রোমা, চিত্তা আপের্তা (১৯৪৫)

(স্পয়লার আছে।)

ইতালির নিও-রিয়্যালিস্ট ঘরানার প্রথম ছবি লুকিনো ভিসকন্তির ‘ওসেসিওনে (১৯৪৩)’। ছবিটি যখন বানানো হয়, রোম তখনও জার্মান দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয়নি। এর দুই বছর পর রবার্তো রসেলিনি বানালেন ‘রোমা, চিত্তা আপের্তা’ বা ‘রোম, উন্মুক্ত শহর’। এর মাত্র দুইমাস আগে রোম গেস্টাপো বাহিনির হাত থেকে মুক্ত হয়, চারিদিকে তখনও ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন স্পষ্ট। নাৎসি বাহিনি যখন রোম শহর দখল করে নিচ্ছিল, তখন শহরের আশেপাশের কিছু মানুষের জীবনের গল্প ‘রোমা, চিত্তা আপের্তা (১৯৪৫)’। সত্যজিৎ রায় নিও-রিয়্যালিস্ট ধারার সবচাইতে সার্থক যে কয়েকটি সিনেমার নাম তাঁর ‘বিষয়: চলচ্চিত্র’ বইতে লিখেছেন, সেগুলির একটি ‘রোম, ওপেন সিটি’। এ সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পাদ্রী পিয়ের্তোর একটা ডায়লগ মাথায় গেঁথে আছে: ভালভাবে মরাটা কঠিন নয়, ভালভাবে বাঁচাটাই কঠিন।

১৯৪৪ সাল। ইঞ্জিনিয়ার ম্যানফ্রেদিকে জার্মান গেস্টাপো খুঁজছে। জার্মান নাৎসি ও ইতালীয় ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, এমন একটা রেজিস্ট্যান্স বাহিনির নেতা সে। বাড়িওয়ালী তাকে ঠিক সময়ে সাবধান করে দেয়, ফলে সে এক ছাদ থেকে আরেক ছাদে পালিয়ে কোনওমতে বেঁচে যায়। এরপর সে গিয়ে ওঠে তার দলের আরেক সদস্য ফ্রান্সেস্কোর বাসায়। সেখানে গিয়ে দেখা হয় পিনার সাথে। পিনা ফ্রান্সেস্কোর বাগদত্তা। পিনা প্রথমে তাকে পুলিশ বলে সন্দেহ করে, পরবর্তীতে তার ভুল ভাঙে, এবং তাকে ফ্রান্সেস্কোর জন্য অপেক্ষা করতে বলে। পিনা নিজেও সে বিদ্রোহী দলের সদস্য। পিনার সহায়তায় ম্যানফ্রেদি ক্যাথলিক যাজক ডন পিয়ের্তো পেলেগ্রিনির সাথে পরিচিত হয়। ম্যানফ্রেদি পিয়ের্তোকে কিছু বার্তা এবং অর্থ অন্য একটা শহরে রেজিস্ট্যান্স বাহিনির সদস্যদের কাছে পৌঁছে দিতে বলে। এই কাজটা ম্যানফ্রেদির পক্ষে করা সম্ভব নয়, কেননা গেস্টাপো বাহিনি তাকে চেনে। ওদিকে পরেরদিন পিনা এবং ফ্রান্সেস্কোর বিয়ে, পিয়ের্তো সে বিয়েতে পৌরোহিত্য করবে। ফ্রান্সেস্কো খুব একটা ধার্মিক নয়, তবে সে চায় ফ্যাসিস্ট কেউ তাদের বিয়ের পৌরোহিত্য করার চাইতে বরং কাজটা একজন দেশপ্রেমিক যাজক করুক। পিনা বেশ ধার্মিক, কিন্তু সে কিছুতেই মিলাতে পারে না কেন ঈশ্বর মানুষকে এতো কষ্টের মধ্যে রেখেছেন। পিনার ছেলে মার্সেলো তার কিছু বন্ধুসহ রেজিস্ট্যান্স বাহিনিকে বোমা পোঁতার কাজে সাহায্য করে। পিনার বোন লরা তার সাথে থাকে। সে রেজিস্ট্যান্স বাহিনির সাথে যুক্ত নয়। সে একটা সরাইখানায় কাজ করে যেখানে নাৎসি আর ফ্যাসিস্ট বাহিনির আড্ডা। ম্যানফ্রেদির প্রাক্তন প্রেমিকা ম্যারিনা লরার পুরনো বান্ধবী। সে ওই সরাইখানার খদ্দেরদের দেহোপজীবিনী হিসেবে কাজ করে। আসুন, ম্যারিনার সাথে ম্যানফ্রেদির একটা কথোপকথন শুনে নিই।

: হ্যাঁ, আমার অনেক প্রেমিক ছিল। অবশ্যই ছিল। আমার আর কীইবা করার ছিল? এই যে এতসব ফার্নিচার, আমার পোশাক, সবকিছু আমি কিনলাম কীকরে? কী মনে হয় তোমার? আমার বেতন দিয়ে? আরে, ওটা তো আমার মোজা আর সিগারেট কিনতেই চলে যায়! আর দশটা মেয়ে এইসব জিনিস যেমন করে কেনে, আমিও তেমন করেই কিনেছি। এর নামই জীবন!

: জীবন হল তেমনই আমরা একে যেমন করে চাই।

: কথার বাহাদুরি ছাড়ো! জীবন নোংরা ও বর্বর জিনিস!

আরেকটা শুনি।

: আমি জানি, দারিদ্র্য কী! আমি দারিদ্র্যকে ভয় পাই। আমি চাইলেই দুম করে একটা গরীব ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেলতে পারতাম। এরপর কী হতো? আমি, সে আর আমাদের সন্তানরা না খেয়ে ধুঁকেধুঁকে মরতাম।

: বেচারি ম্যারিনা! তোমার মনে হয় সুখ মানেই সাজানো অ্যাপার্টমেন্ট, সুন্দর পোশাক, চাকরানি আর ধনী প্রেমিকের দল, তাই না?

: তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসতে, তবে তুমি আমাকে বদলে ফেলতে। কিন্তু তুমিও অন্যদের মতোই। না, ভুল হল। তুমি আরও বাজে। আর যা-ই হোক, ওরা অন্তত তোমার মতো এরকম বড়বড় কথা বলে না।

: তোমার কথাই ঠিক। আমাকে ক্ষমা করো।

ইতালির পুলিশ কমিশনারের দেয়া তথ্যে স্থানীয় গেস্টাপো কমান্ডার সন্দেহ করে যে ম্যানফ্রেদি ফ্রান্সেস্কোর অ্যাপার্টমেন্টে লুকিয়ে আছে। সে ভবনে গেস্টাপো বাহিনি ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালায়। ওরা সেখান থেকে সবাইকে বের করে আনে, অনেক লোককে গ্রেপ্তার করে। ম্যানফ্রেদি পালাতে সক্ষম হলেও ফ্রান্সেস্কো ধরা পড়ে যায়। ঠিক ওইসময়ের একটা দৃশ্য আমার চোখে এ সিনেমার সেরা শট। ফ্রান্সেস্কোকে অন্যদের সাথে টেনেহিঁচড়ে ট্রাকে ওঠানো হচ্ছে। তা দেখে তার বাগদত্তা পিনা পুলিশের সাথে বিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা ভেঙে চিৎকার করতেকরতে ট্রাকের দিকে দৌড়ে যাচ্ছে। পেছন থেকে পিনাকে গুলি করা হল। মৃত্যুর আগ মুহূর্তেও পিনা তার ভালোবাসার মানুষটার সাথে মিলিত হবার আশায় চিৎকার করে ডেকেই যাচ্ছিল: ফ্রান্সেস্কো! ফ্রান্সেস্কো! তার নিথর দেহটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রইলো। তার ছেলে দৌড়ে এসে মায়ের মৃতদেহের উপর আছড়ে পড়ে, পুলিশ এসে ছেলেটিকে সেখান থেকে টানতেটানতে সরিয়ে নিয়ে যায়। যার বিয়ের পৌরোহিত্য করার কথা ছিল, তারই লাশটা হাতে নিয়ে ফাদার পিয়ের্তো বসে থাকে। পিয়ের্তোকে পিনার বিয়ের মন্ত্র পড়ার বদলে পিনার আত্মার শান্তিকামনা করতে হল। সেনাপাহারায় ওই ট্রাকটি যাচ্ছিল, কিন্তু পথে কিছু রেজিস্ট্যান্স যোদ্ধা ওদের আক্রমণ করে, এবং অন্য অনেক বন্দীর সাথে ফ্রান্সেস্কোও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পালিয়ে সে রোমে ফিরে আসে, ম্যানফ্রেদির সাথে দেখা করে। যাজক ওদের একটা মঠে লুকিয়ে থাকার পরামর্শ দেয়। আচ্ছা, এই যে পিনা সব বাধাকে অতিক্রম করে এতটা ঝুঁকি নিয়ে ফ্রান্সেস্কোর কাছে ছুটে যেতে চাইল, কেন সে এমন করলো? কী কারণে ফ্রান্সেস্কোর প্রতি তার হৃদয়ে এতটা প্রেমের জন্ম হয়েছিল? তার নিজের কথাতেই শোনা যাক:

“আমি খুব বাজে একটা জীবন কাটিয়েছি। আমি এমন অনেক কিছুই করেছি, যেগুলি করাটা আমার উচিত হয়নি। তুমি ভাবছ, আমার এই অবস্থায় আমি যে বিয়ে করছি, এটা নিয়ে আমি একটুও লজ্জিত নই? তুমি কখনো আমার অবস্থাটা বুঝতে পারবে না। অনেক কাজ আছে, যেগুলি আমরা চিন্তাভাবনা না করেই করে ফেলি। করার সময় আমাদের মনেই হয় না যে আমরা ভুল কিছু করছি। আমি তার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম, সে অনেক চমৎকার একজন মানুষ। আমি জানি, সে চাইলেই আমার চাইতে অনেক ভাল কাউকে পেত, আমার চাইতে কম বয়সের কাউকেও পেত। আমার মতো একটা গরীব নিঃস্ব বিধবা, যার একটা ছেলেও আছে, যাকে কোনওমতে চলার তাগিদে তার নিজের সবকিছুই বিক্রি করে দিতে হয়েছে, এমন একজন মহিলাকে সে কেন বিয়ে করতে রাজি হল?”

ওদিকে ম্যারিনা একটা পশমের কালোকোট আর কিছু মাদকের লোভে তার প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে বেইমানি করে। ম্যারিনার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গেস্টাপো বাহিনি আর ইতালির পুলিশ ম্যানফ্রেদি আর পিয়ের্তোকে মঠে যাওয়ার পথে ধরে ফেলে। সাথে ছিল পক্ষপরিবর্তনকারী এক অস্ট্রিয়ান যুবক। ফ্রান্সেস্কো মৃত পিনার ছেলেকে বিদায় জানায়, ওদের দেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। সে দৃশ্যে দেখা যায়, মার্সেলো ফ্রান্সেস্কোকে পেছন থেকে ডেকে তার মৃত মায়ের মাফলারটি তাকে দেয় যাতে তার ঠাণ্ডা না লাগে। আরেক দৃশ্যে সে ফ্রান্সেস্কোকে জিজ্ঞেস করে, “আমি কি তোমাকে বাবা ডাকতে পারি?” আমরা দেখলাম, মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এমন চরম দুর্যোগেও মরে যায় না। মার্সেলো এ সিনেমার এক অসহায় দুঃখী চরিত্র। সে অনেক চেষ্টা করেও গেস্টাপোদের হাত থেকে মাকে বাঁচাতে পারেনি, চোখের সামনেই তাকে মায়ের হত্যাদৃশ্য সহ্য করতে হয়েছে, পরবর্তীতে পিয়ের্তোর নির্মম নিয়তিও নীরবে দেখতে হয়েছে। নাৎসি কয়েদিখানায় অস্ট্রিয়ান যুবকটি নির্যাতনের ভয়ে আত্মহত্যা করে। ম্যানফ্রেদির উপর ভয়ংকর রকমের নির্যাতন চালানো হয়, তবু সে মুখ খুলেনি। পিয়ের্তোকে ম্যানফ্রেদির করুণ অবস্থা দেখিয়ে বলা হয়, সে নাস্তিক, অতএব সে তার শত্রু; কিন্তু তার জবাবে পিয়ের্তো বলে, যে সঠিক পথে চলে, সে ঈশ্বরে বিশ্বাস করুক না করুক, সে প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরের পথেই চলে। ম্যানফ্রেদি সেখানেই মারা যায়, পিয়ের্তো তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করে। পিয়ের্তোর কাছ থেকেও যখন গেস্টাপো বাহিনি কোনো তথ্য বের করতে পারল না, তখন গেস্টাপো কমান্ডার ক্ষিপ্ত হয় এটা ভেবে যে প্রভুর নির্যাতন দাস সহ্য করতে পারবে না, এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এখানে এমন হচ্ছে কেন?

মদ্যপ অবস্থায় ম্যারিনা ম্যানফ্রেদির পরিণতি দেখে মূর্ছা যায়। সে ভেবেছিল, ম্যানফ্রেদিকে ওরা ধরে এনে ভাল ব্যবহার করে কৌশলে কথা বের করবে, কিন্তু এমন নির্যাতন করে মেরে ফেলবে, এটা তার মাথায় ছিল না। গেস্টাপো চিফ ম্যারিনাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়, এবং পশমের কোটটাও তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হয়। এতকিছু দেখার পরও পিয়ের্তো তার আগের অবস্থানে অনড় হয়ে রইলো। পরদিন সকালে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে একটা খোলা ময়দানে নিয়ে যাওয়া হল। সে ময়দানের চারিদিকে তারের বেড়াদেয়া। পিয়ের্তোকে একটা চেয়ারে উল্টো করে বসিয়ে বাঁধা হল। কিছু ছেলে বেড়ার অপরদিক হতে এ দৃশ্য দেখে ফেলল, এবং শিস দিল। ওরা গির্জায় পিয়ের্তোর টুকটাক কাজ করে দিত, ফলে সে শিস পিয়ের্তোর পরিচিত। ওরা সবাই দেখছে, ওদের প্রিয় ফাদারকে একটু পর হত্যা করা হবে। ইতালিয়ান ফায়ারিং স্কোয়াডকে গুলি করার নির্দেশ দেয়া হল। ওরা ইচ্ছে করেই ভুল নিশানায় গুলি ছুঁড়ল। তখন গেস্টাপো বাহিনির জার্মান অফিসার বুঝতে পারল যে ইতালিয়ানরা ওদেরই একজন ধর্মযাজককে হত্যা করতে পারবে না। সে নিজেই পিয়ের্তোর মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডটি সম্পন্ন করে। মৃত্যুর আগ পর্যন্তও পিয়ের্তো ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে গেছে: প্রভু, ওদের ক্ষমা কোরো………গির্জার ওই ছোট ছেলেগুলি এবং রেজিস্ট্যান্স যোদ্ধারা সেই মৃত্যু প্রত্যক্ষ করলো, এরপর গভীর বেদনায় মাথানিচু করে সেখান থেকে ধীরেধীরে চলে গেলো। এ যেন মৃত্যুকে পেছনে ফেলে জীবনের দিকে দলবেঁধে এগিয়ে যাওয়া।

১৯৪৬। যুদ্ধ-পরবর্তী ইতালি। যুদ্ধের ঠিক পরপর দেশের ও মানুষের প্রকৃত অবস্থাটা কীরকম, এটা লেন্সে ‘যেমন আছে, তেমন করে’ নিয়ে আসার যে বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন, সেটির নাম নিও-রিয়্যালিস্ট আন্দোলন। এখন দেখা যাক, ‘ওপেন সিটি’ মানে কী। খুব সহজ। যে শহর মুক্ত, যে শহরে যুদ্ধের ভয় নেই। ১৯০৭ সালের হেগ কনভেনশন অনুযায়ী, এরকম উন্মুক্ত শহরে আক্রমণ চালানো যাবে না, বোমা ফেলা যাবে না, যুদ্ধ বাধানো যাবে না। ১৯৪৪ সালের রোম এরকমই এক শহর ছিল, তবে দখলদার নাৎসি বাহিনি নবগঠিত ইতালিয়ান ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগিতায় রোমকে আর শান্ত থাকতে দিল না। রসেলিনির ভাষায়, “এ সিনেমাটি ভয়ের সিনেমা।” কার ভয়? “সবার ভয়, বিশেষ করে আমার নিজের ভয়।” সিনেমার শুটিং হয়েছিল যুদ্ধের ঠিক পরপর, ফলে রসেলিনিকে কষ্ট করে সেট বানাতে হয়নি, শুটিং সেট, যুদ্ধের ভয়ার্ত মানুষ, ভাঙাচোরা ভবন, সব যেন তিনি তৈরিই পেয়ে গিয়েছিলেন আর সিনেমার গল্পের আস্ত শহরটিতেই ক্যামেরা বসিয়ে মুভি বানিয়ে ফেললেন! শহরের শেষ স্টুডিয়োটাও নাৎসিরা ধ্বংস করে দিয়েছে, নাৎসিদের হাত থেকে রোম সবেমাত্র মুক্ত হয়েছে, এমন-কী সিনেমার শুটিং যখন হচ্ছে, তখনও ওরা রাস্তায়। এমন একটা পরিস্থিতিতে রসেলিনি বানালেন ‘রোম, ওপেন সিটি’। ভাবা যায়! এর নামই তো নিও-রিয়্যালিস্ট সিনেমা। বাস্তব জীবন নয়, বরং বাস্তবে জীবন যেমন হয়, তেমন করেই জীবনকে লেন্সে তুলে আনা। তবু রসেলিনি গল্প সাজিয়েছেন নিজের মতো করে……প্রেম, বিশ্বাস, দৃঢ়তা, লোভ, বিশ্বাসঘাতকতা, নির্দয়তা, দ্রোহ, বিচ্ছেদ……এইসব মানবীয় প্রবৃত্তি নিয়েই তাঁর গল্প আবর্তিত।