ভালোবেসেছিলাম…নয়, ভালোবাসি!

আজ ছাব্বিশ জুন দুইহাজার উনিশ। বারোটা বেজে ঠিক চল্লিশ। এমন একটা সময়ে এক ইঁচড়েপাকা শখের লেখকের অকালপক্বতায় একটি সত্যকাহিনি বর্ণিত হলে তা নিছকই শখের সৃষ্টি হিসেবে গণ্য হবে কি না, সেটা আসলেই ভাববার বিষয়।


আমি আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে, একেবারেই যৎসামান্য অভিজ্ঞতায় যা বুঝেছি, তা মোটামুটি এরকম:
‘ভালোবেসেছিলাম’ বলে আসলে কিছু হয় না।
আবার ‘ভালোবাসি’ বলেও কিছু হয় না।
অর্থাৎ, ভালেবাসার কোনও অতীতকাল হয় না।
আবার কখনও কখনও, বর্তমানকালটাও হয় না।
আর এমন একটা অতীত-বর্তমান অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যৎচিন্তা বাহুল্যদোষ নয় তো আর কী!


এসব কথা কেন বললাম?
আজ কিছুক্ষণ আগে একজন মানুষের কাছ থেকে এমন একটা উপহার আমি পেয়েছি, যে উপহার হয়তো এর আগে এমন অকপটে বীরদর্পে কেবল আমাকেই উদ্দেশ্য করে কেউ কখনও দেয়নি।
আজকের পরেও, কেউ আর দেবে না।
হয়তো এর পরে, এই মানুষটিও আর দেবে না।
এ-ই সেই মানুষটি, যাকে এখন প্রকাশ্যে ‘ভালোবাসি’টা অনেক বছর আমার আর বলা হয় না, ‘পাশে আছি’ বলা হয় না।
সরাসরি ভালোবাসা প্রকাশ করাটা অনেক আগেই বন্ধ হয়েছিল, মুখোমুখি দুজন দুজনকে ভালো করে দেখাও হয়তো আর হয় না।
বরং বলা হয়---ভালোবেসেছিলাম!


এই ‘ভালোবেসেছিলাম’টা যেন ‘ভালোবাসি’র থেকেও অনেক গভীর!
বর্তমানের এতটা নিবিড় প্রকাশ আর উচ্ছ্বাস যে কেবলই গভীররাতের হতাশা, যা শুধুই অতীতে বিরাজমান!
এই ভালোবাসার অতীতকালের যে টান, যে গভীরতা আমায় যেমন করে, যতটা খেয়াল করে, যত্ন করে বুঝতে পেরেছে…বর্তমানটা যেন হাজারো প্রকাশ্যের ভিড়ে আমায় খুঁজতেই ভুলে গিয়েছে!


এমনিভাবে এমনি করে আমায় বুঝে আমায় ঠিক এরকম ধরনেই কেউ বলবে, তা কখনও ভাবিনি।
মনে হয়, বলি…
ভালোবেসেছিলাম নয়…ভালোবাসি!
প্রকাশ করা হয়নি যদিও, তবু মুছে ফেলতে পারিনি।
পাশে আছি বলিনি কখনও, তবে দূরে সরে যেতেও আজও পারিনি।


ভালোবেসেছিলাম…নয়, ভালোবাসি!