মৃত্যুর পর

 
এক-পা দু-পা করে সরীসৃপের মতো মৃত্যু আসে।
চোখের পরের পলকটা ফেলবার আগেই,
সে কাছে এসে ঘাড়ে ধরে টেনে হিঁচড়ে
একদিন নিয়েই যাবে সেই রহস্যজগতে।


সেই নতুন জগত আঁধার কি আলোর, মন্দ কি ভালোর,
ওসব জানার বহু আগেই জেনে যাব ঠিক,
এখানেই পথের শেষ, এখানেই শেষের শুরু।


হয়তো কাল সকাল সকাল উঠব বলে অ্যালার্ম দেবো,
পছন্দের জামাটি পরবো বলে ভাঙব না ভাঁজ,
কিংবা ওকে বলে রাখব, ‘কাল দেখা হচ্ছে, কেমন?’


সূর্যটা উঠবে ঠিকই, পাখিরাও উঠবে গেয়ে,
ফুল ফুটবে নিয়ম ধরেই, এ ঘুমই শুধু ভাঙবে না আর।


এপার ওপার…সত্য কিবা, না কি মিথ্যে সবই, বাস্তবতায়,
ওসব কিছু বোঝার আগেই বুঝে যাব ঠায়,
এই পৃথিবীর যা-কিছু শুধুই ব্যস্ত রাখে, তার শূন্য সবই।


আমার টেবিল দখলে যাবে আর-এক জনের,
আমার প্লেটে ভাত মাখবে অন্য মানুষ,
আমার ঘরের মালিকও তখন বদলে যাবে।


আমার প্রিয় বিছানা, চাদর, চায়ের কাপ আর হাতঘড়িটা,
ধুলোর তাকের কয়েক হাজার না-পড়া বই,
এমনকি, প্রিয় মানুষটিও হয়ে যাবে অন্য কারও।


সেদিন আমার নামের আগে ‘মৃত’ শব্দ থাকবে লেখা,
মরণগর্ভে বিলীন হবে জীবন নামের মোমবাতিটি।