ভালোবাসা সম্পর্কে যে দুই-একটা কথা আমি জানি

  
 তোমাকে ফোন করিনি।
 আমি ব্যস্ত ছিলাম, তা নয়।
  
 তোমার ফোনটা ধরিনি।
 ফোন দূরে ছিল, তা নয়।
  
 তোমাকে টেক্সট পাঠাইনি।
 মনে ছিল না, তা নয়।
  
 তোমার ছবিতে লাভ চাপিনি।
 খেয়াল করিনি, তা নয়।
  
 তোমার মেসেজ সিন করিনি।
 চোখে পড়েনি, তা নয়।
  
 তোমাকে একবারও নক দিইনি।
 ভুলে গিয়েছি, তা নয়।
  
 আমি জানি, আমি কেমন আছি, তা জানতে তোমার ইচ্ছে করে।
 আমি জানি, তুমি চাও, আমিও মাঝেমধ্যে তোমার খোঁজ নিই।
 আমি জানি, এইসব নিয়মের মধ্যে পড়ে। ভালোবাসলে এমন কিছু অলিখিত চুক্তি থাকেই।
  
 আমি এ-ও জানি, এইসব মানতে আমার ইচ্ছে করে না।
 কেন করে না, আমি জানি না, জানতে ইচ্ছে করেও না।
  
 আমার কখনও কখনও মন খারাপ থাকে,
 সেটা আমি কাউকে জানতে দিতে চাই না।
 হতে পারে, মনখারাপের কারণটা আমি জানিই না,
 কিংবা জানি ঠিকই, তবে জানাতে চাই না।
 চাই না কেন, তার কারণ একটাই---ইচ্ছে করে না।
  
 কান্না পেলেও আমি তোমাকে ফোন করি না।
 প্রায়ই, আমি নিজে নিজেই কাঁদি, এবং
 তোমার সাথে বেশ হাসিমুখেই কথা বলি।
 তুমি ধরে নিয়েছ, পৃথিবীতে তুমি একাই জন্মেছ কষ্ট পেতে।
 আমি তর্কে না গিয়ে তোমার সব ধারণাই মেনে নিই,
 এবং ফোনটা রাখার পর কাঁদি। তুমি তা জানতে পারো না।
  
 ফোনকরা, টেক্সটপাঠানো এবং এমন যা-কিছু আছে,
 তার নাম আমার কাছে ভালোবাসা নয়।
 যদি তা-ই হতো, তবে ভালোবাসা ব্যাপারটা
 বাজারে সেরদরে বিক্রয়যোগ্য হয়ে যেত বহুআগেই।
  
 আমি চাই, তুমি আমাকে মাঝেমধ্যে মনে রাখো, ফোনে নয়।
 আমি চাই, ঠিক একই স্বাধীনতা তুমি আমাকে দাও নির্দ্বিধায়।
 চুপ করে থাকার ও থাকতে দেওয়ার নাম প্রেমহীনতা নয়।
  
 এইসব তুমি আগেই জানতে।
 আমি হঠাৎ করেই এমন হয়ে যাইনি।
 তুমি সব জেনেই আমাকে ভালোবেসেছ।
 এইসব তুমি এখন আর জানো না।
 তুমি আমাকে হঠাৎ করেই বদলে ফেলতে চাইছ।
 ভালোবেসে ফেলবার পর সব ভুল মেরে বসে আছ!
  
 আমাকে আমার মতো করে গ্রহণ করো।
 নতুবা আমাকে আমার মতো থাকতে দাও।
 আমি ভালো কি খারাপ, তা আমি জানি না।
 আমি জানি, আমি এমনই, এবং সেটা বরাবরই।
  
 কেউ কাউকে ভালোবাসলে মাইক-কোম্পানির ব্যবসা বাড়তেই হবে,
 এই নিয়মের পক্ষে আমি নই। কোথাও যদি সত্যিই ভালোবাসা থাকে,
 সেখানে আমি শুধুই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে।
 ভালোবাসলে ভালোবাসার নয়, বরং স্বস্তির আদানপ্রদানই বেশি জরুরি।