মনদেয়ালে কখনও রৌদ্র

 
এই ছেলেটা! অফিসে তুমি?
এই ভরদুপুরে এত কাজ যে কর,
মাঝে মাঝে মনে হয় না…ধুত্তোরি ছাই!
তোমায় এখন সামনে পেলে,
জমিয়ে ভীষণ…লুডু খেলতাম!


শুনছ, ছেলে?
এই যে আমি তোমায় ভালোবাসি,
একেই বল পরকীয়া, না?
বোকা ছেলেটা! সত্যিই এটা পরকীয়া নয়!
আমি বিয়ে করেছি,
তুমিও একটা করেছ বিয়ে…
তো…হয়েছেটা কী?
ভালোবাসা কি এক-য়েই বাঁধা? প্রেম এলে…যায় আটকে রাখা?
এক ভেঙে দুই হয় না? দুইকে ভেঙে তিন?
ভালো তোমায় বাসি যেমন, তেমন
বাসবই তো…বিয়ে হয়েছে…তো কী হয়েছে?


তোমার দেহ ছোঁয়া বারণ…মানছি, বাবা!
সাথে কি হৃদয়টাও ছুঁতে বারণ? ভাবছ নাকি
ভালোবাসাকে ফেলবে বেঁধে এক-য়ের পিঠেই?
এতই সোজা? কাউকে দেখে…
মন ছুটলে কী করবে?
হৃদয় টানলে কী করবে?
চোখ হাসলে কী করবে?
ঠোঁট নাচলে কী করবে?
…সবকটাকে বাঁধবে ধরে? খুন করবে?


পৃথিবীতে এসেছি যখন,
ভালোবেসেই থাকব বেঁচে!
এই দুচোখে সৃষ্টি যা দেখি,
ভালো লাগলে ভালোই তো বাসি!
হবে যদি তা, ভালোবাসার সেই অধিকার
তোমার বেলায় কোথায় যাবে?


ভালোবাসি তো, ভালোবাসি খুউব!
কী করবে তুমি? মারবে আমায়? বকে দেবে খুব?
এতই সোজা? ধরে একদম কামড়ে দেবো!
চেনো আমায়? ও আচ্ছা…
কামড়ালে বুঝি দাঁত ভাঙবে?
তখন তোমায় দেখে…
একদৌড়ে পালিয়ে যাব,
একপলকেই চোখ ফেরাব,
আঁচলে আমার মুখ লুকাব,
দূরে গিয়ে তোমার দিকেই তাকিয়ে থাকব…


জানি, তখন খুব কান্না পাবে,
বুকের ভেতর ফাঁকা লাগবে,
বেঁচে থাকতেই খুব কষ্ট হবে!
তখনও তবু ভালোবাসব!
আমি তো মরেই আছি…
আমায় আরও করবেই-বা কী!


জানো, বেঁচেথাকার এটাই মজা! ভীষণ মজা!
তুমি রেগে যাচ্ছ, চিৎকার করছ, আমায় গালি দিচ্ছ…
দেখছি সবই! সব দেখেও ভালোবাসছি!
মজা না, বলো?
ভালো কি তবু বাসবেই না?
যাও, বেসো না তো! না বাসলে নেই!
লাগবে না গো!


তোমার ভালোবাসাটা…তোমার পকেটেই রেখো!
দেখছ তো বাবা, এই বুকে যে পকেটই নেই…
তাই বুকপকেটের ভালোবাসার শখটাও নেই!