যুবক, শোনো!

১। আমাকে তোমার প্রয়োজন হোক কিংবা না হোক, তোমাকে আমার প্রয়োজন পড়ে। আর মনে রেখো, এই ঘটনার ঠিক বিপরীতটা ঘটতে খুব বেশি দেরি নেই। হ্যাঁ, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়েই বললাম। বলতে পারবে, এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসটা কোথায় পেয়েছি?


২। তোমার মতন করে আমি কখনও তোমাকে ফিরিয়ে দেবো না, তবে আজ আমি যতটা কষ্ট পাচ্ছি, তুমি এর চেয়ে শতগুণ বেশি কষ্ট পাবে, নিশ্চিত থেকো। এটা অভিশাপ নয়; এটাই নিয়ম, এটাই নিয়তি। অপেক্ষা করো, নিজের চোখেই সব দেখতে পাবে।


৩। তুমি কখন, কী কারণে, কেন, কোন অবস্থায় আমাকে মেসেজ কিংবা ফোন করো, আমি কিন্তু তার সবই বুঝতে পারি। তবে কিছুই বলি না। আমার নীরবতার মানে এ নয় যে, আমি বুঝিনি বলেই চুপ করে আছি। আমি বুঝেই চুপ থাকি।


৪। তোমার চাপাকষ্ট, আর্তনাদ, আহাজারিগুলি শোনার বেলাতেই কেবল তোমার বাড়িভর্তি লোকগুলো কেন বধির হয়ে যায়?


৫। হিসাববিজ্ঞানে ফার্স্ট ক্লাস পেলেই যে তুমি জীবনের হিসেবে জিততে পারবে না, আমার সেই ভবিষ্যৎবাণীটা এখন মিলেছে তো?


৬। যেই কারণে আমাকে ছুড়ে ফেললে, সেই কারণেই কি কেউ তোমায় বুকে টেনে নিচ্ছে? নিচ্ছে না তো? আমি জানি, নেবার কথাও না।


৭। তোমার পাশের অত অহংকারী আর দাম্ভিক মানুষটা জানে কি, সে ঘুমিয়ে গেলে তুমি আমাকে প্রায়ই ফোন করো, আর আমি তোমার ফোনটা কখনওই ধরি না?


৮। তুমি ভেবেই নিয়েছ, আমি খুব কষ্টে আছি তোমাকে ছাড়া। এরকম আন্দাজে ধরে নেওয়া আর কত? টাকা পাও এসব করে?


৯। আমি কার সাথে কথা শেয়ার করি কিংবা বিছানা, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে প্রেশার বাড়িয়ে কোনও লাভ হবে না। নিয়ম তোমার বেলায় যা, আমার বেলায়ও তা-ই---এটা মাথায় রেখো।


১০। তোমাকে হুটহাট রাস্তায় দেখলে বড়ো মায়া হয়, আবার হাসিও পায়। এটা কি তুমি কখনও বুঝতে পারো?


১১। আমার কথাই ভাবছিলে তো এতক্ষণ ধরে, তাই না?...ধাক্কা খেলে নাকি কথাটা শুনে?


১২। একটা কথা শোনো। দুনিয়াটা অতি আবেগি আর নরম মনের মানুষদের জন্য না, এটা ঠিক। তবে একইসাথে এটাও ঠিক যে দুনিয়াটা কোনও কাপুরুষের জন্যও না।


১৩। তোমার মনটা গত দুবছর সাতমাস ধরে আমার কাছেই পড়ে আছে। একসময় এসে ফেরত নিয়ে যেয়ো। বিশ্বাস করো, ওটা কোনও কাজেরই না, অন্তত আমার কোনও কাজে লাগে না।