হেমন্ত এলে খুঁজো

 
নিঃশব্দ রাতের বুকে টুপটাপ শিশির ঝরে,
হেমন্তের শিশিরে জমে থাকে নক্ষত্রের ক্রন্দন,
তখন, দুই চোখেই জাগে সমস্ত স্পন্দন,
হিমেল হাওয়ায় দিগন্তের পাখিরা কোথায় যে যায় উড়ে!


মাথার উপরে রৌদ্রের তেজ ক্রমশই গাঢ় হবে,
হেমন্তের শিশির মিশে যাবে ঘাসের শয্যায়,
ঝরা-শিউলির পাপড়িগুলি লুকাবে লজ্জায়,
বুকের ফুলদানিতে শুধুই গন্ধটুকু ছেয়ে রবে!


একদিন শেষ হবে এই হৈমন্তী লগ্নের গান,
কর্মক্লান্ত দিনশেষে যেমন এক এক করে
অগ্রবর্তীরা সবাই চলে গেছে দূরে, বহু দূরে…
সে পথের অনন্ত রহস্য অন্ধকারেই---সেখানে আমিও ধাবমান!


আমিও ঝরে যাব নিঃশব্দে রাতের শিউলির মতন,
আমায় খুঁজবে কি তখন এই হেমন্তের ফুলগুলির ভিড়ে!