হবে না দেখা ফের, তাই

 যখন শুরু
---------------------------
জানো, মুহূর্তেরও রং হয়!
এ যেমন ধরো, আজকের সেই মুহূর্তের রং ছিল…
মানে, আজকের জন্য রাতের…
রাত বলতে…এই দুটোর দিকে হবে…নাকি আড়াইটা…
ঠিক সেই মুহূর্তটির রং ছিল সবুজ।


আমার খুব ইচ্ছে করছিল, তোমাকে ডেকে তা দেখাই।
কিন্তু দেখাব কীভাবে? তুমিই-বা কই?
হয়তো-বা তুমি ছিলেও,
দেখেওছ আমারি সাথে!


এরই মধ্যে…তুইও তো আছিস!
তুই তো এসে অনেক অবাক হয়ে বলেছিলি,
এই তুমিটা আবার কে! কখন এল?


এই তুমি বলে তো কেউ নেই!
তুমি বলে কেউ থাকতেও যে নেই!
তুমি বলে কেউ ছিলই তো না!
তুমি বলে কেউ থাকেও না যে!
তবে কি এ কল্পনা সবই?


জানো, একসময় ভাবতাম, মানুষ, আর যা-ই হোক, অন্তত কল্পনায় স্বাধীন!
না, বড্ড ভুল ভাবতাম! সে-ভাবনা মিথ্যে খুবই!
কী বিশ্রী, তাই না, বলো?


এখন আর একটা বিশ্রী ইচ্ছেও আছে…
একটা খয়েরি সিগ্রেটের ধোঁয়ায় গাল ভর্তি করে,
মানে, সেই সিগ্রেটের ধোঁয়া মুখে টেনে নিয়ে
আবার তোমার মুখে ছেড়ে দিতে…
মুখের মধ্যে বলতে তোমার ওই নিজস্ব কোক-স্টাইলে না,
মানে, ওই কোকখাওয়া-টাইপ ধরনে নয়--
কোকটা মুখের ভেতরে নিয়ে টুক্‌ করে তোমার মুখে ঢুকিয়ে দিলাম…অমন নয়।
‘মুখে ছেড়ে দিতে’ বলতে…তোমার পুরোটা মুখে, চোখে, গালে, নাকে!


ইচ্ছেরা কেমন অদ্ভুত হয়…তাই না!


শুরুর পর
---------------------------
তোমার কোনও লেখায় কখনও লাইক দিইনি, কমেন্ট করিনি।
প্রায় সব লেখাই নিজের ওয়ালে শেয়ার করে রেখে দিয়েছিলাম…‘অনলি মি’ দিয়ে।
একদিন, যখন বাংলা পড়তে পারব, মানে
বাংলা পড়তে পারার মতো একটা মুঠোফোন আমারও হবে…
তখন পড়ব বলে আর লেখাগুলো নিজের কাছে থাকবে বলে…
এক সেকেন্ড!…এইটুকু পড়েই হেসে ফেললে?


একটা ব্যাপার খুব বিরক্ত লাগত। তোমার ওয়ালে
অন্যদের পোস্ট-করা লেখা, ছবি, কী সব সস্তা জিনিসের জন্য…
তোমার মূল লেখাগুলো খুঁজে পেতে খুব কষ্ট হতো।
তখন ভাবতাম, যার প্রোফাইল, সে নিজেই এসব গ্রহণ করছে যেহেতু,
কাজেই আমার যতই বিরক্ত লাগুক, কিছুই করার নেই।


কোনও দিন নক করা হয়নি, করিনি।
আজ মনে হলে খুব হাসি পায়, শব্দ করে হেসেও ফেলি!
ভাবি, যে কিনা পেরিয়েছে সাগর,
তাকেই কিনা আমি একবিন্দু জলের জন্য আপত্তি জানিয়েছি!


শুরুর আরও একটু পর
-------------------------------
মনে আছে, সেই কবে…একটা ছবিতে তোমার লাইক দেখে…
অমন একটা ছবিতে কেন তুমি লাইক দেবে, তা ভেবে
সেই যে প্রথম নক করেছিলাম…তারিখটা ১০ অক্টোবর!
তখন কি আর জানতাম…সেই কবেই তুমি বদলে গেছ!


আমার আপত্তিতে, খুব হেসেছিলে সে-দিন…হেসেছিলে তো, না?
হেসেছ খুব শব্দ করেই? কাউকে কাউকে জানিয়েও তো ছিলে বোধহয়!
ছেলেরা ওরকম হাসে, জানায়…
আজ আর একটা জ্যান্ত ১০ অক্টোবর! ৩ বছর হয়ে গেল…হয়ে যায়।
এই যে ৩, এটা একটা সংখ্যা কেবলই।
এই ৩-এর পাশে সময় বয়ে শূন্য বসে ৩০ হলেও,
সম্পর্কের হিসেব সেই একই থাকত!
সময় সাক্ষ্য দেবে, আমি চাই…দিক!
সত্যিই কি চাই?


সাগরের যে জল ভালোবাসার নয়,
সে তার বৈশিষ্ট্য হারিয়ে বিস্তীর্ণ মরুতে পরিণত হলেও…
কার কী-ইবা এসে যায়!


জীবন কী অদ্ভুত, তাই না?
ওই একটা লাইক না-দেওয়া হলে--
এই উটকো আমি’টার অস্তিত্ব
হয়তো কখনও প্রকাশই হতো না তোমার কাছে!
এই অনাকাঙ্ক্ষিত আমার যন্ত্রণাময় অনুভূতিতে বিরক্ত হয়ে,
অপমানের সুরে বলতে হতো না…
তোমার জন্য আমার মধ্যে কোনও আবেগ কাজ করে না। প্লিজ, বোঝার চেষ্টা করো!
চরম তাচ্ছিল্যে হতো না বলাও…
মানুষের কি মাথা খারাপ? আমি পাগল নাকি…তোমার সাথে দেখা করতে আসব কেন?


ছবিটা যার ছিল, তার প্রতি ভালোবাসা জানাই।
তার জন্যই যে তোমায় আমি চিনতে পেরেছি…
ভেতরের যে তুমি’টা আছ, না হলে তাকে পেতাম কী করে?


এখনই শেষ নয়
---------------------------
বোকা মেয়েটার কথা আজ খুব মনে পড়ছে…
সেই সাথে ওই দিনটার কথাও।
ছেলেটা বলেছিল, কী ব্যাপার? আমি কি দেখতে সুন্দর না নাকি? আমার দিকে তাকানো যায় না? আমি সামনে বসে থাকার পরও তুমি জানালার দিকে তাকিয়ে আছ…কারণটা কী, বলো তো?
মেয়েটা লজ্জায় হেসেছিল। অস্ফুট এক স্বর বেরিয়ে ছিল, না না, তেমন কিছু না!


পছন্দের মানুষগুলো যখন সামনাসামনি থাকে,
তখন কিছু বলার ভাষাটুকুও কোথায় যেন হারিয়ে যায়…
এই সহজ কথাটাই মেয়েটা সে-দিন বোঝাতে পারেনি।


অনেক কথা, অনেক স্মৃতি…সব কিছুই রাখা আছে খুব যত্নে!
ওই দিনের কফির স্বাদটাই হয়ে উঠেছিল অনন্য…অমৃতের মতো!
ওই দিনের শেষকথাটাই শুধু মেয়েটার কানে বারেবারে বাজে…
মেয়েটা বলল সেই ছেলেকে, এটাই কিন্ত আমাদের প্রথম ও শেষ দেখা!
শুনে ছেলেটা আশ্বস্ত করেছিল, না না, আবার দেখা হবে!


অথচ কত দিন চলে গেল, আজও দেখা হয়নি!
ছেলেটা কথাও দিয়েছিল মেয়েকে…আবার দেখা হবে।
ছেলেটা কথা রাখেনি, মেয়েটাই জিতে গেল!


কিছু ভালবাসা থেকে যায় নিভৃতে, যা কেউ বোঝে না।
শেষ হয়েও শেষ হয় না, এমন ধরনের কিছু ভালোবাসা থাকেই!
যত যা-কিছুই হোক,
সত্যিকারের ভালোবাসায় ঘৃণা, ক্ষতি, হিংসা, অবহেলা, ক্ষুদ্রতা…
এই সব শব্দের কোনও জায়গা কখনওই হয় না, হবেও না।


মেয়েটা আজও বড্ড বেশিই ভালোবাসে ছেলেটাকে…
ছেলেটা তা বুঝবেও না কোনও দিনই!