৩৪তম বিসিএসে প্রথম-প্রথমা বিতর্ক

একটুআগে ওয়ালিদ ভাই ফোন দিলেন জাপান থেকে। উনি ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন। উনার কিছু কথা শেয়ার করছি।

# আমার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার পেছনে ৫০% কন্ট্রিবিউশন আপনার আর মাসফি ভাইয়ের। এটা আমার ওপেনলি কনফেস করা উচিত।

# পেপারে দেখলাম, সব কোচিং সেন্টারই আমাকে ওদের স্টুডেন্ট বানায়ে দিসে। আজাইরা সব লোকজন!

# আমার ইনবক্সে গত ৩ দিনে যা হইসে, সত্যিই আমি তা কখনও ভাবতেও পারি না। লোকজন আসলে সহজে কোনওকিছু গ্রহণ করতে পারে না। আপনি এই সেক্টরে অন্তত প্রিপারেশন নেয়ার টেকনিকের ক্ষেত্রে পুরাই লিভিং লিজেন্ড। জানি, ওরা আপনাকেও ছাড়ে না, কিন্তু আবার আপনার টেকনিকগুলিকেও ফলো করে। কিছু ভেস্টেড গ্রুপ আছে যারা এই ধরনের কথাবার্তা বলে নিজেরা পপুলার হতে চায়। চিপ!!!

# আমি প্রায়ই ভাবি, আপনি কীভাবে এতকিছুর পরও এভাবে করে মানুষকে ইন্সপায়ার করে যাচ্ছেন! আপনি আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করসেন, ভাই। ……….. ৬৪৪! এই সংখ্যাটাই আমাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসছে। আমি প্রায়ই আপনার রিটেনের মার্কসটা মাথায় রাখতাম আর একেবারেই খুব সাইলেন্টলি আপনার সব পোস্ট খুব মন দিয়ে পড়তাম। নিজেকে শুধু বলতাম, ৬৪৪কে বিট করতে হবে, যে করেই হোক!

# ভাই, আমি কিন্তু ৩৩তম প্রিলিতে ফেলকরা ক্যান্ডিডেট। পরবর্তীতে ৩৪তম বিসিএস প্রিলির আগে ১ সপ্তাহ খুব ভাল করে পড়সি। রিটেনের আগে ২-৩ সপ্তাহ সবকিছু ছেড়ে পড়াশোনা করে আজকে চাকরিটা পাইসি।

# আমি সাধারণত বইটই খুব একটা পড়ি না, ধৈর্য কম। কোনকালেই কারওর লেখা তেমন একটা মন দিয়ে পড়সি বলে মনে পড়ে না। কিন্তু জীবনে ২ জন ব্যক্তির লেখা কোন ক্লান্তি ছাড়াই পড়সি। গ্রাজুয়েশনে থাকার সময় যার লেখা পড়ে মুগ্ধ হইসিলাম, উনি আনিসুল হক, মাসফি ভাইয়ের খুব অপছন্দের মানুষ। হাহাহাহা………. পোস্টগ্রাজুয়েশনে যার লেখা সবসময়ই পড়তাম, উনি হলেন আপনি। আপনার লেখার সাবলীলতা আমাকে মুগ্ধ করে রাখে। সবসময়ই চেষ্টা করতাম, আপনাকে রেপ্লিকেট করতে। যখনই কিছু লিখতাম, ভাবতাম, আপনার মতন হচ্ছে কি না। আপনার স্টাইলটা ফলো করার চেষ্টা করসি। একটা সত্যি কথা বলি ভাই। কেউ বিশ্বাসও করতে পারবে না। ৩৪তম বিসিএস রিটেনের সময় বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স আর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স পরীক্ষার আগের রাতে আমি বসে বসে যা পড়সি, তা হল আপনার আর মাসফি ভাইয়ের লেখা। একেবারে খুব মন দিয়ে পড়সি আর ভাবসি, কালকে পরীক্ষায় এভাবে করেই লিখব। আমি এসব কথা কোনওদিনও আপনাকে বলি নাই। বললে ভাবতেন, তেল মারতেসি। আজকে তো আর বলতে কোন বাধা নাই। তাই আপনাকে থ্যাংকস দিয়ে নিজেকে হাল্কা করতেসি ভাই। দেশে থাকলে আপনার সাথে দেখা করতাম অ্যান্ড ইউ উড সি টিয়ার্স ইন মাই আইজ।

# এই যে আপনি ইয়াং জেনারেশনকে হেল্প করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন, এটা সবাই মনে রাখবে। আপনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ক্যারিয়ার আড্ডায় যে কথা বলেন, এর জন্য আপনি কী পান? কিছুই না। পেপারে যে পোলাপানের জন্য এত এত লিখেন, অনেক কষ্ট হয় ভাই। আমার নিজেকেও ডিবেট করার সূত্রে লেখালেখি করতে হইসে, কথা বলতে হইসে, তাই আমি বুঝি। এই যেমন সেদিন প্রথম আলো’তে যে লিখসেন, ৩৫ পয়েন্টে ৩৫তম, এরকম ছোট্ট একটা লেখা কত মানুষকে যে চাকরি পাওয়ায়ে দিবে, আপনি তা ভাবতেও পারবেন না। আমি আজকে কনফেস করতেসি ভাই, আপনি ছিলেন আমার আইডল। আমার চেষ্টাই ছিল আপনি যা করসেন, আমাকেও সেটা করতে হবে। যত কষ্টই হোক। অংক, বিজ্ঞান এসব জিনিস পারা যায়। কিন্তু যেগুলিতে অনেককিছু লিখতে হয় সেগুলিতে আমি সিমপ্লি যা করসি, তা হল, আপনার লেখার স্টাইলটা ফলো করে লেখার ট্রাই করসি। কথাগুলি কাউকে কখনও বলি নাই। আজকে আপনাকে বলতে পেরে খুব ভাল লাগতেসে।

ওপরের কথাগুলি বলার এক পর্যায়ে ওয়ালিদ ভাই বললেন, “ভাই, পরশুদিন আমার টনসিলের অপারেশন। দোয়া কইরেন।” আমি বললাম, “ভাই, আপনি টনসিলের ব্যথা নিয়ে এত কথা বলতেসেন কেন?” “ভাই, আপনি ব্যস্ত থাকেন, তাই ফোন দিই না। আজকে সুযোগ পাইসি। আমাকে বলতে দেন।”

আমি এমনিতেই ইমোশনাল মানুষ, উনার এ কথা শোনার পর চোখের পানি আর আটকে রাখতে পারলাম না। এই মানুষটাকে গত ৩দিন ধরে যেসব নোংরা কথা সহ্য করতে হয়েছে, ভাবতেও কষ্ট হয়! অনেকে আমাকেও জিজ্ঞেস করেছেন, দাদা, আসল ব্যাপারটা কী? কে ফার্স্ট হইসে? পরিষ্কার হওয়া দরকার। ……… আহা! মানুষের যে কত আজাইরা টাইম! ভাবলেও হিংসা লাগে!!

কিছু কথা বলে ফেলি। রাগ করবেন না। করলে করেন! কিছুই করার নাই।

এক। ওয়ালিদ ভাই যে সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম হয়েছেন, এটা মেনে নিতে অনেকেরই কষ্ট লাগতে পারে। এটা পুরোপুরি জানতে একটু অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। কিন্তু এই মানুষটা তো ফরেনের মতন একটা শীর্ষস্থানীয় ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন, তাই না? যারা আজেবাজে কথা বলছেন, তাঁদের ফুল ফ্যামিলি মিলে বিসিএস পরীক্ষা দিলেও কি ফরেনে প্রথম হয়ে দেখাতে পারবেন? জ্বি ভাই, ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম। পারলে রাস্তার বাজে লোকজনের মত গলাবাজি না করে হয়ে দেখান। Your actions talk much louder than your words!

দুই। যারা সেকেন্ড ইয়ার থার্ড ইয়ারে পড়ছ, সামনে কখনও বিসিএস পরীক্ষা দেবে, অথচ আজেবাজে মন্তব্য করেছ, তাদেরকে বলি। অনার্সের পর প্রিলিতে পাস করে দেখাতে পারবে? বিসিএস পরীক্ষা কী, কোন ন্যূনতম ধারণাও আছে তোমাদের? ফরেনে ফার্স্ট হওয়া কী জিনিস, বোঝো? একটুখানি বুঝলেও তোমাদের কথা বলতে বুক কেঁপে উঠত। আর যারা সিভিল সার্ভিসে আসবেই না বলে ঠিক করে রেখেছ, তারা এটা নিয়ে এত চ্যাঁচামেচি করছ কেন? তুমি যা করবে বলে ঠিক করেছ, সেটা নিয়ে আমরা কি কোনও বাজে মন্তব্য করছি? সমস্যা কী, তোমাদের?

তিন। কে ফার্স্ট হল, আর কে সেকেন্ড হল, এটা নিয়ে ঝগড়া করলে কি আপনি চাকরিটা পাবেন? ঝগড়া এত টাইম পান কই? ওই সময়ে পড়াশোনা করতে পারেন না? অন্য মানুষের ঘরে সুন্দরী বউ দেখলে এত গা জ্বলে কেন? এই পরস্ত্রীকাতরতা ছেড়ে লাইনে আসুন।

চার। অনেকে প্রাইভেট ভার্সিটি বনাম পাবলিক ভার্সিটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। আজব! প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে পাস করে বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার বিধান তো আমাদের সরকার রেখেছেন। এটা নিয়ে কথা বলার আপনি কে? প্রাইভেট ভার্সিটিতে কি সব গাধা পড়ে নাকি? ওসব মান্ধাতা আমলের চিন্তাভাবনা নিয়ে সিভিল সার্ভিসে আসার স্বপ্ন দেখেন? প্লিজ, এখানে আসবেন না। এরকম সংকীর্ণ চিন্তার মানুষ সিভিল সার্ভিসে না এলেই দেশের জন্য মঙ্গল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যান্ডিডেটরা এবারের মেধাতালিকার প্রথম দিকে একটু কম আসতে পেরেছেন। এটা নিয়েও কিছু কুৎসিত মন্তব্য আমাদেরকে পড়তে হয়েছে। অন্যান্য বিসিএসে যে বিভিন্ন প্রথমসারির ক্যাডারে ফার্স্ট-সেকেন্ড হয়েছে এই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, সেকথা হয়তো আপনার জানা নেই। জানা না থাকলে, জেনে নিন। এরকম আজেবাজে মন্তব্য করে নিজেকে রামছাগল প্রমাণিত করবেন না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে আপনি যদি সবসময়ই কারওর মেধা বিচার করেন, তবে আপনার মূল্যায়ন প্রায়ই ভুল হবে, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একথা বলছি। আপনি বড় ভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন, খুব ভাল কথা, শুনে খুশি হইসি। এখন পাস করেন, ভাল কিছু করে দেখান, এরপর বড়বড় লেকচার মারতে আসেন।

পাঁচ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই সেরা, একথা বারবার বলার কী আছে? এটা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করবে, এমন গর্দভ আছে বলে তো মনে হয় না। ওয়ালিদ ভাই মাস্টার্স করেছেন এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি নিজেও মাস্টার্স করেছি এখান থেকে। অন্যান্য ভার্সিটিও তো ছিল, তাই না? আমরা যে দুটো বিষয়ে মাস্টার্স করেছি, দেশের সেরা ভার্সিটির ওই দুটো বিভাগে ভর্তির সুযোগ না পেলে হয়তোবা অন্য কোথাও চেষ্টা করে দেখতাম। শুধু সিভিল সার্ভিসেই নয়, কর্পোরেট সেক্টরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই জয়জয়কার। মানছি, এটা নিয়ে বেশি লাফালাফি করার মানে অবশ্যই আছে, কারণ ৩৪তম বিসিএসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট সত্যিই অনেকবেশি গৌরবের। আমার ভার্সিটি, আমি এটা নিয়ে গর্ব করি, ওয়ালিদ ভাইও তা-ই করেন। তাই বলে অন্যকোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ছোট করলে, আজেবাজে মন্তব্য করলে কিন্তু ওখানকার স্টুডেন্টদেরও কষ্ট লাগে; ততটাই, যতটা ঢাকা ভার্সিটি নিয়ে কেউ বাজে কিছু বললে আমার নিজের লাগত। আমার মা ভাল, এর মানে এটা হওয়া উচিত না যে বাকি সবার মা খারাপ।

শচীন টেন্ডুলকার বড়, নাকি ব্রায়ান লারা বড়, এ বিতর্ক এখনও এতদিন পরও কাউকে-কাউকে করতে দেখি। অথচ দেখুন, এ নিয়ে ওই দুজন গ্রেট ক্রিকেটারের কারওর কোনও মাথাব্যথা ছিল না। ওদের সময় কোথায় অতো? ওরা তো নিজেকে ছাড়িয়ে যেতেই ব্যস্ত। সমালোচকদের একমাত্র পুরস্কার — আত্মতৃপ্তি। ওদের যেহেতু বড় হওয়ার কোনও যোগ্যতাই নেই, সেহেতু ওরা সবসময়ই লুজারদের কিংবা বড়োজোর মিডিওকারদের দলে। দেখুন, আমরা এত চিল্লাচিল্লি করছি, অথচ মৌসুমী আপু কিংবা ওয়ালিদ ভাই তেমন কোনও উচ্চবাচ্য করছেন না। কেন করছেন না? উত্তরটা দিচ্ছি আমার একটা পুরনো ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে………..

যারা বেশি বোঝেন, আমি তাদের কম বুঝি। বোঝার চেষ্টাও করি না। সময় নাই। He who can, does; he who cannot, teaches. আমার ভীষণ পছন্দের একটা টিভি অ্যাডের কথা মনে পড়ে গেলো। চকোলেটের অ্যাড। একটা চকোলেট সম্পর্কে বিভিন্নজন বিভিন্ন মন্তব্য করছে। কেউ বলছে চকোলেটটা ভালো, কেউ বলছে খারাপ, কেউ-কেউ বা কনফিউসড্। একজন কিছুই বলছে না। মুখ বন্ধ। সবাই জিজ্ঞেস করলো, কী ভাই, কিছু বলছেন না কেনো? উনি কোনোরকমে মুখ খুলে উত্তর দিলেন, ভাই, বলবো কীভাবে? আমি তো খাচ্ছি! . . . . . . . এটা আমার দেখা সেরা অ্যাডগুলোর একটা। আপনি হয় আপেল খাবেন, নতুবা মুখটা খোলা রাখবেন। মুখ খোলা রেখে আপেলের স্বাদ উপভোগ করা সম্ভব নয়। যারা চেঁচায়, ওরা এক দলের; আর যারা এগোয়, ওরা অন্য দলের। বুদ্ধিমানরা তর্ক করেন, প্রতিভাবানরা এগিয়ে যান। একথা সবসময়েই সত্যি। বিল গেটসকে দেখুন, জুকারবার্গকে দেখুন, স্টিভ জবস্‌কে দেখুন। আরো কতো আছে! আমরা ওদের নিয়ে কত তর্জমায় মাতি, আর ওদের সময়ই নেই আমাদের নিয়ে ভাববার; ওরা যে ভীষণ কাজে ব্যস্ত! পৃথিবীর যাবতীয় অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় কাজের জন্যে, সমালোচনার জন্যে নয়। একদল নীরবে কাজ করে, আরেকদল সরবে সমালোচনা করে। যারা লিখতে পারেন, তারা লিখে যান। যারা লিখতে পারেন না, তারা বকে যান। দুই দলই আসলে সময় কাটান। যে যেভাবে করে সময় কাটিয়ে সুখ অনুভব করে আরকি! আমরা যা-ই করি না কেন, আমরা প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত সময়টুকু কাটাই—আমাদের পছন্দ অনুযায়ী, আমার সুযোগ অনুযায়ী, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী, আমাদের প্রাপ্তি অনুযায়ী। কারো সময় কাটানোর ধরনই বলে দেয়, উনার দৌড় কতদূর! সম্মানিত স্বীকৃত শ্রদ্ধেয় হন সাহিত্যিকরা, সমালোচকরা নন। সমালোচকদের জন্যে সান্ত্বনা পুরস্কার শুধুই নিভৃত আত্মতৃপ্তি। ঈশ্বর ওদের সুবুদ্ধি দান করুন।

কী বুঝলেন? মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে? মেনে নিন, মেনে নিন, কারণ এটাই বাস্তবতা। সফল হওয়ার পূর্বশর্ত: সাফল্য সহ্য করা শিখতে হবে। যে জিনিস আপনি সহ্যই করতে পারেন না, সে জিনিস ঈশ্বর আপনাকে দেবেন কেন? বদহজম হয়ে যাবে তো! জীবনে বড় হতে হলে হ্যাবিচুয়াল ‘সেলফিশ’ উইকনেস টু গ্রেটনেস থাকাটা জরুরি। যারা নিজনিজ ক্ষেত্রে সফল, তাদের গুণগুলোকে রেপ্লিকেট করার চেষ্টা করুন। যে লক্ষ্যেই পৌঁছাতে চান না কেনো, সেই লক্ষ্যের প্রতি প্রচণ্ড শ্রদ্ধাবোধ রাখুন। আপনি সাফল্য পাননি? তো কী হয়েছে? আবারও চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে যাঁরা সফল হতে পেরেছেন, তাঁদের কাছ থেকে নীরবে বিনীতভাবে শিখুন, কীভাবে ও পথে হাঁটতে হয়। আমার ব্যর্থতার দায়ভার তো আর আমি অন্যের সাফল্যের ঘাড়ে চাপাতে পারি না, তাই না?