শরীরের জানালায় বসে

এক।

ইদানিং এই চোখের কোণে অন্যটানের খেলা,

আমার ভেতর হঠাৎ দেখি উষ্ণ ধোঁয়ার মেলা!

ভাল লেগে গেছে ছোঁয়াছুঁয়ি আর অনেকখানি নষ্টামিও,

তাপ জাগে তবু অনুতাপ নেই, খেদ খেদিয়ে কাঁপে অঙ্গও।

এ হৃদয়ে তোমার শরীর, মন কিবা—প্রেম সবই, শুদ্ধ রূপেই,

মন ছুঁলে দোষ হয় না, শরীর ছুঁলেই দোষ আসে যতো! পাপ নেই,

যদি মন থাকে সত্য বোধে।

কামনা সরে আসুক প্রেম, সরাক মুখোশ মুখের হেম,

প্রেম তো এখন নিরুদ্দেশ, সেইফ সেক্সই চলছে বেশ,

নষ্ট যা হয়……শরীর-যন্ত্র, হয় না নষ্ট মন কি মন্ত্র,

প্রেমের দহনে জলের কষ্ট, যুগলের সাধে ব্রহ্ম নষ্ট,

ঊর্ধ্বে যে প্রেম, নিম্নে ছোটে, আগুনে-বরফ প্রমত্ত ফোটে।

যে প্রেমিকা বোঝে না তফাৎ, কে ওকে ছোঁয়—প্রেমিক কি প্রতারক,

সে প্রেমিকা কম, কামার্তা বেশি, তার মানুষের নয়, অমানুষের শখ।

দুই।

শুকনো কি ভিজে,

কী চাই, বলো?

গাল থেকে ঠোঁট, চিবুক, গ্রীবা,

তোমার পুরো মুখের দখল আমায় দিয়ো!

নিমীলিত দুই চোখের নেশায় আমায় বেঁধো,

বক্ষোদেশের স্ফীতা পীযূষে আমায় ডেকো!

তোমার শরীর জাগে কীসে? স্পর্শে কেবল? নাকি এই অধরের তীব্র টানে প্রেমের ঘায়ে কালিমাও দেবো?

তোমার নিবিড় কুন্তলে, দেহের গহীন পল্লবে, আঙুলের যাদুয় জাগবে দেখো, অচিন নগর!

ওই নধর অধরে মেটাবো তিয়াষ,

যতো প্রেম আছে, বিলাবো অবাধে

সুডোল তোমার ওই নাভিমূলে—

স্পর্শনে। দংশনে। চুম্বনে।

এতো নয় কামনা কেবল,

জেনে রেখো, এতে বাসনা আছে,

সাথে আছে প্রেমও।

দমের শপথ শাসায় যখন ছোঁয়ার প্রবোধ,

মিলন হলেও পাপ ছোঁয় না, ছল রয় না।

চেয়েছি তোমায় শত জন্মে—

এই দরাজ বুকের কেশশয্যায়,

এই শরীরের মধ্যদেশের শিখরভাগে,

ওষ্ঠে, বাহুয়, আলিঙ্গনের পূর্ণতাতে,

মনের, দেহের তীব্রতম মাতাল নেশায়!

আমি শান্ত হতে অশান্ত হবো,

আমি সুস্থ হতে পাগল হবো,

আমি শর থামাতে শর ছোটাবো,

আমি ঠিকানা পেতে ঘর হারাবো!

প্রিয়, আমায় পেতে হারাতে দিয়ো,

অমর হতে মৃত্যু নিয়ো,

এযুগ থেকে ওযুগে জীয়ো!