাড়ির আশপাশটার ছবি তুলে এই অ্যালবামটি বানিয়েছে এবং শেয়ার করেছে।

বন্ধুরা, আমার নোটটি পড়ুন, অ্যালবামটি দেখুন। দেখুন তো, আর কারোর গ্রামের বাড়ির সাথে মিলে কিনা?

আভা, আমি কিন্তু তোমার নানাবাড়িতে ঘুরতে যেতে চাই।

25November 2014

feeling ডেসপিক্যাবল মি!!

দুনিয়ার সবাইকে এতো কেয়ার করার টাইম নাই। যারা কেয়ার করে, তাদেরকেই টাইম দিতে পারি না বলে আফসোসে আমার ঘুম হয় না।

লোকজনকে আমার ঈর্ষা হয় এইজন্যে যে, লোকজন ঈর্ষা করারও টাইম পায়। আর আমি শালা ভালোবাসারই টাইম পাই না।

আসলেই আপনি কেয়ারফুলি কেয়ারলেস

…………….. Yes, I’m! I wanna really live as long as I’m alive!!

………. সুশান্তদা, স্ট্যাটাস দিয়েই তো তাদের (!) কেয়ার করে ফেললেন!

সিরাম একখান কমেন্ট!! এই পাগলাটারে আমি এইজন্যেই ভালোবাসি!!

26November 2014

ঘুম ভেঙে পাওয়া একটা মেসেজ আপনার দিনের শুরুটাকে অন্যরকম সুন্দর করে দিতে পারে। আজকে সকালে পাওয়া একটা মেসেজ হুবহু শেয়ার করলাম।

“Identity is more important than existence.” কিংবা “জীবন আমাদের কখন কোথায় নিয়ে যায় তা আমরা কখনই বলতে পারি না…………….. ” এরকম আরোকিছু কথা।

Dada, আপনার কথাগুলো আমার চলার পথটাকে সুগম করেছে I আমি আজ সহকারী জজ হয়েছিI আপনার কথাগুলো অনুপ্রেরণা হয়ে আমার সাথে ছিলো, আছে এবং থাকবেI ভালো থাকবেন দাদা। আপনাকে সামনে থেকে দেখার ইচ্ছেটা খুব শীঘ্রই পূরণ করে নিবোI দোয়া করবেন আমার জন্য…….salute Dada.

মেসেজের নিচে নাম্বার দেয়া ছিল। ফোন করলাম। ও ধরতে পারেনি। পরে নিজেই ফোন করলো। ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। গতকাল BJS পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়ার পর কাছের মানুষদের সাথে ওর আমার কথাও মনে হয়েছে। এ যে আমার জন্যে কতো বড় পাওয়া ও যদি বুঝতো! ওর নিজের কথাতেই বলি। “দাদা, আমি আপনাকে ফেসবুকে ফলো করি ২০১৩ থেকে। কখনো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাইনি। আপনার মোবাইল নাম্বারও ছিল আমার কাছে। কখনো ফোন করিনি। আজকের দিনটার জন্যই অপেক্ষা করে ছিলাম হয়তো। আপনার পোস্টগুলি নিয়মিত দেখতাম। সবসময় মনে হতো, আপনি আমার নিজের জীবনের কথাই বলছেন। আপনার কিছু কিছু কথা মনের মধ্যে এমনভাবে গেঁথে গিয়েছিলো যে যখনই অনুভব করতাম, আমি হারিয়ে যাচ্ছি আমি হারিয়ে যাচ্ছি, আপনার কথাগুলোই আমাকে নতুন করে বাঁচবার স্বপ্ন দেখাতো। খুব বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে আমি গেছি। আমি স্টামফোর্ডে পড়ানোর সময় অথরিটি কিছু ফ্যাকাল্টি ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি জুনিয়র ছিলাম বলে আমিও সেই লিস্টে ছিলাম। কিন্তু ভেঙে পড়িনি। মন খারাপ হলেই আপনার লেখাগুলো বারবার পড়তাম। বুকের ভেতরে এক ধরনের সাহস চলে আসতো। আজকের দিনটার জন্যে আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ, দাদা।”

আমার কভার ফটোতে লেখা আছে, I want to inspire people. I want someone to look at me and say, “Because of you I didn’t give up.”

প্রিয় Farabi, আমি ওপরের কথাটা আজকের জন্যে তোমাকেই ডেডিকেট করলাম। You’ve made my day!! তোমার জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ভালোভাবে বেঁচে থাকো। আরো অনেকদূর যাও।

আরেকটা ভিন্ন কথা। কালকে একটা লেখা পোস্ট করেছিলাম। যে গল্পের শেষ নেই। এই গল্পের কয়েকটা ফিডব্যাক পেয়েছি। তার মধ্যে মজার একটা কমেন্ট শেয়ার করলাম।

এই যে লেখক মশাই! আপনার সমস্যাটা কী বলুন তো? আপনি মেয়েটাকে বড় করলেন, অনার্স-মাস্টার্স পাস করালেন, এরপর তাকে দিয়ে যাকেতাকে ভালবাসালেন। কেনো? কোথায় ওর একটা ভালো বিয়ে দিয়ে দেবেন, তা না, আপনি ওকে জীবনযুদ্ধে নামিয়ে দিয়েছেন। আপনার সমস্যাটা কী?

ভাবনা: ছয়শো দুই

……………………………………………………

26November 2014

প্রথমবারের মতো রাজশাহীতে আসছি। ঢাকা থেকে কাল রাত ১১টার বাসে উঠবো। শুক্রবার ভোরে পৌঁছানোর কথা। ভার্সিটি ক্যাম্পাসেই থাকবো। আমার ক্যারিয়ার আড্ডাটি রোববার দুপুর ২টায় ভার্সিটির কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। সেদিন রাতেই আবার ঢাকায় ফিরবো। শুক্রবার, শনিবার আর রোববার দুপুরের আগ পর্যন্ত (বৃহত্তর) রাজশাহীতে অনেএএএএক ঘোরাঘুরি করার ইচ্ছে! রাজশাহী কিংবা এর আশেপাশে কী কী দেখার আছে, কী কী খাওয়ার আছে, আর কী কী করার আছে, আইডিয়া দিন। সবচে’ বড় কথা, আমার বন্ধু, ফলোয়ার কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষীরা যারা রাজশাহীতে আছেন, তাদের সাথে দেখা হলে, একসাথে ঘুরলে, আড্ডা দিলে আমার খুব খুব ভালো লাগবে। আমি ০১৭১৬০৮৬৯২১ এই নাম্বারে আছি। হ্যালো রাজশাহী!

27November 2014

ঢাকার জ্যামে, গাড়ি চলে……. অভিমানি শামুকের মতো

28November 2014

পুঠিয়ার রাজবাড়ী দেখে সারদা পুলিশ একাডেমির পথে…….

28November 2014

feeling কী আছে আর জ্যাবনে!!

আজকে সারদা পুলিশ একাডেমির সেইরকম বিশাল মাঠ দেখে (যেখানে ট্রেনিংয়ের সময় অফিসারদের প্রতিদিন অন্তত একবার দৌড়াতে হয়) আমার অনুভূতিঃ

এক। বিসিএস ফর্ম ফিল-আপের আগে এই জিনিস কাউরে দেখানো হইলে, জগতের কোনো বান্দাই বিসিএস পুলিশ ফার্স্ট চয়েস দিবে না। I can bet! (আল্লাহ বাঁচাইসে!)

দুই। খালি এই মাঠে ট্রেনিং পিরিয়ডে এক বছর দৌড়ানোর জন্যে পুলিশদের মনপ্রাণ উজাড় কইরা ভালোবাসা আর সম্মান করা যায়!

ইয়ে মানে, ঘোড়াগুলার কথা থাক! এগুলাতে নাকি এক লাফে উঠতে হয়! একেকটা আমার চাইতেও উঁচা! (আমি ৫-১১) হায় আল্লাহ! এইগুলা ঘোড়া নাকি জানোয়ার!!

God bless the BCS Police cadres!

আমাদের ঘোরাঘুরির সুযোগ করে দেয়ার জন্য ফেরদৌসী ১,২ আর মাসুদ ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভালো কথা, আমি এই মর্মে শপথ করিতেছি যে, অদ্য রাত্রিরে নিদ্রাদেবী ভর করিবার আগ পর্যন্ত ভার্সিটি ক্যাম্পাসে ননস্টপ টোটো মারিবো এবং আশেপাশের কেহ তাহার কোকিল কণ্ঠ না শোনাইলে আমি অবিলম্বে আমার কাউয়া কণ্ঠে সংগীতযন্ত্রণা শুরু করিবো। ভার্সিটি ক্যাম্পাসের সকল ভাইবোনদের দলেদলে মিছিলেমিছিলে যোগদান করতে উদাত্ত কণ্ঠে আহ্বান জানাইতেছি। আসেন আড্ডা দেই, মুড়ি খাই। বরফঠাণ্ডা স্প্রাইটের পয়সা আমি দিমু!! ০১৭১৬০৮৬৯২১ এই নাম্বারে ফোন করে চলে আসেন।

29November 2014

এ মিষ্টি নয়, এ অমৃত!!

শুধু এই মিষ্টির লোভে নরককেও হাসিমুখে গুডবাই বলে দেয়া যায়!!

গোপালপুরের নাইস মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে………

সোনামসজিদের পথে…….

29November 2014

পদ্মাপাড়ের আড্ডা কফি আর ফুচকাতে…….

29November 2014

একটা সোনালি রাত, একটা রূপালি গিটার, একটা ক্যাম্পাস, একটা প্যারিস রোড, একটা ইবলিশ চত্বর, কয়েকটা ‘সেই তুমি’, আর কিছু সেইরকম সুপারবিন্দাস ছোটোভাই। জীবনে আর কী লাগে?

ফিলিং……. রথদেখা ও কলাগাছবেচা!

30November 2014

Life is a sleepless night with a guitar!!

Life redefined!!

30November 2014

ভার্সিটি ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি শেষে বরেন্দ্র মিউজিয়ামের পথে…… আপনাদের বলছি, যদি কখনো বধ্যভূমিতে আসেন, ভোরে আসবেন। ভোরের বধ্যভূমি আপনার সমস্ত চেতনা আর অনুভূতিকে প্রবলভাবে নাড়া দেবে। এখানে যাঁরা শুয়ে আছেন, তাঁদেরকে ভেতর থেকে অনুভব করা যায়। কখন যেন চোখ ভিজে যায়। এটা নিয়ে, মধ্যরাতের প্যারিস রোড নিয়ে লিখবো, ইচ্ছে আছে। রাজশাহী ভার্সিটি ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরির পর আমার মনে হয়েছে, এতোটা গোছানো ক্যাম্পাস বোধহয় আর নেই। (আমি কৃষি ভার্সিটি আর জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটি ক্যাম্পাসে এখনো যাইনি।) আমার নিজের শহর বাদ দিলে আমার সবচেয়ে প্রিয় তিনটি শহর: রাজশাহী, কুষ্টিয়া আর ময়মনসিংহ।

30November 2014

It was just huge!!! At least 2500participants were present in today’s career adda!!! Yes, you’ve read it right. At least 2500!!! Rajshahi University rocks!!! Thanks to Rajshahi University Career Club, all the sponsors of the job fair, all the media partners, and all the participants.

Really badly missing all the wonderful younger brothers. We had joy, we had fun. I love this city, I love this varsity campus, I love the goddamn friendly juniors. Rajshahi people are just awesome. They’re simple, polite, friendly. They know how to take life as it is. They leave simple things simple, complicated things complicated. I’m leaving behind many sweet memories in this heaven beside Paris Road. Here love does live. I love love!!

Dear younger brothers, thank you for being so wonderful. Please never stop being wonderful! I’ll miss you……….

Take care, dear Rajshahi!!

1 December 2014

ক্যারিয়ার আড্ডাটি শুরু হওয়ার আগে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সভাপতি আমার ছোটভাই Shaon বলছিল, দাদা, আমাদের কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে টোটাল ২২০০ সিট। এই অডিটোরিয়ামটা কখনোই পুরোপুরি ভর্তি হয় না। আমি এখনো পর্যন্ত কোনো সেমিনারে অডিটোরিয়ামের দোতলায় স্টুডেন্ট বসতে দেখিনি। আমার ধারণা, আজকে এরকম কিছু ঘটবে যা আগে কখনোই ঘটেনি। আমি এটা দেখার জন্য ওয়েট করছি।

আড্ডা শেষ হওয়ার পর………

থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার রিলিজ হওয়ার পর মুভির প্রচারণা চালানোর জন্য আমাদের ভার্সিটিতে মোশারফ করিম আর তিশা এসেছিলেন। শুধু তখনই আমাদের এই অডিটোরিয়ামে এরকম কিংবা এর কাছাকাছি স্টুডেন্ট এসেছিল। এই প্রথমবারের মত কোনো ক্যারিয়ার সেমিনারে এই হলের দোতলা পূর্ণ হওয়ার পরও প্রায় ৩০০’রও বেশি স্টুডেন্ট দাঁড়িয়েছিল কিংবা অডিটোরিয়ামের সিঁড়িতে বসেছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা একটা রেকর্ড।

ওপরের কথাগুলোও শাওনের।

ভাই, আমি তোমাদের ক্যাম্পাসে ৩ দিন ছিলাম। আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি, ক্যারিয়ার ক্লাবের সদস্যরা কী পরিমাণ কষ্ট করে পুরো অনুষ্ঠানটিকে সফল করেছে। (আমার নিজের ভার্সিটি চুয়েটের কথা বারবার মনে পড়ছিল। একেকটা প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে আয়োজন করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হতো।) তাই এর পুরো কৃতিত্ব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের। ভাই, তুমি যে আলোটা জ্বালিয়ে দিয়েছ, সেটা কখনোই নিভবে না, এই কথাটা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি। ক্লাবের বর্তমান সভাপতি Imrul ক্লাবের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের সাথে নিয়ে যেভাবে এগিয়ে চলেছে, সেটা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এই কাজগুলো করতে গিয়ে ওরা যা শিখছে, পরবর্তীতে সেটাই সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। শুধু পড়াশোনা করার জন্যে যারা ভার্সিটিতে ভর্তি হয়, তারা বড় দুর্ভাগা। পড়াশোনার পাশাপাশি ভার্সিটি লাইফে অনেককিছু শেখার আছে। ক্যারিয়ার ক্লাবের সবার জন্যে শুভকামনা রইলো।

সক্রেটিসের আগের এক গ্রিক দার্শনিক হেরাক্লিটাস বলেছিলেন, “কেউই একই নদীতে ২বার নামতে পারে না। কেননা, পরেরবার নদীটি হয়ে যায় অন্যনদী, কিংবা মানুষটি হয়ে যায় অন্যমানুষ।” আমার ক্যারিয়ার আড্ডাগুলোতে সময়ের অভাবে কিংবা বলতে মনে থাকে না বলে আমি কখনোই একইরকম কথা পরপর দুটো আড্ডাতে বলতে পারি না। দরকারি অনেক কথাই বলা হয় না। তবুও চেষ্টা করি। হাজারো লোকের সামনে ৩-৪ ঘণ্টা একটানা কথা বলাটা একটু কঠিন। আমার বলতে কষ্ট হয়। তবুও সবাই শুনতে চায় বলে বলি। ওরা শোনে। পুরো হল যেন ৩-৪ ঘণ্টার জন্য ঘুমিয়ে পড়ে। পিন পতনের নীরবতা চারদিকটাকে ঘিরে রাখে। আমি সত্যিই অবাক হয়ে যাই লোকজনের আগ্রহ আর ধৈর্য্য দেখে। ভাবি, এমন কী-ই বা বলি আমি? গল্পই তো করি সারাটা সময় জুড়ে। নিজের জীবনের গল্প, হারিয়ে না যাওয়ার গল্প। স্পর্শকের স্পর্ধায় সাফল্যকে ছুঁয়ে ফেলার স্বপ্ন দেখাই। প্রচণ্ড আবেগ দিয়ে বিশ্বাস করিয়ে দেই, আমাদের দুর্ভাগ্য এই নয় যে, আমরা দুর্বল, আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে, আমরা আমাদের শক্তির জায়গাগুলোকে চিনতে ভুল করি বলে আল্লাহর কাছে সাহস করে বড় কিছু চাইতে পারি না। ওরা ভালোবাসে। শুধু এই ভালোবাসার জন্যেই তো এতো কষ্ট করি। আমি চাই, কেউ হারিয়ে না যাক। হারিয়ে যাওয়ার কষ্ট অনেকবেশি।

গতকালকের আড্ডায় আমি যে স্লাইডটা নিয়ে গিয়েছিলাম, সেটা চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটের ক্যারিয়ার আড্ডাতেও ব্যবহার করেছি। তবে, এটা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আড্ডা দুটোতে আমি একই কথা বলিনি। আমার আফসোস, কালকের আড্ডায় সময়ের অভাবে অনেক দরকারি কথা বাদ গেছে। আবার কালকে এমনকিছু কথা বলেছি, যেসব কথা আগের আড্ডায় বলতে মনে ছিল না। কথা দিচ্ছি, আপনাদের জন্য আমি সেগুলো আমার ওয়ালে স্ট্যাটাস আকারে আস্তে আস্তে শেয়ার করে দেবো। আপাতত নিচের নোটগুলো দিলাম। কালকের আড্ডাটিতে যা বলেছি তার (৩০-৪০)% প্রথম ও দ্বিতীয় লিংকে দেয়া আছে। তৃতীয় ও চতুর্থ লিংকে একটা মোটিভেশনাল লেখা আছে। পঞ্চম লিংকে সেদিনের চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটের ক্যারিয়ার আড্ডা নিয়ে আমার নিজের কিছু ভাবনা আর অংশগ্রহণকারীদের ফিডব্যাক শেয়ার করেছি। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আড্ডার অনেক ফিডব্যাক পেয়েছি, পাচ্ছি। সেসব নিয়েও কিছু লিখবো, ইচ্ছে আছে। সাথে প্যারিস রোড ধরে যে কয়েকটা স্বপ্নপাগল মানুষের হাত ধরে হেঁটেছি, ভালোবাসা নিয়েছি, ভালোবাসা দিয়েছি, সেই গল্পও বলবো।

আজকে সকাল থেকেই গত ৩ দিনের স্মৃতিরা পাখি হয়ে ফিরে ফিরে আসছে। দুলছে, দোলাচ্ছে। ভালোবাসা বড্ডো বিশ্রী জিনিস। প্রচণ্ড ভালোবাসা সহ্য করার ক্ষমতা মানুষের নেই। এটা মানুষকে বড় অসহায় আর অপরাধী করে দেয়। ঘৃণার প্রতিদানে যতোটা ঘৃণা ফিরিয়ে দেয়া যায়, ভালোবাসার প্রতিদানে এর সিকিভাগ ভালোবাসাও ফিরিয়ে দেয়া যায় না। এর যন্ত্রণা যে কতোটা ভীষণ, তা আমার মতো ভুক্তভোগীমাত্রই জানে। যারা পরম মমতায় সারাটাক্ষণ ঘিরে রাখে তাদের এই অকৃত্রিম ভালোবাসা যতোটা দংশন করে, ঘৃণাও বোধ হয় ততোটা করতে পারে না। নিজেকে কিছুতেই আর ছোটো হতে দেয়া যায় না। এই ভালোবাসার দায় বড় দায়।

চোখ বন্ধ করে কিছু না ভেবেই এই নামগুলো এলোঃ Eahsun (আমার ছোটোভাই আমার সাথে থাকলে যা করতো, সে তা-ই করেছে। আমি আমার ছায়া দেখতে পাওয়ার আগেই ওকে পেয়েছি। ভাই, তুই আমার জন্য যা করেছিস, আমি তা কিছুতেই ডিজার্ভ করি না।), Nadim (প্রচণ্ডরকমের ভালোবেসেও ভালোবাসি, এটা কিছুতেই বলতে কিংবা দেখাতে-না-পারা’দের দলে ও। ভাই, তোমার মতো কিছু মানুষের কথা ভেবেও ভালো থাকা যায়।), Sumon (ভাই, এতোটা ভালমানুষ না হয়েও কিন্তু বেঁচে থাকা যায়। কথাটা একটু ভেবে দেখো।), Imran (তোমাকে শুধু এইটুকুই বলি, তোমার ভেতরে যে শক্তিটা আমি দেখেছি, এর সিকিভাগের খোঁজও তুমি এখনো পাওনি।)………… আরো অনেকেই আছে। ওদেরকে দেখে আমার মনে হয়েছে, এই পৃথিবীতে কেউ কেউ কোনো কারণ ছাড়াই প্রচণ্ড ভালোবাসার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। ওদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়াও যায় না, আবার ওদের কাছে আসার যন্ত্রণা সহ্য করাও যায় না। ওরা ভিন্নগ্রহের বাসিন্দা। সেই গ্রহে ভালোবাসার অভাবে কেউ কাঁদে না। সেই গ্রহের নাম ভালোবাসা গ্রহ। ওরা আমাদের গ্রহে এসেছে আমাদের শাস্তি দিতে; ভালোবাসতে না পারার শাস্তি।

ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক প্রিয় ছোটভাই Noman’য়ের উদ্যোগে আমার পরের আড্ডাটি আগামী ৬ তারিখ ১১টায় ওই ভার্সিটির ক্যাম্পাসে। এরপরের দুটো হবিগঞ্জে আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এই পোস্টটি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য বন্ধুদের অনুরোধ করছি।