রাত্রি এল যখন

 
আজ তুমি অভিমান করে চলে গেলে।
আমি চেয়ারে ঠায় বসে আছি।
কাউকেই কিছু বলছি না।
অথর্ব নিষ্পলক দৃষ্টি কোথায় যেন
আটকে যাচ্ছে বারবারই!
মাথার ভেতর এখন শুধুই
তোমার প্রস্থানের ধ্বনি বাজছে!


শুধুই ঠোঁটের কোণে নয়,
চোখের কোণেও আজ একটু কুয়াশা ঘনাল।
ঘাসের ডগায় শিশির হয়ে নয়,
কদমগায়ে বৃষ্টিমেখে নয়,
ঝরা-বকুলে মালাগেঁথে নয়,
আকাশনীলে গোধূলিছুঁয়ে নয়,
দিনান্তে পলাশবনের রাখালিবাঁশিতে নয়…
কালোসমুদ্রে আজ ঝড় বইল,
ছোট্ট ময়ূরপঙ্খিটা আজ ব্যথার পালে কোথায় চলল,
রাঙা পলাশবনে আজ রক্তরাঙা বৃষ্টি হলো,
দূরের পাখির কণ্ঠে আটকেথাকা সুর…
ওদের সবার সাথেই নীলপাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হলো।


তুমি কি পাওনি শুনতে
এই সুরের আর্তনাদ?
আমার ভালোবাসাকে পেছনে ফেলে রেখে,
এমনি আমায় একলা করেই চলে গেলে আজ?
এ কেমন ভালোবাসা গো?


তুমি নিয়তি ঠেলে রেখে, নিয়মের কাছেই হেরে গেলে তবে!
স্বপ্নগুলি মাড়িয়ে দিয়ে কান্নার কাছেই নিজেকে বিসর্জন দিলে!


আমার কাছে সমস্ত ঐশ্বর্যের ঊর্ধ্বে তুমিই ছিলে!
তবু এ কেমন ভাগ্য আমার!
আজ তোমার কাছে নিয়তির অতলে হারিয়েই গেলাম আমি!


তবে কি ছিলে তুমি মরীচিকাই?
তপ্তদুপুরে জ্বলন্ত এক প্রহেলিকাই?
কাননে কি বনে, গৃহাগত আজ একদুপুরসমান রাত্রি!