মন শুধু উচ্ছন্নে যায়

 
সুনিধি, যেদিন আমি অথর্ব হয়ে যাব,
সেদিন আমি সোজা এসে উঠব তোমার বাসায়।
তোমাকে একটুও বিরক্ত করব না, তোমার কোনও কাজে বাধা দেবো না।
শুধু তোমাকে দেখব আর অনুভব করব। খুব কাছ থেকে।
এটা আমার একটা ইচ্ছে।


আমার মনটা সারাক্ষণই তোমার কাছে পড়ে আছে।
তোমার পছন্দের গান শুনি, তোমার পছন্দের লেখা পড়ি।
তোমাকে ভাবতে ভাবতে আমার যে সময়টা কাটে,
তার পুরোটা জুড়ে আমি ভীষণ ভালো থাকি, সুনিধি।


অফিস থেকে ফেরার পর, ফ্রেশ হয়ে…তোমার পেইন্টিংগুলি দেখতে থাকি।
একজন সুনিধির চেহারা, ছবিআঁকার সময় তার চোখ, তার হাসি কিংবা স্থিরচাহনি,
…এসব মাথায় আনতে আনতে আমার চোখে জল এসে যায়।
মনে হতে থাকে, আমি অনেক কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে…
কেবলই তোমার কাছে ছুটছি।
আমি জানি, এসব ঠিক হচ্ছে না। তবু নিজেকে সরাতে পারছি না। আমার খুব কষ্ট হয়।


আমি এতটা কেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছি…নিজের উপর থেকে?
আগে, যখন কখনও একা থাকতাম, নিজের সাথে, তখন,
আমার কী কী কাজ বাকি, কত দ্রুত তা শেষ করতে হবে,
এসব নিয়েই ভাবতাম। আর এখন? শুধু তোমাকেই ভাবতে থাকি!
তোমাকে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ি,
ঘুম ভেঙেও, তোমাকেই ভাবি, শুধুই তোমাকে ভাবি…


আমি কিন্তু সবই বুঝতে পারছি, এবং খুব স্পষ্ট করেই পারছি!
তবু সে বোঝায় কোনও কাজ হচ্ছে না। আমি অবাক হচ্ছি,
এতটা বেশি আমি তোমাকে ধারণ করছি কেন, সেটা ভেবে।
আমার যে অনেক কাজ করার থাকে, অনেক কিছু মাথায় আনতে হয়, রাখতে হয়…সুনিধি!


তোমাকে কেন এত কিছু লিখছি? তুমি সত্যিই বুঝতে পারছ না?
তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে,…এই কথাটা আর কখনও লিখব না, তাই।
তোমাকে না দেখলে আমার মন কেন খারাপ হবে?
আশ্চর্য একটা মানুষ আমি! আমি যার মাথায়ই নেই,
তার কথা ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ করে ফেলছি!


সুনিধি, তুমি কেন বাসা থেকে বের হচ্ছ না? কেন, বলো…!
বলছিই তো…মিস করছি! কেন বুঝতে পারছ না?
অবশ্য, আমার ইচ্ছে হলেই তোমারও যে হবে,
এমন তো কোনও কথা নেই। তবু,
কতদিন পর বললাম, এসো!…তুমি এলে না।
এমন না-তে আমার যন্ত্রণা বাড়ে…।


আজ থেকে আর কোনও অভিযোগ করব না। রাগও করব না।
তোমাকে মিস করলেও বলব না। তোমাকে দেখতেও আর চাইব না।
একদমই ভুল হবে না আমার, তুমি দেখো!


এই মানুষ! আমি কিন্তু এখন চিৎকার করব…!!