ভালো থেকো, নষ্ট

 অনেক দুপুর পেরিয়ে,
দারুণ শ্রান্তির পদতলে দাঁড়িয়ে,
ঝরাফুলের মাতাল গন্ধে মোহিত মন--
আমারই তন্দ্রায় যদি তোমায় খোঁজে
জুঁই, শেফালি কিংবা বেলির বন!
 
বিষণ্ণ বিকেলের রৌদ্রছটার মত,
বুকেতে শুকানো রক্তমাংসের ক্ষত--
ম্লান হয়ে আসে, অভিমান তো বোঝে না সে,
বোঝে না কী জ্বালায় মরমে মরছি ক্ষয়েক্ষয়ে কার বিষে যে!
তাই বুঝি আজ দূর থেকে গাই,
দূর থেকে চাই--
ভালো থেকো, বন্ধু আমার, ভালো থেকো।
 
কাজলের কালি জীবনে আমার,
জীবনে তোমার মুক্তোআলো!
প্রেম--সে কই? এ তো জানি, তোমারই অমৃতে আমার অধর,
আমার বাসনায় তোমার আগুন--এও বুঝি প্রেম?
জেনেছি, তবু প্রেম সে তো--
দৃষ্টি থেকে ঠোঁটে,
কী সহজেই হিমের কম্বলে নামায় ফাগুন--
মনখারাপের রাতে...একলা যখন
তোমায় পড়ে মনে!
মনখারাপের গান কী, জানো?
সে গান থাকে চোখের কোণে...নিয়ো খুঁজে!
 
বেশ তো ছিল সে দিনগুলি,
কাঁচামিঠে নরোম হাসি,
একটু চাওয়া, একটু পাওয়া,
একটু ভালো-বাসাবাসি।
ভালোবাসা মন্দবাসা--
সব বাসাতেই তুমি,
তোমায় বেসে, তোমায় ভেসে,
আজও বাঁচি আমি।
 
শরতবাবু, শুনছ কি গো--
সেই দেবদাস নাকি,
কীসের নেশায় দুইটি বাহু মেলে,
বীরযোনিতে আগুন জ্বেলে,
প্রেমকে করেছে গনগনে ছাই!
শুনছ তুমি, শুনছ?
কোন সে ব্যথা তোমার বুকে বুনছ?
 
পার্বতীর ওই দুচোখে,
আজও নিত্যনতুন বাসনা লেখে
মাংসক্ষুধায় জনতা ফোঁসে,
এ যুগের কলমে তাই--
মিশিয়ে দিয়েছি আমি
বুকে আর ঠোঁটে যৌনতা মধুর--বড় মিঠে তা!
 
শুনছ তুমি শরতবাবু,
পার্বতী তোমার ক্লীব নয়গো,
সেও খোঁজে সুখ,
সেও ফেরায় মুখ!
খোলা বারান্দা, খোলা বাসভূমি,
তবু কেন হায় নচ্ছার ওই দেয়াল বাড়ে রক্ত চুষি, মাংস চুমি?
ওরা শুধু বলে, দেবদাস তোমার নষ্ট ছেলে! তাই না, বলো!
ওরা জানে না, আমি তো জানি, দেবদাস কেন নষ্ট হল!