সামলাও তো যা বাধালে!

দুঃখ কারও ভাগ করলে তার কিছুটা…যায় নেওয়া কি?
মনখারাপের কথা আছে যা, বলে কখনও?
কই, যায় না দেখা কিছুই তো তার,
যায় কি ছোঁয়াও ওসব কিছু? না যায় যদি,
তা হলে তো মিছেই বলা…মনখারাপের বাহানাই সব!
করলে ওসব ভালোই লাগে…হয়তো লাগে…
করলে যা-কিছু ভালোই লাগে, হয় কি করা তেমন কিছু তার পরেও?
জোর করেই হাসি ছড়িয়ে, ঘাড় দুলিয়ে ভারি আয়েশে বলে দেওয়া যায়,
এই আছি বেশ! চলছে ভালোই!...বললেই নাহয়,
তবু চোখ যখনই নিজের দিকে…তখন…বলো, লুকোবে কোথায়? কেমন করে?


আজকাল আর আঁধারে চোখ ডোবেই না কি?
আলোতে ওসবের কী বোঝা যায়?
আলো যে কেবলই ঝলসায় চোখ!
আঁধারই পারে সব দেখাতে!
দুঃখ কি সুখ, সবই আছে আঁধারমাঝে!
গভীর ঘুমে ডুব মারলেও টের পেয়ে যাই সবই দেখি!
হচ্ছেটা কী ভেতরটাতে, হচ্ছেটা কী বাইরেটাতে!
সত্যি কি আর…ঘুমের ভেতর স্বপ্ন সে যে!
এই ইদানীং হচ্ছে কী যে…গভীর ঘুমেও থাকছি জেগে!
মনখারাপের কথা যত, অত কখনও লিখতেই নেই!
ওসব যে সময় হলেই ঠিক হয়ে যায়!
মন কাঁদলে মনকে শুধু বাঁচিয়ে রেখো,
সময় এলে সময় যাবে…সময় নিয়ো, সময় পাবে!


ভালোবাসা, তুমি এক অচিন ডাকাইত!
পরানপাখি দিবা কইয়া,
মন কান্দাইয়া বিন্ধাইয়া যাও!
আঁট বান্ধিয়া মন ভাঙাইয়া,
কও তো তুমি সুখ যে কী পাও?


হয়েছে কী যে…অত অল্পে আর চলছে না তো!
খুব তো মাথায় তুলেছ ভীষণ!
তো নিজেই বোঝো, জ্বালাটা কেমন!
ঢের তো আমি বুঝছি এখন, ওসব
সিকি-আধুলির ভালোবাসা যা, আজকে তার দিন ফুরোল!
এবার আমি চাই যে মোহর!
ভেতরটা খুব করছে লড়াই!
কতই-বা আর থামাই বুঝাই, এমনি করে ভুলাইভালাই…রাখতে ওকে?
ওকে তো আমি তুলিনি মাথায়,
তুলেছ তুমি…তো সামলাও এবার!


বলেছিলে না ওই যে তখন…জীবন নাকি হাওয়াই-মিঠাই!
মুখে পুরলে অমনিই নাকি যায় মিলিয়ে!
আজকাল তোমার ভালোবাসাও আমার কাছে
ওরকমই হাওয়াই-মিঠাই ঠেকছে কেন, বলো তো শুনি?
তুমি এখন আগের চেয়ে প্রেম দিচ্ছ ঢের তো বেশি!
তবু ওতেও আমার পোষায় না তো…
এসব শুনে আমায় আবার হুমকিধমকি দিয়ো না যেন!
আমি ওসবের জানি না কিছুই!
মাথায় যে তুলেছ তুমিই…সামলাও দেখি!


হুহ্‌, লোকে এর নাম দিয়েছে জীবন নাকি!
তো হলো এবার জীবনচেনা?
আমার পুরো রাজ্যজুড়ে কেবলই তোমার আনাগোনা!
তুমি চুপটি করে বসে থাক আর দাও আমার এ মন পাহারা, তাই না, বলো?
ভুলেটুলে, ভুল করেও অন্য কোথাও যায় কি না সে…এই তো দেখ, ঠিক না, বলো!
খুব হয়েছ সেয়ানা তুমি,
শিখেছ তো খুব ফন্দিফিকির!
দেখি তো এবার মনটা ঘুরে তদন্তটা সেরেই ফেলো!
বাধে এখানে গন্ডগোল যে কী, তার একটু আমিও বুঝি!


বলছি…এসব হচ্ছে কী ছাই!
উঠতে তুমি, বসতে তুমি,
চলতে গেলেও তুমিই মশাই!
হোক না মনের যাচ্ছে-সে-তাই।
ভেঙেচুরে হপ্তাজুড়ে হোক যতটাই…
আমি কিন্তু একটা শুধুই ‘তুমি’ যে চাই!
দেখো তো মনের তদন্ততে রিপোর্ট কী পাই!
বুকের মাঝে খেলছে যে ঢেউ,
উথালপাথাল চাঁদের হানা,
তুমি ছাড়া আর চলছেই তো না!
বলি, দোষটা যে কার?
সবটা তোমার, মাথায় তো তুলেছ এমন!
তো সামলাও দেখি পাগলামি আর ভালোবাসার নিম্ন যে চাপ!