যুদ্ধ করেও পাশে থেকো

 
কখনও যদি আমাকে দেখো---ব্যস্ততা খুউব,
সেদিনও খুব টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আসবে নিজের কাছে।
কাজের অজুহাত দেখাই যদি, শুনো না তো!
আগে তুমি, তার পরই কাজ।


এক এক করে রাগ দেখাবে, ক্ষোভ ঝাড়বে, বকা দেবে,
অভিমানে ফুঁসতে ফুঁসতে একগাদা ভয় পাইয়ে দেবে!
থেমে যেয়ো না, তোমায় আদর করলে তবেই থেমো!


ভালো একবার বেসে ফেললে ফিরে যাবার আর পথ কি আছে?
যদি ফিরে যেতে হয়, তবে ভালোবাসা যে মিথ্যে সবই!
না না না, ফেরা যাবে না!


ঝগড়াঝাঁটি করা যাবে, ঘুসি মেরে দেওয়াই যাবে,
চাইলে দেওয়াও যাবে মাথা ফাটিয়ে, নো প্রবলেম!
তবে কোনওভাবেই ফেরা যাবে না।
সত্যি যদি ফিরে যেতে হয়, তা কিছুতেই ভালোবাসা নয়!


ভালোবাসার ট্র্যাফিকটা বরাবরই ওয়ান-ওয়ে’র।
সেখানে কেবল একদিকেই যাওয়া যাবে,
উল্টোপথে…সরি স্যার, নো এন্ট্রি!
যাচ্ছ যেখানে, সেখানেই যাও, এটাই নিয়ম!


যেখান থেকে আসছ তুমি,
সেখানে কেন চাইছ যেতে?
রাগ করছ? কামড়ে দেবে? চুল ছিঁড়বে? ফেলেই দেবে ধাক্কা মেরে?
ওকে স্যার! উইথ প্লেজার!


তুমি সেদিন কী বললে!
পাগল একটা! আমাকে তুমি চিনলে এমন?
আমি নাকি খুব ব্যস্ত হলে
আমাকে আর কখনও জ্বালাবেই না!
সময়টাকেও চাইবে না আর!


এসব আবার কেমন কথা! বোকা ছেলে!
এত কথা যে বলে ফেললে,
ওসবের মানে বোঝ?
বোঝই যদি, তবে বললে কেন?


আরে, জ্বালাবে না তো কী করবে!
ইচ্ছে হলে ঘুসিও মেরো!
বকাঝকা…সে তো মামুলি ব্যাপার!
দরকার হলে জিমে গিয়ে মাসল বাড়াও!
এর পর আমায় তুলে আছাড় মেরো!
তবু দোহাই তোমার, ছেড়ে যেয়ো না!