স্বপ্নের জঘন্যতা

হ্যাঁ, স্বপ্ন বড্ড জঘন্যই হয়!
এই স্বপ্নের জঘন্যতা আছে বলেই তো কত আমি আর কত তুমি আজও বেঁচে আছে...
এই স্বপ্নের জঘন্যতা যদি না থাকত, তবে কত তোমাতে কত আমার এমন অবাধ আনাগোনা কবেই হারিয়ে যেত, তার হিসেব পরিসংখ্যানের খাতা খুঁজে বের করাটাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়াত...
এই স্বপ্নের জঘন্যতা যদি না থাকত, তবে ঝরো ঝরো মুখর বাদরদিনে কত তুমিতে কত আমি মিশে পরিপূর্ণ হতে না পারার হাহাকার রয়ে যেত, তা-ও অগনিত...
এই স্বপ্নের জঘন্যতা যদি না থাকত, তবে কত কুয়াশামাখা ভোর কত তোমাতে কত আমার আলিঙ্গনহীনতায় হারিয়ে যেত, তা কোনও গণকের পক্ষেও জানা সম্ভব হতো না...
এই স্বপ্নের জঘন্যতা যদি না থাকত, তবে হাই-ডেসিবেলের শব্দকে কত তোমার কত আমার প্রতি ভালোবাসার প্রতিধ্বনি হিসেবে ধরে ধরে ভুল হতে থাকত, তা কোনও লিপিকার ভাবতেও পারত না...
এই স্বপ্নের জঘন্যতা যদি না থাকত, তবে কত তুমি কত আমি মানুষ হয়েও আবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে ভুলের খেলায় মত্ত হয়ে ভালোবাসতেই ভুলে যেতাম, তা বোধহয় কারও পক্ষে কল্পনায় আনাটাও সম্ভব হতো না...
এই স্বপ্নের জঘন্যতা যদি না থাকত, তবে আজ এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও কে প্রথম কাছে এসেছে, এমন প্রশ্নে কত তুমি কত আমি বিভোর হতাম না, তা কেউ জানত না...
এই স্বপ্নের জঘন্যতা যদি না থাকত, তবে আধুনিকা না হয়ে কত আমি কত তোমার চিঠির জন্য অপেক্ষা করত না, তার হিসেব চাওয়াটাও অনর্থক...
এই স্বপ্নের জঘন্যতা যদি না থাকত, তবে কত তোমাতে কত আমার অব্যক্ত অনুভূতির পাহাড়চূড়া ভেঙে চুরমার হয়ে যেত, তা কেউ বুঝতেও পারত না...
এই স্বপ্নের জঘন্যতা যদি না থাকত, তবে কত তোমার ওই অপাপবিদ্ধ মুখটি...শুধু ওই মুখটিই যে অনায়াসেই কোনও মাধ্যম ছাড়াই শত আমার অভিমানিনী মনটাকে অভিমানশূন্যতায় পূর্ণ করতে অক্ষম হতো, তা-ও বোধহয় সবার অগোচরেই রয়ে যেত...
এই স্বপ্নের জঘন্যতা যদি না থাকত, তবে রুদ্ধকক্ষের দরজায় কড়া নেড়ে যেত কত তোমাতে কত আমার অনধিকার প্রবেশ, তা সত্যিই কত তোমারও অজানাই রয়ে যেত...