শাশ্বত অনস্তিত্ব

 চারটা শূন্য দেয়াল দিনের পুরো সময়টাই ছিনতাই করে নেয়,
চেয়ারে জমতে থাকে ধুলোর বদলে বিষণ্ণ নির্জনতা; অবশ্য সহ্য হয়ে যায় সবকিছুই!
হৃদয়ে কালো গহ্বর, সেখানে আশা মৃত হতে থাকে অনুপায় হয়ে প্রতিনিয়তই,
পাথরের কিছু অদৃশ্য বৃত্ত শাশ্বত অনস্তিত্বের জানান দিতে থাকে ক্রমাগত,
মুখের মধ্যে ভাতের বদলে ছাই ঢোকে।


কেউ কিছু বলে না। সবার মধ্যে কী এক উদ্বেগ এবং ভয়।
প্রতিটি বাক্য মেপেমেপে বেরিয়ে আসে ঠোঁটের মধ্য থেকে।
বন্ধ মুখ, ভেতরে কান্না। সময় বলে, সময় থাকতে পালাও!
মন বলে, এখন নয়, সময় আসুক! নীরবতার রাজ্য ক্রমেই বিস্তৃত হয়।


আমাদের কি থাকতে হবে, নাকি পালিয়েই যেতে হবে শেষ পর্যন্ত,
এমনই এক অবাঞ্ছিত জীবনভাবনা নিয়ে বেঁচে আছি, যে জীবনে একেকটা
দিন আসে আর ভাবি, সামনের দিনগুলিও কি ধূসরই হবে?
পৃথিবীর ছায়াকে প্রতিদিনই একটু একটু করে সরতে দেখি সেই
অগভীর পথে, যেখানে আমাদের বোধ পুড়ে যায় আবর্জনার উত্তাপে।