সহজেই যখন হই আহত

 
তোমাকে আমি ভালোবাসি কি না,
তা ঠিক বুঝিয়ে বলতে পারব না।
তবে তোমাকে অনুভব করতে পারি,
এটা আমি খুব স্পষ্ট করেই বুঝি।


ইদানীং তোমাকে মনে রাখছি নিয়ম করে।
আবার কখনও যেন বলে বোসো না,
তোমাকে মনে রাখছি না কিংবা ভুলে যাচ্ছি।
কখনও তোমাকে খুব কাছ থেকে দেখতে ইচ্ছে হলে,
পাশে বসে কথা বলতে মন চাইলে…কী করব?


তোমাকে কোনও কিছু লেখার পর
যখন অপেক্ষা করতে হয় অনেকক্ষণ, তখন
আমার তোমাকে বকতে ইচ্ছে করে।


তুমি আমাকে অহেতুকই কষ্ট কেন দাও? কেন জ্বালাও?
আমার কী অপরাধ? তোমাকে পছন্দ করি, এই তো?


তোমাকে কিছু লিখে পাঠালে উত্তরে যা লিখো,
তোমার ওইসব উল্টাপাল্টা জবাবই যথেষ্ট
আমার মানসিক স্থিরতা নষ্ট করার জন্য।‌


তুমি একবারও ভাবো, তুমি কল রিসিভ না করলে
কতটা় অস্থিরতা কাজ করে আমার মধ্যে?
আমি সারাক্ষণই তোমাকে ভেবে ভেবে নিজের উপর বিরক্ত!
আর তুমি? আমি কখন কল করেছি, ওটাও মনে রাখো না!


তুমি আসলে কী চাইছ?
তোমার সাথে আমার কখনও দেখা না হোক?
আমি কখনও তোমাকে কল না করি? কিংবা তোমাকে না লিখি?
প্লিজ, সরাসরি বলো! নিজের কাজের প্রতি আমার
মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে‌। বার বার‌। আর কষ্ট লাগছে অনেক!


স্বাভাবিক কথার জবাবে এত উল্টাপাল্টা কথা কীভাবে লিখো তুমি!
আমি কিন্তু বেয়াদব একটা মেয়ে! যতটা ভাবছ, তার চেয়ে বেশি।
শুধু শুধু আমার সাথে এমন ফাজলামি আর কোরো না।


তুমি আমাকে কী লিখে পাঠাও? কেন পাঠাও? আদৌ কি দরকার আছে এসবের?
তোমার প্রতি আমার একটা অনুভূতি কাজ করে,
তার জন্য যদি এত কিছু শোনাও, তবে আমায় মাফ করে দাও।


তুমি খুব কঠিন করে কথা বল!
কী দুর্ভাগ্য আমার! তোমার সাথে দেখাই হলো না, অথচ ঝগড়া হয়ে গেল!


যেকোনও ‌সম্পর্কে গভীরতা কম হলে
ভাসমান কিছু ভুল বোঝাবুঝি চলেই আসে।
যেহেতু আমি তোমাকে জানি না এবং তুমিও আমাকে জানো না,
তাই তেমন কিছু হওয়াটাই স্বাভাবিক।


আমি তোমাকে মন থেকে রেসপেক্ট করি।
তোমাকে ঘিরে আমার কোনও স্বপ্ন নেই, প্রত্যাশা নেই,
বিন্দুমাত্রও চাওয়া-পাওয়া নেই।
গন্তব্যহীন সম্পর্কে শুধুই মায়া থাকে।


আমাকে তুমি এত সহজে বুঝবে না।
আমার জীবনটা অন্য দশটা মেয়ের জীবনের মতো নয়।
আমার অনেক যুদ্ধ আছে, অসংখ্য সীমাবদ্ধতা আছে।
আমার এমন কিছু নেই, যা নিয়ে আমার অহংবোধ থাকবে।
আমি খুবই সাধারণ কেউ, সারাক্ষণই পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে টিকেথাকা কেউ একজন।


আমি কাউকে ভালোবাসি বলে ফেললে
আমাকে আঘাত করা যায় যেমন খুশি।
...নিজেকে সুস্থ রেখো।