ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা (৮৯তি অংশ)

ভাবনা: ছয়শো সতেরো

……………………………………………………

21 February 2015

একুশে বইমেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক বইকেনার উপরেও নাকি একটা পুরস্কার আছে?

আগে যদি জানতাম, রসিদগুলো রাখতাম…………

তুই জুতা কিনার পর পায়ে হয় নাকি সেটা না দেখেই রশিদ ফেলে দিস, আর সেখানে বই!!

………….. জুতা তো অবশ্য বইয়ের চাইতে ইম্পরট্যান্ট!! ভাল কথা, ওই জুতাগুলো কাউকে দান করতে পারসিলি?

না। পারি নাই। তুই তর পা দুইটা ছোট করে পরে নিস।

আর জুতা কিন্তু না পরলে নস্ট হয়ে যায়, কিন্তু বই না পরে অনেকদিন ভালো রাখা যায় তাই কিনার পর পর এ জুতা পরে ফেলাটা ইম্পরট্যান্ট!

আমার বই কিনছস? আমি ভাবলাম পইড়া কিছু গালাগালি করবি ছাইপাঁশ লেখার জন্য!

……….. “এতক্ষণে” –অরিন্দম কহিলা বিষাদে।

এইটা কী উত্তর হইলো? উত্তর দে। কয়েকজনের মতের উপর নির্ভর করবে কবিতা আমি আরও লিখব কি না! তোদের সার্টিফিকেট মতে এইগুলা কবিতা হইছে কি না আমার জানা দরকার!

ধন্য হয়ে গেলাম রে গুরু!!

23 February 2015

পেট নয়, মন বড় করুন।

পেট বড়ো হলে সবাই দেখে, কিন্তু মন বড়ো হলে কেউ দেখে না, উল্টো অনেকে ক্যারাক্টার ঢিলা বলে অপবাদ দেয়।

ঠিকাসে, তুই পেট বড় করতে থাক।

24 February 2015

ছোটলোক ছোট কাজে বড় ভাব নেয়।

26 February 2015

কালকের প্রথম আলো’তে ৩৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে আমার একটি লেখা থাকবে।

যাঁদের প্রস্তুতি ‘নেই, কম আর মোটামুটি’—কেবলমাত্র এই ৩ ধরনের ক্যান্ডিডেটদের কথা মাথায় রেখে আমি পরামর্শগুলো তৈরি করেছি। বাকিরা লেখাটি এড়িয়ে যেতে পারেন।

আমার মনে হয়েছে, এই ১ সপ্তাহে আমার কথাগুলো ঠিকমতো মেনে চলে পড়াশোনা করলে প্রিলিতে পাস করে যাওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৯০ ভাগ। বাকি ১০ ভাগ ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিতে হবে যা পুরোপুরিই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

পড়ুন, মতামত দিন। পড়ার পর প্রাসঙ্গিক কোনো প্রশ্ন মাথায় এলে জিজ্ঞেস করুন; কমেন্ট থ্রেডে, কিংবা ইনবক্সে। (‘কোন গাইড বই কিনলে ভাল হবে’ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবো না।)

আপনার সাফল্যের রাস্তা কেউই আপনাকে বাতলে দিতে পারবে না; আমি শুধু ওই বুদ্ধিগুলোই দেয়ার চেষ্টা করেছি, আমি নিজে একজন ‘মাঝারিমানের ক্যান্ডিডেট’ হলে পরীক্ষার ১ সপ্তাহ আগের সময়টাতে যা যা করতাম।লেখাটি

কীভাবে সহজে প্রিলি পাস করা যাবে? আমার কাছে এই প্রশ্নের সবচাইতে সহজ উত্তর হলঃ খাইট্টা খা! যে চাকরিটা অন্তত ৩০ বছর আরামে করবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন, সেটার জন্য ৬ রাতের ঘুমকে গুডবাই বলে দিতে না পারলে স্প্রাইট দিয়ে ভিজিয়ে মুড়ি খান। দুনিয়াটা এখনো অতোটা সহজ হয়ে যায়নি।

প্রিলিতে পাস করার নানা বুদ্ধি নিয়ে আমার অনেক লেখা আছে, যেগুলো আমার ফেসবুক নোটসে পাবেন। পড়ে দেখতে পারেন।

(এই পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিতে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।)

26 February 2015

এবারের বইমেলার আয়ু আর মাত্র ২ দিন।

দুইটা বইয়ের বিজ্ঞাপন করছি।

এক। অক্ষর। মোট ৩৬ জন লেখকের বিভিন্ন মেজাজের লেখা দিয়ে সংকলনটি সাজানো হয়েছে। এই বই সম্পাদনা করেছে Maimuna Leena। ওর সম্পর্কে দুটো কথা বলিঃ ও ভাল লেখে। ও বেশ ভাল পড়ে। অক্ষর’য়ের লেখাগুলো আমি পড়েছি। লীনার পছন্দ আমার পছন্দ হয়েছে। বইটি কিনে কিংবা কারোর কাছ থেকে নিয়ে পড়তে পারেন। অনেকগুলো লেখাই পড়ার পর প্রচণ্ডভাবে ছুঁয়ে যাবে। বইটি সিঁড়ি প্রকাশনের স্টলে পাবেন। স্টল নম্বর ২১৪।

দুই। রম্যপিডিয়া। এতে ৩১ জন লেখকের ৩১টি রম্যরচনা আছে। লেখাগুলো শুধু সেসব সিরিয়াস পাঠকের জন্য যাঁরা সিরিয়াসলিই হাসতে চান। জ্ঞানস্পৃহা থেকে এই বই পড়ার দরকার নেই। প্রথম আলো’র রস+আলো’তে যাঁরা নিয়মিত লেখেন, তাঁদের লেখাই এতে বেশি আছে। বইটি না কিনে পড়তে পারলে কেনার দরকার নেই, কারোর কাছ থেকে ধার নিন এবং এরপর ফেরত না দিয়ে নিজের কাছেই রেখে দিন। আর ওরকম কাউকে না পেলে কিনুন এবং পড়ুন কিংবা কাউকে দিয়ে দিন। সংকলনটি সম্পাদনা করেছে আমার দুই ছোটোভাই ফাহিম এবং কাওসার। রম্য সংকলনটি পাওয়া যাচ্ছে ভাষাচিত্র স্টলে। স্টল নম্বর ২৮৭ – ২৮৮।

অক্ষর’য়ে আমার অনেকগুলো লেখা পাবেন; রম্যপিডিয়া’তে পাবেন একটি। আমি দুই ধরনের পাঠককে বই দুটো পড়তে বলছি। এক। যাঁরা আমার লেখায় আসক্ত, আমার লেখা পড়তে। দুই। যাঁরা আমার লেখার উপর বিরক্ত, অন্যদের লেখা পড়তে।

(পোস্টটি শেয়ার করলে আমার ভালো লাগবে।)

……….. জনগণের প্রশ্নের উত্তর দে।

আপু উত্তর দেবে ক্যান? এই পোস্ট কী আপু দিছে নাকি Sushanta Paul ভাইয়া??? আপুর সংসারধর্ম কাজকর্ম আছে না???

ভাইয়ার অসংসার অধর্ম অকাজ অকর্ম আছে না??

আপনি খালি মানুষ রে দিয়ে কাজ করাইতে চান ক্যান Sushanta ভাইয়া??? জনগণ বিরক্ত আপনার উপর।

সেটা ঠিক। এতদিন পর যে বিরক্ত হইসে সেইটা আমার সৌভাগ্য।

27 February 2015

আরে ভাই, এইবার থামেন! বুঝসি। সব জায়গায় পার্ট নিতে নিতে যাইয়েন না। যেখানে দরকার, সেখানে নিয়েন। যত্তোসব ফাউল!

…………..hmm, everybody should stop but someone stops early stage…..feeling shock to see the killing of Avijit Roy.

……………. আমি কি আপনাকে নেমন্তন্ন করে এনেছি এই ধরনের একটা অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট করে অহেতুক আমার স্ট্যাটাসটাকে কোনোকিছুর সাথে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য? অভিজিৎদা’র হত্যার সাথে আমার এই পোস্টটি কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়। আপনি ভাবলেন কী করে যে আমি অমনকিছু ভেবে এটা লেখার কথা মাথাতেও আনতে পারি?!!! দাদা, আপনি কি বুঝতে পেরেছেন? নাকি, আরও বুঝিয়ে বলতে হবে?

28 February 2015

বাবা-মা বেঁচে থাকাটা পৃথিবীর সবচাইতে বড় সৌভাগ্য। মাঝে মাঝে এমনকিছু সময় আসে, যখন মনে হয়, এই মুহূর্তে কারোর কোলে মাথাটা রাখতে পারলে অনেক শান্তি লাগত। এমন পরম নির্ভার আশ্রয় একমাত্র বাবা-মা ছাড়া আর কারোর কাছেই পাওয়া সম্ভব নয়।

28 February 2015

এ যুগের দুটো ট্র্যাজেডিঃ এক। এ যুগে প্রেম করতে কবিতা লাগে না; লিখতে হয় না, পড়তে হয় না, শোনাতেও হয় না। দুই। এ যুগে মেয়েদের কেউ কেউ কবিকেও বিয়ে করে!

এ যুগ সুরের নয়, অসুরের। এ যুগে দেবতা অসুর হয়, অসুর দেবতা হয়। মানুষ আর মানুষ হয় না। এ যুগ অমরত্বের নয়, এ যুগ বেঁচে-থাকার। এ যুগ ……… নাহ! আর ভাবতে ভাল লাগছে না! কিচ্ছু ভাবব না আর।

2 March 2015

যতদূর মনে পড়ে, তখন আমি ক্লাস এইটে। ক্লাস টেনে পড়ুয়া এক মামাতো বোনের গলায় এই গানটি শুনে ওর উপর ক্রাশ খেয়েছিলাম। তখন ক্রাশ কী, এটা বোঝার বয়স হলেও সাহস কিংবা বুদ্ধি কোনটিই হয়নি। ভালবাসলে মা বকা দেবে, রেজাল্ট খারাপ হবে, সেসময় ছিল এসব ভাববার বয়স। আরও মনে পড়ে, সেই সময়টিতে বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই বর্ষণমুখর সন্ধ্যাটির আগে কখনোই এই গানটিকে এতটা আপন মনে হয়নি। সেই ৪-৫ মিনিট মুহূর্তকালের আগে নিজেকে কারোর কাছে মনে রাখানোর এতটা আকুলতাও কোনদিনই অনুভব করিনি। দিদিকে কোনদিনই বলা হয়নি, তোমাকে ভালবাসি। বলা হবেও না। বলা যায়, এটা মাথাতেও আসেনি। প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেললে বলে দেয়া যায় নাকি? জিভ আড়ষ্ট হয়ে আসে, মাথায় কী একটা যেন হয়, হৃদয়ের সমস্ত লজ্জা আর সংকোচ দুচোখে এসে জমা হয়। বলা যায় নাকি ওরকম করে? ভাবি, লোকে বলে কীভাবে?

2 March 2015

আমার সব ভালবাসা হারিয়ে গেছে দ্বিধায়, ভয়ে, সংকোচে, অহংকারে, হীনমন্যতায়, সংশয়ে, অবহেলায় আর ঔদাসীন্যে

দিদি, কথাগুলো কিন্তু দারুণ করেই লিখেছি………

কীসের এত সংকোচ আপনার?

পাওয়ার আগেই হারিয়ে ফেলার

যে বোঝার সেই বোঝে না শুধু, বাকিরা সব্বাই সবকিছু বোঝে।

যদি সেটার খোঁজ আমিই জানতাম! আফসোস!!

2 March 2015

বাইরে…………..

একফালি স্নিগ্ধ চাঁদ

একটুকরো মায়াবী আকাশ

একমুঠো মিষ্টি হাওয়া

একরাশ উড়ো হিম

একটানা ক্লান্তিহীন ঝিঁঝিঁপোকা

একঘেয়ে বেপরোয়া শেয়াল

একরঙা চাদরমোড়া দালান

একমৃত্যুর হৃদয়মথিত নৈঃশব্দ্য

একমুহূর্তের ভূতুড়ে গাছ

একশৈশবের বিশ্বস্ত রবীন্দ্রনাথ

একসন্ধ্যার মাতাল ফাগুন

একজনমের পুরোনো হাসনাহেনা

ভেতরে……….

একচিলতে শুন্য বারান্দা

ওতে মুখ থুবড়ে-থাকা…………

সফেদ ল্যাম্পপোস্টের বিষণ্ণতার চাইতেও ধ্রুব আমার জনাকীর্ণ একাকীত্ব

ভাবনা: ছয়শো আঠারো

……………………………………………………

3 March 2015

পৃথিবীতে সবচাইতে আনন্দের কাজ কী? কাছের মানুষকে খুশি করতে পারা। কাছের মানুষ কে? পুরো পৃথিবী আপনাকে ছেড়ে চলে গেলেও যে মানুষটি আপনার পাশে থাকবে। সমস্যাটি ওখানেই। আমরা জানি, ও তো থাকবেই। ওকে রাখার জন্য কোনোকিছুই করতে হবে না। তার চাইতে যারা থাকবে না, তাদের রাখার চেষ্টা করি। বসকে খুশি করতে হবে, একদিনের ফর্মাল পরিচয়ের বন্ধুটিকেও খুশি করতে হবে, কলিগকে খুশি করতে হবে। আমরা তালিকাটি বাড়াতে ভালবাসি, ব্যস্ত সাজতে ভালবাসি। অথচ যখন জ্বরে কাতরাতে থাকি, তখন সবচাইতে কাছের মানুষটি ছাড়া আর কেউই পাশে থাকে না। আমার কষ্ট দেখে আর কে-ই বা কাঁদে? অসুখের সময় বস পাশে এসে কবে কোথায় কাকে বলেছে, “খুব কষ্ট হচ্ছে, না?” এই কাছের মানুষগুলোকে খুশি করা সবচাইতে সহজ কাজ। একেবারে কিছুই লাগে না, মাঝে মাঝে একটা ফোন করলেও হয়। ওতেও আমাদের কত আপত্তি! সময়ই হয় না। সবচাইতে কম টাকা খরচ করে ওদের মুখে হাসি এনে দেয়া যায়, যার দাম লক্ষ টাকা। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা সস্তায় শ্রেষ্ঠ ঐশ্বর্যটি কিনতে পারি না। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা যখন থেকে ‘ভাল আছি’ বলতে হয়, এটা শিখে যাই, তখন থেকেই আমাদের ভাল থাকার সময় ফুরোতে শুরু করে।

এই কিছুদিন আগে প্রথম আলো’র অধুনা’তে একটা ফিচারে আমার বাবার সাথে আমার একটা ছবি এসেছিল। সেই ছবিটা আমার বাবার খুব পছন্দের। উনি মাঝে মাঝেই সেটা পেপার খুলে দেখেন। ব্যাপারটা আমিও খেয়াল করেছি কিন্তু কখনোই পাপ্পুর মতো এটা মাথায় আসেনি যে ছবিটা বাঁধাই করে বাবার টেবিলের উপর রাখলে বাবার অনেক ভাল লাগবে। বয়সে আমার চেয়ে ৪ বছরের ছোট হলেও ও কীভাবে যেন জীবনের এই ছোটো ছোটো সুখের হিসেবগুলো আমার চাইতে অনেক ভালভাবে বুঝতে শিখে গেছে। পাপ্পু আজকে সন্ধ্যায় কাজটা করে বাবাকে সারপ্রাইজ দিল। ও সস্তা একটা ফ্রেমে লক্ষ টাকার আবেগকে বন্দী করে বাবার টেবিলে রেখে দিয়েছে। সেটা দেখে বাবা-মা সে কী খুশি! বেচারা ছোটোখাটো ২টা টিউশনি করে। এর চাইতে বেশি আর কী-ই বা দিতে পারে ও? আমি-ই বা কী দিতে পারছি টিউশনি ছেড়ে ‘বড় চাকরি’ ধরে? আমি দূরে থাকি। বাসায় কিছু কাগুজে কষ্ট পাঠাই। ফোন-টোন করে খবর নিই। এইতো! সে-ই তো মুঠো মুঠো সুখ ছড়ায়। ওকে মাঝে মাঝে খুব ঈর্ষা হয়। বাবা-মা’কে একটা ওষুধও কিনে দিতে না পারার কষ্ট যে অনেক! ও আজকে বলছিল, “দাদা, আজকে অনেকদিন পর অনেক ভাল লাগছে! এটা করতে আমার তেমন কিছুই খরচ হয়নি। কিন্তু এটা করার পর বাবা-মা যে কেমন করে হাসছিল! জানিস, হাসলে এখনো বাবা-মা’কে অসম্ভব সুন্দর দেখায়!”

হায়! জীবিকার কাছে জীবনের নির্মম পরাজয় মেনে নিয়ে কী বিষণ্ণ আমাদের এই বেঁচে থাকা!

3 March 2015

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কবলিত বিমান ভ্রমণের সময় বিমানটির বেগতিক অবস্থার জন্য আপনি পাশে-বসা সুন্দরী সহযাত্রীর কোলে পড়ে গেলেন। এই পরিস্থিতিতে আপনি কী করবেন?

(ক) ক্ষমা চেয়ে নিয়ে আপনার নিজ আসনে ফিরে আসবেন

(খ) মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করবেন

(গ) তখনই বিশ্রামকক্ষে চলে যাবেন

(ঘ) রেগে যাবেন এবং পড়ে থাকবেন

উপরের প্রশ্নটি বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার একটি মানসিক দক্ষতার গাইডবইয়ের ১৩৯ নম্বর প্রশ্ন। আমার একজন ফেসবুক ফলোয়ার প্রশ্নটির ছবি তুলে আমাকে ইনবক্স করেছে। এরপরের কথোপকথনটা শেয়ার করছিঃ

~ ভাইয়া, আচ্ছা, এই ধরনের প্রশ্নগুলোও কি দেখতে হবে? এত্তো বাজে প্রশ্নও কি বিসিএস’য়ে আসে?

~ বাজে মানে? এটা তো খুব কমন আর ভেরি ইম্পরট্যান্ট প্রশ্ন!

~ হাহাহাহাহা……… ভাইয়া, আপনি কি সিরিয়াস?

~ মানে? কেন? ঠিকই তো আছে। এই প্রশ্নটা খুবই প্রাসঙ্গিক। এটা না শেখালে যদি কেউ ‘ঘনিষ্ঠ’ হওয়ার চেষ্টা করে? কী করতে হবে, বলে দিতে হবে না? আজব!

~ হিহিহি………ভাইয়া, কী বলেন এসব?

~ হাসির কিছু নাই, বন্যা। বি সিরিয়াস।

~ আচ্ছা, এটা নিয়ে কিছু বলতে হবে না।

~ উঁহু, তুমি বুঝতে পারছ না। ইটস সামথিং রিয়েলি সিরিয়াস।

~ ওকে, আই অ্যাম সিরিয়াস। হিহি……..

~ হিহি……..মানে? তুমি কি আমার কথাটা বুঝতে পারছ না? কথায় কথায় খ্যাঁকখ্যাঁক করে হাসবে না। অত্যন্ত বাজে স্বভাব! শুধু হাসির কথায় হাসবে। তোমার কি আমার কথা মনে থাকবে?

~ আমি তো খ্যাঁকখ্যাঁক করে হাসি না, ভাইয়া। মিতু হাসে। ও আচ্ছা, মিতু আমার বান্ধবী।

~ অবশ্যই হাস।

~ জ্বি না, আমি অনেক সুন্দর করে হাসি।

~ বাদ দাও, এবার কাজের কথায় আসি। তুমি কি বুঝতে পারছ না, ওইসময়ে পাশের মহিলার সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করাটা ঠিক হবে না? নাকি, তুমি ওটার পক্ষে?

~ জ্বি ভাইয়া, বুঝতে চেষ্টা করছি। সিরিয়াস মুড অন।

~ আমি কনফিউসড হয়ে যাচ্ছি, বন্যা! এসব ব্যাপার নিয়ে সিরিয়াসলি ভাববে। বাচ্চাকাচ্চা হয়ে গেলে কে তাদেরকে মানুষ করার দায়িত্ব নেবে? তুমি? আজব!

~ ভাইয়া, আমি হাসি চাপতে পারছি না। একটু হাসি, প্লিজ? শব্দ করে হাসব না, প্রমিজ।

~ মানে? ফাজলামো করবে না! আমি ফাজলামো করা পছন্দ করি না। তো, যেটা বলছিলাম। রাষ্ট্র তো আর বাচ্চাকাচ্চার দায়িত্ব নেবে না। তাই রাষ্ট্র এমন একটা প্রশ্ন বিসিএস পরীক্ষায় দিতেই পারে। নাহলে অফিসাররা বুঝবে কী করে? তুমি কি এবার বুঝতে পারছ, বন্যা? নাকি, আরো ভেঙে বলতে হবে?

~ উফফ! আচ্ছা মানুষ আপনি! ঝামেলায় পড়ে গেলাম! আমি টপিক উইথড্র করলাম। আমি বুঝতে পেরেছি, যথেষ্ট পরিমাণে বুঝতে পেরেছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

~ আচ্ছা, এবার ঠিক আছে। একটা কাজ কর তো দেখি!

~ কী করব আবার! আচ্ছা, বলেন।

~ ‘আচ্ছা, বলেন’ কী জিনিস? সিরিয়াস হচ্ছ না কেন? তোমার না পরীক্ষা? এখন তুমি ওই গাইড বইটা একটু সামনে নাও।

~ নিলাম। বলেন।

~ নিয়ে দেখ, টয়লেটে সৌজন্যবোধ নিয়ে কোনো প্রশ্ন দিয়েছে কিনা? না দিলে, আমি বলছি, টয়লেট করা শিখে পরীক্ষার হলে যাবে। নাহলে খুব ঝামেলায় পড়ে যাবে।

~ পারব না আমি। আপনি শিখেন গিয়ে, যান!

~ মানে? চাকরি পেতে হবে না? আজব! তুমি কিন্তু ব্যাপারটা মাথায় রেখো। নো হাঙ্কিপাঙ্কি। ওকে? মনে থাকবে তো তোমার?

~ না, থাকবে না। মাফ চাই, প্লিজ। আপনার সাথে পড়া নিয়ে কোন কথা নাই।

~ প্লিজ, বন্যা! তুমি চাকরি পেলে প্রথম মিষ্টিটা তো আর আমাকে খাওয়াবে না, তাই না? আমি উপযাচক হয়ে তোমাকে ফেভার করছি। বুঝতে পারছ তো? মাফ চাইছ কেন? মাফ চাইবে না, প্লিজ। আমি সিরিয়াসলিই বলছি।

~ ভাইয়া, আমি সরি। আমি বুঝতে পারছি, আমি আপনাকে বিরক্ত করে ফেলেছি। আর করব না। সরি!

~ তুমি পরীক্ষার আগে এরকম ফানি মুডে আছ কেন? পাস করার ইচ্ছা নাই তোমার?

~ আপনি আমাকে জ্বালাচ্ছেন কেন? আমি কি জ্বালানি?

~ এইতো বুঝে গেছ! গুড! ভেরি গুড! তুমি মাস্ট জ্বালানি। একেবারে উত্তম জ্বালানি!

~ আচ্ছা, তাই, না?

~ আলবৎ! বায়োগ্যাসের কনসেপ্ট তো তা-ই বলে!

~ খুব ভাল হয়েছে!

~ ভাল হয়েছে মানে? আমি কি তোমাকে জ্বালানির কনসেপ্টটা ব্যাখ্যা করতে শুরু করব?

~ ………..

~ হ্যালো! আছ? হ্যালোওওওওও…………….!!!!

ভাবনা: ছয়শো উনিশ

……………………………………………………

4 March 2015

পরশু পরীক্ষা, আর আপনি আজকে ফেসবুকে? কোনো ব্যাপার না! থাকেন এখানে। সামনে পরীক্ষা, আসেন সবাই মিলে মহানন্দে পরীক্ষার গুষ্ঠি কিলাই!

শুধু একটাই পরামর্শ, এটা নিয়ে কোন ধরনের আফসোস কিংবা মন খারাপ করবেন না।

পরীক্ষার আগের নিয়ম হল, যা করতে ভাল লাগে, তা-ই করতে হবে। প্রয়োজনে পুরোনো খ্যাতমার্কা বাংলা সিনেমা দেখে শাবানার সাথে মন, নাক আর চোখ খুলে কাঁদুন! সত্যি বলছি, কোনো ব্যাপারই না! (খালি সাথে এক বক্স টিস্যু রাখতে মনে রাইখেন।)

এটা ভাববেন না, সবাই সবকিছু পারে, আর আপনি পারেন ঘোড়ার আণ্ডা। আপনার প্রিপারেশন সবার চাইতে খারাপ, এটা কে বলেছে? এটা কেন আপনার মনে হচ্ছে? মনে হলে, যাদের জন্য মনে হচ্ছে তাদেরকে হয় মাফ করে দিন অথবা তাদের কাছ থেকে ১০০ কোটি হাত দূরে সরে যান। প্রিপারেশন ভাল হলেই পরীক্ষা ভাল হয়? আপনি শিওর তো? Come on, man! The game is still ON! কে কী পারে, পরে দেখা যাবে। যারা বেশি বেশি পড়াশোনা করে, তাদের জন্য দুহাত তুলে প্রার্থনা করুনঃ এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর।

আমি বলি, তোমরা আমার চাইতে ভালভাবে প্র্যাকটিস করেছ? সব পার? এক্কেবারে সঅঅঅঅববব…….?!! আমি কম পারি, তাই কম মার্কস পাব? খুব ভাল কথা। কিন্তু আমি যে এখনো খেলিইনি! আগে খেলতে দাও, দেখ কী হয়, পরে বল, “আমরা হাতি মেরেছি, ঘোড়া মেরেছি।” রেজাল্ট বের হলে অনেক মুখে মুখে হাতি-ঘোড়া মারা পাবলিককে দেখেছি, আসলে তেলাপোকাও মারতে পারে না।

অন্যরা স্রেফ প্র্যাকটিস করে, আর টেন্ডুলকার খেলে। Only ‘well played’ matters, not ‘well prepared’.

পরীক্ষা খারাপ হয় আত্মবিশ্বাসের অভাবে, প্রস্তুতির অভাবে নয়।

আপনার পরীক্ষা আপনি দিবেন, যেভাবে খুশি সেভাবে না পড়ে দিবেন! আর জোর করে পাস মার্কস পেয়ে যাবেন! কার কী!

প্রিলি ফেল করবেন? বললেই হল? এ্যাত্তো সোজা?! এটা কি শ্বশুরবাড়ির আবদার পাইসেন?

5 March 2015

আজকের পরীক্ষা থেকে নেয়াঃ

# কখনো কখনো………… পরীক্ষার হলে……… কোনো প্রশ্নের উত্তর……….

নিজে না জানলে……… মন খারাপ হয়।

আশেপাশের জন না জানলে………… মেজাজ খারাপ হয়।

# যাকিছু নিজে পারি না, তাতো পারিই না।

যাকিছু ও পারে না, গাধাটা কিচ্ছু পারে না।

# জিরো প্রিপারেশনে পরীক্ষা হলে গিয়ে পরীক্ষা একটুএকটু ভাল দেয়া শুরু করলে লোভ বাড়তে থাকে, নিজেকে ভাল প্রিপারেশনওয়ালা ভাল স্টুডেন্ট ভাবতে ইচ্ছে করে। প্রথম প্রথম লোভ থাকে নিজে যা পারি এবং পারি না, তার প্রতি; ধীরে ধীরে সে লোভ স্থানান্তরিত হয় অন্যে যা পারে এবং যা পারে না তার প্রতি। নিজে যা পারি না, অন্যকে জিজ্ঞেস করি। অন্যে যা পারে না, তা আরেকজনকে জিজ্ঞেস করে আমাকে জানাতে বলি। ও এতে বিরক্ত হলে মাইন্ড করি। অন্যের ধনের উপর দাবী বড় দাবী। পরীক্ষা আমাদেরকে লোভী হতে শেখায়।

9 March 2015

আমির খান কইসিলো না, জো জিতা ওহি সিকান্দার, অউর জো হারা ও বান্দর!!

অতএব, ইংল্যান্ড বান্দর আর আমরা বাঘ!! খাইসি তরে!! মুয়াহাহাহা…….. হিঁহিঁহিঁহিঁ…………….

বাংলাদেশ ১৫ রানে জিতসে আর পিএটিসি’তে হ্যান্ডবল ম্যাচে আমাদের টিম পায়রা ৫-১’য়ে জিতসে। কী লাগে আর গ্যাবনে!! লাইপ ইচ ছো বেওটিপুল!!

9 March 2015

https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t32/1.5/18/1f609.png

feeling হ্যাপি ;).

https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t32/1.5/18/1f609.png

দাগ থেকে যদি দারুন কিছু হয় তবে তো দাগই ভালো। 😉

https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t32/1.5/18/1f609.png

ইহা একখানা বিজ্ঞাপনচিত্র হইতে ধারকরা ইশটিটাশ মাত্র। জীবিত বা মৃত কাহারো সহিত মিলিয়া না গেলে তাহা নিতান্তই অনভিপ্রেত কাকতালীয় মাত্র। 😉

11 March 2015

আজকের রাতটা বড় মায়াবী। এই রাত হোক গানের রাত।

আমার নিজের কিছু পছন্দ শেয়ার করছিঃ

অপরূপা ফাগুন রাত্রি ………….

আকাশপানে চেয়ে চেয়ে সারারাত জেগে ……

আকাশপ্রদীপ জ্বলে ভোরের তারার পানে চেয়ে……….

আকাশের ওই মিটিমিটি তারার সাথে কইব কথা……….

আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল……………

আগুনের দিন শেষ হবে একদিন…………

আজ মধুরাত আমার ফুলশয্যা……..

আজ রাত সারারাত জেগে থাকব…….

আধো আলো ছায়াতে কিছু ভাল লাগাতে……..

আধো রাতে যদি ঘুম ভেঙে যায়, মনে পড়ে মোরে প্রিয়……….

আমার নিশীথরাতের বাদলধারা…………

আমার রাতজাগা তারা, তোমার আকাশছোঁয়া বাড়ি…………

আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো……..

এ মধু রাত শুধু ফুল পাপিয়ার…………..

এ শহর এখন ঘুমিয়ে গেছে………..

এ সুন্দর রাত্রি আকাশপারে………..

এ সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায় ………..

এই দূর পরবাসে তারা গুনে আকাশে আকাশে………..

এই মম জোছনায় অঙ্গ ভিজিয়ে এসো না গল্প করি……….

এই রাত ওই চাঁদ, এই ফুল ওই তারা ডেকে বলে……..

এই রাত তোমার আমার………..

এই রূপালি রাতে তোমার হাত দুটি………..

একদিন ঘুমভাঙা শহরে…………..

এখন অনেক রাত খোলা আকাশের নিচে………

ও আমার চাঁদের আলো, আজ ফাগুনের সন্ধ্যাকালে………

ও চাঁদ, সামলে রাখো জোছনাকে…………..

ওরে দেখে যা রে তুই রাতের নীরবতা………….

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে…………..

কাল সারারাত ছিল স্বপ্নের রাত…………

ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা………

চলে এসো আজ এ রাতে…………

চাঁদ কেন আসে না আমার ঘরে………..

চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে…………

তন্দ্রাহারা নয়ন আমার এই মাধবী রাতে……….

তারাভরা রাতে তোমার কথা যে মনে পড়ে……….

তুমি এলে পায়েপায়ে জোছনা ছুঁয়ে যায়……..

তুমি যেয়ো না এখনি………..

তোমার চোখের আঙিনায়, এখনো কি তেমনি করে………….

তোমার জন্য নীলচে তারার একটুখানি আলো………….

তোমারে লেগেছে এত যে ভাল, চাঁদ বুঝি তা জানে……………

দিনের শেষে ঘুমের দেশে……..

দুটি মন আর নেই দুজনার…………

দূরে আকাশ সামিয়ানা………

নিঝুম রাতের আঁধারে……….

নিঝুম সন্ধ্যায় পান্থ পাখিরা বুঝিবা পথ ভুলে যায় ………..

নিবিড় অমা-তিমির হতে বাহির হল জোয়ার-স্রোতে……….

নিশি রাত বাঁকা চাঁদ আকাশে ………..

নীল চাঁদোয়া……….

প্রিয়, এমন রাত যেন যায় না বৃথায়………….

বঁধুয়া, নিদ নাহি আঁখিপাতে……….

বিমূর্ত এই রাত্রি আমার, মৌনতার সুতোয় বোনা………

ময়ূরকণ্ঠী রাতের নীলে, আকাশে তারাদের ওই মিছিলে………

মাঝ রাতে চাঁদ যদি আলো না বিলায়…………

মাধবী গো মধুরাতে কেন কাঁদে…………

মাধবী রাতে মম মনবিতনে………..

মায়াবী এ রাতে গোপনে দুজনে…………

মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর………

যখন নিঝুম রাতে সবকিছু চুপ………..

রাত নির্ঘুম, বসে আছি একা………..

রাতের আকাশে নিশ্চুপ সাক্ষী দূরের ওই ধ্রুবতারা…………

রাত্রি অনেক হল, চোখে নেই কোনো ঘুম………….

শাওন রাতে যদি, স্মরণে আসে মোরে………

শিউলি ফুলের মালা দোলে শারদ রাতের বুকে ওই…………

শ্রাবণ ধারা তন্দ্রা হারা নয়ন আমার এই মাধবী রাতে….

সে তারাভরা রাতে, আমি পারিনি বোঝাতে…….

সে যেন আমার পাশে আজো বসে আছে…………

সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা………

সেদিনও আকাশে চাঁদ ছিল…………..

স্বপ্নভরা রাতের আকাশ রয় জেগে…………

আপনার সন্ধ্যার/ রাতের পছন্দ?

ভাবনা: ছয়শো বিশ

……………………………………………………

14 March 2015

মেয়েরা প্রচুর মিথ্যে বলে। ওদের কথা বিশ্বাস করো কম।

ছেলেদের প্রচুর মিথ্যে বলতে হয়। ওদের কথা বিশ্বাস করো না।

15 March 2015

feeling disgusted.

সবচাইতে নিষ্পাপ চেহারার মেয়েগুলো সবচাইতে বড় হ্যাবিচুয়াল লায়ার।

দাদা, চেতলেন ক্যান!!!

ভাই, ……….. চেতমু নাতো কী করমু?? ভাঙচুর করতে মঞ্চায়।

…. thanks a lot

ভাই, ক্যান? ধরা খাইসিলেন নাকি? রিয়েলি??

না দাদা, খাইনি। সেই চান্স তো কেউ নিতে পারেনি………..আমি অইসব সুন্দরীদের দিকে তাকাই একটু কম বৈকি……

………… ক্যান ভাই?? কম তাকান ক্যান?? আমি তো সুন্দরী দেখলেই হাঁ কইরা তাকাইয়া থাকি!!

21 March 2015

কালকে চট্টগ্রামে আমার দুটো ক্যারিয়ার আড্ডা আছে।

ভেন্যুঃ চকবাজার গুলজার টাওয়ারের ৪র্থ তলায়

সময়ঃ প্রথমটি সকাল ১০:০০টায়, দ্বিতীয়টি বিকেল ৪:০০টায়

আড্ডাতে যা থাকছেঃ মোটিভেশনাল টকস। বিসিএস প্রিলি আর রিটেন পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল। প্রশ্নোত্তর পর্ব।

আড্ডা দুটো চলবে ৩:৩০ ঘণ্টার মত। আমি চেষ্টা করব প্রথম ২:৩০ ঘণ্টায় আমার কথা শেষ করে পরের ১ ঘণ্টা আপনাদের কথা শোনার, মানে আমি চাইছি প্রশ্নোত্তর পর্বটাতে যথেষ্ট সময় দিতে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, প্রশ্নোত্তর পর্বে বেশি সময় দিলে ভাল হয়। তাই, এবার দিচ্ছি।

আড্ডায় আসতে কোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না, কোন এন্ট্রি ফি লাগবে না। আড্ডাটি সবার জন্য উন্মুক্ত। ক্যারিয়ার আড্ডা থেকে আমি একমুঠো ভালবাসা আর একরাশ তৃপ্তি ছাড়া আর কিছুই নিই না, তাই আমি চাই, আমার কথা শুনতে কারোরই কখনোই কোন পয়সা খরচ না হোক। (গাড়িভাড়া বাদে! হাহাহাহা……….) যে কেউই আমাকে ডাকলেই আমি ছুটে যাই। দুটো শর্তেঃ এক। আমাকে একটা পয়সাও দেয়া যাবে না। দুই। যাঁরা আড্ডায় আসবেন, তাঁদের কাছ থেকে একটি পয়সাও নেয়া যাবে না। (পয়সা নেবো না, তাই আমার আড্ডায় কারোর কাছ থেকে একটি পয়সাও নেয়া যাবে না—- শুধু এই গোঁয়ার্তুমির জন্য দুএকটি প্রফেশনাল জব ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণ বিনীতভাবে ফিরিয়ে দিয়েছি।)

খুব ভাল হয়, যদি আপনাদের প্রশ্নগুলো আপনারা লিখে নিয়ে আসেন, কারণ এর আগে বিভিন্ন ভার্সিটি আর প্রতিষ্ঠানের ক্যারিয়ার আড্ডার অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি, ওইসময়ে কী প্রশ্ন করা যায়, সেটাই অনেকের মাথায় আসে না। প্রশ্নগুলো যেন প্রাসঙ্গিক হয়। অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দেবো না। (অপ্রাসঙ্গিক মানে? এই যেমন, কোন গাইড বই পড়ব? জয়েন করার কতদিনের মধ্যে গাড়ি পাওয়া যাবে? ইত্যাদি ইত্যাদি………)

তাহলে, কালকে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে, ‘ছবি তোলাতুলি’ হচ্ছে।

(এই পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।)

21 March 2015

পরশুর খেলাটা দেখলাম। পিএটিসি’তে খেলা দেখার সুযোগ ছিল না, তাই বাসায় এসে আজকে দেখলাম। খেলাটা দেখার পর মাথায় রক্ত চড়ে গেছে! ছিঃ ইন্ডিয়া, ছিঃ! তোমাকেও এভাবে জিততে হয়? এ ইন্ডিয়া কি টেন্ডুলকারের ইন্ডিয়া? এটাও বিশ্বাস করতে হল? আমাদেরকে হারালে হারাবে, তাই বলে এরকম চোরের মতো মুকুট ছিনিয়ে নিতে হল; তোমাদেরকেও?! বড় মানুষের ছোটলোকের কাজ মানায় না। ছিঃ আইসিসি! তোমরা রাস্তায় একটা থালা নিয়ে নামতে পারছ না? ফকিরেরও এর চাইতে বেশি লজ্জাশরম থাকে। নির্বোধ আম্পায়াররা! তোমরা টুপিটা হাতে নিয়ে আমাদের দেশে চলে আস। আমাদের দেশে আমরা সংখ্যায় অনেক অনেক বেশি। এক টাকা করে দিলেও হিসেবে ঘুষের পয়সা থেকে অনেক বেশি উঠবে। ভয় পেয়ো না, আমরা ওই ভিক্ষার বিনিময়ে তোমাদের ন্যাংটা হয়ে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে বলব না, শুধু এইটুকু বলব, আমাদের ভাইদের প্রতি অবিচার কোরো না, অনেক আবেগ নিয়ে খেলতে নামে তো! তোমরা শালারা পয়সা বোঝো, আবেগ বোঝো না। আমরা ইন্ডিয়ার মত করুণাভিক্ষা চাই না, শুধু অবিচার কোরো না, ওতেই চলবে। আমাদের ১১ জনের বিরুদ্ধে ওদের ১১ জনকেই খেলতে দাও। ওদের হয়ে তুমি খেলো না। তোমাকে খেলার জন্য মাঠে দাঁড় করানো হয়নি, এটা বোঝার মত ঘিলু না থাকলে আমাদের মত এই গরীব মানুষগুলোরও খুব ইচ্ছে করে, প্রয়োজনে চাঁদা তুলে একটা পিস্তল কিনে গুলি করে তোমার মাথার ঘিলু বের করে দিই। ইন্ডিয়া জিততে পারেনি, অথচ আমরা হেরে গেছি। হারিনি, একটা জয় ভিক্ষা দিয়েছি। আমাদের স্বপ্ন এভাবে করে ছিনিয়ে নিলে?

টাইগার্স!! তোমরা হারনি। আমরা সাক্ষী! পুরো দুনিয়া সাক্ষী!! আইসিসি’র মুখে এক দলা থুতু মেরে বলছি, আমাদের তোমরা গায়ের জোরে ফাইনাল খেলতে দিলে না। যদি ইন্ডিয়া কাপ জিতে, তবে সেই কাপ ওদের নয়, আমাদের। যদি ইন্ডিয়া কাপ জিততে না পারে, তবে বলব, আমাদের প্রতি অন্যায় করে অন্য একটা দলকে কাপ জেতানোর জন্য অযোগ্য ইন্ডিয়াকে হারানোর সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ছিঃ!!

21 March 2015

হোয়াটস অন ইয়োর মাইন্ড-১

৩৫তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষায় একটা প্রশ্ন ছিল এরকমঃ

Women are too often ___ by family commitments.

(ক) confused (খ) controlled (গ) contaminated (ঘ) constrained

এটা কেন লিখলাম? আমাকে একটা প্রশ্ন প্রায়ই শুনতে হয়ঃ “ভাইয়া, ইংলিশ গ্রামারের জন্য কোন বইটা পড়ব?” আমি দুইটা বইয়ের নাম বলিঃ Oxford Advanced Learner’s Dictionary আর Longman Dictionary of Contemporary English. সাথে আরো কিছু বইয়ের কথাও বলি। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ওরা তো আমার কাছ থেকে গাইড বইয়ের নামই জানতে চেয়েছিল। আর আমি কিনা! অথচ এবার গাইড বই থেকে কয়টা প্রশ্ন ‘কমন’ এসেছে?

আপনি লংম্যানের ডিকশনারির constrain এন্ট্রিটাতে গিয়ে দেখুন। ওই এন্ট্রির শেষ একজাম্পলটাঃ Women’s employment opportunities are often severely constrained ‘by’ family commitments.

কী বুঝলেন? প্রশ্ন কোথা থেকে হয়? যাঁরা প্রশ্ন করেন ওদের কী সময় আছে গাইড বই দেখে প্রশ্ন করার? কিংবা কোচিং সেন্টারের গাদা গাদা শিটমার্কা শিট পড়ার? কিংবা আমার মতো ছাগলরা ফেসবুকে কে কী বলল সেটা মাথায় রেখে প্রশ্ন করার? সত্যিই নেই। এবারের বিসিএস পরীক্ষা সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে।

একটা গ্রামারের প্রশ্ন না পারলে আমরা গাইড বই খুঁজতে শুরু করি। একেক গাইডে একেকরকমের উত্তর। এরপর কোচিংয়ের স্যারদের পেছনে ছুটি। কী দরকার ভাই? ওই গাইড বইয়ের লেখক কিংবা ওই কোচিংয়ের স্যার কি আপনার চাইতে খুব বেশি জানেন? কী হয় একটু কষ্ট করে ডিকশনারির এন্ট্রিতে গিয়ে একজাম্পলগুলো স্টাডি করে শিখলে? একটা প্রশ্ন কিন্তু আরো কয়েকটা প্রশ্নের সূতিকাগার। ওই বইগুলো হচ্ছে সকল গাইড বইয়ের বাইবেল। ওখানে যা আছে সেটাই কারেক্ট। ব্যাপারটা খুব কঠিন কিছু না। বই দুটোর পৃষ্ঠা উল্টে উল্টে প্রশ্ন সলভ করা প্র্যাকটিস করবেন। প্রথম প্রথম একটু বিরক্ত লাগবে, আস্তে আস্তে অভ্যেস হয়ে গেলে সেটা নেশায় পরিণত হবে। আমি ‘আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে’ নীতিতে বিশ্বাসী। আমি নিজে ওই কাজটা করেছি, তাই আপনাদেরকেও করতে বলছি। এই কষ্টটা করতে না পারলে, আপনার জন্য একটাই পরামর্শঃ ভুল শিখুন, ভুল করুন, ফেল করুন।

আজকে বাসায় একটু ফ্রি ছিলাম। আমার ছোটভাই কোন প্রস্তুতি ছাড়াই আমার পরামর্শে ৩৫তম বিসিএস প্রিলির প্রশ্নটি সলভ করল। ও এখনো পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেনি। স্রেফ বেসিক থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। যে মার্কস পেয়েছে, তাতে ও এবার পরীক্ষা দিলে ‘পাস’ করত। আমি খাতা কাটতে গিয়ে আরো একবার আবিষ্কার করলাম, অনেক প্রশ্নই যাঁদের রিডিং হ্যাবিট ভাল, চোখকান খোলা রাখেন, তাঁদের জন্যই করা হয়েছে, গাইড বই আর কোচিং সেন্টার সর্বস্ব তোতাপাখি টাইপ ক্যান্ডিডেটদের জন্য নয়।

হোয়াটস অন ইয়োর মাইন্ড-২

আমার ছোটভাইয়ের কাছ থেকে একটা মজার গল্প শুনলাম। ও একটা পিচ্চিকে পড়ায়। ওই পিচ্চি আবার আমারও ফেসবুক ফ্রেন্ড। ও ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। আমার ছোটভাই ছাড়াও ওকে বাসায় এসে পড়ায় চিটাগাং ভার্সিটির ইকোনমিক্সের ফোর্থ ইয়ারের একটা ছেলে।

সেদিন পড়ানোর ফাঁকে আমার প্রসঙ্গ এলে ছেলেটার সাথে পিচ্চিটার কনভারসেশন শেয়ার করছিঃ

“তোমার প্রশান্ত স্যারের বড় ভাইকে আমি খুব ভাল করে চিনি।”

“হ্যাঁ, উনি অনেক ভাল স্টুডেন্ট।”

“কীসের ভাল স্টুডেন্ট? তুমি জানো, উনি চুয়েটে পড়ার সময় শুধু ফেল মারতেন? অনেক কষ্টে চুয়েটের গণ্ডি পার হইসেন।”

“আপনি এসব কী বলতেসেন, স্যার? দাদাকে আমি অনেক ছোটবেলা থেকে চিনি। উনি এরকম না।”

“তুমি উনাকে আমার চাইতে বেশি চিন না। উনি আমার খুব ক্লোজ বড় ভাই।”

“কই ফেসবুকে মিউচুয়ালে তো আপনাকে দেখায় না।”

“আরে, ফ্রেন্ডলিস্টে না থাকলে কী হবে? আমি উনাকে ফলো করি, উনার সব পোস্ট পড়ি। উনার সম্পর্কে আমি সব জানি। চুয়েটে উনাকে সবাই ছিঃ ছিঃ করত। পরে অবশ্য লাইনে চলে আসছে।”

“স্যার, আপনি এরকম একটা বাজে স্টুডেন্টের পোস্ট পড়েন কেন?”

“পড়ি আরকি! উনার সব পোস্ট পাবলিক করা তো। সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য উনি নিজের প্রোফাইল পাবলিক করে দিসেন।”

শুনলাম, আর ভাবলাম, এসব ছেলের মধ্যে ন্যূনতম সম্মানবোধ নেই কেন মানুষের প্রতি? সম্মান করতে না জানলে সম্মানিত হওয়া যায় না, এটা কি এসব স্মার্ট গাধাগুলোর মাথায় নেই? অন্যকে ছোট করার এত সময় পায় কীভাবে এরা? দুনিয়াটাকে কতোটুকু দেখেছে এই ছেলে? জীবন তো এখনো শুরুই হয়নি ওর! এই ব্যাটাকে সামনে পেলে ধরে কানের নিচে দিতাম দুইটা! তুমি এমন কোন সেয়ানা, শুনি? নিজে ভার্সিটির সেরা ডিপার্টমেন্টে পড়ছ, ভাল কথা। তো, কয়জনকে স্বপ্ন দেখাতে পেরেছ যাতে সেও তোমার মতো বড় হতে পারে? তোমার এই অহমিকার মূল্য কী? অপেক্ষা কর, সময়ই সবকিছু বলে দেবে। আমার ছোটভাইকে বলেছি নেক্সট দিন পড়াতে গেলে ওর নামটা জেনে আসতে। আমি ওকে ফেসবুকে খুঁজে ব্লক করে দেবো। আমার ব্লকলিস্ট অনেকের ফ্রেন্ডলিস্ট থেকেও লম্বা। এটা আমাকে অনেক স্বস্তিতে রাখে। দুষ্ট শুয়োর অপেক্ষা শুন্য খোঁয়াড় ভাল। আমার লেখা পড়তে না পারলে আমার চাইতে ওর লস বেশি। আমি চাই না, ও আমার লেখা পড়ুক। Sometimes to make someone understand your value all that you can do is to make yourself out of their reach. বয়সে ও আমার ছোটভাইয়েরও ছোট। ছোটভাই ছোটভাইয়ের মতো থাকবে, বেয়াদবের মতো নয়। বেয়াদব চলুক বেয়াদবের সাথে, আমার সাথে নয়।

ভাবনা: ছয়শো একুশ

……………………………………………………

22 March 2015

আজকে প্রায় ৪ ঘণ্টা করে মোট ৮ ঘণ্টা দুটো ক্যরিয়ার আড্ডায় কথা বলেছি। আড্ডা দুটো হয়েছিল চট্টগ্রামের চকবাজারের গুলজার টাওয়ারের ৪ তলায়। এই মার্কেটেই একটা সময়ে আমার গিফটশপ ‘দোভানা’ ছিল। আমার জীবনের বড় একটা অংশ কাটিয়েছি এখানেই। আমার অনেক আবেগ আর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই মার্কেটকে ঘিরে। আজকে কথা বলতে গিয়ে বারবারই কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়ছিলাম।

আজকে প্রথমেই বলেছি জীবন থেকে শেখা আমার কিছু কথা আর আমার নিজের জীবনের গল্প। ৮০০ জোড়া চোখ যদি মিথ্যে না বলে, তবে বলব, এ কথাগুলো থেকে স্টুডেন্টরা অনুপ্রেরণা খুঁজে নিয়েছেন। এরপর বলেছি প্রশ্নের নতুন ধরনের আলোকে বিসিএস প্রিলির জন্য কী পড়া যায় এবং কোথা থেকে পড়া যায়। প্রিলির প্রিপারেশন নেয়ার সময় কীভাবে লিখিত পরীক্ষার প্রায় ৬০% পড়া শেষ করে ফেলা যায়, সেটা নিয়েও বলেছি। বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাসের বেশ কিছু টপিক বদলে গেছে। পুরোনো অংশগুলো আর নতুন অংশগুলো কোনটা কোন টেকনিকে কোথা থেকে কতটুকু পড়লে বেশি কাজে দেবে, পরীক্ষার খাতায় কোন স্টাইলে উপস্থাপন করলে বেশি মার্কস পাওয়া যেতে পারে, টাইম আর স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন দিকসহ আরো অনেক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। সবশেষে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব।

এত দীর্ঘসময় ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলতে সত্যিই খুব কষ্ট হয়। তবুও বলেছি ভালবাসা আর ভাললাগার মোহে। আমি ক্যারিয়ার আড্ডার বক্তা, আমি তো দাঁড়িয়ে থাকবই। কিন্তু অনেক ছেলে, এমনকি অনেক মেয়েও দুটো সেশনেই ক্লাসের ভেতরে আর বাইরে ওই ৪ ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল। ওদের দেখছিলাম, খুব কষ্ট হচ্ছিল আর মনে পড়ে যাচ্ছিল সেইসব কান্নার দিনগুলোর কথা, যখন কিছু সহানুভূতিপূর্ণ কথা শোনার জন্য কাঙাল হয়ে থাকতাম।

24 March 2015

গত ২২ মার্চ চট্টগ্রামের গুলজার টাওয়ারের ৪র্থ তলায় ক্যারিয়ার আড্ডায় যে প্রেজেন্টেশনটা দিয়েছিলাম, সেটি নোট আকারে শেয়ার করলাম। বিসিএস প্রিলি আর লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন আর সিলেবাস বদলে গেছে, তাই সঙ্গত কারণেই আগের আড্ডাগুলোর সাথে সেদিনের আড্ডার অনেক কথাই মিলেনি। আড্ডায় যা বলেছি, তার সবকিছু শেয়ার করা সম্ভব নয়। তবে নিচের নোট দুটো পড়লে কিছুটা ধারণা পাবেন।

একটা ভাল খবর দিই। বিসিএস লিখিত পরীক্ষার পরিবর্তিত সিলেবাস আর প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী প্রস্তুতিকৌশল মানে, কী কী পড়তে হবে, কীভাবে পড়তে হবে, কোথা থেকে পড়তে হবে, সেসব নিয়ে ‘প্রথম আলো’তে ধারাবাহিকভাবে লিখব। প্রথম পর্বে লিখেছি লিখিত পরীক্ষার সামগ্রিক কিছু ধারণা এবং বাংলা ১ম ও ২য় পত্রের প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে। লেখাটা কবে আসবে, আমি সেটা ফেসবুকে জানিয়ে দেবো।

(এই পোস্টটা শেয়ার করলে অনেকেই উপকৃত হবে। তাই শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি।)

26 March 2015

৩টি হোয়াটস অন ইয়োর মাইন্ডঃ

এক। পরশু, মানে ২৮ মার্চ সিলেটে আসছি, ট্রেনিংয়ের অংশ হিসেবেই। প্রায় ২ মাস সিলেটে থাকব। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর আর শুক্রবার/শনিবার কাটাবো ঘোরাঘুরি করে, খাওয়াদাওয়া করে, আড্ডা দিয়ে। সিলেট এবং এর আশেপাশের জেলাগুলোতে আমার অনেক বন্ধু/ ফলোয়ার/ শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। যাঁরা আছেন, তাঁদের সাথে দেখা হলে, আড্ডা হলে আমার খুব খুব ভাল লাগবে। আমি ০১৭১৬০৮৬৯২১ এই নাম্বারে আছি।

দুই। আজকে গোধূলির পর চট্টগ্রামের বাতিঘর’য়ে আছি। কেউ ওদিকটায় থাকলে/ আসলে চলে আসুন। দেখা হবে, নেসক্যাফেতে আড্ডা হবে।

তিন। আজকের ম্যাচে আমাদের খেলার কথা ছিল না? যদি আমরা খেলতাম, তবে আমি বিশ্বাস করি, অন্তত ছাব্বিশে মার্চে আমরা হারতাম না, আমাদের ভাইয়েরা ওদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে চেষ্টা করত। আসুন, আজকের স্বাধীনতা দিবসে প্রার্থনা করি, ইন্ডিয়া হেরে যাক। অনেককেই দেখছি, বলছেন, এশিয়াতে কাপ আসুক। আমি বলছি, না আসুক। এশিয়ার চাইতে আমার দেশ বড়। অস্ট্রেলিয়া চারছক্কা হাঁকালেই জিটিভি’তে নিচে লেখা উঠছে, ‘ধন্যবাদ’। আমরাও জিটিভি’কে বলছি, ‘ধন্যবাদ’।

সিলেটে বিছানাকান্দি, রাতারগুল, লালাখাল, হামাম জলপ্রপাত ঘুরে যেতে ভুলবেন না। যদিও বর্ষায় এইসব স্থানের প্রকৃত সৌন্দর্য উপলব্ধি করা যায়। আর সময় পেলে শাবিপ্রবিতে একবার ঘুরে যাওয়ার দাওয়াত রইল।

………. সাস্টে আমার অনেক অনেক ছোট ভাইবোন আছে। ওখানে তো যাবই!

26 March 2015

অপ্রিয় ইন্ডিয়া, তোমাদের জন্য অশুভকামনা।

26 March 2015

Go Australia, Go!!!!

Not that we support Australia, we’re just anti-India, at least for today!!

At least today!!! Not forever!!

It was not expected from you.

Anti-India? That’s how the world is today. Very few children respect their creator!!!

…….. Sir, we’ve every reason to be anti-India at least for TODAY’S MATCH!!! Our hope was hijacked, Sir!!

26 March 2015

অস্ট্রেলিয়া জিতেছে। Who cares?

ইন্ডিয়া হেরেছে। It’s all what we do care!!

আইসিসি, একই মাঠে ইন্ডিয়াকে দুবার চুরি করার সুযোগ দিতে পারলে না? নাকি শুধু গরীবের বউকেই ভাবী ডাকতে ইচ্ছা করে?

27 March 2015

………….off to Sylhet, the Daughter of Nature. I’ll have to stay there for 7 weeks as a part of our foundation training course………looking forward to meeting my friends, well-wishers, fans & followers. I’ll be available on *******…….. Hello Sylhet!!

28 March 2015

Good Morning, Sylhet!

28 March 2015

জাফলংয়ের পথে . . . . . . . এরপরের গন্তব্য তামাবিল, জৈন্তাপুর, শ্রীপুর, লালাখাল . . . . . .

28 March 2015

Happiness is . . . . . . . পাথুরে পাহাড়ি নদীর কনকনে ঠাণ্ডা হাঁটুজলে খুব সাবধানে পা ফেলে ফেলে হেঁটে বেড়ানো আর ঢঙ করে করে ‘মুখ বেঁকিয়ে দাঁত কেলিয়ে’ ছবি তোলা।

গুডবাই জাফলং। আজ তুমি বৃষ্টিতে ভিজিয়েছ; রোদেও! লালাখালের পথে . . . . . .

28 March 2015

লালাখালে …….. আচ্ছা, এটা কিছুটা কাপ্তাই লেকের মতো না? কাপ্তাই অবশ্য আরো অনেকবেশি সুন্দর! বরং এটা কিছুটা বান্দরবানের সাংগু নদীর মতন।

29 March 2015

feeling খাদক! at পানসী রেস্টুরেন্ট (Panshi Restaurant).

পানসীতে খেলুম দাদা! সিরাম!! ভুঁড়ি কী আর এমনিই বাড়ে দাদা!

29 March 2015

at MC College, Sylhet – এম সি কলেজ, সিলেট

এমসি কলেজে . . . . . . পুরোনো আবহ, পুরোনো গন্ধ

ভাবনা: ছয়শো বাইশ

……………………………………………………

29 March 2015

আমাদের যেমন বাতিঘর আছে তেমনি এদের আছে বইপত্র। ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, আর আমি তো এসেছি মাত্র সিলেটে। এত এত ঘুরে বেড়াব, অথচ শহরের সবচাইতে বড় বইয়ের দোকানে আসব না, এ তো হয় না! . . . . . সিলেটের সবচাইতে বড় বইয়ের দোকান বইপত্র’য়ে সময় কাটাচ্ছি . . . . . .

30 March 2015

সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে . . . . . উত্তম কুমারের আনন্দ আশ্রম’য়ের কথা মনে হচ্ছে। মুভিটা দেখেছেন তো? ওটাতে ডাক্তারের অফিসটাও কিছুটা এরকম। প্রকৃতি আর সেবার নিবিড় মেলবন্ধন। ওখানে একটা মাঠ ছিল, এখানে ওটা নেই, এই যাহ! . . . . . . একটা গাড়িতে দেখছি লেখা আছে, জরুরি ঔষধ। পুরোনো ভাঙাচোরা গাড়ি। ওতে কিছু আগাছাটাইপের গাছও জন্মেছে। ঔষধ আর অক্সিজেন, দুইই আছে! জীবনরক্ষার সব ব্যবস্থাই আছে দেখছি! গাড়িটা চলে না, তাই ওটা কারোর জীবন নেবে না! মানে, এই নখদন্তহীন গাড়িটিও জীবনরক্ষাকারী!

30 March 2015

আহা চাবাগান! এমন একটা বিকেল কাটানোর জন্যও তো বেঁচে থাকা যায়! এই অপার্থিব সুন্দরের মাঝে নিজেকে বড় বেশি অসুন্দর ভাবতে ইচ্ছে করে! সুন্দরের শক্তি এমনই!

30 March 2015

with Diha Kamal Chowdhury at YUMMY HUT.

Meeting new friends over coffee!!

31 March 2015

কাজীর বাজার ব্রিজটা সুরমা নদীর ওপরে। ব্রিজ থেকে নদীর দিকে তাকাচ্ছি আর মন না, মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ হচ্ছে। সুরমাকে লোকজন বুড়িগঙ্গা বানিয়ে ফেলেছে। নদী পরিণত হয়েছে ভাগাড়ে। এত এত ময়লা-আবর্জনার স্তূপ সুরমায় ভাসছে! নদীও এর প্রতিশোধ নিচ্ছে। If we rape Nature once, it will rape us hundred times or even more! মানুষ এত অকৃতজ্ঞ বদমাইশ হয় কীভাবে? দুদণ্ড শান্তির খোঁজে তো এই নদীর তীরেই ফিরে ফিরে আসতে হয়! যে মায়ের স্তন্যপান করে বেড়ে ওঠে সে মাকেই বড় হয়ে খুন করে!

একটু মজা করতে ইচ্ছে করছে। করি, কেমন?

৩০তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় একটা প্রশ্ন এসেছিল: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নদীর ভূমিকা লিখুন। . . . . . . প্রশ্নটা আমার কমন আসেনি, তবুও উত্তর করেছিলাম। মানে, করতে হয়েছিল। ওটার অলটারনেটিভ ছিল সংবিধান থেকে একটা প্রশ্ন। সংবিধান তো আর পারি না। অগত্যা কী আর করা! কোন কায়দায়, কীভাবে রীতিমত পয়েন্ট কোটেশন ডাটা দিয়ে ওটার উত্তর করেছিলাম, সে বুদ্ধিটা আমার ক্যারিয়ার আড্ডায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁরা জানেন। সে আলোচনায় যাচ্ছি না। শুধু এইটুকু বলব, হে নদী! তুমি আমাকে মার্কস দিয়েছ, আমি তোমায় কিছুই দিতে পারিনি! আমার অক্ষমতাকে ক্ষমা কর।

একটা কাপলকে দেখলাম, এই প্রখর দারুণ অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিনেও রৌদ্রতপ্ত ব্রিজের ফুটপাথের ওপর বসে বসে ছাতা মাথায় ডেটিং করছে। প্রার্থনা করি, হে ঈশ্বর! তুমি এই বেকার যুবকটিকে ওর প্রেমিকা যুবমহিলাটিকে নিয়ে একটা এসি রেস্টুরেন্টে নিয়ে শান্তিময় ডেটিংয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগানদাতা একটা চাকরি দাও। অথবা, নিদেনপক্ষে একটা বেটার ডেটিং প্লেস ঠিক করার বুদ্ধি দাও। . . . . . . ওদের এই ‘গরম গরম’ সম্পর্ক কখনই ঠাণ্ডা না হয়ে যাক।

31 March 2015

মদিনা মার্কেটের সামনে চাচার টংয়ে সাস্টের ছোটোভাইদের সাথে আড্ডায়……..

31 March 2015

at Panch Vai Restaurant – পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট

Thank you Giyas Uddin for arranging today’s adda and also for the treat at Panch Bhai. It was really a wonderful evening.

ভাবনা: ছয়শো তেইশ

……………………………………………………

এক। Happiness is……. ordering books online!!!
Buying books is buying happiness.
As my journey to happiness never ends, buying books never ends.

Shopping is living!!!

দুই। ২০১১-এর মাঝামাঝি এবং তার আগের সময়ে আমি খুব ভাল ইংরেজিতে লিখতে পারতাম। আমার সেই সময়ের কিছু ফেসবুক পোস্ট, বিশেষ করে পোস্টের কমেন্ট ও কমেন্টের উত্তর (কথোপকথন) এই সময়ে পাঠক হিসেবে পড়ে আমি সত্যিই অভিভূত হচ্ছি। সেই সময় আমার চাইতে ভাল ইংরেজি ভাষায় লিখতে পারতেন, এমন কাউকে আমি চিনতাম না। (কথাটা কোনো রাখঢাক কিংবা বিনয় না রেখেই বললাম।)

এক অতি পরিশ্রমী বন্ধুর পরিশ্রমের ফসল হিসেবে আমার আগের আইডি (যা এখন আর নেই)-র সেই সময়ের বেশ কিছু পোস্ট এবং সংশ্লিষ্ট কমেন্টথ্রেড কপিপেস্ট আকারে আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। (বন্ধুর প্রতি আমার অশেষ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।) আমি সেগুলি আমার ‘ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা’ সিরিজে নোট আকারে রেখে দিচ্ছি। সেই সময় ইংরেজিতে লেখার ক্ষেত্রে আমার যে দক্ষতা ছিল, তার দশ ভাগের এক ভাগ‌ও এখন আর অবশিষ্ট নেই। (কেউ যদি ধৈর্য ধরে সাম্প্রতিক সময়ের ‘ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা’ পড়েন, তবে আমার কথার অর্থ বুঝবেন।)

আমি আমার পুরনো আমি’টাকে এক‌ই সাথে মিস করছি ও চরমভাবে ঈর্ষা করছি। ইচ্ছে র‌ইল, সময় করে ইংরেজি কথোপকথনগুলোকে ননফিকশন আকারে সাজানোর। কাজটা খুবই পরিশ্রমসাধ্য, তবু চেষ্টা করব। (জানি, ওই মানের কিংবা মাপের লিখতে পারবো না, কেননা সেই সময়ের সুশান্ত আর এই সময়ের সুশান্ত-এর মধ্যে অনেক ফারাক। নিজের কিছু বদল নিজের জন্যই কষ্টের।)

আমার ওই সময়ের লেখা যত পড়ছি, তত মনে হচ্ছে, মানুষ চাকরি পাওয়ার পর অথর্ব এবং অর্ডিনারি হয়ে যায়। Stability ruins creativity. জীবনের নিরাপত্তা মেধাকে অনিরাপদ করে দেয়।

তিন। দুজন প্রেম করার সময় ভাবে, এই প্রেমের শেষ হবে একমাত্র মৃত্যুতে।

হয়ও তা-ই। বিয়ের পর দুজনই মরে অন্য মানুষ হয়ে যায়। সে বিয়েটা হোক ওদের দুজনের মধ্যে কিংবা অন্য কারো সাথে।

বিয়ে মানেই প্রেমের সমাপ্তি। বিয়ের পর প্রেম পরিবর্তিত হয় অভ্যস্ততায়। কিংবা সামাজিক দায়বদ্ধতায়।

বিয়ে মানুষ বদলানোর এক আশ্চর্য মেশিন।

দিনের শেষে, বিয়ে বিয়েই; যার সাথেই হোক না, ঘটনা কি দুর্ঘটনা-জাত অনুভূতি কমবেশি একই!

আবার অনেককে দেখেছি বিয়ের পর অন্য কারো প্রেমে পড়ে যেতে। ব্যাপারটা এমন নয় যে সে যাকে বিয়ে করেছে, তাকে সে আর ভালোবাসে না। সে তাকেও ভালোবাসে, আবার অন্য কাউকেও ভালোবাসে। কখনোবা, তাকে ভালো না বেসে অন্য কাউকে ভালোবাসে, কিন্তু তাকে ভালোবাসার অভিনয় করে যায়—নিজের সাথে, তার সাথে। লোকে এমন প্রেমের নাম দিয়েছে পরকীয়া। মানে, অন্য সম্পর্ক কিংবা অন্য প্রেম। এটা কেন হয়? মানুষের হৃদয় কি তবে চির-অতৃপ্তই থেকে যায় শেষ পর্যন্ত? লোকে কী খুঁজে চলে সারাটি জীবন?

ব্যাপারটা ভালই গোলমেলে। অনেকদিন ধরেই এটা কেন হয়, উত্তর খুঁজছিলাম। উত্তর পেয়ে গেলাম গুলাম আলীর একটা গজলে— তামাম-এ-উমর তেরা ইন্তেজার হামনে কিয়া, হাফিজ হোশিয়ারপুরীর লেখা। গজলের অনুবাদ করা খুবই কঠিন কাজ, তবু কাছাকাছি অর্থটা নিজের মতো করে দিলাম:

তোমার প্রতীক্ষায় একটা জীবন খর্চা গেলো,

এই এক জীবনে কত প্রেয়সীই গেলো, এলো।

হে বন্ধু, এই প্রতীক্ষায় জীবন পুরোই যেন লাগে,

শত মুখের মাঝেও খুঁজি তোমাকেই সবার আগে!

তোমায় ভেবে বছর ঘুরে বেঁচেছে হৃদয় সুরের সুখে,

জানলে নাতো বিফল প্রেমের ঘায়ে কত মরেছি দুখে!

এ চাওয়াটা মরিয়া কেমন, সে খোঁজ নিয়ো ওই চোখেতে,

যেখানে হাফিজ চোখ রেখেছে, রাখেনি হৃদয় ভুলে ভুলেতে।

চার। : একটা উপকার করেন।

: বলেন, দাদা।

: মোবাইলে ত পড়তে পারি না।

আপনার ৬৯ কিস্তি লেখা পিডিএফ করে প্রিন্ট করে দেন।

পড়তে ইচ্ছে করছে।

সেলফোনে চোখ ব্যথা করে।

: বদ্দা, লজ্জায় ফেলে দিলেন!! পড়ার মতো কিছু হয় নাই! অন্তত, আপনার জন্য না। দাদা, আপনার অনেক বড়ো কলিজা। আমার লেখা পড়তে চাইসেন, এটা ভাবতেও কেমন জানি লাগতেসে। আপনার মতো মানুষ আমার লেখা পড়বে কেন??

: না না কিছু অংশ খুব ইন্টারেস্টিং। কিন্তু আমার পিসিতে নেট নাই।

মোবাইলে পড়তে পারি না।

কিংবা পিডিএফ করে মেইল করলে আমি পড়তে পারি।

আপ্নারে নিয়ে কিছু ভুল ধারণা ছিল।

: আমাকে নিয়ে ভুল ধারণা!! কীরকম?

: এই মানুষকে কিঞ্চিৎ বেঁচে থাকার কথা বলতেন একদা। এখন মনে হয় ওগুলো ভাল ছিল।

:হে হে!

আসলে কী জানেন, আমি চাই না কেউ আমাকে জাজ করুক। (সে আমি যা-ই করি না কেন!) আমি, অনেকদিন হল, লোকজনকে ভাল কিংবা খারাপ কোনোটাই ভাবা বন্ধ করে দিসি।

আসলে কী জানেন, দাদা, যা হৃদয় করতে বলে, করে ফেলি, আত্মিক মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখে ফেলসি ত, তাই।

একজন মানুষ। মানুষটা বাঁচবে কি না, বাঁচলেও বাঁচার মতো বাঁচবে কি না, সেইটাই সে জানে না। সে অবস্থায়ও ফাইট করে গেছি। মানুষের নিষ্ঠুরতা খুব কাছ থেকে দেখে ফেলসি। এখন তাই বেশিরভাগ জিনিসকেই অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। তা-ই ভাল, যা আমার ভাল লাগে, কিংবা আমি ভালোবাসি এমন কারো ভাল লাগে বলে আমি করি।

(একজন পণ্ডিত মানুষের সাথে গল্প করছি ইনবক্সে।)

পাঁচ। যে ফুল দলিয়াছি নিঠুর পায়ে,

সাধ যায় ধরি তারে বক্ষে জড়ায়ে………আহা, নজরুল! এ যে আমার কথা!! কতদিন ধরে ভাবছি………শুধু বলতে পারিনি কখনো তোমার মতো করে!

ছয়। যখন আমি নোবডি ছিলাম, তখন আমার ব্যবহার ভাল ছিল, তাই কেউকেউ আমার প্রতি আকৃষ্ট হতো।

যখন আমি সামবডি হলাম, তখন আমার ব্যবহার খারাপ হল, তবু অনেকেই আমার প্রতি আকৃষ্ট হয়।

বুঝে দেখুন, লোকে ব্যক্তির প্রতি যতটা আকৃষ্ট হয়, তার চাইতে অনেক বেশি আকৃষ্ট হয় ব্যক্তির অর্জনের প্রতি। Winning is attracting!

সাত। নাককাটা নাক গলায়।

আট। সবাই দেখছেন। চুপচাপ। কেন? কারণ উনাদের কারুর‌ই বিপদগ্রস্ত মানুষগুলির পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই কিংবা অতটা দৃঢ় ইচ্ছে নেই। উনাদের থাকা না-থাকায় কিছু এসে যায় না।

They are just observing or maybe praying. They can’t do more.

যাঁরা বিপদগ্রস্ত মানুষগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের আমরা কেউ দেখছি না। যাঁরা সাহায্য করেন, তাঁদের দেখা যায় না। তাঁরা অদৃশ্য মানব। প্রয়োজনের সময় ঠিকই পাশে এসে হাজির হয়ে যান। তাঁরা এমন কিছু মানুষ, যাঁদের দেখে বিপদগ্রস্ত মানুষগুলির কেউ কখনো ভাবেননি যে এমন একটা সংকটে তাঁরাই পাশে থাকবেন।

Holier are the hands that help than the lips that pray.

The persons who can help us are the persons whom we can’t know earlier.

আমাদের অনেকের অনেক ফলোয়ার আছেন ফেসবুকে। ফলোয়ারদের আমরা দেখি। ভাবি, কত ধনী আমি! আহা, কী এক স্বর্গে বাস করছি! যখন আমরা বিপদে পড়ি, তখন‌ও উনারা ফলোয়ার হয়েই থাকেন। কী হচ্ছে, উৎসাহ নিয়ে দেখেন, দামিদামি বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য করেন, সেই ফলোই করেন আমাদের। তাঁদের মধ্যে খুব দয়ালু কেউকেউ থাকলে উনারা বড়োজোর প্রার্থনা করেন। এইটুকুই। আমাদের দীর্ঘ মানবপ্রাচীর আমাদের কল্যাণে একটা ইট‌ও খরচ করে না।

ওই বিপদে যাঁরা সত্যিই পাশে এসে দাঁড়ান, আমাদের সাহায্য করেন বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে, তাঁরা এমন কিছু মানুষ, যাঁদের দেখে আমাদের কখনো মনে হয়নি যে উনারা এমন হৃদয়ের অধিকারী, যাঁদের জন্য আমরা কখনো এক সেকেন্ডও খরচ করিনি, যাঁদের কেউ দেখে না, চেনে না, যাঁরা আমাদের ফলোয়ার লিস্টে ছিলেন না………..এখনো নেই, ভবিষ্যতেও থাকবেন না।

Those who help when we need help, don’t follow us. They accompany. Followers are not helpers. They can’t help, they don’t help, instead, they often add more troubles and make the situation worse.

আমরা বেশিরভাগ মানুষই ভুল মানুষের জন্য সময় নষ্ট করে জীবন কাটাই।

নয়। দূরে আকাশ সামিয়ানা……..লতার গান। সেই ছোটবেলা থেকে শুনছি

আমার ছেলেও ছোটবেলা থেকে শুনবে

তার ছেলেও ছোটবেলা থেকে শুনবে

……………………………………………………………

………………………………এভাবে চলতে থাকবে।

যদি চলে, তবে পরের প্রজন্মগুলি নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবান। ভাল গান শুনে বেড়ে ওঠা অনেক বড়ো সৌভাগ্য।